১৪টি আমলে জান্নাতের ৮টি দরজা খুলে যায়
১৪টি আমল করলে জান্নাতের ৮টি দরজা থেকে ডাক আসে
আজ আমি সে ১৪টি আমলের ব্যপারে বলব যে আমলগুলি
করলে জান্নাতের ৮টি দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করার হকদার হয়ে যাবেন
প্রথম আমল - রাসুলুল্লাহ (দ) এরশাদ করেন
তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি পরিপূর্ণ ভাবে অজু করে আর অজু করার পর এই কলমা (আশহাদু আন লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু
ওয়াহদাহু লা শারিকালাহ ওয়া আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহ)পড়ে তার জন্য
জান্নাতের ৮টি দরজা খুলে দেয়া হয়। সে যে দরজা দিয়ে চাই জান্নাতে চলে যেতে পারবে।(ইবনে
মাজাহ ৪৭০)
২য় ও ৩য় আমল একই হাদীসে আছে, রাসুলুল্লাহ
(দ) এরশাদ করেন যে ব্যক্তি জীবনে কখনো শিরিক করে নি এবং যে জীবনে কাউকে হত্যা করেনি
বরং মুমিনদেরকে শান্তির পয়গাম দানকারী হয় আল্লাহ তায়ালা এই ২ জনের জন্যও পুরস্কার রেখেছেন
তারা জান্নাতের ৮টি দরজা থেকে যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা জান্নাতে চলে যাবে।
৪থ ও ৫ম আমল একই হাদীসে আছে, হুজুর (দ)মিম্বরে
তশরীফ রাখলেন, ২ বার আল্লাহর কসম করলেন, তারপর মিম্বরের নিচে নেমে আসলেন, আর বললেন
(আবশিরু) তোমরা খুশি হয়ে যাও, যে ৫ ওয়াক্ত নামাজ নিয়মিত পড়ে এবং কবিরা গুনাহ থেকে বেঁচে
থাকে আল্লাহ এই ২ শ্রেণীর লোককেও বলবেন জান্নাতের দরজাসমুহ থেকে যে দরজা দিয়ে চাও জান্নাতে
চলে যাও
৬ষ্ঠ ও ৭ম আমল হল খুশি মনে জাকাত দান করা
এবং মুসলমান শাসকের আনুগত্য করা, এই ২ শ্রেণীর লোককেও জান্নাতের ৮টি দরজা থেকে যে কোন
দরজা দিয়ে ইচ্ছা প্রবেশ করার অনুমতি দেয়া হবে।
৮ম আমল হল যে ব্যক্তি ৫টি বিষয়ের স্বাক্ষি
দিবে (১) আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নাই (২) মুহাম্মদ (দ) আল্লাহর বান্দা ও রাসুল (৩) ঈসা
(আঃ) আল্লাহর বান্দা ও রাসুল (তিনি আল্লাহর পুত্র নন) (৪) স্বাক্ষী দিবে যে জান্নাত সত্য (৫) স্বাক্ষী
দিবে যে জাহান্নামও হক
এই ৫টি জিনিষের স্বাক্ষী দান কারীর জন্য
পুরস্কার হল জান্নাতের ৮টি দরজা থেকে যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে।(বুখারী
৪৭)
৯ম আমল হল- যে ব্যক্তি তার ২টি জিনিষ খুশিতে
আল্লাহর রাস্তায় সদকা করে দিবে আল্লাহ তার জন্য জান্নাতের ৮টি দরজা খুলে দিবেন।
১০ আমল হল- যে ব্যক্তি নিজের জান ও মাল
আল্লাহর রাস্তায় কুরবানী করবে জান্নাতের সকল দরজার দরোয়ান তাকে জান্নাতে প্রবেশের জন্য
ডাকবে
১১তম আমল হল- নারীদের জন্য যে নারী ৫ ওয়াক্ত
নামাজ, রমজানের রোজা, স্বামীর আনুগত্য করে এবং নিজের ইজ্জতের হেফাজত করে, স্বামীর অনুপস্থিতে
তার মালামালের হেফাজত করে কেয়ামতের দিন আল্লাহ এ শ্রেণীর নারীকে বলবে যাও জান্নাতের
যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা সে দরজা দিয়ে জান্নাতে প্রবেশ কর।
১২ তম আমল হল- যে ব্যক্তির ৩ জন সন্তান
বালেগ হওয়ার আগে মারা যায় আর সে যদি তাতে সবর করে সে নাবালেগ সন্তানগুলিকে যখন জান্নাতে
যেতে বলবে তারা বলবে যতক্ষন আমাদের মা বাবা জান্নাতে যাবেনা ততক্ষন আমরাও যাবনা তখন
আল্লাহ বলবেন যাও তোমরাও যাও তোমাদের মা বাবাকেও নিয়ে যাও।
এ কথা বলা পর এক নারী বলল এয়া রাসুলাল্লাহ
যদি ২ জন নাবালেগ বাচচা মারা যায় তাহলে সে কি এই নেয়ামত পাবে? তখন নবীজি ফরমালেন হ্যাঁ
যদি ২ জনও হয় সেও এ নেয়ামত পাবে
আরেক জন প্রশ্ন করল যদি ১ জন বাচ্চা মারা
যায় আর তাতে যদি কেহ সবর করে তাহলে সেও কি এ নেয়ামত পাবে? হুজুর (দ) ফরমালেন হ্যাঁ
১ জন বাচ্চা মারা গেলেও যদি সবর করে তাহলে সেও
এ নেয়ামত পাবে। (ইবনে মাজা ১৬০৪)
১৩ তম আমল হল- যে ব্যক্তি দ্বীন প্রচারের
জন্য কষ্ট করে আর দ্বীন প্রচারের ক্ষেত্রে আল্লাহর সন্তুষ্টির খাতিরে সব ধরনের কষ্টে
সবর করে, নামাজ কায়েম করে, আল্লাহ তাকে যা দিয়েছেন তা থেকে খরচ করে, খারাপ আচরনের বদলা
খারাপ আচরন দ্বারা নয় বরং ভালো আচরন দ্বারা দেয়,এমন লোক একা জান্নাতে যাবেনা বরং তার
পিতা মাতা, তার স্ত্রী, তার সন্তান সন্তুতি সকলের জন্যই এ নেয়ামত এই সু সংবাদ হুজুর
(দ) দিয়েছেন যে জান্নাতের ৮টি দরজা থেকে ফেরেশতারা তাদেরকে আহ্বান করবে।
১৪ তম আমল হল- যখন নবী করিম (দ) ফরমালেন নামাজিকে বাবুস সালাত থেকে ডাকা হবে, রোজাদারকে
বাবুর রাইয়্যান থেকে ডাকা হবে, মুজাহিদকে বাবুল জিহাদ থেকে ডাকা হবে, সদকাকারীকে বাবুস
সদকা থেকে ডাকা হবে, তখন হযরত আবু বকর সিদ্দিক ১টি প্রশ্ন করে দিলেন হে আল্লাহর রাসুল
এমন কোন সৌভাগ্যবান কি আছে?যাকে জান্নাতের ৮টি দরজা থেকেই ডাকা হবে? তখন হুজুর (দ)
এরশাদ করলেন হে আবু বকর হ্যাঁ যাকে জান্নাতের ৮টি দরজা থেকে ডাকা হবে সে হলে তুমি।
কোন মন্তব্য নেই