কোটি টাকার ওজিফা
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
হাজার থেকে লাখ, লাখ থেকে কোটি টাকার ওজিফা
আসসালামু আলাইকুম জা আল হকের প্রিয় বন্ধুরা, আমি আশা করি আপনারা সকলে
ভাল আছেন, আমি দোয়া করি আল্লাহ পাক আপনাকে সুস্থ ও সবল রাখুন।
মানুষ জাতির মধ্যে বেশীরভাগ মানুষের আশা
আকাংখা হয় চেস্টা তদবীর হয় যে হাজার টাকা ইনকাম করে সে যেন লাখ টাকা ইনকাম করে, আর
যে লাখ টাকা ইনকাম করে সে যেন কোটি টাকা ইনকাম করতে পারে।
আজকের ভিডিওতে আমি আপনাদের জন্য যে ওজিফা
নিয়ে এসেছি তা খুবই খাস ও লা জাওয়াব ওজিফা, এ ওজিফা কারী ইনশা আল্লাহ কোড়োর পতি বনে
যাবে।
মনে রাখবেন আল্লাহর জাত বান্দাকে দান করার
জন্য বাহানা তালাশ করে, কিন্তু আফসোসের কথা হল বান্দা আল্লাহর কাছে চাইতে অলসতা করে।
আপনি প্রকৃতপক্ষে মন থেকে আল্লাহর কাছে চেয়ে দেখুন, আল্লাহ তায়ালা আপনার জন্য এমন দরজা
খুলে দিবেন, যা আপনার কল্পনারও অতীত হবে।
আল্লাহ তায়ালা কাছে আজকের ওজিফার মাধ্যমে
চান, ইনশা আল্লাহ আপনার সকল মুরাদ পুরণ হবে।
এই ওজিফা আপনি কিভাবে করবেন সে ব্যপারে
পরিপূর্ণ নিয়ম জানার জন্য আপনার কাছে অনুরোধ, এ ভিডিওটি শেষ পযন্ত অবশ্যই দেখবেন।
প্রিয় বন্ধুরা মনে রাখবেন আল্লাহ সে একক
বাদশা যে ফকিরদের পীড়াপিড়ি দেখে খুশী হন, যিনি যাঞ্চাকারীর দোয়া দেখে খুশি হন, বাকী
যতজন বাদশা তারা যাঞ্চাকারীর যাঞ্চা দেখে বিরক্ত হয়। এমনকি দরজাও বন্ধ করে দেয়।
এক আল্লাহ এমন যার আযব সিফত যে তার কাছে
চাইলে তিনি খুশি হন। না চাইলে রাগ করেন।
আল্লাহ এই গুনের ব্যপারে ১টি সত্য ঘটনা
মজার ঘটনা শুনে রাখুন, সবচেয়ে শেষে যে জান্নাতে যাবে তার পিছনে কোমর জ্বলবে আর সামনের
দিক সহি সালামত থাকবে, তার মনে আল্লাহ সাওয়াল পয়দা করবেন আর সে বলবে হে আল্লাহ আমাকে
একটুখানি জাহান্নাম থেকে বের হবার সুযোগ দিন, আল্লাহ প্রশ্ন করবেন আর কিছু কি চাইবে?
সে বলবে আর কিছুই চাইবনা,
এই কথার ভিত্তিতে তাকে জাহান্নাম থেকে
বের করা হবে এবং একটুখানি জান্নাতের ঝলক দেখানো হবে, তখন সে বলবে হে আল্লাহ আমাকে ঐ
ছোট জান্নাতটি দিয়ে দিন, আল্লাহ বলবেন এরপর আর কিছু চাইবে? সে বলবে আর কিছুই চাইবনা,
আল্লাহ তাকে সেথায় পৌঁছে দিবেন, কিছুক্ষন
পর আরো ১টি স্তর দেখা যাবে, তা দেখে সে আবার আরজ করবে হে আল্লাহ এই স্তরে আমাকে যাওয়ার
অনুমতি দিন, আল্লাহ বলবেন এরপর আর কিছু চাইবে? সে বলবে আর কিছুই চাইবনা,
এরপর তার জন্য যে জান্নাত নির্ধারিত তা
তাকে দেখানো হবে যে জান্নাত পৃথিবী থেকে ১০ গুন বড় জান্নাত, কিন্তু সে উক্ত জান্নাত
চাইতে ভয় পাবে, কারন যদি আল্লাহর সাথে কৃত ওয়াদা বার বার ভঙ্গ করার ফলে যদি আবার জাহান্নামে
পাঠিয়ে দেয়? তখন আল্লাহ তায়ালা তাকে বলবেন তুমি আমার কাছে চাওয়া বন্ধ কেন করে দিলে?
সে বলবে হে আল্লাহ এত বেশী চেয়েছি এখন পুনরায় চাইতে লজ্জা লাগছে, তখন আল্লাহ তায়ালা
ফরমাবেন, আমি যদি তোমাকে দুনিয়া থেকে ১০ গুন বড় এই জান্নাতটি দিয়ে দিই তাহলে কি তুমি
খুশি হবে? তখন সে বলবে হে আমার রব আপনি আমার রব হয়ে আমার সাথে মজা করছেন? আল্লাহ বলবেন
মজা করছিনা, চল তোমার জন্য দরজা খুলে দেয়া হচ্ছে। অতঃপর তাকে সে বিশাল জান্নাতে প্রবেশ
করানো হবে।
সুতরাং হে বন্ধুরা আল্লাহ সে একক শাহেনশাহ
যার কাছে চাইলে তিনি খুশি হয়ে যান, না চাইলে নারাজ হয়ে যায়। কিন্তু আমাদের চাওয়াতেই
বড় ধরনের ভুল।
প্রত্যেক মানুষের উচিত আল্লাহ তায়ালা যে
নেয়ামত দিয়েছেন সে ব্যপারে চিন্তা ভাবনা করা, যখন মানুষ আল্লাহর নিয়ামতের ব্যপারে চিন্তা
করবে, তখন সে কখনো নিজেকে গরীব ভাববেনা বরং নিজেকে আমির মনে করবে।
আজকাল প্রায় সকলেই নাশোকরি করে কারন সে
আল্লাহর দেয়া নেয়ামতের ব্যপারে চিন্তা করেনা, আল্লাহ তায়ালা আপনাকে ২টি চোখ দিয়েছেন,
আপনি কি কখনো চিন্তা করেছেন এই চোখের মূল্য কত? ২টি সহি সালামত হাত দিয়েছৈন, পা দিয়েছেন,
কেউ কি এসবের মূল্য দিতে পারবে? কখনো পারবেনা। যদি মানুষ নিজের শরীরের দিকে একবার খেয়াল
করে কিডনির ফাংশান, শ্বাস প্রশ্বাসের ফাংশান, হাটের ফাংশান এগুলি থেকে কোন ১টির মূল্য
কি আমরা আদায় করতে পারব? আমরা ঘুমিয়ে থাকি কিন্তু আমাদের শ্বাস প্রশ্বাস, আমাদের কিডনি,
আমাদের হাট, রক্ত চলাচল সবকিছু ২৪ ঘন্টা কাজ করে যাচ্ছে।
অতএব বন্ধুরা যদি মানুষ এসব নেয়ামতের কথা
চিন্তা করে তাহলে সে কখনো আল্লাহর নাশোকরি করবেনা।আল্লাহর শোকর আদায় করবে। আর মনে রাখবেন
শোকর আদায়কারীকে আল্লাহ তায়ালা আরো বেশী নেয়ামত দান করবেন। সে জন্য সর্বাবস্থায় আল্লাহর
শোকর আদায় করবেন।
এবার আসুন আজকের ওজিফার দিকে। যা খুবই
মজার ওজিফা। এই ওজিফার নিয়ম নোট করে নিন।
আপনি এই ওজিফাকে হয়ত ফজরের নামাজের পর
করবেন, অথবা রাতে শোবার আগে। এই ওজিফা ১০০ দানার তসবিতে করবেন।
উত্তম হবে ২ রাকাত সালাতুল হাজাত পড়ার
পর এই ওজিফা করা। জায়নামাজের উপর অজু সহকারে বসে যাবেন। তারপর হাতে তসবিহ নিয়ে নিবেন।
সবার আগে দরুদ পাক পড়বেন এরপর তসবিহের দানার উপর িএই কালমা পড়বেন,
(হুয়াল্লাহুল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল
কাহহারু, এয়া ওয়াহহাবু, এয়া রাজ্জাকু)
তসবিহের প্রত্যেক কালমার উপর এই তসবিহ
পড়বেন, এভাবে ১০০ বার পড়বেন। এভাবে পড়া শেষ করে আবার ৩ বার দরুদ শরীফ পড়বেন তারপর আল্লাহর
কাছে দোয়া করবেন। দোয়াতে রিজিকে ফরাগতির দোয়া করবেন।
এভাবে আপনি ১০০ বার,২০০ বার, ৩০০ বার পড়তে
পারেন, যত বেশী সংখ্যা বাড়াবেন তত বেশী ফায়দা হবে।
এ ব্যপারে ১টি ঘটনা বলে আজকের মত ওজিফা
শেষ করব- এক লোক এক বুযুর্গের কাছে এসে নিজের দারিদ্রতার কথা বললেন তিনি পরামশ দিলেন
ভাত খাও, ২য় জন এসে বলল হুজুর আমার ধন সম্পদ এতো বেড়ে গেছে যে সামলাতে পারছিনা তখন
তাকে বুজুগ জবাব দিলেন ভাত খাও।
তখন অন্যান্যরা প্রশ্ন করল হুজুর আপনি
প্রথম ব্যক্তিকেও বললেন ভাত খাও দারিদ্রতা দুর হবে, ২য় জনকে বললেন ভাত খাও অভাব আসবে,
এর রহস্য কি? তখন হুজুর জবাব দিলেন ভাত রান্না করলে তাকে ১টি দানা থাকে বরকত ওয়ালা
যে গরিব সে অল্প রান্না করবে আর সে বরকত ওযালা দানাও খাবে, ফলে তার রিজিকে বরকত হবে,
আর ধনী লোক যখন চাওল রান্না করবে বেশী রান্না করবে কিছু খাবে আর কিছু নষ্ট করবে ফলে
তার সে বরকতের চাওলকে নষ্ট করার ফলে তার সম্পদ কমে যাবে।
বন্ধুরা যদি আমাদের এই ভিডিও পছন্দ হয়ে থাকে অবশ্যই লাইক করবেন এবং বন্ধুদের কাছে শেয়ার করে দিবেন।
কোন মন্তব্য নেই