চেহারা সুন্দর করার উপায়। ত্বক উজ্জ্বল করার টিপস। মুখ ফর্সা করার উপায়। সুস্বাস্থ্যের খাদ্য তালিকা।

 আমাদের নবী ভাত কেন খেতেন না?

চেহারা সুন্দর করার উপায়। ত্বক উজ্জ্বল করার টিপস। মুখ ফর্সা করার উপায়। সুস্বাস্থ্যের খাদ্য তালিকা।

 


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, সম্মানিত সুধী বৃন্দ আসসালামু আলাইকুম, আশা করি আপনারা সকলে ভালো আছেন, আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ আল্লাহ যেন সকলকে সুস্থ সবল সুন্দর রাখেন

আজ আমি এমন কিছু সুন্নতী খাদ্য তালিকা কুরআন ও সুন্নতের আলোকে পেশ করব যে সব খাদ্য খেলে আপনার স্বাস্থ্যও সুন্দর হবে, চেহেরাও এমন উজ্বল ও নুরানি হবে আপনি যদি পরীক্ষামুলক এই তালিকার খাদ্য গুলি ১ মাস ব্যবহার করেন ইনশা আল্লাহ ১ মাস পর আপনি নিজেই আমাকে খুজবেন ধন্যবাদ জানানোর জন্য।

যারা চেহেরা সুরত নিয়ে, ভংগুর স্বাস্থ্য নিয়ে, অসুখ বিসুখ, ক্লান্তি নিয়ে চিন্তিত তাদের জন্য আজকের ভিডিওটি খুবই গুরুত্ব পূণ হবে। প্রতিটি তথ্য হিরার চেয়েও দামী হবে। আশা করি কিছু সময় ব্যয় করে শেষ পযন্ত ভিডিওটি দেখবেন।

আমরা যে খাবার খাই তা হল হালাল, পাক পবিত্র, যেমন ভাত, রুটি, আলু, চিপস, পিয়াজু, পরাটা, সিংগারা, সমুসা, শাক, সবজি, ঘি, এগুলি হল হালাল খাদ্য। এসব খেলে আমরা স্বাভাবিক জীবন যাপন করি। কিন্তু কিছু খাবার আল্লাহ তায়ালা এমন সৃষ্টি করেছেন যা আপনাকে একদম অসাধারণ সুন্দর বানিয়ে দিবে। শরীরে অভুতপূব ফুতি ও শক্তি এনে দিবে। সে খাবার গুলি থেকে যে রক্ত তৈরী হয় তা খুবই খান্দানি রক্ত হয়। ফলে আপনার চেহেরায় চমক এসে যাবে।

মনে রাখবেন আল্লাহ তায়ালা পয়গাম্বরদের জন্য যে সব খাবার সিলেকশন করেন, সে সব খাবারই সবচেয়ে উত্তম খোরাক। আমাদের প্রিয় নবী জীবনে ভাত খাননি, এটা ভিন্ন কথা যে সে সময় আরবে ভাত বা চাউল ছিলনা, কিন্তু আল্লাহ তায়ালা এমন খাবার সেখানে তখন তৈরী হতে দেননি যাতে পয়গাম্বর তা খাবে আর তা আমাদের জন্য খাওয়া সুন্নত হয়ে যাবে।

আমাদের নবী (দ) এমন খাবার খেতেন যা খেলে মেদ ভুরি বৃদ্ধি পায়না, যে সব খাদ্যে ওজন বাড়ে মেদ ভুরি বাড়ে সে সব খাদ্য আল্লাহ তায়ালা নবীদের জন্য সিলেকশনই করেননি। যদি আল্লাহর নবী ভাত খেতেন তাহলে তা আমাদের জন্য সুন্নত হয়ে যেত।

যে সব খাবারে যাদুকরি ফায়দা আছে, শরীর স্বাস্থ্য সুস্থ সবল থাকে, চেহেরা সুরতে চমক আসে সে সব খাদ্যের মধ্যে প্রথম হল দুধ 

দুধ আবার সেটা নয় যেটা ইনজেকশনের মাধ্যমে কৃত্রিম পদ্ধতিতে তৈরী হয়, আর তাতে খামারি কৃত্রিম পাউডার মিক্স করে তারপর আবার বয়েল করে, এরপর ৩ দিন পযন্ত ফ্রিজে রেখে দেয়,  এসব করার ফলে দুধের যে ফর্মুলা যে গুনাগুন তা পরিবর্তন হয়ে যায়।

দুধ ১০০% কার্যকরী হবে যদি প্রাণীর থন থেকে বের করার সাথে সাথে পান করা যায়। এভাবে আপনি কয়েক দিন পান করে দেখুন আপনার স্বাস্থ্য আপনার পেটের সিস্টেম পরিবর্তন হয়ে যাবে, দেখবেন এসিডিটি পুরাপুরি দুর হয়ে যাবে।এবং জবরদস্ত রেজাল্ট নিজে বুঝতে পারবেন। পেট সুস্থ থাকলে চেহেরা ব্রন দাগ সব পালাবে।

আমাদের নবী সবচেয়ে বেশী উটের দুধ ও ছাগলের দুধ পান করেছেন, এতে ফ্যাট কম হয়, এই দুধ খেলে মেদভুড়ি বৃদ্ধি পায়না, ওজন মেদ ভুরি বৃদ্ধিকারী জিনিষ আমাদের পয়গাম্বার ও সাহাবাগন খেতেন না।

এরপর বেশী বেশী খেজুর খাওয়ার অভ্যাস করুন, হুজুর (দ) খেজুর দিয়ে সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতার করার নির্দেশ দিয়েছৈন। কারন খালি পেটে খেজুর বেশী উপকারী। রমজানে আমাদের দেশেও সকলে খেজুর খায় তবুও ক্লান্তি লাগে, কারন আমরা মাত্র ২ দানা খেজুর খাই আর পেট ভতি ছোলা পিয়াজু ভাজা পুরা খাই, যা আমাদের স্বাস্থ্যকে খারাপ করে দেয়। কিন্তু যদি শুধু খেজুর দিয়ে ইফতার করতাম দুধ দিয়ে ইফতার করতাম অন্য সব ভাজা পুরা না খেতাম তাহলে এমন হতনা। আয়শা (রা) বলেন আমাদের ঘরে এমনও সময় যেত ২/৩ মাস চুলা জ্বলত না আমরা শুধু খেজুর আর পানি দিয়ে দিনাতিপাত করতাম।

আপনি যদি সিরিয়ার লোকদের দেখেন তাদের চেহেরার মধ্যে যে সৌন্দয্য যে নুর তা অন্য কারো চেহেরায় দেখা যায় না, এর কারন হল তারা যুগ যুগ ধরে ৩টি জিনিষ বেশী খায় আঞ্জির, খেজুর ও জায়তুন এই ৩টি খাদ্য ছাড়া তাদের খাবার হয়না,

সবচেয়ে আশ্চর্য্য হল আল্লাহ তায়ালা এসব খাবারের কসম খেয়েই কুরআনে মানব সৃষ্টির সৌন্দর্য্য বননা করেছেন। যেমন

সুরা তীনে আল্লাহ তায়ালা শপথ করেছেন আঞ্জীর ও যায়তুনের

এরপর এরশাদ করেছেন

لَقَدْ خَلَقْنَا الْإِنسَانَ فِي أَحْسَنِ تَقْوِيمٍ

আমি সৃষ্টি করেছি মানুষকে সুন্দরতর অবয়বে। [সুরা তীন - ৯৫:৪]

এর থেকেও বুঝা যায় যায়তুন ও আঞ্জির এর সাথে মানুষের সৌন্দর্য্যের একটা সম্পক আছে।

আল্লাহ আঞ্জির ও যায়তুনের শপথ করেছেন যা মানুষের বাহ্যিক সৌন্দর্য্যের জন্য যথেষ্ট, এরপর আল্লাহ মক্কা নগরীর কসম খেয়েছেন এর কারন হল মানুষের বাহ্যিক সৌন্দর্য্য যেমন দরকার তেমনি আভ্যন্তরিন সৌন্দর্য্যও দরকার আর আভ্যন্তরিন সৌন্দর্য্যের জন্য রুহানি শক্তির জন্য দরকার অহির জ্ঞান আর সে অহির সুচনা হয়েছে মক্কা নগরীতে। তাই আল্লাহ প্রথমে খাদ্য হিসেবে আঞ্জির ও যয়তুনের কসম খেয়েছেন তারপর রুহানি সৌন্দর্য্যের জন্য রুহানি শক্তির মরকজ মক্কা নগরীর কসম খেয়েছেন। অতএব আমার ভাই বন্ধুদের কাছে অনুরোধ আপনি যদি পরিপূণ সুস্থ সবল ও সুন্দর মানুষ হতে চান তাহলে আপনার খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে, দুধ, খেজুর, যয়তুন, আঞ্জির, মধু সাথে সাথে আভ্যন্তরিন সৌন্দর্য্যও দরকার যা অর্জিত হবে অহির জ্ঞান তথা কুরআন সুন্নাহ মোতাবেক জীন্দেগীর মাধ্যমে।

কোন মন্তব্য নেই

borchee থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.