পরীক্ষায় ভালো মার্কস পাওয়ার ৩টি সেরা কৌশল
পরীক্ষায়
ভালো মার্কস পাওয়ার ৩টি সেরা কৌশল
এই
ভিডিওকে অবশ্যই শেষ পযন্ত দেখবেন এবং আমার সাথে থাকবেন।
কেননা
এতে আপনারই লাভ হবে।
১ম
টিপস হল- পড়ালেখার সেশন খুবই গুরুত্বপূণ। যদি আপনি ৪ ঘন্টা পড়েন বা ৬ ঘন্টা পড়ালেখা
করেন তাহলে তার ২টি তরিকা
প্রথমত-
আপনি আপনার পড়ার সময় আপনার রুমে যাবেন আর পড়ালেখা করা শুরু করে দিবেন। আর যত ঘন্টা
আপনি পড়বেন ততঘন্টা পড়ার পরেই আপনি আপনার পড়া থেকে উঠবেন। বেশীর ভাগ স্টুডেন্স এমনই
পড়েন। নিজের কামড়ায় বন্ধী হয়ে যায় আর ঘন্টার পর ঘন্টা পড়ালেখা করে। আর সে ভাবতে থাকে
সে অনেক বেশী মেহনত করছে।
কিন্তু
বন্ধুরা ব্রেইনের উপর রিসেন্ট স্টাডি এটাই বলছে, পড়ালেখার মাঝে মাঝে ব্রেক নেয়া বিরতি
নেয়া খুবই জরুরী।
আমরা
যা কিছু পড়ি কিংবা শিখি তাকে ধরে রাখার জন্য ব্রেইনকে বিরতি দেয়া দরকার।
যেমন
একটি চারা গাছকে বড় করার জন্য সপ্তাহে ১ দিন লাগাতার পানি দেয়ার চেয়ে উত্তম হল প্রতিদিন
তাকে শুধু ৫ মিনিটের জন্য পানি দেয়া।
তেমনি
ভাবে লাগাতার ৪ ঘন্টা পড়ালেখা করার চেয়ে উত্তম হল আপনি সে ৪ ঘন্টাকে ৪ ভাগে ভাগ করে
পড়ালেখা করবেন।
বন্ধুরা
উত্তম নিয়ম হল আপনি ১ ঘন্টার জন্য পূণ মনযোগ দিয়ে পড়বেন তারপর ১০-১৫ মিনিটের বিরতি
দিবেন। কিছু তাজা বাতাস গ্রহণ করুন নিজের মাইন্ডকে রিলেক্স করুন, তারপর ২য় বার পড়ালেখা
শুরু করে দিবেন।
আপনি
এই কাজের জন্য টাইমার বা এলাম ঘড়ি ব্যবহার করতে পারেন। আপনি দেখতে পাবেন এই পদ্ধতিতে
আপনার যাদুর মত রেজাল্ট হবে।
আপনার
ব্রেইনের ফোকাস ও কনসানট্রেশন ভালো হয়ে যাবে। আর পড়া শিখা মনে রাখা খুবই সহজ হবে।
বন্ধুরা
গবেষকরা বলেন এই পদ্ধতিতে পড়ালেখা করলে আমাদের ব্রেইন এর পারফরমেন্স ৪৬% বেড়ে যায়।
আপনি যা কিছু পড়বেন তা আপনার খুব দ্রুত মুখস্থ হয়ে যাবে এবং বেশীদিন মনে থাকবে।
তবে
একটি কথা অবশ্যই মনে রাখবেন, ব্রেকিং টাইমে আপনি মোবাইল ব্যবহার করবেন না, টিভি দেখবেন
না, কোন এমন কাজ করবেন না যাতে আপনার ব্রেইন রিলেক্স হওয়ার পরিবর্তে ব্যস্ত হয়ে যায়।
২য়
গোপন টিপস হল- (রিভিও ইউর লেসনস পিরিওডিক্যালি)
বন্ধুরা
অধিকাংশ সময় এমন হয় আমরা কোন প্রশ্নের উত্তর শিখি, তা ভালো ভাবে মুখস্থ করে লিখেও থাকি,
অথবা কাউকে শুনিয়ে থাকি, এবং আমরা ভাবতে থাকি আমাদের এই বিষয়ে পরিপূণ প্রস্তুতি গ্রহণ
হয়ে গেছে, কিন্তু যখন কয়েকদিন পর সে প্রশ্নটি
এসে যায়, অনেক সময় আমরা সে প্রশ্নের উত্তর সঠিক ভাবে লিখতে পারিনা।অথচ সে প্রশ্নে উত্তর
আমরা খুবই ভালো করেই শিখেছি।
বন্ধুরা
এর কারন হল আমরা যা কিছু শিখে থাকি তা আমাদের ব্রেইনে স্টোর হয়, আমাদের মেমোরিতে। আর
সাধারণত আমাদের মেমোরি ২ ধরনের হয়ে থাকে, শট টাম মেমোরি, লং টাম মেমোরি, যখন আমরা কোন উত্তম শিখে থাকি সে ইনফরমেশন আমাদের
ব্রেইনে শট টাম মেমোরিতে জমা হয়, কিন্তু এই ইনফরমেশন বেশীদিন আমাদের মেমোরিতে জমা থাকেনা,
ডিলিট হওয়া শুরু হয়।
সে
জন্য কোন কিছু বেশীদিন বা লং টাইম মনে রাখার জন্য জরুরী হল আমাদের শট টার্ম মেমোরি
থেকে সকল ইনফরমেশন লং টার্ম মেমোরিতে স্থানান্তর করা। আর তার সবচেয়ে উত্তম নিয়ম হল
আমরা আমাদের পড়াগুলিকে বারবার রিভাইস করতে হবে। যখন আমরা কোন কিছুকে বারবার রিভাইস
করতে থাকি তখন আমাদের ব্রেইনে থাকা ইনফরমেশন গুলি শট টাম মেমোরি থেকে লং টাম মেমোরিতে
স্থানান্তর করে দেয়। আর লং টাম মেমোরিতে জমা হওয়া ইনফরমেশন আমাদের বেশীদিন মনে থাকে।
সে
জন্য আপনি যা কিছু পড়ালেখা করবেন তা একটি নিদৃষ্ট সময় পর পুনরায় অবশ্যই রিভাইস দিবেন।
তখন আপনি দেখবেন আপনার এই অভ্যাস আপনার প্রোডাকটিভিকে আপনার মনে রাখার শক্তিকে অনেক
গুণ বাড়িয়ে দিবে।
বন্ধুরা!
আমার ৩য় গোপন টিপস হল- অনেক স্টুডেন্স এমন
হয় যে সে তার পড়ালেখাতে খুবই চিন্তিত থাকে আর ভালো নাম্বার ও ভালো ক্যারিয়ারের চিন্তায়
থাকে, কিন্তু সে ভালো নাম্বার আনতে পারেনা,
তাদের দেমাগে দিনভর এই চিন্তাই কাজ করে, অনেক
সময় নষ্ট হয়ে গেছে, আর নয়, এখন আমাকে কিছু করে দেখাতে হবে, খুব মেহনত করতে হবে ভালো
মাকস নিতে হবে। খেলাধুলা করার সময়ও দেমাগে
এই চিন্তাই থাকে, ফ্যামিলির সাথে গল্প গুজবের সময়ও একই চিন্তা, ভালো মাকস, ভালো ক্যারিয়ার।
কিন্তু ভালো মাকস তবুও আসেনা। আর সে বুঝতে পারেনা এমনটি কেন হয়? অথচ তার চেষ্টায় কমতি
ছিলনা।
বন্ধুরা
আমি আজ আপনাদের এর কারন বলব, আমাদের যে দেমাগ আছে তাকে আমরা যেভাবে চালাব সেটা সেভাবে
চলতে শুরু করবে, যখন আমরা একটি কাজ করার সময় অন্য একটি বিষয় নিয়ে চিন্তা করতে থাকব,
তখন আমাদের মাইন্ড এভাবেই ট্রেইন হয়ে যাবে, ক্রিকেট খেলার সময় যদি আমরা কেমিস্ট্রির
টেস্ট এর ব্যাপারে চিন্তা করি, তাহলে পড়ার সময় অবশ্যই ক্রিকেট ম্যাচে হারার কথাও চিন্তায়
চলে আসবে। এমন ছাত্র ছাত্রী পড়ার সময়ও পড়ার রেজাল্ট পরীক্ষার রেজাল্ট নিয়ে চিন্তায়
মশগুল থাকে। ইংলিশ পড়ার সময় অংক নিয়ে চিন্তা করে এভাবে তারা পড়ে কম কিন্তু চিন্তা করে
বেশী। এভাবে টেনশন করতে করতে মাকস বেশী তুলতে পারেনা।
সুতরাং
বন্ধুরা যে সময়টা বাহ্যিক চিন্তায় ব্যয় হচ্ছে সে সময়টা পড়ালেখাতে লাগিয়ে দিন। শুধু
টেনশন করার ফলে কিছু হয়না, চিন্তা কম করুন বরং এই দুনিয়াকে কিছু করে দেখান,
বন্ধুরা
এই ভিডিওটি কেমন লাগল কমেন্টে অবশ্যই জানাবেন। আর যদি ভালো লাগে তাহলে একে লাইক করবেন
আর শেয়ারও করবেন। যাতে এই ভালো পরামশগুলি আপনার বন্ধুদের কাছে পৌঁছে যায়।
কোন মন্তব্য নেই