যদি বাচ্চা বেশী কাঁদে যদি কি করব? চা পানকারী মায়ের দুধ খেলে বাচ্চা কেন বেশী কাঁদে

যদি বাচ্চা বেশী কাঁদে যদি কি করব? চা পানকারী মায়ের দুধ খেলে বাচ্চা কেন বেশী কাঁদে



এক মহিলা ফোন করে মুফতি সাহেবকে বলেন আমার বাচ্চা খুব বেশী কাঁদে আমি কি করব? মুফতি সাহেব বললেন বাচ্চা যখন কাঁদে তখন আল্লাহর রহমত নাজিল হয়। বাচ্চা যখন কাঁদে তখন তার শারিরিক অনেক উপকার হয়। বাচ্চা যখন কাঁদে সেটা বাচ্চার সুস্থতার আলামত।

একটা বচ্চা যখন নতুন জন্ম গ্রহণ করে তার প্রথম কাজ হল কান্না করা, যদি বাচ্চা কান্না না করে তখন ডাক্তার নাস অভিভাবক সকলেই চিন্তিত হয়ে যায়, কারন জন্মের সাথে সাথে কান্না না করাটা তার শারিরিক কোন সমস্যার আলামত।

বাচ্চার কান্নার আরো অনেক কারন আছে যা আজ বিস্তারিত জানব বিশেষ করে বাচ্চার মায়ের চা এর ব্যপারটা জানব, বাচ্চা থাকলে কেন আগুন ধরতে বলা হয়, আগুন ধরে বাচ্চার কাছে যেতে হবে কেন? নাকি অন্য কোন আমল আছে? এসব বিষয় আজ জানার চেষ্টা করব।

একজন মুফতি সাহেবকে এক মহিলা প্রশ্ন করল হুজুর বাচ্চা যখন বেশী কাঁদে তখন আমি বাচ্চার সাথে কি করব?

মুফতি সাহেব জবাব দিলেন বাচ্চা যখন কাঁদে তখন কোন কিছুই করবেন না এটাই আপনার কাজ। বাচ্চাকে কাঁদতে দিন। কাঁদার ফলে বাচ্চার হাট শক্ত হয়। বাচ্চা জন্মই হয় কাঁদতে কাঁদতে যদি জন্মের সময় বাচ্চা না কাঁদে তাহলে বাচ্চাকে মৃত মনে করা হয়। বাচ্চা যখন জন্ম হল আর কাঁদলনা সেটা কি খুশির কথা নাকি খতরনাক কথা? সেটা হল খতরনাক কথা। বাচ্চা কেন কাঁদছেনা? হতে পারে তার হাটের কোন সমস্য আছে। সুতরাং বাচ্চা কান্না কাটি করা সেটা তার স্বাভাবিক বিষয়।

যখন বাচ্চা কান্না করে তখন আল্লাহর রহমত নাজিল হয়। আমাদের হযরত বয়ান করতেন যখন আমি তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তাম আর তখন আমার ছোট বাচ্চাটি কান্না করত নামাজে আমি আরো বেশী জমা পেতাম। আর আমরা বলি বাচ্চার কান্নার ফলে আমি বিরক্ত হই। ডিস্টাব হই। আমাদের মধ্যে ধৈয্য সহ্য বরদাশত খতম হয়ে গেছে। যে একটি বাচ্চার কান্না বরদাশত করতে পারেনা সে পরবর্তী জীবন কিভাবে কাটাবে? যে লোকের কাছে বরদাশত করার শক্তি নাই,  যে নারীর কাছে যে পুরুষের কাছে বরদাশত করার শক্তি নাই সে দুনিয়ার কোন কাজই করতে পারবেনা। সে শুধু ঘুমাতে পারবে, তাকে ঘুমাতে দাও আর চা পান করাও। তারপর কিছুদিন সিগারেটে তারপর নেশা মদ এসবে লেগে যাবে। এসব একদিনে হয়না, আপনি সামান্য সামান্য বিষয়গুলি বরদাশত করতে পারেননা আর টুনকু কারনে টেনশনে এসে যান, আজ দেখেন ইউরোপের সাদা চামড়ার লোকগুলি সন্তান লালন পালন করতে চায়না এসব কারনে।

আমাদের অনেক মেয়েরা বিয়ে করতে অনিহা, বিয়ে হলেও বাচ্চা নিতে অনিহা কারন তাদের বরদাশত শক্তি কম, সামান্য কারনেই হতাশ ডিপ্রেশনে ভোগে, হার মেনে যায়। মনে রাখবেন যে বাচ্চা কাঁদে সে হাসেও, বাচ্চা যখন হাসে তখন কতইনা মধুময় লাগে। তার কান্নার কারনে যে পেরেশান হয়েছেন সব পেরেশান তার হাসি দেখলে দুর হয়ে যায়। সে জন্য যে সব ঘরে বাচ্চা কান্না করে সে সব ঘরের লোকদের টেনশন কম হয়। আপনি তাদের জীবন বৃত্তান্ত দেখেন তাদেরকে বেশী সুখী দেখতে পাবেন।

আমাদের হযরত ফরমাতেন আমি যখন নামাজ পড়তাম তখন বাচ্চা যদি কান্না করত তখন নামাজে আরো বেশী মজা আসত। কেন মজা আসত? প্রশ্ন থেকে যায়- এই কারনে মজা আসত এই বাচ্চা আল্লাহই দিয়েছেন। একে লালন পালনের হকুমও আল্লাহ দিয়েছেন। আর বাচ্চারা দুবল হয়ে থাকে। দুবলকে পালন কর তার খেদমত কর, যখন কোন দুবলকে লালন পালন করবেন তখন আল্লাহর রহমত অবশ্যই আসবে। একজন শক্তিশালি ব্যক্তি প্রভাবশালী ব্যক্তি যদি কোন হকুম দেয় সকলেই তা পালন করে, পক্ষান্তরে একজন বাচ্চা মাসুম চিৎকার করে কাঁদে, আপনি যখন এমন অসহায় মাসুমকে লালন পালন করবেন, তার কান্নাকে থামাবেন, তাঁর খেদমত করবেন, তাতে আল্লাহ অবশ্যই খুশি হবেন। একদিন আমাদেরকেও কেহ না কেহ লালন পালন করেছিল। যদি আমাদের কান্নার কারনে আমাদের পিতা মাতা আমাদেরকে নদীতে ফেলে দিত, নালাতে ছুড়ে ফেলত? যদি বলত নামাজ কালাম পড়তে দেয়না তাই ফেলে দিয়েছি, তাহলে কি আমরা এই অবস্থায় আসতে পারতাম? আমাদের মা বাবা যেমন আমাদেরকে লালন পালন করেছেন আমাদেরও উচিত ছোট বাচ্চাকে খুশি খুশি লালন পালন করা।

আরেকটি কথা মনে রাখবেন বাচ্চা যতটুকু কান্না করে ততটুকু সে কষ্টে থাকেনা, সে শো বেশী করে, তার কান্নার আওয়াজ শুনে আমরা মনে করি সে অনেক কষ্ট পাচ্ছে কিন্তু সে ততটা কষ্টে থাকেনা যতটা কান্না করে। সুখ দুঃখ বুঝতে পারার অনুভুতি তাদের বেশী থাকেনা। এটাও আল্লাহর একটা রহমত। যতই বয়স বাড়তে থাকে আস্তে আস্তে অনুভুতি শক্তিও বাড়তে থাকে। সে জন্য বাচ্চাদেরকে দেখবেন ৫ মিনিট আগে এমন ভাবে সে কাঁদবে মনে হবে দুনিয়াতে তার চেয়ে কষ্টে আর কেহ নাই, কিন্তু ৫ মিনিট পরই সে হাসবে।

তবে খোদা না করুক যদি তার কোন সত্যিকারের রোগ থাকে কোন কষ্ট থাকে, তার চিকিৎসা করা জরুরী।  এমনে স্বাভাবিক কান্না করলে কাঁদতে দিন। এখানে একটি খুব মূল্যবান কথা বলব - যে বাচ্চা বেশী কান্না করে তার একটি কারন এটাও যে বাচ্চাকে দুধ দানকারীনি মা বেশী চা পান করে, যে সব মা চা বেশী পান করে, সে যখন বাচ্চাকে দুধ পান করায়,  চায়েরে কেফিন সে বাচ্চার রক্তে মিশে যায়, আর ছোট বাচ্চা সে কেফিন বরদাশত করতে পারেনা, আর সে চায়ের বিষাক্ত কেফিন সহ্য করতে না পেরে ছোট বাচ্চা প্রয়োজনের বেশী চিৎকার করে। সে জন্য দুধ দানকারীনি মায়েদের চা পান করা উচিত নয়।

আরেকটি ইনফরমেশন মনে রাখবেন যে ঘরে পেশাব পায়খানার কাপড় থাকে তার থেকে দুগন্ধ ছড়ায় সে ঘরে ফেরেশতা থাকে না আর যে ঘরে ফেরেশতা থাকেনা সে ঘরে খারাপ জিন বা শয়তান প্রবেশ করে, তেমনি ভাবে কেহ যদি ঘরে প্রবেশ করার সময় বিসমিল্লাহ না বলে তার সাথেও ঘরে শয়তান প্রবেশ করে তাই যে ঘরে ছোট বাচ্চা থাকে সে ঘরে পেশাব পায়খানার জামা কাপড় জমা করে রাখবেন না, আর সে ঘরে যারা আসবেন তারা অবশ্যই বিসমিল্লাহ বলে ঘরে প্রবেশ করবেন তাহলে বাচ্চাকে জিন বা শয়তান ভয় লাগাবেনা ফলে বাচ্চা কাঁদবেনা। অনেকে আগুন ধরতে বলেন, আগুন ধরার প্রয়োজন নাই শুধু বিসমিল্লাহ বলে দরজা খুলে ঘরে প্রবেশ করলেই যথেষ্ট।

তাছাড়া বাচ্চা বিশেষ করে কান্না করে ঘুম পেলে, ক্ষুধা লাগলে,  পোকা মাকড় পিপড়ায় কামড়ালে, অপরিচিত পরিবেশে বিশেষ করে বেশী হৈ চৈ পূন পরিবেশে অস্বস্তি বোধ করলে এবং হঠাৎ বিকট কোন শব্দ শুনে শিশুরা ভয় পেয়ে কেঁদে উঠতে পারে। তবে যদি অস্বাভাবিক ভাবে কাঁদতে থাকে তাহলে চিকিৎসকের পরামশ নিবেন। অস্বাভাবিক কান্নাকে অবহেলা করবেন না।


কোন মন্তব্য নেই

borchee থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.