৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়লেও ৪টি কারনে অভাব দুর হয়না।রিজিকে বরকত নাই।
৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়লেও ৪টি কারনে অভাব দুর হয়না। রিজিকে বরকত নাই।
এমন অনেক ঘর আছে ঘরের সকলেই ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন তবুও তাদের অভিযোগ হল
অভাব পিছু ছাড়ে না, ঘরে রিজিকে বরকত নাই, অথচ এবাদত দ্বারা অভাব দুর হওয়ার কথা হাদীসে
আছে যেমন
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ
(সা.) বলেছেন, মহাপবিত্র আল্লাহ বলেন, হে আদম সন্তান! আমার ইবাদতে মগ্ন হও। আমি তোমার
অন্তরকে ঐশ্বর্যমণ্ডিত করব এবং তোমার দারিদ্র্য দূর করব। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৪১০৭)
এখন যারা ৫ ওয়াক্ত নামাজও পড়ে সাথে তাহাজ্জুদও পড়ে তবুও অভাব দারিদ্রতা
দুর না হওয়ার কারন বতমান যুগে ৪টি বলে ওলামায়ে কেরাম বননা করেছেন
১। যদি ঘরে গান বাজনা হয়, চাই তা মোবাইলে হউক, কম্পিউটারে হউক বা টেলিভিশনে
হউক যে ঘরের লোক গান বাজনা করে বা গান বাজনা শুনে সে ঘরের সকলে যদিও নামাজি হয় তবুও
বরকত হবে না অভাব পিছু ছাড়বেনা, অনেক মহিলারা আছেন গান শুনে শুনে কাজ করে রান্না বান্না
করে আর বলে গান না শুনলে মনে শান্তি লাগে না। নাউজুবিল্লাহ।
মনে রাখবেন যে ঘরে গান বাজনা চলে আল্লাহ সে ঘর থেকে বরকত উঠিয়ে নেন এবং
রিজিক সংকুচিত করে দেন।
২। যে ঘরের মা বাবা সন্তানকে সারক্ষন গালমন্দ করে, ধিক্কার দেয়, বকাঝকা
করা, অনেক মা বাবা খারাপ ভাষায় গালি গালাজ করে, মনে রাখবেন যে ঘরে সব সময় গালি গালাজ
হয়, মা বাবা সারাক্ষণ সন্তানকে গালমন্দ করতে থাকে সে ঘর থেকে বরকত চলে যায় এবং আল্লাহ
তায়ালা তাদের রিজিক সংকুচিত করে দেন
৩। অজু ছাড়া কুরআন শরীফ ধরা- কুরআন হল আল্লাহ কালাম এটাকে পাক পবিত্র
ছাড়া ধরতে আল্লাহ তায়ালা নিষেধ করেছেন (লা এয়ামুচ্ছুহু ইল্লাল মুতাহ্হারুন) তাই সকলের
উচিত অজু সহকারে কুরআন ধরা, যদি কেহ অজু ছাড়া কুরআন ধরে তাহলে রিজিকে বরকত উঠে যাবে
৪। না মাহরাম বা বে গানা নারী বেগানা পুরুষকে দেখা, কুনজর দেয়াটা ইদানিং
এত বেশী বিস্তৃত হয়েছে রাস্তায় বাজারে মাকেটে সব জায়গায় তো আছে সাথে সাথে টিভির স্ক্রীনে,
মোবাইলের স্ক্রীনেও বেগানা নারী বা বেগানা পুরুষকে দেখাটাকে মানুষ গুনাহই মনে করে না,
মনে রাখবেন না মাহরামকে দেখার ফলে আল্লাহ তায়ালা রিজিকের বরকত তুলে নেন।
#অভাব #দারিদ্রতারকারণ #অভাবদুরকরারউপায় #রিজিকেবরকত #বরকত
কোন মন্তব্য নেই