কাক ডাকলে কি হয়? কাক মৃত্যু ও ধন সম্পদের ইশারা দেয়? history of the crow
কাক ডাকলে কি হয়? কাক মৃত্যু ও ধন সম্পদের ইশারা দেয়? history of the crow
বিছমিল্লাহির রাহমানির
রাহিম! আসসালামু আলাইকুম জা আল হকের প্রিয় বন্ধুরা, আশা করি আপনারা
ভালো আছেন।
আমার
এটাই দোয়া যে আল্লাহ পাক আপনাকে খাইর ও বরকতে রাখুক আমিন।বন্ধুরা আপনারা প্রায় সময়
ঘরের বৃদ্ধ নানা নানি, দাদা দাদিদের মুখে শুনে থাকবেন যে কাক কোন বিপদ আপদ এর
সংবাদ বা সু সংবাদ আগে থেকেই জেনে যায়।
গ্রাম
গঞ্জের লোকেদের মুখে মুখে কাকের ঝগড়া, কাকের ডাক নিয়ে অনেক কথা প্রচলন আছে যেমন
কাক
যদি আপনার বাড়ির পূর্ব দিকে বসে ডাকে, তাহলে আপনার মনোস্কামনা পূরণ হবে, কাক যদি
আপনার বাড়ির পশ্চিম দিকে বসে ডাকে, তাহলে আয়রোজগার বৃদ্ধি হবে। কাক
যদি আপনার বাড়ির উত্তর দিকে বসে ডাকে, তাহলে পুত্র সন্তান জন্ম নেবে। কাক যদি
নিজের ছায়াতে ঠোকরায় তাহলে মৃত্যুর আশঙ্কা থাকে কিংবা ভয়ঙ্কর কোনও ক্ষয়ক্ষতি
ইঙ্গিত দেয়। কাক যদি আপনার বাড়ির দক্ষিণ দিকে বসে ডাকে, তাহলে পারিবারিক বিবাদের
সম্ভাবনা থাকবে। যদি কাক মুখে রুটির টুকরা নিয়ে আপনার সামনে উড়ে এসে বসে তাহলে
আপনার মনের বড় আশা পুরণ হবে। যদি কাক কারো মাথার উপর এসে বসে যায় তাহলে তার আগত
সময় খুবই খারাপ হবে।
কাক
সম্পর্কে এসব কথা যা মানুষের মুখে মুখে প্রচলিত আছে তা কতটুকু সঠিক? এবং আমাদের
প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (দ) এসব ব্যপারে কি কি ফরমান জারি করেছেন, আর
এসব কথা কি কারনে মানুষের মুখে মুখে প্রচলিত হয়েছে ? এর পিছনের আসল
হাকিকত কি তা বিস্তারিত জানার জন্য আমাদের আজকের ভডিওটি শেষ পর্যন্ত অবশ্যই
দেখবেন।
আর আমাদের চ্যানেল জা আল হক প্রথমবার দেখে থাকলে আপনার কাছে অনুরোধ আমাদের চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন এবং সময়মত এমন ইনফরমেটিভ ভিডিওর নোটিফিকেশন পাওয়ার জন্য বেল আইকনে ক্লিক করে অল এ ক্লিক করে দিন।
প্রিয় বন্ধুরা কথা হচ্ছিল কাকের ভালো ইঙ্গিত ও খারাপ ইঙ্গিতের ব্যপারে। আমাদের আশে পাশে আরো অনেক পাখী দেখা যায় কিন্তু কাকের ব্যপারেই বা কেন এত প্রশ্ন? এটা জানার জন্য প্রথমে সংক্ষিপ্তাকারে কাকের ইতিহাস শুনুন, তাহলে আপনার জন্য বিষয়টি বুঝা সহজ হবে।
কাক খুবই চালাক একটি পাখি, এর দৃষ্টিশক্তি খুবই প্রখর,যা দ্বারা সে খাদ্য ও তার শত্রুর ব্যপারে সহজে অবগত হয়, কাক মানুষ থেকে সদা সতর্ক থাকে, আর বিপদের মুহুর্তে কা কা করে চিৎকার চেচামেচি শুরু করে দেয়, আর চিৎকার করে অন্যান্য সাথীদেরকেও জরো করে।
কাক তার বাচ্চা ও ডিমের খুবেই হেফাজত করে। আর কোথাও চিল ও বিড়াল দেখতে পেলে কাক তার উপর হামলা করে দেয়। যাতে চিল ও বিড়াল সেখান থেকে পালিয়ে যায়। যদি মানুষ তার বাসা থেকে ডিম নিতে চেষ্টা করে তখন সে মানুষের মাথায় ঠুকর মারতে মারতে রক্ত বের করে দেয়। সে জন্য কাককে সবচেয়ে চালাক পাখি মান্য করা হয়।
কাকের অভ্যাস হল যখন তাদের কোন সাথী মারা যায় তখন সেখানকার সব কাক সেখানে জমা হয়ে যায়, নিজের সাথির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করতে থাকে, নিজের সাথির লাশ মরে পরে থাকলেও উপরে কা কা করে চিৎকার করবে কিন্তু নিজের বিপদের আশংকায় নিচে নামার মত বোকামি করেনা।
কাকই একমাত্র পাখি যে মানুষ জাতিকে সবপ্রথম মৃতের লাশ দাফন করা শিখিয়েছে। কাক থেকে শিখেই কাবিল তার ভাই হাবিলের লাশ দাফন করেছিল।
প্রিয় বন্ধুরা কাকের মধ্যে যে সব গুন আছে অন্য কোন পাখির মধ্যে এসব গুন নাই, তাই কাকের ডাকের মধ্যে মানুষ নানান ধরনের ভালো ও খারাপ ইঙ্গিত আবিস্কার করে রেখেছে। এই সবই শুভ অশুভ লক্ষন হিসেবে গন্য। ইসলাম ধর্মে এসব কথার কোন গুরুত্ব নাই। কারন আমরা যারা মুসলমান আমাদের ঈমান হল কোন দুঃসংবাদ বা সু সংবাদ কিংবা কোন কল্যান অকল্যানের খবরদাতা কাক নয়। আমাদের ঈমান হল আমাদের আকিদা হল সব কিছুর মালিক আল্লাহ তায়ালা। যেমন আল্লাহ কুরআনে বলেন (মা আসাবা মিম মুসিবাতিন ইল্লা বি ইজনিল্লাহ) যদি তোমাদের কোন কষ্ট আসে তা অবশ্যই আল্লাহর অনুমতিক্রমেই হয়ে থাকে।
সুতরাং দুঃখ কষ্ট অকল্যান আসার সাথে কাক ডাকার কোন সম্পক থাকতে পারেনা। ফতোয়া কাজি খানে আছে যদি কেহ সফরে বের হয়ে কাকের ডাক শুনে অকল্যান হবে মনে করে ফিরে আসে তাহলে সে আল্লাহর সাথে কুফুরি করল।
সুতরাং কাক ডাকাকে আমরা কখনো ভালো মন্দের ইঙ্গিত বহনকারী বলে বিশ্বাস করবনা। এ ধরনের বিশ্বাসকে লালন করা মুসলমানদের ঈমানকে ধ্বংসকারী।
প্রিয় বন্ধুরা আপনার ও আপনার স্বজনদের কাছে এই ইনফরমেটিভ ভিডিওটি শেয়ার করে সঠিক দ্বীন প্রচারে সাহায্য করবেন। আর এ ব্যপারে কোন প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন।
কোন মন্তব্য নেই