গর্ভবতী নারীর রোজা। ৩ ছুরতে গর্ভবতী মহিলা রোজা ভঙ্গ করতে পারবে।
গর্ভবতী
মহিলা কখন রোজা রাখতে হবে কখন ছাড়তে পারবে?
ইসলামী শরীয়ত কিছু কিছু ক্ষেত্রে রোজা
না রাখার অনুমতি দিয়েছে, তার মধ্যে ১টি হল গর্ভবতী নারী। যদি কোন নারী গর্ভবতী হয় তাহলে
সে রোজা ছাড়তে পারবে, ইসলামী শরীয়ত গভবতী নারীকে রোজা ছাড়ার অনুমতি দিয়েছে, তবে যদি
রোজা রাখা গর্ভবতী নারীর জন্য ক্ষতির কারন হয়।
আর রোজা রাখলে গর্ভবতী নারীর ক্ষতি হবে
কিনা তা নির্ধারণ করার ৩টি পদ্ধতি আছে, এই ৩টি পদ্ধতি থেকে কোন ১টি পদ্ধতি দ্বারা তা
প্রমাণিত হতে হবে।
প্রথমত- কোন অভিজ্ঞ ডাক্তার যিনি আল্লাহর
ভয় রাখেন তিনি যদি বলেন আপনি যদি রোজা রাখেন তাহলে আপনার বা আপনার গর্ভের সন্তানের
প্রাণের ঝুঁকি আছে, বা আপনার বা আপনার গর্ভের সন্তানের ক্ষতি হবে তাহলে তখন গর্ভবতী
মহিলা রোজা না রাখার অনুমতি আছে।
দ্বিতীয়ত- অতীতের অভিজ্ঞতা - আপনি পূর্বে
কোন সময় গর্ভবতী থাকা অবস্থায় রমজানের রোজা রাখার ফলে আপনার শরীর খুব বেশী খারাপ হয়ে
গিয়েছিল, সে রকম অভিজ্ঞতা যদি থাকে তার উপর ভিত্তি করে আপনি যদি এবারও গর্ভবতী হন তাহলে
আপনার জন্য রোজা না রাখার অনুমতি আছে।
তৃতীয়ত- বর্তমান অবস্থার ভিত্তিতে- আপনাকে
ডাক্তারও বলেনি রোজা না রাখার জন্য, কিংবা আগেরও কোন অভিজ্ঞতা নাই কিন্তু এবার যখন
আপনি রোজা রাখছেন তখন আপনার শরীর খুব খারাপ হয়ে যাচ্ছে তখন বর্তমান পরিস্থিতির ভিত্তিতে
আপনার জন্য রোজা না রাখার অনুমতি আছে,
এই ৩টি কারন থেকে কোন ১টি কারনের উপর ভিত্তি
করে গর্ভবতী মহিলারা রোজা ছাড়তে পারবে এবং পরবর্তীতে এই রোজাগুলি কাজা আদায় করে দিতে
হবে।
তবে যদি গর্ভবতী মহিলার যদি রোজা রাখলে
তেমন কোন ক্ষতি না হয়, ডাক্তারও নিষেধ করেনি, নিজেরও আগের বারের অভিজ্ঞতা নাই এবং বর্তমানেও
রোজা রাখার ফলে তেমন কোন অসুবিধা লাগছে না তাহলে তার জন্য রোজা রাখা উচিত। কারন রমজানের
রোজার যে ফজিলত পরবর্তীতে কাজা করলেও আপনি সে ফজিলত পাবেন না। তাই কোন সমস্যা না থাকলে
গর্ভবতী মহিলাদের উচিত রমজানের রোজা রাখা।
#Roza #Ramadan2022 #গর্ভবতীররোজা #গর্ভবতীররমজান #রোজা #রমজান২০২২
কোন মন্তব্য নেই