১০০ বছরেও বৃদ্ধ হবেনা ৩টি খাদ্য খেলে। চির যৌবন ধরে রাখার উপায়
১০০ বছরেও বৃদ্ধ হবেনা ৩টি খাদ্য খেলে। চির যৌবন ধরে রাখার উপায়
মানুষের জন্য সবচেয়ে উপকারী ৩টি খাদ্য যা খেলে মানুষ ১০০
বছরেও বৃদ্ধ হবেনা, তার মধ্যে ১মটি হল খেজুর
আর খেজুর কেন
মানুষের জন্য এত উপকারী আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (দ) এই খেজুরের
ব্যপারে কি বলেছেন তাও আজ বিস্তারিত জানব
হযরত আমর ইবনে মাইমুন বর্ণনা করেন
যে নারী নিফাসের হালতে হয়
সন্তান জন্ম দেয়ার আগে ও পরে তার জন্য সবচেয়ে উত্তম খাদ্য
হল তাজা খেজুর। হযরত আলী (রা) বলেন খেজুর গাছ হল তোমাদের চাচি
সুতরাং তোমরা খেজুর গাছকে সন্মান কর। কেননা আল্লাহ তায়ালা
খেজুর গাছকে আদম (আ) এর
সৃষ্টিকৃত মাটির অবশিষ্টাংশ দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। ওলামায়ে কেরাম খেজুর গাছ নিয়ে অনেক গবেষনা করে বলেছেন খেজুর
গাছ হল
মানুষের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। সে জন্য দেখা যায় মানুষের হাত
কাটা গেলেও জীবিত থাকে, পা কাটা গেলেও
জীবিত থাকে
কিন্তু যদি গর্দান কাটা যায় মানুষ আর বেঁচে থাকতে পারেনা, তেমনি খেজুর গাছের শাখা প্রশাখাগুলি কাটা হলে তা জীবিত থাকে
কিন্তু খেজুর গাছকে উপর থেকে কেটে দেয়া হলে তা মারা যাবে।
খেজুর গাছেরও গর্দান কেটে দিলে মরে যায়
তেমনি সকল প্রাণী ঝুকে পানি পান করে শুধু মানবজাতি মুখে
তুলে পানি পান করে। খেজুর গাছও মাটির পানি নয় বরং
আসমানের পানি দ্বারা জিন্দা থাকে। সে জন্য ওলামায়ে কেরাম
বলেন খেজুর গাছের সাথে মানুষের খুব বেশী মিল রয়েছে।
এবং মানব জাতির জন্য এই গাছের ফল খেজুর সবচেয়ে উপকারি
খাদ্য। হাদিস শরীফে আছে যে লোক সকাল বেলা ৭ দানা
আজওয়া খেজুর খাবে তাকে সেদিন কোন বিষ ক্রিয়া
করবেনা কোন যাদুকারীর যাদুও আছর করবেনা।
সে যুগের মানুষের প্রধান খাদ্যই ছিল খেজুর ও পানি তাই
তখনকার মানুষের এত রোগ ব্যাধী হতনা। হাট এটাক হতো না।
ব্লাড প্রেসার, সুগার,
ক্যান্সার, আলসার এসব কিছুই হতনা। এখন এসব
বেশী হওয়ার একমাত্র কারন হল আমাদের খাদ্য তালিকা
আল্লামা মক্কী হেজাজি বলেন আমার মা জীবিত থাকা অবস্থায়
আমাদের ঘরে মাঝে মাঝে আমাদের প্রতিবেশী এক আরব্য ফ্যামেলির
মহিলারা আসত আর আসার সময় তারা উন্নতমানের খেজুর নিয়ে আসত, আমার মা বোন ১/২টি খেত আমরাও খেতাম
তখন তারা বলত ১/২টা খেজুর খেয়ে লাভ কি? আমরাতো প্রতিদিন কমপক্ষে আধা কিলো খেজুর খেয়ে থাকি
সে জন্য আরবের লোকদের ঔষধ খুব কমই খেতে হয়, তারা নিয়মিত উটের দুধ, খেজুর আর মধু পান
করে
এই ৩টি খাদ্য তাদেরকে ১০০ বছর হলেও বৃদ্ধ হতে দেয়না।
তাছাড়া মুসলিম শরীফের ২৮১১ নং হাদিসের বণনা
একদা রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, গাছ-গাছালির মধ্যে এমন একটি গাছ আছে, যার পাতা ঝরে না। আর তা মুসলিমের মতো।
তোমরা আমাকে বলো, সে গাছটি কী? তখন সাহাবায়ে কেরাম বন-জঙ্গলের বিভিন্ন গাছ-গাছালির নাম
ধারণা করতে লাগল,
আব্দুল্লাহ বলেন, আমার ধারণা হলো- সেটি খেজুর গাছ। (কিন্তু
আমি ছোট থাকার কারণে) তা বলতে লজ্জা পাচ্ছিলাম।
অতঃপর সাহাবিগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসুল!
আপনি আমাদের বলে দিন, সেটি কী গাছ
রাসুলুল্লাহ (সা.)
তখন বললেন, তা হলো খেজুর গাছ।
হযরত মরিয়ম (আ) হযরত ঈসা (আ) কে খেজুর গাছের নিচে জন্ম দিয়েছেন
সুরা মরিয়মের ২৫ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন
وَهُزِّي إِلَيْكِ بِجِذْعِ النَّخْلَةِ تُسَاقِطْ عَلَيْكِ رُطَبًا جَنِيًّا
আর তুমি নিজের দিকে খেজুর গাছের কান্ডে নাড়া দাও, তা থেকে তোমার উপর সুপক্ক খেজুর পতিত হবে।
কোন মন্তব্য নেই