যে ঘরে শিশু বাঁচেনা। সব সময় বিপদ লেগে থাকে। তাদের জন্য সুখবর
যাদের
ঘরে বাচ্চা আছে, বাচ্চা বাঁচে না, যাদের
ঘরে সব সময় অসুখ বিসুখ বিপদ লেগে আছে তাদের জন্য সুখবর,
একবার যদি মনযোগ
দিয়ে শুনেন তাহলে আপনার মনের সকল দুঃখ ১০০% দুর হবে
প্রথমে ১টি হাদিস
শুনেন- হাদিসটি তিরমিজি শরীফের ১০২১ নং হাদিস
আবু সিনান (রহঃ)
হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমার ছেলে সিনানকে
আমি দাফন করলাম।
কবরের কিনারায় আবু
তালহা আল-খাওলানী (রহঃ) বসা অবস্থায় ছিলেন। কবর হতে আমি যখন উঠে আসতে চাইলাম
তখন আমার হাত ধরে
তিনি বললেন, হে আবু সিনান! তোমাকে কি আমি সুসংবাদ দিব না? আমি বললাম, অবশ্যই দিন।
তিনি বললেন, আবু মূসা আল-আশআরী
(রাঃ) হতে যাহহাক ইবনু আবদুর রাহমান ইবনু আরযাব (রাহঃ) আমাকে বর্ণনা করেছেন যে
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোন বান্দার কোন সন্তান মারা গেলে
তখন আল্লাহ্ তা’আলা তার ফেরেশতাদের
প্রশ্ন করেন, তোমরা আমার বান্দার সন্তানকে কি ছিনিয়ে আনলে?
তারা বলে, হ্যাঁ। পুনরায় আল্লাহ্
তায়ালা প্রশ্ন করেন, তোমরা তার হৃদয়ের টুকরাকে ছিনিয়ে আনলে?
তারা বলে, হ্যাঁ। পুনরায় তিনি
প্রশ্ন করেন, তখন আমার বান্দা কি বলেছে? তারা বলে,
সে আপনার প্রতি প্রশংসা
করেছে এবং ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন পাঠ করেছে।
আল্লাহ্ তা’আলা বলেন, জান্নাতের মধ্যে
আমার এই বান্দার জন্য একটি ঘর তৈরী কর এবং তার নাম রাখ “বাইতুল হামদ” বা প্রশংসালয়।
তাহলে যার সন্তান
ছোট বেলায় মারা যায় সে নিজেকে অনেক বিপদগ্রস্থ মনে করে মসিবতগ্রস্থ মনে করে
অথচ সে যদি সন্তানের
মৃত্যুতে ধৈর্য্য ধারন করে এবং আল্লাহর ফয়সালাতে সন্তুষ্ট থাকে তাহলে তার জন্য
জান্নাতে একটি ঘর
নির্মান করা হয়। সুবহানাল্লাহ আর সে ঘরের নাম রাখা হয় বায়তুল হামদ।
মুসলিম শরীফের ৬৫৯৫
নং হাদিসের বর্ননা
যে সব পিতা মাতার
সন্তান ছোট বেলায় মারা যায় নবীজি বলেন তারা হল জান্নাতের প্রজাপতির মত
কিয়ামতের দিন এই
ছোট ছোট বাচ্চারা তাদের মা বাবার কাপড়ের আচল ধরবে আর ছাড়বে না
আর এই কাপড়ের আচল
ধরা অবস্থায় এসব বাচ্চারা তাদের মা বাবাকে নিয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
আবার মুসলিম শরীফের
৬৫৯৬ নং হাদিস
এক মহিলা একটি বাচ্চা
নিয়ে নবীজির কাছে আসলেন আর বললেন এয়া রাসুলাল্লাহ এই সন্তানের আগে
আমি আমার ৩টি বাচ্চাকে
দাফন করেছি, আপনি আমার এই বাচ্চাটির জন্য দোয়া করুন, তখন নবীজি
আশ্চর্য্য হয়ে র্প্রশ্ন
করলেন ৩জনকে দাফন করেছ? সে বলল হ্যাঁ , তখন নবীজি তাকে সুসংবাদ
দিয়ে বললেন
তাহলে তোমার ও জাহান্নামের
মাঝে একটি মজবুত দেওয়াল তৈরী হয়ে গেছে।
অর্থ্যাৎ তুমি আর
জাহান্নামে যাবেনা। সুবহানাল্লাহ
বুখারী শরীফের ১৩৮১
নং হাদিসে আছে- আনাস (রা) হতে বর্ণিত নবী করিম (দ) এরশাদ করেন
যে মুসলমানের ৩ জন
নাবালেগ সন্তান মারা যাবে, আল্লাহ সে নাবালেগের মা বাবাকে জান্নাতে প্রবেশ
করাবেন
নাসাঈ শরীফের ২০৯২
নং হাদিস
হারুন ইবনু যায়দ
অর্থাৎ আবূ যারকা মুআবিয়ার পিতা কুররা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন বসতেন তখন সাহাবীদের অনেকে তার কাছে এসে বসতেন।
তাদের মধ্যে এক জনের
অল্প বয়স্ক একটি ছেলে ছিল। তিনি তার ছেলেটিকে পেছনের দিক থেকে নিজের সামনে এনে বসাতেন।
অতঃপর ছেলেটি মৃত্যুবরণ
করল। তিনি বিষন্ন হয়ে পড়লেন। তার ছেলের কথা মনে করে তিনি মজলিসে উপস্থিত হতে পারতেন
না।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে না দেখে জিজ্ঞাসা করলেন যে, আমি অমুক ব্যক্তিকে
কেন দেখছি না?
সাহাবীগণ বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ!
আপনি তার ছোট ছেলেটিকে দেখেছিলেন সে মৃত্যূবরণ করেছে।
নবীজি তার সাথে সাক্ষাৎ
করে তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন তোমার সন্তান তোমাকে দুনিয়াতে সহযোগিতা করুন
অথবা জান্নাতে গিয়ে
তোমার জন্য জান্নাতের দরজা খুলে দিক আর তুমি সে জান্নাতে প্রবেশ করবে, কোনটি পছন্দ?
সাহাবী বলল এয়া রাসুলাল্লাহ
জান্নাতের দরজা খুলে দেওয়াই আমার পছন্দ। তখন নবীজি বললেন তাই তোমার জন্য হবে
অতএব আমরা অনেক সময়
সন্তান মারা গেলে কিংবা কোন বিপদ আসলে দিশেহারা হয়ে যাই অধৈর্য্য হয়ে যাই
আমরা জানিনা এতে
ধৈর্য্য ধারনের কতটা গুরুত্ব ও ফজিলত, আমাদের প্রত্যেক
মুসলমানের উচিত
বিপদ মসিবতে ধৈর্য্য
ধারন করা আল্লাহর ফয়সালায় সন্তুষ্ট থাকা তাহলে আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে
দুনিয়াতেও নেয়ামত
বাড়িয়ে দিবেন আর আখেরাতে এর উত্তম প্রতিদান দান করবেন যা আমরা কল্পনাও করতে পারিনা
কোন মন্তব্য নেই