মোরগ আযান কেন দেয়? মোরগ ও জ্বিনের দুষমনি কিসের


মোরগ আযান কেন দেয়? মোরগ ও জ্বিনের দুষমনি কিসের

কথিত আছে এক দেশের বাদশাহ তার মসজিদের মুয়াজ্জিনকে নির্দেশ দিয়ে রেখেছেন যে সকালে যখন মোরগ আযান দেয় সে মোরক এর আযানের পর পর যেন মুয়াজ্জিন মসজিদে আযান দেয় কিন্তু একদিন মহলের মোরগ অর্ধ রাতে আযান  দিয়ে দিল আর মোরগ এর চিৎকার শুনে মুয়াজ্জিনও শাহি হকুম পালনার্থে আধা রাতেই আযান দিয়ে দিল আর মুয়াজ্জিনের এমন কর্মকান্ডে এলাকার সকল আধা রাতে জাগ্রত হয়ে গেল, পরের দিন বিচারক মুয়াজ্জিনের বিরুদ্ধে এ অপরাধে মৃত্যুদন্ড দিয়ে দিল যখন এ কথা বাদশার কন্যার কানে পৌঁছল তখন
 কন্যা তাঁর পিতাকে বলল বাবাজান এ শাস্তিতো মোরগের উপর হওয়া উচিত মুয়াজ্জিনের উপর কেন এ সাজা দেয়া হল? এ ঘটনাটির পর আমাদের বুঝে এসেছে মোরগ অনেক সময় অসময়েও আযান দেয় এখন এ মোরগের উপর ভরসা করে ফজরের আযান দেয়াকি সমীচিন হবে? তাও আমাদের জানা দরকার
হাদীসের মাধ্যমে আমরা জানতে চেষ্টা করব যে মোরগ ও আযান এ বিষয়ে কি বলেন? সম্মানিত দর্শক মন্ডলী একদিন এক লোক হযরত আলী (রাঃ) কে প্রশ্ন করলেন হুযুর আমাকে বলুন মোরগউঁচু আওয়াজে চিৎকার কেন করে? তখন হযরত আলী (রাঃ) বলেন এ কায়েনাত মানব জাতির আবাদির লাখো বছর আগেও আবাদ ছিল যাতে জ্বিনেরা বসবাস করত, যখন আল্লাহ তায়ালা নিজের খলিফাকে দুনিয়ায় পাঠানোর এরাদা করলেন তখন এসব জ্বিনদেরকে পাহাড় জঙ্গল নদীতে সমুদ্রে হটিয়ে দিলেন, এবং জ্বিন তাদেরকে বিচরনের সময়সীমাও দিলেন রাতের একটি অংশে, তখন মোরগ একটি উড়ন্ত পাখি ছিলআর এ মোরগ থেকে উড়ার ক্ষমতা নিয়ে নেয়া হল আর তার আওয়াজ উঁচু করে দেয়া হল এবং তাকে এ দায়িত্ব দেয়া হল যখন সেহেরীর ওয়াক্ত হয় তখন মোরগ আযান দিবে যাতে মানব ফজরের জন্য প্রস্তুত হয় এবং জ্বিন জাতিও বুঝতে পারে তাদের বিচরনের সময় শেষ হয়ে এসেছে এবং তারা লোকালয় থেকে আড়ালে চলে যায় এছাড়া আলী (রাঃ) আরো বলেন মোরগ এমন এক প্রাণী যে প্রাণী নিজের চোখে জ্বিন ও ফেরেশতাদের দেখেন এবং মোরগ এর আওয়াজে এমন আছর রেখেছেন যে জ্বিন জাতি মোরগ এর আওয়াজ শুনে দ্রুত পালিয়ে যায় তাই যখন দেখবে কোন মানুষের উপর জ্বিনের আছর হয়েছে তাকে মোরগ এর এ আওয়াজ শুনাও দেখবে জ্বিন সে মোরগ এর আওয়াজ শুনে পালিয়ে যাবে
প্রিয় দশক মন্ডলী একটি কথা মনে রাখবেন আল্লাহ তায়ালা এ কায়েনাতে কোন কিছুই বে মকসদ সৃষ্টি করেন নি এ মোরগ শুধু শয়তানকে তাড়ানোর জন্যই নয় বরং এ মোরগ মানব জাতির একটি উৎকৃষ্ট খাদ্যও বটে সে জন্য বুযুর্গানে দ্বীন এই প্রাণীটিকে ঘরে পালন করার হকুম দিতেন যাতে আমরা এর কারনে জ্বিনের ক্ষতি থেকে বাঁচতে পারিেএবং এর দ্বারা  রিযিকেরও ব্যবস্থা হয়
দর্শক মন্ডলী মোরগ এর ব্যপারে নবী করিম (দঃ) এর ফরমান যখন তোমরা মোরগ এর আযান শুন তখন আল্লাহর কাছে কল্যানের জন্য দোয়া কর, কেননা মোরগ ফেরেশতাদের দেখে আযান দেয়,  আর যখন গাধার আওয়াজ শুন তখন আল্লাহর কাছে শয়তানের ক্ষতি থেকে পানাহ চাও, কেননা গাধা শয়তানকে দেখে নিজের আওয়াজ উঁচু করে এবং অপর এক জায়গায় বর্ণিত আছে সবচেয়ে নিকৃষ্ট আওয়াজ হল গাধার আওয়াজ
আল্লাহ আমাদেরকে ইসলামী নলেজ শিখার তৌফিক দান করুন এবং আমাদের আমল সমুহ হেফাজত করুন আমিন ছুম্মা আমিন

কোন মন্তব্য নেই

borchee থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.