শীতকালে খেজুর ও আঞ্জির/ডুমুর/তীন ফল একসাথে খেলে কি হয়?

শীতকালে খেজুর ও আঞ্জির/ডুমুর/তীন ফল একসাথে খেলে কি হয়?



বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম! আসসালামু আলাইকুম জা আল হকের প্রিয় বন্ধুরা,  আশা করি আপনারা ভালো আছেন।

বন্ধুরা মনে রাখবেন তিব্বে নববী বা নববী চিকিৎসাসমুহের ভিত্তি অহির উপর। আর যে সব জিনিষের ভিত্তি অহির মাধ্যমে হয় তার কি উপকারিতা একজন মুসলমান তা খুব ভালোভাবে জানে।

বরং এটাতো একজন মুসলমানের আকিদার অংশবিশেষ। নবী করিম (দ) এর জবানে মোবারক থেকে বের হওয়া সকল কথা শতভাগ সত্য। এতে সন্দেহের কোন অবকাশ নাই।

আজকের এই ভিডিওতে আমি আপনাদেরকে তিব্বে নববী (দ) এর আলোকে বণনা করব শীতকালে খেজুর এবং আঞ্জির ফল খাওয়ার বিষ্ময়কর উপকারিতা সম্পর্কে। আরো বলব মানুষের শরীরে এর কি কি এফেক্ট কার্যকর হয়।

মনে রাখবেন খেজুর হুজুর পাক (দ) এর পছন্দনীয় খাবারের মধ্যে একটি। আর আঞ্জির ফলের জিকির কুরআনে পাকে এসেছে। সুরা তীন নামে আমরা যে সুরাটি চিনি সে তীন শব্দের অর্থিই হল আঞ্জির।

খেজুরের উপকারিতার ব্যপারে হাদীসে আমরা অনেক রেওয়ায়েত দেখতে পাই। যাতে খেজুরের গুরুত্বের ব্যপারে আন্দাজ করা কঠিন নয়।

এখন প্রশ্ন হল আঞ্জির ও খেজুর একসাথে খাওয়া উচিত কিনা? এ ব্যপারে আমি আপনাদেরকে তিব্বে নববী (দ) এর আলোকে বিস্তারিত বর্ননা করব। সুতরাং এই বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য আপনাদের কাছে অনুরোধ ভিডিওটি শেষ পর্যন্ত অবশ্যই দেখবেন।

বন্ধুরা আসুন তিব্বে নববীর মধ্যেমে এই দুটি খাদ্যকে ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করার নিয়ম, আর খেজুর ও আঞ্জিরকে একত্রে ব্যবহার করলে এটা আমাদের শরীরের ভিতর গিয়ে কি করে?

আর এই ব্যপারে নবী করিম (দ) কি কি এরশাদ করেছেন? এবং এই দুটি খাদ্য বা ফল আমাদেরকে কোন কোন রোগ থেকে হেফাজত করে?

মনে রাখবেন অসংখ্য হাদীসে মোবারকে সাহরী ও ইফতারে খেজুর খাওয়ার ব্যপারে তাগাদা দেয়া হয়েছে। সুতরাং খেজুর খাওয়া এবং তা ভিজিয়ে সে পানি পান করা কিংবা একে শুকিয়ে বিভিন্ন রোগের জন্য খাওয়া নবী করিম (দ) এর সুন্নতের শামিল।

এত অগনিত বরকত ও বেশুমার রোগের চিকিৎসা লুকিয়ে আছে। সহিহ বুখারীতে এক হাদীসে মোবারাকা আছে নবী করিম (দ) এরশাদ করেন যে ব্যক্তি সকাল বেলা আজওয়া খেজুর খাবে সেদিন তার শরীরে কোন যাদু ও বিষ ক্রিয়া করবেনা। আর যে সন্ধ্যা বেলা খাবে সকাল পর্যন্ত তাকে কোন বিষ ও যাদু ক্ষতি করতে পারবেনা।

আল্লাহ তায়ালা কুরআনের ১টি সুরার নাম আঞ্জির রেখেছেন তা থেকেই আঞ্জির ফল যে উপকারী তা স্পষ্ট বুঝা যায়। তাছাড়া কুরআনে আল্লাহ তায়ালা এই ফলের কসম খেয়েছেন। (ওয়াত্তীন) শপথ আঞ্জির ফলের।

মনে রাখবেন আহাদীসে মোবারাকা ও ঐতিহাসিক রেওয়ায়েত থেকে জানা যায় আঞ্জির আরবের ফল নয়, এটি তুকি, স্পেন, ফ্রন্সে বেশী ফলে, নবীর যুগে আরবে এই ফলের অস্তিত্ব ছিলনা। সে জন্য এই ফলের ব্যপারে খেজুরের মত বেশী হাদীস পাওয়া যায়না।

তবে হযরত আবু দারদা (রা) হতে ১টি রেওয়ায়েত পাওয়া যায় নবী করিম (দ) এর খেদমতে আকদসে কোথাও থেকে আঞ্জির ভর্তি ১টি থালা আসল, তখন হুজুর (দ) আমাদেরকে নির্দেশ দিলেন খাও, আমরা তা থেকে খেলাম, এরপর নবী করিম (দ) এরশাদ করলেন যদি কেহ প্রশ্ন করে যে কোন ফল কি জান্নাত থেকে জমিনে আসতে পারে? তাহলে আমি বলব এই আঞ্জির ফলই সে ফল। নিঃসন্দেহে আঞ্জির ফল জান্নাতের খাদ্য। সুতরাং এই ফল খাও।

এই ফল পাইলস রোগ দুর করে দেয়। এবং জোড়ার ব্যথার জন্য খুবই উপকারী।

বন্ধুরা আঞ্জির এমন একটি ফল যে ফলের জিকির আদম (আ) ছাড়াও আরো অনেক আম্বিয়া কেরামের সাথে উল্লেখিত হয়েছে।

এখন আমি বলব আঞ্জির ও খেজুরের উপকারিতা এবং এই দুটি ফল একসাথে ব্যবহার করা উচিত কিনা?

আঞ্জির ও খেজুর উভয়টির মধ্যেই ফাইবার, কপার মেগনেশিয়াম, মেগনিস, ভিটামিন বি রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে এই ফলের মধ্যে কিছু বাহ্যিক ফায়দা আছে, আর কিছু আভ্যন্তরিন ফায়দা আছে।

 বাহ্যিক ফায়দা সে ব্যক্তিই চিহ্নিত করতে পারে যার সম্পক তাসাউফ বা রুহানিয়াতের সাথে আছে,

বিশেষজ্ঞদের মতে  এই দুটি ফল খুব তাড়াতাড়ি হজম হয়, পেটকে নরম রাখে, পেট থেকে দুগন্ধ জাতিয় জিনিষকে দ্রুত বের করে দেয়, হাকিমদের মতে দুটি ফলের তাছির গরম, দুটি ফলই স্বাস্থ্যকে মোটা তাজা করে, সে জন্য বলা হয় এই দুটি ফল দুর্বলদের জন্য খাস নেয়ামত।

শরিরকে সুস্থ সবল বানানোর সাথে সাথে চেহেরাকেও সুন্দর বানিয়ে থাকে। এছাড়া এই ফল দুটি খাওয়ার ফলে শারিরিক ও মানসিক ক্লান্তিও দুর হেয় যায়, এই ফল রক্ত থেকে দুষিত অংশকে শেষ করে দেয়।

আঞ্জির ফল খাওয়ার ফলে যাদের পেশাব কম হয় তাদের সমস্যা দুর হয় ফলে পেশাবের সাথে কিডনি ও পিত্তের পাথুরিও পরিস্কার হয়ে যায়। তাছাড়া হাই ব্লাড প্রেসারের রোগীদের জন্য এই দুটি ফল আল্লাহর অনেক বড় নেয়ামত।

এর ধারাবাহিক ব্যবহারের ফলে রক্তের চর্বি পাতলা হয়, ফলে রক্ত নালি পরিস্কার থাকে এবং রক্ত চলাচল ঠিক থাকে, আর আঞ্জির রক্তের নালি থেকে জমে থাকা ময়লাকে বের করে দিতে সক্ষম। আর এই গুনের কারনে আঞ্জির ফল খেলে পাইলসের জন্যও উপকারী।

আর এই কথার সত্যতা তিব্বে নববী (দ) এর এক রেওয়ায়েতে পাওয়া যায়। আঞ্জিরের ব্যপারে বলা হয় এই ফল বৃদ্ধ অবস্থায় খুবই উপকারী। বন্ধুরা এই গুলি হল সে উপকারিতা যা আঞ্জির ও খেজুরের দ্বারা হাছিল করা যায়।

যেহেতু এই দুটি ফল গরম খাদ্য তাই এই দুটি ফল শীতকালে খুবই উপকারী।

চলুন এবার জেনে নিই এই দুটি ফল একসাথে খেলে  কি হয়?

তিব্বে নববী (দ) এর ব্যপারে অভিজ্ঞ ডঃ খালেদ গযনবী, তিনি তার কিতাব তিব্বে নববী (দ) ও নতুন সাইন্স এর মধ্যে লিখেছেন - রাসুলুল্লাহ (দ) আঞ্জির ও খেজুর একসাথে খেতে নিষেধ করেছেন।

সুতরাং আঞ্জির ও খেজুর ফল একসাথে খাওয়া উচিত নয়। উত্তম হল ১টি সকালে খাবেন ২য়টি রাতে খাবেন। এতে বেশী উপকার হবে।

বন্ধুরা আমাদের এই তথ্যমুলক ভিডিও ভালো লাগবে আপনার আপনজনদের কাছে অবশ্যই শেয়ার করবেন, আমি আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই ইনফরমেশন অবশ্যই পছন্দ হবে। আর আপনাদের কোন প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই কমেন্টে প্রশ্ন আকারে আমাদের লিখবেন আমরা যথাসাধ্য উত্তর দিতে চেষ্টা করব।


#শীতকাল #খেজুর #ডুমুরফল #আঞ্জিরফল #তীনফল #ফজিলত #উপকারিতা #ইসলাম


কোন মন্তব্য নেই

borchee থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.