কখন স্বামীর ডাকে সাড়া দেয়া হারাম? কখন স্বামীর ডাকে সাড়া দেয়া ফরয?

 

কখন স্বামীর ডাকে সাড়া দেয়া হারাম? কখন স্বামীর ডাকে সাড়া দেয়া ফরয?



বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

সম্মানিত দর্শক শ্রোতা মন্ডলী----- আজকে আমি এমন একটি টপিকস নিয়ে আলোচনা করব যা জানা প্রত্যেক স্বামী স্ত্রীর জন্য খুবই জরুরী।

আমরা জানি স্বামী যদি স্ত্রীকে ডাকে আর স্ত্রী যদি ডাকে সাড়া না দেয় তাহলে সে গুনাহগার হবে, কিন্তু কখন স্বামী স্ত্রীকে ডাকলে স্বামীর ডাকে সাড়া দেয়াটা স্ত্রীর জন্য ওয়াজিব আর কখন স্বামীর ডাকে স্ত্রী যদি সাড়া না দেয় স্ত্রী গুনাহগার হবেনা বরং সাড়া না দেয়াটাই ওয়াজিব এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। আশা করি শেষ পযন্ত আমাদের সাথেই থাকবেন

হযরত আবু হরায়রা (রা) হতে বর্ণিত যখন কেহ তার স্ত্রীকে নিজের বিছানায় ডাকে আর যদি স্ত্রী সে ডাকে সাড়া না দেয় আর তাতে স্বামী যদি স্ত্রীর উপর অসন্তুষ্ট অবস্থায় রাত কাটায় তখন ফেরেশতারা সকাল পযন্ত সে নারীর উপর লানত দিতে থাকে।

মুলত বিয়ে হয় বৈধ পন্থায় স্বামী স্ত্রীর নফসী তাকাজা ‍পুরণের জন্য এখন স্ত্রী যদি স্বামীর ডাকে সাড়া না দেয় তখন স্বামী হয়ত গুনাহে লিপ্ত হয়ে যাবে যা মুলত শয়তানী কাজ, আর স্বামী শয়তানি কাজে লিপ্ত হওয়ায় স্ত্রীর স্বামীর ডাকে সাড়া না দেয়াটা ১টি কারন, তাই ফেরেশতারা সে নারীকে লানত করে।

আর হাদীসে রাতে স্ত্রীকে ডাকে এর অথ এই নয় যে রাতে ডাকলে সাড়া না দিলে হারাম হবে আর যদি দিনে ডাকে তখন সাড়া না দিলে হারাম হবেনা এমন নয়, বরং স্ত্রীর যদি স্বামীর ডাকে সাড়া দিতে কোন ধরনের ওজর না থাকে তাহলে স্বামীর ডাকে সাড়া দেয়া ওয়াজিব। অন্যথায় স্ত্রী শক্ত গুনাহগার হবে। এবং ফেরেশতাদের লানতের পাত্র হবেন।

তবে যদি স্বামী যখন ডাকে তখন যদি স্ত্রীর কোন শরীঈ ওজর থাকে তাহলে স্ত্রী সে ওজরের কারনে স্বামীর ডাকে সাড়া না দিলে নাফরমানও হবেনা ফেরেশতাদের লানতের পাত্রও হবেনা।

যেমন রমজানের ফরয রোজা রাখা অবস্থায় যদি স্বামী স্ত্রীকে বিছানায় ডাকে তখন স্ত্রীর জন্য ফরয হল স্বামীকে বিরত রাখা, কেননা ফরয রোজা রেখে যদি ইচ্ছাকৃত ভাবে স্বামী স্ত্রী মিলিত হয় তাহলে তাদের রোজা ভঙ্গ হবে এবং এর বদলায় স্বামী স্ত্রী উভয়কেই ৬০টি রোজা কাফফারা হিসেবে রাখতে হবে আর ১টি রোজা কাজা হিসেবে রাখতে হবে। সুতরাং নফল রোজা নয় বরং ফরয রোজার ক্ষেত্রে স্ত্রী স্বামীকে বিরত রাখা জরুরী।

তেমনি ভাবে স্ত্রীর যদি পিরিয়ড চলে আর সে পিরিয়ডের সময় স্বামী যদি স্ত্রীকে বিছানায় ডাকে তখনও স্ত্রীর জন্য ফরয স্বামীকে বিরত রাখা।

তদ্রুপ ভাবে যদি ঘরে প্রাইভেসি নাই, বা এমন জায়গায় যেখানে যে কেউ চলে আসতে পারে, এই ধরনের জায়গায় যদি স্ত্রী স্বামীকে বিরত রাখে তাহলেও স্ত্রী গুনাহগার হবেনা। লানতের উপযুক্ত হবেনা।

তেমনি ভাবে স্ত্রী যদি প্রচন্ড অসুস্থ থাকে, অনেক কষ্টে থাকে, তখনও স্ত্রী স্বামীকে বিরত রাখাতে গুনাহগার হবেনা।

উপরোক্ত কারন গুলি ছাড়া যদি অন্য কোন ছোট খাট কারন যেমন স্বামী-স্ত্রীর মনোমালিন্য চলছে, কিংবা স্বামী স্ত্রীকে কোন কারনে ধমক দিল আর তাতে যদি স্ত্রী অভিমান করে, কিংবা কোন অভিমানও নাই বরং এমনিতেই কোন কারন ছাড়াই যদি স্ত্রী স্বামীর ডাকে সাড়া না দেয় তাহলে স্ত্রীর জন্য তা মারাত্মক গুনাহের কারন হবে এবং স্ত্রী ফেরেশতাদের লানতের হকদার হবে।

সুতরাং এ থেকে স্বামী স্ত্রীকে শিক্ষা নেয়া দরকার। এবং এসব ব্যপারে সতক থাকা দরকার।    



কোন মন্তব্য নেই

borchee থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.