দ|জ্জ|ল আসার ৩ বছর পূর্বে পৃথিবীতে কি কি ঘটবে শুনলে অবাক হবেন ?

 

দাজ্জাল আসার পূর্বে তিন বছর: কেয়ামতের ভয়াবহ আলামত

ভূমিকা:

 

দাজ্জাল কেয়ামতের অন্যতম বৃহৎ আলামত, যার আত্মপ্রকাশের পর মানুষের হাতে আর সময় থাকবে না। এটি যেন একটি মালা থেকে দানার পতন, যা একের পর এক দ্রুত ঘটতে থাকবে। দাজ্জালের আগমনের পূর্বে পৃথিবীতে কিছু বিশেষ লক্ষণ দেখা দেবে, যা বিশ্বকে উত্তাল করে তুলবে।

দাজ্জালের পূর্বে পৃথিবীর পরিস্থিতি:

মুসলমানদের দুর্বলতা ও নির্যাতন: সারা বিশ্বে মুসলমানরা বিভিন্ন প্রান্তে মার খাবে এবং দুর্বল অবস্থানে পতিত হবে।

আল্লাহর সাহায্য ও মুসলমানদের উত্থান: অতঃপর আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলমানদেরকে সাহায্য করবেন এবং শক্তিশালী করবেন। ইমাম মাহদী (আঃ)-এর ৪০ বছর বয়সে আত্মপ্রকাশের পর মুসলমানরা শক্তিশালী অবস্থানে আবির্ভূত হবেন। এমনকি এক রাতের মধ্যেই মুসলমানরা শক্তিশালী জাতিতে পরিণত হবেন।

মাহদী (আঃ) ও দাজ্জালের আত্মপ্রকাশ:

মাহদী (আঃ)-এর আত্মপ্রকাশের ছয় বছর পর দাজ্জালের আগমন ঘটবে।

আল্লাহ তা'আলা এমন কোনো নবীকে প্রেরণ করেননি যিনি তাঁর উম্মতকে দাজ্জালের ফিতনা সম্পর্কে সতর্ক করেননি।

দাজ্জাল আসার পূর্বে তিন বছর:

প্রথম বছর:

আকাশ তার বৃষ্টির তিন ভাগের এক ভাগ আটকে রাখবে, ফলে বৃষ্টিপাত কম হবে।

জমিনের উর্বরতা তিন ভাগের এক ভাগ কমে যাবে।

দ্বিতীয় বছর:

জমিনের উর্বরতা আরও কমে দুই ভাগে নেমে আসবে, অর্থাৎ আরও বেশি দুর্ভিক্ষ দেখা দেবে।

তৃতীয় বছর:

জমিনের উর্বরতা সম্পূর্ণরূপে হ্রাস পাবে এবং দুর্ভিক্ষ চরম আকার ধারণ করবে।

ইবনে মাজাহ্ (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদিস অনুযায়ী, দাজ্জাল আসার তিন বছর আগেই পৃথিবীর অধিকাংশ স্থান ধ্বংসের কাছাকাছি চলে যাবে।

পৃথিবীতে এমন ফেতনা দেখা দেবে যে, দাজ্জাল মৃত ব্যক্তিকে জীবিত হওয়ার নির্দেশ দিলে সে জীবিত হয়ে যাবে।

বর্তমান প্রেক্ষাপট ও সতর্কতা:

বর্তমানে প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই বিষয়গুলোকে হালকা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ড্রোনের মাধ্যমে আকাশে এলিয়েন সদৃশ যা দেখানো হচ্ছে, তা মূলত দুষ্ট জীনদের বিভিন্ন রূপ।

বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম ও প্রযুক্তির মাধ্যমে মানুষের মন-মানসিকতা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। অ্যালগরিদমের মাধ্যমে ব্যবহারকারীর আগ্রহ অনুযায়ী তথ্য সরবরাহ করা হচ্ছে, যা এক প্রকার নিয়ন্ত্রণ। কোনো প্রকার গোপনীয়তা এখন আর নেই।

দাজ্জালের ফিতনা থেকে বাঁচতে প্রতি জুমাবারে সূরা কাহাফ পাঠ করা এবং প্রতিদিন সূরা কাহাফের প্রথম দশ আয়াত তেলাওয়াত করার চেষ্টা করা উচিত।

নবী (সাঃ) দাজ্জাল সম্পর্কে যা বলেছেন, অন্য কোনো নবী তা বলেননি। দাজ্জাল হবে একচোখা, তার এক চোখ অন্ধ ও ফোলা থাকবে। আল্লাহ তা'আলা অন্ধ নন।

যখন দাজ্জালের বিষয়ে আলোচনা বন্ধ হয়ে যাবে, তখন তার আগমনের সময় নিকটবর্তী হবে। বর্তমানে আমরা দাজ্জালের ব্যাপারে তেমন আলোচনা করি না, শুনিও না এবং চেষ্টাও করি না।

ঈমানদারদের অবস্থা:

দাজ্জালের সময় খাদ্যাভাব তীব্র হবে।

যারা দাজ্জালের উপর বিশ্বাস স্থাপন করবে, তারা রিজিক পাবে।

সাহাবীরা (রাঃ) জিজ্ঞাসা করলে নবী (সাঃ) বলেন, ঈমানদারদের খাদ্য হবে তাকবীর (আল্লাহু আকবার), তাহমিদ (আলহামদুলিল্লাহ) ও জিকির। আল্লাহ তা'আলা জিকিরের মাধ্যমেই ঈমানদারদের রিজিক দান করবেন।

দোয়া:

আল্লাহ তা'আলা আমাদের সকলকে এই ফেতনাময় পরিস্থিতি থেকে হেফাজত করুন এবং দাজ্জালের ফিতনা থেকে রক্ষা করুন। আমিন।

কোন মন্তব্য নেই

borchee থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.