আল্লাহ এমন লোককে অপমানজনক আযাব দিবেন। সুরা লোকমান ৬।
এমন লোককে আল্লাহ অপমানজনক আযাব দিবেন
পবিত্র কোরানে এমন অনেক লোকের ব্যপারে অপমানজনক শাস্তির কথা
উল্লেখ করেছেনা যা জানা আমাদের জন্য অত্যন্ত জরুরী তাহলে আমরা সে অপমানজনক শাস্তি থেকে
বেঁচে থাকার চেষ্টা করতে পারব
উল্লেখ করেছেনা যা জানা আমাদের জন্য অত্যন্ত জরুরী তাহলে আমরা সে অপমানজনক শাস্তি থেকে
বেঁচে থাকার চেষ্টা করতে পারব
যেমন আল্লাহ এরশাদ করেন সুরা লোকমানের ৬ নং আয়াতে-
وَمِنَ النَّاسِ مَن
يَشْتَرِي لَهْوَ الْحَدِيثِ لِيُضِلَّ عَن سَبِيلِ اللَّهِ بِغَيْرِ عِلْمٍ
وَيَتَّخِذَهَا هُزُوًا أُولَئِكَ لَهُمْ عَذَابٌ مُّهِينٌ
يَشْتَرِي لَهْوَ الْحَدِيثِ لِيُضِلَّ عَن سَبِيلِ اللَّهِ بِغَيْرِ عِلْمٍ
وَيَتَّخِذَهَا هُزُوًا أُولَئِكَ لَهُمْ عَذَابٌ مُّهِينٌ
একশ্রেণীর লোক আছে যারা মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে গোমরাহ
করার উদ্দেশে অবান্তর কথাবার্তা সংগ্রহ করে অন্ধভাবে এবং উহাকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্
রূপ করে। এদের জন্য রয়েছে অবমাননাকর শাস্তি। [ সুরা লুকমান ৩১:৬ ]
করার উদ্দেশে অবান্তর কথাবার্তা সংগ্রহ করে অন্ধভাবে এবং উহাকে নিয়ে ঠাট্টা-বিদ্
রূপ করে। এদের জন্য রয়েছে অবমাননাকর শাস্তি। [ সুরা লুকমান ৩১:৬ ]
এখানে
লাহওয়াল হাদীস বলতে গান বাজনাকে বুঝানো হয়েছে,
লাহওয়াল হাদীস বলতে গান বাজনাকে বুঝানো হয়েছে,
আয়াতের শানে নুযূলে বলা হয়েছে যে, নযর ইবনে হারিস বিদেশ থেকে একটি গায়িকা বাঁদী খরিদ করে এনে তাকে গান-বাজনায়
নিয়োজিত করল। কেউ কুরআন শ্রবণের ইচ্ছা করলে তাকে গান শোনানোর জন্য সে গায়িকাকে
আদেশ করত এবং বলত মুহাম্মদ তোমাদেরকে কুরআন শুনিয়ে নামায, রোযা এবং ধর্মের জন্য প্রাণ বিসর্জন দেওয়ার কথা বলে। এতে শুধু কষ্টই কষ্ট। তার
চেয়ে বরং গান শোন এবং জীবনকে উপভোগ কর
নিয়োজিত করল। কেউ কুরআন শ্রবণের ইচ্ছা করলে তাকে গান শোনানোর জন্য সে গায়িকাকে
আদেশ করত এবং বলত মুহাম্মদ তোমাদেরকে কুরআন শুনিয়ে নামায, রোযা এবং ধর্মের জন্য প্রাণ বিসর্জন দেওয়ার কথা বলে। এতে শুধু কষ্টই কষ্ট। তার
চেয়ে বরং গান শোন এবং জীবনকে উপভোগ কর
আজ নাউজুবিল্লাহ সে গান বাদ্যকেই মানুষ গুনাহই মনে করছে না অথচ
তাঁদের জন্য রয়েছে অবমাননাকর শাস্তী।
তাঁদের জন্য রয়েছে অবমাননাকর শাস্তী।
আবু বকর রা. গানবাদ্যকে শয়তানের বাঁশি বলে
আখ্যায়িত করেছেন। হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার চেয়েও এটা ভয়ঙ্কর।
আখ্যায়িত করেছেন। হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার চেয়েও এটা ভয়ঙ্কর।
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রা. কে উক্ত
আয়াতের ‘লাহওয়াল হাদীস’-এর ব্যাখ্যা জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘তা হল গান।’ আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা., আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. একই কথা বলেন। তাবেয়ী সায়ীদ ইবনে যুবাইর থেকেও অনুরূপ
মত বর্ণিত হয়েছে। বিখ্যাত তাবেয়ী হাসান বসরী রাহ. বলেন, উক্ত আয়াত গান ও বাদ্যযন্ত্রের ব্যাপারে নাযিল হয়েছে, যা বান্দাকে কুরআন থেকে গাফেল করে দেয়
আয়াতের ‘লাহওয়াল হাদীস’-এর ব্যাখ্যা জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘তা হল গান।’ আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা., আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. একই কথা বলেন। তাবেয়ী সায়ীদ ইবনে যুবাইর থেকেও অনুরূপ
মত বর্ণিত হয়েছে। বিখ্যাত তাবেয়ী হাসান বসরী রাহ. বলেন, উক্ত আয়াত গান ও বাদ্যযন্ত্রের ব্যাপারে নাযিল হয়েছে, যা বান্দাকে কুরআন থেকে গাফেল করে দেয়
কুরআন
মজীদের অন্য আয়াতে আছে, ইবলিস-শয়তান আদম সন্তানকে ধোঁকা দেওয়ার আরজী
পেশ করলে আল্লাহ তাআলা ইবলিসকে বললেন,
মজীদের অন্য আয়াতে আছে, ইবলিস-শয়তান আদম সন্তানকে ধোঁকা দেওয়ার আরজী
পেশ করলে আল্লাহ তাআলা ইবলিসকে বললেন,
তোর
আওয়াজ দ্বারা তাদের মধ্য থেকে যাকে পারিস পদস্খলিত কর।-সূরা ইসরা : ৬৪
আওয়াজ দ্বারা তাদের মধ্য থেকে যাকে পারিস পদস্খলিত কর।-সূরা ইসরা : ৬৪
এ আয়াতের
ব্যাখ্যায় আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বলেন, যে সকল বস্তু পাপাচারের দিকে আহ্বান করে তাই ইবলিসের আওয়াজ। বিখ্যাত তাবেয়ী
মুজাহিদ রাহ. বলেন, ইবলিসের আওয়াজ বলতে এখানে গান ও
বাদ্যযন্ত্রকে বোঝানো হয়েছে। যেসব
বস্তু পাপাচারের দিকে আহ্বান করে তার মধ্যে গান-বাদ্যই সেরা। এজন্যই একে ইবলিসের
আওয়াজ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
ব্যাখ্যায় আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. বলেন, যে সকল বস্তু পাপাচারের দিকে আহ্বান করে তাই ইবলিসের আওয়াজ। বিখ্যাত তাবেয়ী
মুজাহিদ রাহ. বলেন, ইবলিসের আওয়াজ বলতে এখানে গান ও
বাদ্যযন্ত্রকে বোঝানো হয়েছে। যেসব
বস্তু পাপাচারের দিকে আহ্বান করে তার মধ্যে গান-বাদ্যই সেরা। এজন্যই একে ইবলিসের
আওয়াজ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই