কুরবানি শুদ্ধ হওয়ার, ভেজালমুক্ত হওয়ার জন্য ৩টি আমল অবশ্যই শুদ্ধ করে নিতে হবে

 

কুরবানি শুদ্ধ হওয়ার, ভেজালমুক্ত হওয়ার জন্য ৩টি  আমল অবশ্যই শুদ্ধ করে নিতে হবে



) নং কাজ কুরবানি করার জন্য আমাদের নিয়ত শুদ্ধ করতে হবে

সুরা আনআমানের ১৬২-১৬৩  এ ২টি আয়াত কুরবানির পশু জবেহ করার সময় পড়া হয়  এর মধ্যে বিশুদ্ধ নিয়তের গুরুত্ব বয়ান করা হয়েছে যেমন আল্লাহ বলেন

 

قُلْ إِنَّ صَلاَتِي وَنُسُكِي وَمَحْيَايَ وَمَمَاتِي لِلّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ

لاَ شَرِيكَ لَهُ وَبِذَلِكَ أُمِرْتُ وَأَنَاْ أَوَّلُ الْمُسْلِمِينَ

এখানে সবচেয়ে বড় ঘোষনা

আমাদের নামাজ আল্লাহর জন্য, আমাদের কোরবানী হবে আল্লাহর জন্য, আমাদের জীবন মরন হবে আল্লাহর জন্য, আর কুরবানির সবচেয়ে বড় শিক্ষাও এটাই যে আমরা কুরবানি করব একমাত্র আল্লাহকে খুশি করার নিয়তে এই নিয়তে যাতে গরবর না হয়

নিয়ত সম্পর্কে বুখারীর ১ নং হাদিস-

"‏ إِنَّمَا الأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ، وَإِنَّمَا لِكُلِّ امْرِئٍ مَا نَوَى،

আমল (এর প্রতিদান হবে) নিয়্যাত অনুযায়ী। আর মানুষ তার নিয়্যাত অনুযায়ী প্রতিফল পাবে।

***তাহলে কুরবানি শুদ্ধ হওয়ার জন্য আমাদের প্রথম কাজ হল নিয়ত শুদ্ধ করতে হবে, নিয়ত হতে হবে একমাত্র আল্লাহকে রাজি করার।

২) কুরবানি শুদ্ধ হওয়ার জন্য ২য় কাজ হালাল টাকায় কুরবানি করা,

তিরমিজির ১ নং হাদিস: ইবনু উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ

"‏ لاَ تُقْبَلُ صَلاَةٌ بِغَيْرِ طُهُورٍ وَلاَ صَدَقَةٌ مِنْ غُلُولٍ ‏"

পবিত্রতা ছাড়া নামায কবুল হয় না। আর হারাম উপায়ে প্রাপ্ত মালের সাদকাও কুবুল হয় না।

মুসলিম শরীফের ২২১৮ নং হাদিসের বণনা

إِنَّ اللَّهَ طَيِّبٌ لاَ يَقْبَلُ إِلاَّ طَيِّبًا

আল্লাহ পবিত্র। তিনি পবিত্র ছাড়া অন্য কিছু গ্রহণ করে না।

সুতরাং হারাম বা অপবিত্র ইনকাম থাকলে  কুরবানি, যাকাত, ফিতরা,  হজ্ব সহ কোন আর্থিক এবাদতই কবুল হবেনা সুতরাং মসজিদে মাদরাসায়, কুরবানিতে, যাকাতে, ফিতরাতে, হজ্বে অবশ্যই পাক পবিত্র হালাল পয়সা খরচ করবেন

# কারো কাছে যদি হারাম ইনকাম থাকে, সেটা কুরবানিতে দিবেন না, বরং হালাল কোন ইনকাম সোস থাকলে সেটাই কুরবানির জন্য খরচ করবেন

) কুরবানি শুদ্ধ হওয়ার জন্য ৩ নং কাজ হল লোক দেখানো কাজ না করা

তিরমিজি শরীফের ২৩৮২ নং হাদিস (আবু হুরায়রা যে হাদিসটি বয়ান করার সময় ৪ বার বেহুশ হয়ে গেছেন) তিনি বলেন নবী করিম (দ) বলেন কিয়ামতের দিন আল্লাহ তায়ালা যারা লোক দেখানো আমল করে এমন ৩ প্রকার লোক দিয়ে জাহান্নামের আগুন প্রজ্জলিত করবেন যেমন এমন আলেম ও জ্ঞানী যারা চায় নিজেকে মানুষ বড় আলেম বলুক বড় কারি বলুক দ্বিতীয়ত এমন সম্পদশালী যারা খরচ করে দান করে আল্লাহর রাস্তায় কোরবান করে মানুষের বাহবা পাওয়ার জন্য তিতৃয়ত এমন শহিদ যারা জিহাদ করে মানুষ বাহাদুর বলবে এই আশায় এ ধরনের লোক দিয়েই প্রথমত জাহান্নাম প্রজ্জলিত করা হবে।ৎ

অতএব যারা কুরবানি করবেন তারা নিয়ত করবেন আল্লাহকে খুশি করার

কুরবানির জন্য যে টাকা খরচ করবেন তা হালাল টাকা খরচ করবেন

এবং কুরবানি পশু ক্রয় করবেন তাতে যেন কোন ধরনের লোক দেখানো বা রিয়া না থাকে।

কোন মন্তব্য নেই

borchee থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.