এ ওজিফার সাথে আল্লাহর ওয়াদা। দিনে ৩ বার পড়ুন। সব দুঃখ কষ্ট বিপদ দুর করার দোয়া ও আমল

 

এ ওজিফার সাথে আল্লাহর ওয়াদা। দিনে ৩ বার পড়ুন।

সব দুঃখ কষ্ট বিপদ দুর করার দোয়া ও আমল



আল্লাহ তায়ালা এটাই শিখাচ্ছেন যে (কুল) বল  কখন বলবেন? যখন আপনি কোন দুঃখ কষ্ট বা বিপদে পতিত হয়েছেন, কিংবা আগামীতে যে কোন বিপদে পরার আশংকা হয়। উভয় অবস্থায় বলবেন।

বান্দা যখন এই কাজটি করে, আল্লাহর দিকে ফিরে আসে। তাহলে ২টি অবস্থা থেকে যে কোন ১টি অবস্থা হবে। হয়ত তার সকল বিপদ কষ্ট দুর হয়ে যাবে দুঃখ কষ্ট সুখে বদলে যাবে। অথবা যতদিন সে থাকবে তার জন্য রহমতই রহমত। এটা আল্লাহ তাবারাক ওয়াতায়ালার ওয়াদা। এটা কারো কোন বানানো কথা নয়।

সে জন্য যখনই কোন বিপদ আসবে সমস্যার সম্মুখিন হবেন। কিংবা আগামীতে বিপদ বা সমস্যা হওয়ার আশংকা হয়,  তখন বলুন (আউজু বিরাব্বিল ফালাক) আমি আমার পরওয়ারদিগারের কাছে আশ্রয় চাই।

সে বিপদ বা কষ্ট চাই মানুষের পক্ষ থেকে আসুক কিংবা কোন জিন জাতির পক্ষে আসুক, শয়তানের পক্ষ থেকে আসুক, রোগ ব্যাধী হউক, অভাব অনটন হউক, কোন আত্মিয় স্বজনের পক্ষ থেকে কষ্ট আসুক, সকল অবস্থায় আল্লাহর কাছে পানাহ চান (মিন শাররিমা খালাক) এতে সকল মাখলুকের পক্ষ থেকে আপনি নিরাপদ, আল্লাহর সকল সৃষ্টি প্রাণীর অনিষ্ট থেকে আপনি নিরাপত্তা লাভ করবেন।

কি বলবেন?

أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ

আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি প্রভাতের পালনকর্তার, [সুরা ফালাক - ১১৩:১]

مِن شَرِّ مَا خَلَقَ

তিনি যা সৃষ্টি করেছেন, তার অনিষ্ট থেকে, [সুরা ফালাক - ১১৩:২]

এর দ্বারা মুলত আপনি আল্লাহর দিকে ফিরে গেলেন। আল্লাহ তাঁর দিকে ফিরে আসার জন্য ছবক দিচ্ছেন।

এই সুরা নাজিল হলে নবী করিম (দ)বলেন - আজ রাতে আল্লাহ তায়ালা আমার প্রতি এমন আয়াত নাজিল করেছেন যার সমতুল্য আয়াত দেখা যায়না।

অন্য এক রেওয়ায়েতে আছে সুরা ফালাক ও সুরা নাসের মত সুরা তওরাত ইঞ্জিল ও যুবুরে নাই। আয়শা (রা) বলেন নবী করিম (দ) এই দুটি সুরা পড়ে নবী করিম (দ) হাতে ফুক দিয়ে সর্বাঙ্গে হাত বুলিয়ে দিতেন।

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে হাবিব (রা) বননা করেন, এক রাতে বৃষ্টি ও ভিষন অন্ধকার ছিল, আমরা রাসুলুল্লাহ (দ) খুঁজতে বের হলাম, যখন তাকে পেলাম তখন  তিনি বললেন বল আমি আরয করলাম কি বলব? তিনি বললেন  সুরা এখলাস, সুরা ফালাক ও সুরা নাস বল। যদি তুমি সকাল ও সন্ধ্যায় এই গুলি ৩ বার পাঠ কর তাহলে প্রত্যেক কষ্ট থেকে নিরাপদ থাকবে।

অতএব যাবতীয় বিপদ আপদ থেকে বাঁচার জন্য এই সুরার আমল স্বয়ং নবী করিম (দ) করতেন এবং সাহাবদেরকে শিক্ষা দিতেন, আমাদেরও উচিত এই সুরার আমল নিয়মিত সকাল সন্ধ্যায় পালন করা।

কোন মন্তব্য নেই

borchee থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.