নামাজ এর ফজিলত। The virtues of prayers







নামাজে
মন না
লাগলে কি
নামাজ ছেড়ে
দিবেন
নামাজ ছাড়া
যে নিজের জীবন অতিবাহিত করে তার জীবনে দুঃখ আর টেনশন ছাড়া আর কি থাকবে? খুশুর সাথে নামাজ পড়া শিখুন নামাজের পর আপনি আপনাকে হালাকা অনুভব করবেন, নিজে উৎফুল্ল হবেন নম্রতার সাথে আল্লাহকে সিজদা করুন এর স্বাধ নিজেই বুঝতে পারবেন
এক লোক
বলে হুযুর আমি নিয়মিত নামাজ পড়ি কিন্তু আমিতো তেমন কোন মজা স্বাধ উপলব্দি করিনিশয়তান আমাকে ওয়াসওয়াসা দেয় এমন অনিচ্ছাসত্বেও নামাজ পড়ার কোন ফায়দা নাই
লোকজন অনেক
সময় অমুক লোক ওয়াক্ত নামাজও
পড়ে মিথ্যা কথাও বলে, মুলত আমরা
মনে করি তাঁর নামাজ পড়াটাই অপরাধ, তখন অনেকে মানুষের কথায় বিরক্ত হয়ে নামাজই ছেড়ে দেন কিন্তু আমাদের কোন অবস্থাতেই নামাজ ছাড়া উচিত নয়, আল্লাহ তায়ালা
আমাদেরকে নামাজের হেফাজতের হকুম দিয়েছেন কিন্তু কোন কারনে নামাজে খুশু না আসে একাগ্রতা না আসে তবুও যেন নামাজ না ছাড়ে
মুহাদ্দেসে কাচুছুভি (রহঃ) কে উনার
এক মুরিদ বললহযরত আমি
নামাজ পড়ি কিন্তু নামাজে মজা পায়না, তখন মুহাদ্দেস সাহেব তাঁকে বললেন তুমি তবুওকি নামাজ পড়? সে বলল
জি তাতো আল্লাহর হকুম তাই নামাজ ছাড়ি না, তখন মুহাদ্দেস
সাহেব সে মুরিদকে বাহবা দিয়ে বললেন বাহ বাহ তুমিতো মজা বা স্বাধের বান্দা নও তুমিতো আল্লাহর বান্দা তোমার শান্তি আসে না, মজা আসে
না, স্বাধ লাগে
না তবুও পড় তাহলে বুঝে গেল তুমি শান্তির জন্য মজার জন্য পড় না তুমিত আল্লাহর জন্য পড় (আল্লাহু আকবর)
মন কত
দিকে দৌঁড়ে, শয়তান কত দোহায় দেয়, কাজের দোহায়, টিবির দোহায়, ফেসবুকের দোহায়, নিউজের দোহায়, বন্ধুদের আড্ডার দোহায়, ঘুমের দোহায় তবুও বান্দা বড়ই অলসতার সাথে হলেও নামাজে দাঁড়িয়ে যায়, কিন্তু কেন
এত অনিচ্ছা সত্বেও বান্দা কেন নামাজে দাঁড়ায়? বলে আমার আল্লাহর হকুম তাই খুশু খুজু একাগ্রতার সে মানসিক অবস্থা যদিও না থাকে তবুও নামাজের হেফাজত করে তাদের ব্যপারে আল্লাহ বলেন (উলাইকা হুমুল ওয়ারিছুন) এসব লোক ওয়ারেছ কিসের ওয়ারেছ? ধন সম্পদের? ঘর বাড়ীর? জায়গা জমির? আল্লাহ বলেন (আল্লাজিনা এয়ারেছুনাল ফেরদৌছ) তারা জান্নাতুল ফেরদৌসের ওয়ারেছ (হুম ফিহা খালেদুন) সে জান্নাতে তারা আবাদুল আবাদ থাকবে আল্লাহ তায়ালা জান্নাতিদের বলবেন (আরাদিতুম) হে জান্নাতিরা তোমরাকি খুশি? 
তারা
বলবে আমাদের কি হয়েছে যে আমরা খুশি হব না? আমাদেরতো তাই
হাছিল হয়েছে যার কল্পনাও আমরা করিনি
সবার পরে
যে জান্নাতে যাবে তার কথা একটিবার চিন্তা করুন, দেখুন আমাদের মহল্লার মসজিদে যখন সবার আগে আসেন তারা ভিতরে জায়গা পান, এসি মসজিদ, টাইলস করা কার্পেট করা কতই আরামে তারা বসেন, যারা একটু দেরিতে আসে তারা বারান্দায় জায়গা পায় সেখানে কার্পেটও নাই এসিও নাই, এর পর
যারা আসে তারা বাহিরে রোদের মধ্যে দাঁড়াতে হয়, তেমনি যে
জান্নাতে সবার পরে যাবে সে সকল জান্নাতীদের চেয়ে বেশী গুনাহগার বান্দাসে জাহান্নামের সকল কষ্ট ভোগ করে ঈমানের কারনে জাহান্নাম থেকে বের হয়ে আসবে, সে আল্লাহর সামনে দাঁড়াবে, আল্লাহ তাঁকে বলবেন বল কি চাও?  সে বলবে হে আমার রব আমি এটা ওটা চাই, তখন আল্লাহ
ফরমাবেন (লাকা মা তামান্নাইতা) যা তুমি চেয়েছ তা সবেই তোমাকে দিয়ে দিলাম সে জান্নাতে চলে যাবে সে যেহেতু জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেয়েছে সেটাই তার জন্য বড় নেয়ামত, এখন জান্নাতের দেওয়ালের পাশে সামান্য ছায়া পেলেও সে খুশি জান্নাতে কোন গাছের নিচে আশ্রয় পেলেই তার জন্য যথেষ্ট কিন্তু তাকে বলা হবে যাও জান্নাতে প্রবেশ কর আর তোমার জন্য জান্নাতে দুনিয়া থেকে ১০ গুন জায়াগ বরাদ্ধ আছে দুনিয়ার সমান ১০টি দুনিয়ার জায়গা তার জন্য জান্নাতে দেয়া হবে যে সবার শেষেজান্নাতে প্রবেশ করবে তাঁকে যখন তাঁকে আল্লাহ কথা বলবে
সে বলবে( আতাছখুর ওয়াআনতাল মালিক) তুমি আমার প্রভু হয়ে আমার সাথে মশকারী করছ? সুবহানাল্লাহ সবচেয়ে বেশী গুনাহগার জাহান্নামের সাজা ভোগ করে সবার শেষে জান্নাতে যাবে তাঁর জন্য যদি এত বড় জায়গা হয় তাহলে ছিদ্দিকে আকবরের কি অবস্থা হবে? ওমরে ফারুক, ওসমানে গনি, আলী হায়দারে
কাররারের কি অবস্থা হবে? বেলালে হাবশির
কি পরিমাণ বড় জান্নাত হবে?
আল্লাহু আকবার আল্লাহু
আকবার


কোন মন্তব্য নেই

borchee থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.