মানুষের জীবনে গুনাহের ৫টি প্রভাব। Lectured by Nizam Uddin-Ja al haq







মানুষের জীবনে গুনাহের
৫টি ভয়ংকর ক্ষতি
(ফামান
এয়ামাল মিসক্বালা জাররাতিন
খাইরাই এয়ারাহ, ওমান
এয়ামাল মিসক্বালা জাররাতিন
শাররাই এয়ারাহ)
মানুষ যে গুনাহ
করে সে গুনাহের
প্রভাব সে গুনাহের
আছর মানুষ নিজের
জীবনে নিজের চোখেই
দেখে নেন
আল্লাহ তায়ালা এরশাদ
করেন (ওয়ামা আছাবাকুম
মিন মুছিবাতিন ফাবিমা
কাসাবাত আইদিকুম, ওয়া
এয়াফু আন কাছির)
দুনিয়াতে যদি তোমাদের
কোন মসিবত আছে
তা তোমাদের হাতের
অর্জন
আল্লাহ তায়ালা এমনিতে
অনেক গুনাহ মাফ
করে দেন কিন্তু
দুনিয়ায় কোন মসিবত,
কোন দুশ্চিন্তা, কোন
দুঃখ, কোন পেরেশানি,
ফ্রাসটেশন, এসব মানুষের
নিজের গুনাহের রেজাল্ট
একজন মানুষ মক্কা
শরীফ কেন যেতে
পারছে না? অথচ
সে মুসলমান,
জন্য যেতে পারছে
না সে সেখানে
কোন ফ্রট করে
অন্যায় করে অপরাধ
করে সেখান থেকে
পালিয়ে এসেছে, এই
যে সে মক্কার
মত এমন মোবারক
জায়গায় যেতে পারছে
না সে জন্য
সে নিজে দায়ী,
এটা তার নিজের
হাতের কামাইসে
যদি ফ্রট না
করত তাহলে তার
জন্য মক্কা যাওযাতে
কোন বাঁধা থাকত
না
একজন লোক যখন
কারো সাথে ফ্রট
করে তখন সে
তার সামনে যেতে
ভয় পায়, কিন্তু
যে যদি ফ্রট
না করত তাহলে
সে বাহাদুরের মত
চলাফেরা করতে পারত
সে জন্য হযরত
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস
(
রাঃ)
বলেন (ইন্না লিছ
সায়্যিআতি ছেওয়াদান ফিল
ওয়াজহি) অপরাধ যখন
মানুষ করে তখন
তার জীবনে এর
৫টি প্রভাব লক্ষন
দৃষ্টিগোচর হয়
()ছেওয়াদান ফিল ওয়াজহি: চেহেরার উজ্জ্বলতা
নুরানিয়ত দুর হয়ে
যাবে চেহেরায় সব
সময় পেরেশানী থাকবে,
চিন্তার চিহ্ন ফুটে
উটবে, বিমর্ষ থাকবে
কি কারনে? গুনাহের
কারনে আজ তার
চেহেরার অবস্থা
() ওয়া
গুলমাতান ফিল ক্বালব-তার
অন্তরে সদা সর্বদা
একটা ভয় কাজ
করবে, সদা আতংকে
থাকবে না জানি
কি হবে
() ওয়াদিকান
ফির রিজক- গুনাহের
কারনে আল্লাহ তায়ালা
তার রিযিককে সংকোচিত
করে দেন
অনেক
লোকের রিযিক টাকা
পয়সা অনেক কিন্তু
গুনাহের কারনে তবুও
পেরেশানী যায় না,
সামান্য কারনে পেরেশান
হয়ে যায়, এটা
হল মুনাফিকের আলামত
তারা সামান্য কারনে
নিজের উপর টেনে
নেয় ছোট ছোট
বিষয়ে পেশোন হয়ে
যায়,
অনেক সময় মানুষ
চাউলের দাম বেড়েছে
সে জন্য মহা
পেরেশান, চিনির দাম
বেড়েছে মহা পেরেশান,
কি হবে কেমন
হবে,
আরে ভাই আল্লাহ
তায়ালা যা চান
তাই হবে একবার
চিন্তা করে দেখুন
আপনার হায়াত ৪০
বছর কখনো কি
আল্লাহ আপনাকে ক্ষুধার্থ
রেখেছেন? যে রব
কুয়া থেকে বের
করে ইউসুফ কে
মিশরের সর্বোচ্চ আসনে
বসাতে পারেন, সে
রব তোমার পেরেশানী
তোমার চিন্তা তোমার
দুঃখকেও খুশীতে পরিবর্তন
করে দিতে পারেন
ইউসুফ
(
আঃ)
জেল থেকে বের
হওয়া পয়গাম
দিচ্ছে যে জেল
সদা থাকে না,
কুয়াতে মানুষ সব
সময় পড়ে থাকে
না গরম বেশী
হয়ে যায়, গরমের
অতিষ্ঠতা বৃদ্ধি পায়,
আর রহমতের বৃষ্টিও
পিছে পিছে চলে
আসে যত কষ্ট
তার বিপরীতে তত
আসান আছে সে
জন্য সবসময় পেরেশান
হয়ে থাকা কোন
মুমিনের কাজ নয়

ইমাম
গাজ্জালী (রহঃ) বলেন-
পেরেশান হওয়া মানুষ
হওয়ার দলিল আর
সদা পেরেশান থাকা
বেঈমানীর দলিল কখনো
কখনো পেরেশানী আসতে
পারে তাতে বিচলিত
না হয়ে ধৈর্য্য
ধারন করাই ঈমানদারের
লক্ষন আর সামান্য
বিষয়ে সারাক্ষন পেরেশান
হয়ে থাকা এটা
বেইমানীর লক্ষন
পেরেশানী
আম্বিয়াদেরও আসত, কিন্তু
যখনই পেরেশানী আসবে
নামাজে দাঁড়িয়ে যাও,
কুরআন খুলে নাও,
এসতেগফার পড়তে থাক,
সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আজিম, জিকির
কর,
দরুদ পড়তে থাক
আপনার কপাল যতটুকু
জমিন থেকে দুরে
আপনার পেরেশানীর সমাধানও
ততদুরে, কপাল
জমিনে রেখে দাও
আপনার সব মুশকিল
সমাধান করে দিবেন
মহান রব

হযরত
আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ
(
রাঃ)
এর একটি রেওয়াতে
আছে
বান্দাহ যখন গুনাহ
করেন তার ফলে
আল্লাহ জুলজালাল তাহাজ্জুদের
নেয়ামত তার থেকে
ছিনিয়ে নেন তাকে
ক্বিয়ামুল লাইল থেকে
মাহরুম করে দেন
() ওয়া
ওয়াহনান ফিল বাদান-
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস
(
রাঃ)
৪র্থ কথা বলছেন
গুনাহের কারনে মানুষের
শরীর অকেঁজু হয়ে
যায়,
দেখতে মানুষের বাহ্যিক
ভাবে অনেক শক্তিশালী
মনে হয় কিন্তু
রাতে ঘুমালে সকালে
ফজরের আজান দিলে
শরীর থেকে
কেজি ওজনের কম্বলটাও
সরাতে পারে না,
নিথর শরীর বিছানায়
পড়ে থাকে সে
শরীর তুলতে পারে
না বিছানা থেকে,
তার শরীর পেরেলাইজ
নয়,
সে আতুর নয়,
লেংড়া নয় তবুও
সে নামাজের জন্য
মসজিদে যেতে পারে
নাকিন্তু আল্লাহর
নাফরমানির কারনে তার
শরীরের শক্তিকে আল্লাহ
তায়ালা ছলব করে
নিয়েছেন তার চেয়ে
বছরের বাচ্চাটিও
শক্তিশালী, যে মাদরাসায়
পড়ে আর ফজরে
িইমামের পিছনে নামাজে
দাঁড়িয়ে থাকে
সে
জন্য আল্লাহর রাসুল
(
দঃ)
এরশাদ করেন কেয়ামতের
দিন
(
ইন্নাহু লা এয়াতির
রাজুল) এক মোটা
লোককে আনা হবে,
যখন এত মোটা
লোকটিকে মাপা হবে
তখন তার ওজন
মাছির পাখার বরাবরও
হবে না
()ওয়া
বুগজাতিন ফি কুলুবিল
খালক- গুনাহ কারীর
জীবনে ৫ম আছর
হল মানুষের অন্তরে
সে লোকটি ব্যপারে
ঘৃণা সৃষ্টি হয়লক্ষ টাকা খরচ
করলেও মানুষ বলে
সে মিথ্যাবাদীধোকাবাজ
মানুষ
রাসুলে
আকরাম (দঃ) ফরমায়েছেন
আল্লাহ কিছু নুরানি
ফেরেশতা এমনও আছেন
যারা মানুষের ভাষায়
বলে অনেক
ভাল মানুষ,
লোকটি খুবই সৎচরিত্রবান,
এসব বলছে মানুষ
কিন্তু আল্লাহর ফেরেশতারা
সে সব লোকের
মুখে এসব কথা
প্রচার করছেন
আর
যারা গুনাহগার তাদের
ব্যপারেও মানুষ বলে
ফ্রট, মিথ্যুক,
প্রতারক, খারাপ লোক
বলছে লোকেরা কিন্তু
এসব কথা আল্লাহর
ফেরেশতারাই এসব লোকের
মুখে প্রচার করে
দিচ্ছেন
অনেক
সময় বান্দা গুনাহ
করে আর সে
গুনাহের ফলে তার
প্রজন্ম পর্যন্ত
বরবাদ হওয়ার কার
হয়ে যায়

কোন মন্তব্য নেই

borchee থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.