জমজম কুপের পাশে যখন নারীরা উলঙ্গ গোসল করা শুরু করল। জমজমের ফজিলত। Zamzam water
জমজম কুপের পাশে যখন নারীরা উলঙ্গ গোসল করা শুরু করল। জমজমের ফজিলত। Zamzam water
হুজুর (দ) যখন জমজমে আসলেন তখন
হযরত আব্বাস হুজুর (দ) এর চাচা বললেন হুজুর আমি আপনার জন্য জমজমের পানি মাটির ঠিলাতে
রেখে দিয়েছি যাতে তা ঠান্ডা হয়, আর এই মাটির ঠিলা মদীনা শরীফের মাটি দিয়ে তৈরী হত কারন
মদীনা শরীফের মাটি ঠান্ডা। সুবহানাল্লাহ। মক্কার লোকেরা সে মাটির ঠিলাতে জমজমের পানি
জমা করে রাখত যাতে পানি ঠান্ডা হয়ে যায়।
হযরত আব্বাস (রা) যখন হুজুর
(দ) কে বললেন হুজুর আপনার জন্য মাটির ঠিলাতে মাটি ঠান্ডাতে দিয়েছি, তখন হুজুর (দ) ফরমালেন
না না, যেখান থেকে আমার উম্মত পান করছে সেখান থেকে মুহাম্মদও পান করবে।
সে নবীর উপর লক্ষ কোটি সালাম,
যে নবী এই দুনিয়াতেও উম্মতের ফিকির করেছেন কেয়ামতের ময়দানে হওজে কওসারের কিনারায়ও উম্মতের
ফিকির করবেন,
আমরা এমন বদবখত উম্মত আমাদের
সে দয়াল নবীর শেকল সে নবীর পোষাক সে নবীর সুন্নত পছন্দ না, আমরা ইংরেজদের পোষাক তাদের
শেকর তাদের সুরতকে আপন করে নিয়েছি।
হুজুর উম্মতকে ভালবাসতেন তাই
বলেছেন যেখান থেকে আমার উম্মত পান করছে আমিও সে ডোল থেকে পান করব। হুজুর ফরমাচ্ছেন
আমার ইচ্ছে করছে এই ডোল আমি নিজেই টেনে তুলব, যা রশি দিয়ে কুয়া থেকে টেনে তুলা হয়,
কিন্তু আমি এই জন্য এই রশি টানছিনা কারন কেয়ামত পযন্ত আমার উম্মতে এই রশি টানার জন্য
লড়াই শুরু করে দিবে।
যখন হুজুরের জন্য আব্বাস (রা)
কুপ থেকে সে জমজম কুয়ার পানি সহ ডোল টেনে তুলল তখন হুজুর (দ) দোয়া পড়লেন এবং নিজের
থুথু মোবারক সে ডোলের মধ্যে দিয়ে নবীজির থুথু মিশ্রিত সে পানি পুনরায় জমজম কুয়াতে ফেলে
দিলেন।
এখন এই জমজমের পানিতে হযরত ইসমাইল
(আ) এর কদম মোবারকের আঘাত, হযরত জিবরাইলের পাখার আঘাত এবং বিশ্বনবীর লুয়াবে দাহানও
জমা হয়ে গেল।
এখন বলুন এই পানি থেকে দুনিয়াতে
আর কোন পানি আফযল হতে পারে?
মেরাজের রাতে জিবরাইল (আ) হুজুর
(দ) এর দিল মোবারককে জমজমের পানি দিয়েই ধুয়েছেন। সে জন্য মুহাদ্দিসিনে কেরাম এসতেদলাল
করেছেন যে জমজমের পানি হউজে কাউসার থেকেও আফযল। কেননা যদি জমজমের পানি যদি আফযল হত
তাহলে জিবরাইল সে পানি নিয়ে আসতেন। যেহেতু জমজম এর পানি আফযল সে জন্য আফযল নবীর আফযল
দিল আফযল পানি দ্বারা ধৈৗত করা হয়।
সে জন্য ওলামায়ে কেরাম বলেন জান্নাত
সৃষ্টি হয়েছে কুন দ্বারা, আল্লাহ হকুম দিয়েছেন
বলেছেন কুন ফলে জান্নাত হয়ে গেছে, আর জান্নাতের নহর হওজে কউসারও কুন দ্বারাই সৃষ্টি।
কিন্তু জমজম শুধু কুন দ্বারা নয় বরং এতে আছে এক খলিলের কুরবানি যিনি নিজের কলিজার টুকরাকে
এই পাহাড়ি অঞ্চলে ছেড়ে এসেছেন, আর সে শিশু সন্তান কুরবানি দিয়েছে সে পিপাসায় ছটফট করেছে,
আর মা কুরবানি দিয়েছেন সাফা মারওয়াতে ৭ চক্কর লাগিয়েছেন, তারপর আল্লাহ তায়ালা জিবরাইলকে
পাঠালেন সে নিজের পাখা দিয়ে আঘাত করলেন ফলে এতে নবীর পায়ের আঘাতও আছে জিবরাইলের পাখার
আঘাতও আছে আর নবীর লুয়াবে দাহানও আছে।
আল্লামা মক্কী হেজাজী বলেন এই
জমজম আগে সকলের জন্য উম্মুক্ত ছিল, মানুষ কুয়ার কাছে গিয়ে পানি তুলে তুলে পান করত।
নারীদের জন্য আলাদা গলি, পুরুষদের জন্য আলাদা গলি রাখা হয়েছে, যাতে কুয়ার কাছে গিয়ে
মানুষ সে কুপের এবং তার পানির বরকত নিতে পারে, কিন্তু সেখানে মহিলারা উলঙ্গ হয়ে গোসল
করা আরম্ভ করে দিল, তখন হকুমত বাধ্য হয়ে গেল কুয়ার রাস্তা বন্ধ করে দিতে।হকুমত পাইপের
মাধ্যমে পানি সাপ্লাই এর ব্যবস্থা করে দিল, সব জায়গায় পানি রেখে দিল, তবে জমজম কুয়ার
নিকট দাড়িয়ে পানি পান করাতে যে মজা সে মজা এখন পাওয়া যাবেনা। জমজম কুয়ার নিকটে গিয়ে
জমজমের পানি পান করার মজাই আলাদা।
আল্লাহ তায়ালা প্রত্যেককে জমজমের
পানি পান করার তৌফিক দান করুন। আমিন
কোন মন্তব্য নেই