স্বামীকে যে কথাটি বললে স্ত্রী জাহান্নামী হয়

 স্বামীকে যে কথাটি বললে স্ত্রী জাহান্নামী হয়



বিছমিল্লাহির রাহমানির রাহিম! আসসালামু আলাইকুম জা আল হকের প্রিয় বন্ধুরা,  আশা করি আপনারা ভালো আছেন।

আমার একটাই দোয়া যে আল্লাহ পাক আপনাকে খাইর ও বরকতে রাখুক ছহি সালামত রাখুক আমিন।

 

আমরা জানি যারা কাফের বেঈমান তারা জাহান্নামে যাবে, কিন্তু ঈমানদার হওয়া সত্বেও মুসলমান হওয়া সত্বেও কোন নারী যদি তার স্বামী শুধু ১টি কথা বলে দেয় তাহলে সে জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে, কি সে কথা? আল্লাহর নবী সে বিষয়ে কি ফরমায়েছেন আজ  হাদীসের আলোকে তা আলোচনা করব,

প্রত্যেক নারীর জন্য আজকের ভিডিওটি খুবই গুরুত্বপূণ। আর যে সব পুরুষ এই ভিডিওটি দেখছেন তারাও নিজ নিজ স্ত্রী কন্যা বা বোনকে প্রিয় নবীর ফরমানে আলীশান সম্বলিত এই ভিডিওটি পৌঁছে দিবেন যাতে আপনার আপনজনরা জাহান্নামের ভয়াবহ আযাব থেকে বাঁচতে পারে

 

আর প্রিয় নবী এই দুঃসংবাদ যেদিন দিয়েছেন সেদিন মদীনায় সুযগ্রহণ হয়েছিল, সুর্যগ্রহণের নামাজের পর প্রিয় নবী নারীদের ব্যপারে এই দুঃসংবাদ শুনান।

প্রিয় নবী যখন সেদিন সুর্যের নামাজ পড়াচ্ছিলেন তখন হঠাৎ সামনে হাত বাড়িয়ে কি যেন ধরছিলেন আবার পরক্ষনেই পিছনে সড়ে আসলেন

নামাজ শেষে সাহাবাগণ জিজ্ঞাসা করল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমরা দেখলাম, আপনি নিজের জায়গা থেকে কি যেন ধরেছেন, আবার দেখলাম, আপনি যেন পেছনে সরে এলেন। তিনি বললেনঃ আমি তো জান্নাত দেখছিলাম এবং একগুচ্ছ আঙ্গুরের প্রতি হাত বাড়িয়ে ছিলাম। আমি তা পেয়ে গেলে, দুনিয়া কায়িম থাকা পর্যন্ত অবশ্য তোমরা তা খেতে পারতে। এরপর আমাকে জাহান্নাম দেখানো হয়, আমি আজকের মত ভয়াবহ দৃশ্য কখনো দেখিনি। আর আমি দেখলাম, জাহান্নামের অধিকাংশ বাসিন্দা স্ত্রী লোক।

 

লোকেরা জিজ্ঞাসা করল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! কী কারণে? তিনি বললেনঃ তাদের কুফরীর কারণে। জিজ্ঞাসা করা হল, তারা কি আল্লাহর সাথে কুফরী করে? তিনি জবাব দিলেন, তারা স্বামীর অবাধ্য থাকে এবং ইহসান অস্বীকার করে। তুমি যদি তাদের কারো প্রতি সারা জীবন সদাচরণ কর, এরপর সে তোমার থেকে (যদি) সামান্য ত্রুটি পায়, তা হলে বলে ফেলে,

 مَا رَأَيْتُ مِنْكَ خَيْرًا قَطُّ ‏"‏‏. (মা রাআইতু মিনকা খাইরান কাত্তু)

তোমার থেকে কখনো ভালো ব্যবহার পেলাম না।

আমি তোমার কাছে মনোপূত কোন কিছু কখনো দেখিনি।

এই টাইপের কথা বলে অথচ স্বামী সারাক্ষণ তার সুখ তার শান্তির চিন্তায় বিভোর থাকে, চেষ্টা করে যথাসাধ্য স্ত্রীকে সুখী রাখার জন্য। তখন যদি স্ত্রী স্বামীর সামান্যতম ত্রুটি পায় যেমন এক বছরঈদে অভাবের কারনে ভালো মানের কাপড় দিতে পারলনা, কিংবা কোন কারনে স্ত্রীকে বাপের বাড়ী যেতে দিলনা, কিংবা টাকা পয়সার টানা হেচরা চলছে অনেকে ঋণ হয়ে গেছে তাই স্ত্রীর কোন একটা আবদার রাখতে পারলনা তখন স্ত্রী বলে ফেলে- তোমার সাথে সংসার করে আমার জীবনটা জাহান্নাম হয়ে গেছে, তোমাকে বিয়ে করে আমি কিছুই পাইনি, এই ঘরে এসে আমি কি পেলাম? তোমার সাথে বিয়ে হওয়াতে আমি ঠকেছি, ইত্যাদি ইত্যাদি। মনে রাখবেন এদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের দুঃসংবাদ।

 

তবে যে সব স্বামী সত্যিকার ভাবে স্ত্রীর হক আদায় করেনা, স্ত্রীর ভরনপোষন ঠিক মত দেয়না, স্ত্রীকে অত্যাচার করে নির্যাতন করে, স্ত্রীকে যথাযথ সম্মান ও মর্যাদা দেয়না, সে সব স্বামীর স্ত্রীদের ক্ষেত্রে এই কথা প্রযোজ্য হবেনা।

(ওয়াল্লাহু আলামু বিসসাওয়াব)  

কোন মন্তব্য নেই

borchee থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.