খবরদার! কুরআন অবমাননা করে কেহ সফল হতে পারেনি পারবেও না
খবরদার! কুরআন অবমাননা করে কেহ সফল হতে পারেনি পারবেও না
এ পযন্ত দুনিয়ার বুকে অনেকে কুরআন
অবমাননা করে হিরো হওয়ার মিথ্যা চেষ্টা করেছেন কিন্তু হিরো হতে পারেনি, বরং তারা ইতিহাসের
আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে।
আল্লামা কুরতুবি মালিকি লিখেন আবুল হাসান আলী বিন খালফ তার সনদে এয়াহিয়া থেকে বননা করেন যখন খলিফা মামুনুর রশিদ বাদশা ছিলেন তিনি বিভিন্ন ধর্মের আলেমদের নিয়ে একটি মজলিশ করেন,
সেখানে এক ইহুদী আলেম খুব সুন্দর বয়ান করেন, মজলিশ শেষে সে যখন চলে যাচ্ছিল বাদশা মামুনুর
রশিদ তাকে ইসলাম ধম গ্রহণ করার অনুরোধ জানান, কিন্তু সে ইসলাম ধম কবুল করতে অস্বিকার
করে, ১ বছর পর যখন সে মাহফিল আবার খলিফার দরবার অনুষ্ঠিত হল সে ইহুদী আলেম এবার একজন
বড় মুসলমান আলেম হিসেবে মজলিশে উপস্থিত হল, বাদশা তাকে এর কারন জিজ্ঞেস করলে সে জবাব
দিল, আমার হাতের লেখা খুব সুন্দর তাই আমি আমার ধর্মীয় কিতাব তাওরাত নিজ হাতে ৩টি নুসখা
লিখলাম আর তা আমাদের কিতাব খানায় বিক্রী করলাম তারা আমার কাছ থেকে তা চড়া মুলে কিনে
নিল, আমি সে ৩ টি নুসখায় অনেক রদবদল করলাম, কিন্তু তারা তা ধরতে পারল না,
এরপর আমি ৩টি ইঞ্জিল গ্রন্থ নিজ হাতে লিখে তাদের কিতাব খানায় নিয়ে গেলাম
তারাও হাতের সুন্দর লেখা দেখে আমার কাছ থেকে অনেক চড়া মুল্যে ক্রয় করে নিল, তাতেও আমি
আমার মত করে কম বেশ করে দিলাম কিন্তু তারা তা বুঝতে পারল না
এবার ইহুদী আলেম বললেন আমি পবিত্র কুরআনের ৩টি খন্ড নিজহাতে অনেক রদবদল
করে লিখলাম এবং মুসলমানদের কুতুবখানায় তা বিক্রী করতে গেলে সেখানে থাকা ১ জন কুরআনের
হাফেজ কিছুটা পড়েই এতে যে লিখার সময় আমি রদবদল করেছি তা ধরে ফেলল তারপর...
আমি বুঝে নিলাম এটাতে রদবদল করা কিছুতেই সম্ভব নয়। এবং আমি এই ধম যে
সত্য কুরআন যে সত্য তা বুঝতে পেরে ইসলাম কবুল করেছি।
খলিফা মামুনুর রশিদ তখন বলল কুরআন কেহ রদবদল করতে পারবেনা কারন এই কুরআনকে
হেফাজতের দায়িত্ব নিয়েছেন মহান আল্লাহ যেমন আল্লাহ সুরা হিজর এর ৯ নং আয়াতে বলেন (ইন্না
নাহনু নাজ্জালনাজ জিকরা ওয়া ইন্না লাহু লা হাফিজুন আমিই নাজিল করেছি কোরআনকে এবং আমিই তার সংরক্ষণকারী।
অপর আয়াতে এরশাদ করেন (লা এয়াতিহিল
বাতিলা মিম বাইনি এয়াদাইহি ওয়ালা মিন খালফিহি) অথ্যাৎ কুরআনের কাছে কোন ভ্রান্ত বাতিল
আসতে পারবেনা সামনে থেকেও পারবেনা পিছন থেকেও পারবেনা।
কুরআন এর হেফাজতের বাহ্যিক কাজের আঞ্জাম
দিয়েছেন খলিফা ওমর বিন খাত্তাব (রা) কারন সর্বপ্রথম হযরত আবু বকরকে কুরআন সংরক্ষনের
জন্য পরামশ দিয়েছেন হযরত ওমর (রা) এবং সে কুরআনের চর্চা সঠিক ভাবে জারি থাকবে তারাবিতে
হাফেজগন সে কুরআন শুনাতে পারলে, কারন তারাবীতে কুরআন শুনা এবং পড়া যে সব দেশে বন্ধ
হয়ে গেছে সে সব দেশে কুরআনের হাফেজরা কুরআন ভুলে যাবে, তাই হযরত ওমর (রা) তারাবীতে
কুরআন খতম করার তরিকাও প্রচলন করেছেন। সে জন্য বলা হয় কুরআনে মুল হেফাজতকারী আল্লাহ
কিন্তু তার হেফাজতের বাহ্যিক ব্যবস্থা করেগেছেন হযরত ওমর বিন খাত্তাব।
সুতরাং প্রকৃত হেফাজতকারী আল্লাহ আর
সে হেফাজতের দায়িত্ব পালন করতে হবে প্রশাসনকে যদি প্রশাসন আল্লাহর কালামকে সম্মান দেখিয়ে
কুরআনের প্রকৃত অবমাননাকারীকে শাস্তির আওতায় আনেন তাহলে সে প্রশাসনকে আল্লাহও সম্মানীত
করবেন। আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন (ফাজকুরুনি আজকুরুকুম) তোমরা আমার জিকির কর আমি তোমাদের
জিকির করব।
আল্লাহ তায়ালা বাংলাদেশ সরকার ও প্রশাসনকে
কালামুল্লাহর সাথে বেয়াদবীকারীকে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দেয়ার তৌফিক দান করুন। আমিন।
কোন মন্তব্য নেই