নারীদের জন্য কোন ওয়াক্তে নামাজ পড়া উত্তম। নারীদের নামাজের সময়সূচী
নারীদের জন্য কোন ওয়াক্তে নামাজ পড়া উত্তম। নারীদের
নামাজের সময়সূচী
মহিলারা কোন
সময় নামাজ পড়া আফযল? আযানের পর পর পড়া উত্তম নাকি ওয়াক্ত হয়ে গেলেই উত্তম? এ বিষয়ে
শরীয়তের বিধান কি? তা আজ আলোচনা করব
মনে রাখবেন
যখন আযান হয় তখন পুরুষেরা মসজিদে চলে যায় জামায়াতে নামাজ আদায় করার জন্য, আর যখনিই
মসজিদে জামায়াত শেষ হয় ঠিক তখন মহিলারা ঘরে নামাজ পড়া আফযল, সে জন্য মহিলারা
মসজিদের জামায়াতের সময়সুচী জেনে নিবেন, ধরুন জোহর এর জামায়াত ১টা ৩০ মিনিটে, অতএব
মহিলারা জুহরের নামাজ পড়বেন ১টা ৪০ মিনিটে, আসরের জামাত বিকাল ৫টায় হলে মহিলারা
৫টা ১০ মিনিটে পড়বেন, মাগরিবের জামাত ৬টা ৩০ মিনিটে হলে মহিলারা ৬টা ৪০ মিনিটে
পড়বেন, এশারের জামাত ৮টা ৩০ মিনিটে হলে মহিলারা এশার নামাজ ৮টা ৪০ মিনিটে পড়বেন,
তবে মহিলারা
ফজরের নামাজ আযানের পরপর পড়ে ফেলা উত্তম, কেননা মহিলাদের জন্য ফজরের নামাজ অন্ধকার
থাকতে পড়াই আফযল, তাছাড়া মসজিদে ফজরের জামায়াত শেষ হওয়ার পর সময় খুব অল্প থাকে তাই
ফজরের জামায়াতের জন্য মহিলারা অপেক্ষা করবেনা, বাকী ৪ ওয়াক্তে মহিলারা মসজিদের
জামায়াত শেষ হলে নামাজ পড়বে।
তবে যদি
মহিলার কাছে আযান ও জামায়াতের হিসাব না থাকে তখন ওয়াক্ত হলেই নামাজ পড়ে ফেলা যাবে।
তাছাড়া যদি কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন হয়, ধরুন দুপুর ১টায় যদি কোন মহিলা ডাক্তারের
কাছে যেতে হয় এখন তিনি যদি মসজিদের জামায়াতের জন্য অপেক্ষা না করে দুপুর ১ টার সময় যুহর পড়ে ফেলে তাতেও কোন সমস্যা নাই, মোটকথা
মহিলারা জরুরী প্রয়োজনে ওয়াক্ত হলেই নামাজ পড়তে পারবে আযান বা জামায়াতের জন্য
অপেক্ষা করা লাগবে না, তবে মহিলাদের জন্য আফজল বা উত্তম হল জুহর, আসর, মাগরিব ও
এশার ওয়াক্তে মসজিদে জামাত শেষ হলে পড়া আর ফজর নামাজ আযানের পরপর পড়া।
আউয়্যাবিন নামাজ ২ রাকাত পড়ে ৬ রাকাত বানানোর নিয়ম
রাসূলুল্লাহ (ﷺ) নিজে ও তাঁর সাহাবীগণ মাগরিব
ও ইশার মধ্যবর্তী সময়ে বেশি বেশি নফল সালাত আদায় করতেন বলে সহীহ হাদীসে বর্ণিত হয়েছে।
হুযাইফা (রা) বলেন, ‘‘আমি
নবীজী (ﷺ)-র কাছে এসে তাঁর সাথে মাগরিবের সালাত আদায় করলাম। তিনি মাগরিবের পরে
ইশা’র
সালাত পর্যন্ত নফল সালাতে রত থাকলেন।’’ হাদীসটি সহীহ।
সে সুবাধে
অনেকে মাগরীবের পর ৬ রাকাত আউয়্যাবিন নামাজ পড়েন, এখন এই নামাজ যদি আপনি মাগরীবের
৩ রাকাত ফরয, ২ রাকাত সুন্নত ও ২ রাকাত নফল এর পর পড়তে পারেন তাহলে ভাল, কিন্তু
যদি আপনি চান মাগরীবের ৩ রাকাত ফরয পড়ার
পর মাগরীবের ২ রাকাত সুন্নতের ও ২ রাকাত নফলের মধ্যে আউয়াবিনের নিয়তও করে ফেলেন
তাহলে আপনার ৪ রাকাত হয়ে যাবে এরপর আপনি আর ২ রাকাত পড়লে মোট ৬ রাকাত আউয়্যাবিন
হয়ে যাবে
অর্থ্যাৎ
মাগরীবের ফরযের পর আপনি মাগরীবের সুন্নত, নফল ও আউয়্যাবিন সহ মোট ৬ রাকাত পড়লেও
হবে আবার সুন্নত নফল সহ মাগরীবের ৭ রাকাত পড়ার
পর আরো ৬ রাকাত আউয়াবিনের নিয়তে পড়লেও হবে।
তবে নফল যত বেশী পড়বেন তত ভালো।
কোন মন্তব্য নেই