কুরআনের যে সব নাম রাখা হারাম। মুসলিম নাম। সুন্দর নাম। ইসলামীক নাম

কুরআনের যে সব নাম রাখা হারাম। মুসলিম নাম। সুন্দর নাম। ইসলামীক নাম



কুরআন আমাদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ  এ কুরআনের প্রতিটি শব্দ প্রতিটি আয়াত মুসলমানদের জন্য খুবই মূল্যবান, তবে এই মহা পবিত্র গ্রন্থের থেকে অনেকে সন্তানের নাম রাখেন কিন্তু অধিকাংশ লোক কুরআন থেকে নাম রাখতে গিয়ে সন্তানের নামে ভুল করে ফেলেন, আজকের ভিডিওতে সে ভুলগুলি সম্পকে আলোচনা করব ইনশা আল্লাহ

আপনি যখন কুরআন খুলবেন সেখানে অনেক গুলি শব্দ দেখতে পাবেন কিছু কিছু শব্দ খুবই শ্রুতিমধুর মনে হয়, ইউনিক মনে হয়, আর আপনি এর অর্থের দিকে খেয়াল না করে সন্তানকে সে নামে ডাকা আরম্ভ করে দিলেন। আমাদের প্রিয় নবীজি (দ) এর শিক্ষা হল আম্বিয়াকেরামের নামে নাম রাখ, তেমনি ভাবে এটাও এরশাদ হয়েছে ভালো মানুষের নামে নাম রাখ। সুতরাং সন্তান ছেলে হলে তার নাম আম্বিয়া কেরামের নামে রাখতে পারবেন। আর ভালো মানুষের নামে ছেলে মেয়ে উভয়ের নাম রাখতে পারেন।

সুতরাং আমাদের পূর্বের যে সব আলেম বুযুগ ও নেক লোক আছেন তাদের নামে নাম রাখাই হল নবী করিম (দ) এর শিক্ষা। অতএব কুরআনে শব্দ থাকলেই তা দিয়ে না রাখা যাবেনা, যেমন অনেকে নাম রাখে লা রাইব অথচ এটি কোন নামই নয়, এর অথ হল কোন সন্দেহ নাই। তেমনি ভাবে উদাহারন স্বরূপ আনআমতা নাম রেখে দিল  অথচ আনআমতা শব্দটি আল্লাহ তায়ালার জন্য ওয়াহেদ মুজাক্কার হাজের এর সিগা, এর অথ হল তুমি নেয়ামত দিয়েছ। এটা একটা ভাব এটা কোন নাউন নয় যে এর দ্বারা নাম রাখা যাবে। তেমনি ভাবে অনেকে নেমতা নাম রাখে অথচ এটা হল ফেল বা ক্রিয়ার শব্দ।

মনে রাখবেন কুরআনে প্রতিটি শব্দ নাম এর জন্য উপযুক্ত নয়। যেমন কুরআনে ফেরাউন শব্দও আছে তাহলে কি আমরা বাচ্চার নাম ফেরাউন রাখতে পারব? তেমনি ভাবে কুরআনে শয়তান শব্দও এসেছে তাহলেকি শয়তান নাম রাখা সহি হবে? তেমনি ভাবে কুরআনে শুকরের শব্দ খিনজিরও আছে তাহলে কি আমরা খিনজির শব্দ দিয়ে নাম রাখতে পারব? কখনো কেহ এসব শব্দ দিয়ে সন্তানের নাম রাখতে রাজি হবেনা।

সুতরাং এর অথ হল কুরআনে অনেক শব্দ এমন আছে যা নাম এর জন্য উপযুক্ত নয়। 

কোন মন্তব্য নেই

borchee থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.