নামাজ এর গুরুত্ব বে নামাজীর শাস্তি
জুমার খুতবা মুহররম ৪র্থ
নামাজ এর গুরুত্ব বে নামাজীর শাস্তি
ফেরেশতাদের নামাজ বনাম মানুষের নামাজ।
আসসালাতু
মেরাজুল মুমিনিন- নামাজ
হল মুমিনের জন্য
মেরাজ, আমাদের নবী
করিম (দঃ) শশরীরে
মেরাজে গিয়েছেন, আর
আমরা যারা মুমিন
তারা নামাজের মাধ্যমে
দিনে ৫ বার
রুহানি ভাবে মেরাজ
করি,
এ নাম এমন এক
এবাদত যে এবাদত
এর প্রথম থেকে
শেষ পযন্ত সকল
রুকুন ফেরেশতারা আদায়
করে তবে আমাদের
সৌভাগ্য হল আমরা
১ রাকাত নামাজে
সব রুকন আদায়
করতে পারি কিন্তু
ফেরেশতারা শুধু নামাজের
১টি রুকনই আদায়
করতে পারে, যেমন
হাদীস শরীফে আছে
ফেরেশতাদের ১ দল
রুকু অবস্থায় আছে
তারা সারা জীন্দেগী
রুকুতেই কাটিয়ে দিবে
তারা সিজদায় যেতে
পারবে না, আর
কিছু ফেরেশতা আছে
সিজদারত তারা সারা
জিন্দেগী সিজদাতেই কাটিয়ে
দিবে তারা আত্তাহিয়্যাতে
আসতে পারবে না,
আর কিছু ফেরেশতা
আছে আত্তাহিয়্যাতে তারা
সারা জীবন আত্তাহিয়্যাতের বৈঠকেই কাটিয়ে
দিবে তারা সেখানে
থেকে আর সালাম
ফেরাতে পারবে না।
সুতরাং বুঝা যায়
নামাজ এমন এক
এবাদত যার মধ্যে
আমরা মুসলমানরা ফেরেশতাদের
সকল এবাদত এক
রাকাতেই আাদয় করতে
পারি। আলহামদুলিল্লাহ।
নামাজ ও শিশুর কানে আজান
আপনারা
চিন্তা করে দেখলে
অবাক হবেন- নামাজ
এমন এক এবাদত
যার দাওয়াত সন্তান
দুনিয়ায় ভুমিষ্ট হওয়ার
সাথে সাথে পৌঁছানো
হয়,
তাঁর এক কানে
আযান অপর কানে
একামত দেয়া হয়,
আর তাতে বলা
হচ্ছে হাইয়্যা আলাস
সালাহ, নামাজের দিকে
আস,
অথচ সে মাত্র জন্ম
হয়েছে,
তাছাড়া
এ আযান ও
একামত এর মাধ্যমে
এ কথাও বুঝা
যায় যে তোমার
এ জীবন হল
ক্ষনস্থায়ী, নামাজ ও
একামতের পর জামাত
কায়েম হতে যে
টুকু সময় বাকী
মুলত মানুষের জীবনও
সেটুকু সময়ের মত
অতি নগন্য। আল্লাহ
তায়াল এরশাদ করেন
(কুল
মাতাউদ্দুনিয়া কালিলুন ওয়াল
আখিরাতু খাইরুন ইল্লা
মানিত্তাকা)
অথ্যাৎ হে নবী
আপনি বলুন দুনিয়ার
জীবন খুবই নগন্য
আর আখেরাত হল
মুত্তাকিদের জন্য অতি
উত্তম।
সালাত এর ৩ হরফ
সম্মানিত সুধী সালাহ
এটি আরবী শব্দ
আর এ শব্দে
৩টি মুল হরফ
আছে
(ছদ,
লাম,
আলিফ) আর এর
৩টি অর্থ যেমন
দোয়া, তাজিম, বাঁকা
জিনিষকে সোজা করা
আপনি দেখবেন এ
সালাতের মধ্যে দোয়া
আছে,
আল্লাহর প্রতি সম্মান
আছে,
এবং এ নামাজই
মানুষকে সোজা সুসৃংখল
রাখতে পারে, যেমন
আল্লাহ তায়ালা এরশাদ
করেন
(ইন্নাস
সালাতা তানহা আনিল
ফাকশায়ে ওয়াল মুনকার)
নামাজ এমন এক
এবাদত যা মানুষকে
অশ্লিল কাজসমুহ থেকে
বিরত রাখে।
নামাজ ও পঞ্চইন্দ্রিয়
আমরা জানি মানুষের
মধ্যে খাওয়াছে খামছা
বা পঞ্চ ইন্দ্রিয়
আছে,
৫ওয়াক্ত নামাজ দ্বারা
মুলত মানুষ পঞ্চ
ইন্দ্রিয়ের শুকরিয়া আদায়
করে আর পঞ্চ
ইন্দ্রিয় হল দেখা,
শুনা, শুকা, ছোয়া,
স্বাধ নেয়া।
নামাজ দ্বারা ৫টি বড় নেয়ামতের শুকরিয়া
মানব জীবনে সবচেয়ে
বড় নেয়ামত হল
৫টি আর ৫
ওয়াক্ত নামাজ দ্বারা
মানুষ মুলত প্রতিনিয়ত
৫টি বড় নেয়ামতের
শোকর আদায় করে
বড় নেয়ামত গুলি
হল খাদ্য, পানিয়,
বস্ত্র, বাসস্থান, স্ত্রী
সন্তান
নামাজ দ্বারা ৫টি বড় মসিবত দুর হয়
মানুষের জীবনে ৫টি
বড় বড় মসিবত
ও পরীক্ষা আছে
সব পরীক্ষায় উর্ত্তীণ
হওয়ার জন্য ৫
ওয়াক্ত নামাজ এর
গুরুত্ব রয়েছে যেমন
মৃত্যু, কবর, হাশর,
পুলসিরাত ও মিজান
যে নিয়মিত ৫
ওয়াক্ত নামাজ আদায়
করবে তার জন্য
এ ৫টি পরীক্ষা
সহজ হয়ে যাবে।
সবচেয়ে বড় কবিরা গুনাহ ও ইসলামের বড় আলামত হল নামাজঃ
ইসলাম
ধর্মে সবচেয়ে বড়
কবিরা গুনাহ হল
নামাজ ত্যাগ করা।
জেনা থেকেও মারাত্মক
নামাজ ত্যাগ করা।
কারন নামাজ হল
ইসলামের ইউনিফরম। আপনি
সেনাবাহিনিতে চাকরী করেন
এখন আপনি যদি
বিজয় দিবসে স্টেডিয়ামে
প্যারেড করতে যান
লুঙ্গি পরিধান করে
তাহলে কি আপনাকে
ঢুকতে দেয়া হবে?
সেনাবাহিনির একটিপ ইউনিফরম
আছে সে ইউনিফরম
ছাড়া আপনাকে প্যারেড
করতে অনুমতি দেয়া
হবে না, ইসলামের
ইউনিফরম হল নামাজ,
আল্লাহ
তায়ালা যখন মুশরিকদের
সাথে জিহাদের হকুম
দিলেন এরশাদ করলেন
(ফাইন তাবু ওয়া
আকামুস সালাহ) তাদের
সাথে ততক্ষন জেহাদ
করবে যতক্ষন তারা
তওবা না করে
আর তওবার আলামত
কি?
যদি তারা নামাজে
দাঁড়ায়, অথ্যাৎ যখন
দেখবে তারা নামাজে
দাঁড়িয়ে গেছে তখন
তাঁদের বিরুদ্ধে আর
জিহাদ করা যাবে
না। কারন নামাজ
হল ইসলামের আলামত।
আমরা
হত্যা করাকে বড়
গুনাহ মনে করি
নামাজ ছেড়ে দেয়ো
হত্যা থেকেও বড়
অপরাধ
আমরা
জেনা করাকে বড়
গুহান মনে করি
নামাজ ছেড়ে দেয়া
জেনা থেকেও বড়
অপরাধ
আমরা
ঘুষ দেয়াকে বড়
গুনাহ মনে করি
নামাজ ছেড়ে দেয়া
ঘুষ থেকেও বড়
অপরাধ
শয়তানের কি অপরাধ সে মরদুদ হয়ে গেল?
সে
কি শিরিকি করেছে?
সে কি জেনা
করেছে? সে কি
খুন খারাবি করেছে?
সে কেন মরদুদ
হয়েছে? কারনর সে
মাত্র ১টি সিজদা
করতে অস্বিকার করেছে
তাই সে লানতি
মরদুদ হয়ে গেছে,
আজ আমরা রাত
দিন কত বার
সিজদাকে ইনকার করছি
তার হিসাব নাই।
আজ
ফজরের সময় সিজদা
করনি, জোহরে সিজদা
করনি, আসরে সিজদা
করনি, মাগরিব এশাতেও
সিজদা করনি, এভাবে
৭দিন ১টা সেজদাও
করনি ৮ম দিন
জুমাতে মাথায় টুপি
লাগিয়ে মসজিদে এসেছ,
তুমি কি শুধু
৮ম দিন খাবার
খাও?
তুমি কি শুধু
৮ম দিন পানি
পান কর? তুমি
কি ৮ম দিন
স্বাশ প্রশ্বাস নাও?
তুমি কি ৮ম
দিন সুর্যের আলো
দ্বারা উপকৃত হও?
প্রতিটি মুহুর্ত আল্লাহর
নেয়ামতে ডুবে আছ
আর দিনে ৫
ওয়াক্ত ৫ বার
সারা জাহানের বাদশা
এত বড় বাদশা
তোমাকে ডাক দিচ্ছে
তুমি জবাব দাও
না,
তোমার কি একটুও
ভয় নাই, যদি
তোমাকেও শয়তানের মত
মরদুদ বানিয়ে দেয়।
আজ যদি নেতা
ডাক দেয় জুতা
ছাড়া দৌঁড় দিবে,
যদি থানার ওসি
ডাক দেয় ভাত
পাত থেকে খানা
ছেড়ে দৌড় দিবে,
আর এত বড়
বাদশা ডাকছে তোমার
সেদিকে খেয়ালই নাই।
আমাদের ওজরসমুহঃ
অন্ধকার
বেশী তাই মসজিদে
যায়নি, গরম বেশী
তাই মসজিদে যায়নি,
কবরের অন্ধকার কি
ভুলে গেলে? জাহান্নামের
গরম কি ভুলে
গেলে?
নামাজ এতই গুরুত্বপূর্ণ যে নামাজ ত্যাগ করে দুনিয়ায় তার শাস্তি কি হবে?
যদি
কেহ নামাজকে অস্বিকার
করে তাহলে সে
মুসলমান থাকবে না।
কেহ যদি নামাজকে
গুরুত্বহীন মনে করে
হালকা মনে করে
সেও কাফের হয়ে
যাবে। আর কেহ
যদি নামাজকে ইনকার
করে না হালকাও
মনে করে না,
নামাজের গুরুত্বকে মানে
তবে অলসতা করে
নামাজে যায় না
তাহলে তার ব্যপারে
ওলামায়েকেরাম এর ভিন্ন
ভিন্ন মত রয়েছে
ইমাম
ইসহাক ও ইমাম
আহমদ এর মতেঃ
এ ধরনের হকুম
হল সে কাফের
এবং তাকে কতল
করা ওয়াজিব
ইমাম
মালেক ও ইমাম
শাফেয়ী এর মতেঃ এ ধরনের
লোকের হকুম হল
তাকে হত্যা করা
হবে।
ইমামে
আজম আবু হানিফার
মতেঃ বেনামাজিকে কতল
করা যাবে না
তবে তাকে জেল
খানায় বন্ধি করে
রাখা হবে এবং
তাকে তওবা করার
জন্য তাগাদা দেয়া
হবে,
যদি সে তওবা
করে তাহলে তাকে
জেল থেকে বাহিলে
বের করে দেয়া
হবে।
হযরত
আবদুল কাদের জিলানী
(রহঃ)
এর মতে বেনামাজিকে
মুসলমানদের কবরস্থানে দাফন
করা জায়েজ নাই।
হযরত
সুলতান বাগু (রহঃ)
বলেন- বেনামাজি থেকে
খিনজির শুকরও পানাহ
চায়।
হযরত
সেখ সাদী সিরাজি
(রহঃ)
বলেন- বেনামাজিকে কর্জ
দিও না।যে
আল্লাহর কর্জ আদায়
করে না সে
তোমার কর্জ কিভাবে
পরিশোদ করবে?
যেখানে সময় হবে সেখানেই নামাজের জন্য দাঁড়িয়ে যাবেন
আমরা
অনেক সময় গাড়িতে
থাকি, কোন কাজে
যায়,
তখন সামান্য কারনে
নামাজ ছেড়ে দিই,
অথচ গাড়ীতে আপনি
চড়া অবস্থায় যদি
আপনার টয়লেটে যাওয়ার
হাজত হয় তখন
আপনি যে কোন
উপায়ে গাড়ি থামানোর
ব্যবস্থা করবেন, এ
নামাজকেও গুরুত্ব দিতে
হবে যে কোন
ভাবে নামাজ আদায়
করার ব্যবস্থা করতে
হবে,
চেষ্টা করতে হবে,
চেষ্টায় যদি ব্যর্থ
হন তখন সিটে
বসে ইশারায় হলেও
পড়ে নিবেন। আর
মহিলারা শপিং করতে
গিয়ে নামাজ পড়তে
চেষ্টা করে না,
অথচ উম্মতে মুহাম্মদীর
জন্য সারা জমিনকে
সিজদা করার জন্য
এজাজত দিয়েছেন, আমাদের
নবীজি এরশাদ করেন
আল্লাহ তাযালা পূর্ববর্তী
নবীদের উপর আমাকে
৭টি বিষয়ে ফজিলত
দান করেছেন তার
মধ্যে ১টি ফজিলত
হল পৃথিবীর গোটা
জমিনকে মসজিদ বানিয়ে
দেয়া হয়েছে, যেখানেই
নামাজের ওয়াক্ত হয়েছে
সেখানেই নামাজ পড়ার
জন্য দাঁড়িয়ে যাবেন।
সাহাবাদের নামাজ
আবদূল্লাহ
ইবনে মাসউদ (রাঃ)
বলেন আমরা একে
অপরকে কোন গুনাহের
কারনে কাফের মনে
করতাম না তবে
কেহ যদি নামাজ
ছেড়ে দিত তাকে
আমরা কাফের মনে
করতাম। যে নামাজ
পড়ে না তাকে
আমরা মুসলমান মনে
করতাম না। সাহাবাগন
যদি এ জামানার
মুসলমানদের দেখত তাহলে
সকলকে কাফের মনে
করত,
তারা তাজ্জব বনে
যেত এ কেমন
মুসলমান এক ওয়াক্ত
নামাজ পড়ছে পরের
ওয়াক্তে নামাজ পড়ছে
না,
শুধু জুমায় মসজিদে
আছে ৫ ওয়াক্ত
নামাজে দেখা মিলে
না,
আমাদের এমন নামাজ
দেখে তারা টেনশনে
পাগল হয়ে যেত।
কোন নবী কোন নামাজ পড়েছে
হযরত আদম ও
ফজর নামাজ: হযরত
আদম
(আঃ)
ফজরের নামাজ পড়েছেন,
হযরত আদম (আঃ)
রাতের আধার দেখে
ভীত ছিলেন যখন
সকালে আলো প্রকাশ
হতে লাগল তখন
তিনি শুকরিয়া আদায়াথে
২ রাকাত নামাজ
পড়েছিলেন যারা ফজরের
নামাজ পড়বে তারা
হযরত আদম (আঃ)
এর মত এ
সম্মান অর্জন করতে
পারবে।
ফজরের নামাজ ও
আল্লাহর দিদার: জান্নাতে
জান্নাতিদের জন্য সবচেয়ে
বড় সৌভাগ্যের বিষয়
হবে আল্লাহকে দেখা,
আল্লাহর দিদার লাভ
করা,
আর বান্দা জা্ন্নাতে
আল্লাহর দিদার লাভ
করবে সে সময়টা
হবে ফজরের নামাজের
সময়,
যে সব বান্দা
ফজরের নামাজ আদায়
করবে তাঁদের জন্য
জান্নাতে আল্লাহর দিদার
নসিব হবে।
দোযখের গরম জোহর: জোহরের
সময় প্রচন্ড গরম
হয় আর জাহান্নামও
প্রচন্ড গরম, যারা
নিয়মিত জোহরের গরম
সহ্য করে জোহর
পড়ে তারা জাহান্নামের
গরম থেকে মুক্তি
পাবে,
আদম
(আঃ)
এর গন্দম খাওয়া
ও আছর: হযরত
আদম
(আঃ)
আছরের সময় গন্দম
ফল ভক্ষন করে
ফেলেছিল কিন্তু আল্লাহ
তায়ালা সে ত্রুটি
মাফ করে দিলেন
এখন উম্মতে মুহাম্মদি
যদি নিয়মিত আছর
নামাজ আদায় করে
তার বদলায় আল্লাহ
তায়ালা উম্মতের সকল
ত্রুটি মার্জনা করে
দিবেন।
তেমনি ভাবে আছরের
সময় হযরত ইউনুস
(আঃ)
মাছের পেট থেকে
মুক্তি পেয়েছেন, এটি
অনেক বড় মসিবত
ছিল,
বান্দা যদি আছরের
নামাজ পড়ে তাহলে
এ ধরনের বড়
বড় মসিবত থেকে
আল্লাহ বান্দাকে মুক্তি
দান করবেন।
মাগরীব ও আদম
(আঃ)
এর তওবাঃ আল্লাহ
তায়ালা মাগরীবের সময়
হযরত আদম (আঃ)
তওবা কবুল করেছেন,
বান্দা সারা দিন
যত গুনাহ করুন
সে যখন মাগরীবের
নামাজে দাঁড়িয়ে যাবে
আল্লাহ তায়াল সে
নামাজের বদলায় তার
সারা দিনের গুনাহ
মাফ করে দিবেন।
এশারের নামাজ: এশারের
নামাজ আগের উম্মতদের
কারো উপর ফরয
ছিল না এ
নামাজ উম্মতে মুহাম্মদীর
জন্য স্পেশাল নামাজ,
কারন আমাদের নবীজি
যে মেরাজে গিয়েছেন
তা এশারের ওয়াক্তে
গিয়েছিলেন, আর উম্মতে
মুহাম্মদী যদি এশারের
নামাজ আদায় করে
তাহলে তারা মুলত
রুহানি ভাবে মেরাজ
এর সম্মান অর্জন
করে।
নামাজ ২,৩,৪ রাকাত কেন?
আল্লাহ তায়ালা ১
রাকাত নামাজ ৫
রাকাত নামাজ না
দিয়ে ২,৩,৪
রাকাত কেন দিয়েছেন
এর জবাব উলামায়ে
কেরাম বলেন আল্রাহ
তায়ালা এরশাদ করেন
(জাইলিল মালাইকাতি রুসুলান
উলি আজনিহাতিন মাছনা
ওয়া ছুলাছা ওয়া
রুবাআ)
আল্লাহ তায়ালা মর্যাদা
অনুসারে কোন কোন
ফেরেশতার ২ পাখা,
কোন ফেরেশতার ৩
পাখা আর কোন
ফেরেশতাকে ৪ পাখা
দান করেছেন, বান্দা
যখন এই ২,৩,৪
রাকাত ওয়ালা নামাজ
আদায় করে তখন
আল্লাহ সে বান্দাকে
ঐ সব ফেরেশতাদের
মত সম্মান ও
রুহানি শক্তি দান
করেন।
নামাজে ১৭ রাকাত ফরয কেন?
আমরা ফজরে ২
রাকাত ফরয, জোহরে
৪ রাকাত ফরয,
আসরে ৪ রাকাত
ফরয মাগরীবে ৩
রাকাত ফরয আর
এশারে ৪ রাকাত
ফরয এই যে
১৭ রাকাত ফরয
নামাজ এর রহস্য
কি?
ওলামায়ে কেরাম জবাব
দিয়েছেন নবী (আঃ)
মেরাজে ১৭টি জায়গা
সফর করেছেন যেমন
৮ জান্নাত, ৭
আসমান, ১ আরশ,
১ কুরসি মোট
১৭ স্থানে নবী
(আঃ)
সফর করেছেন, আমরা
উম্মতে মুহাম্মদী যদি
দিনে এই ১৭
রাকাত আদায় করি
তাহলে আল্লাহ তাযালা
আমাদেরকেও এই ১৭
স্থানে রুহানি ভাবে
সফল করিয়ে দিবেন।
প্রতি নামাজে সুরা ফাতেহা কেন পড়তে হয়ঃ
আমরা সুন্নত বলুন,
ফরয বলুন, নফল
বলুন, সব নামাজে
সুরা ফাতেহা পড়তে
হয় এর কারন
কি?
এর কারন হল
আল্লাহ তায়ালা যত
আসমানি কিতাব আছে
সব আসমানি কিতাবকে
পবিত্র কুরআনের মধ্যে
সন্নিবেশিত করে দিয়েছেন,
আর গোটা কুরআনের
যত বিষয়বস্তু আছে
সবকিছুকে সুরা বাকারায়
সন্নিবেশিত করে দিয়েছেন,
আর সুরা বাকারায়
যতকিছু আছে সবকিছুকে
আল্লাহ তায়ালা সুরা
ফাতেহার মধ্যে একিভুত
করে দিয়েছেন। মোট
কথা আল্লাহ যত
আসমানি কিতাব আছে
সবগুলির সারমর্ম হল
এই সুরা ফাতেহা।
যেমন আমরা যখন
বলি
#(আলহামদু
লিল্লাহ) এখানে মুলত
২টি শব্দ যাতে
আল্লাহ প্রসংশা রয়েছে
এখন গোটা কুরানে
যত ধরনের প্রসংশা
আল্লাহ তায়ালা বয়ান
হয়েছে সব প্রসংশা
এই ২টি শব্দের
মধ্যে এসে জমা
হয়ে গেল।
#(রাব্বিল আলামিন)
সারা জাহানের রব,
এখানে সারা জাহান
বলতে আল্লাহর সৃষ্টি
জগত যতটুকু আছে
ততটুকু এই ২টি
শব্দের মধ্যে একত্রিত
হয়ে গেছে। আমরা
মনে করি চাকরী
দ্বারাই আমরা লালিত
পালিত হচ্ছি, ব্যবসা
দ্বারা লালিত পালিত
হচ্ছি, এটা ভুল
ধারনা আর সে
ধরনাকে অস্বিকার করে
আমরা সুরা ফাতেহায়
বলি রাব্বিল আলামিন,
কাল কবরে যখন
যাব তখন ১ম
প্রশ্নই এটা হবে
মান রাব্বুকা তোমার
প্রতিপালক কে? যা
আল্লাহকেই প্রকৃত প্রতিপালক
মানে তাদের জন্য
সেদিন সে প্রশ্নের
জবাব শুদ্ধ হবে।
মুরব্বী
বলাঃ আমরা যাকে
তাকে মুরব্বী বলি
মুরব্বী শব্দের অর্থ
হল লালন পালন
কারী, আপনি আপনার
মা বাবাকে মুরব্বী
বলতে পারেন কারন
মা বাবা সন্তানকে
লালিত পালিত করে,
তবে প্রকৃত রব
হলেন আল্লাহ মাজাজি
ভাবে মা বাবাকে
মুরব্বী বলা যায়,
কিন্তু রাস্তায় বয়স্ক
লোককে মুরব্বী বলা
ঠিক না।
#(আররাহমানির রাহিম)
আল্লাহ রহমান দুনিয়ায়
কাফের মুসলমান সকলের
প্রতি তিনি দয়ালা
আর অন্যদিকে আখেরাতে
রাহিম সেখানে আল্লাহ
শুধু মুমিনের জন্যই
দয়ালা হবেন কাফেরের
জন্য নয় যেমন
আল্লাহ বলেন (ওয়াকানা
বিল মুমিনিনা রাহিমা)
এ রহমান ও
রহিম দ্বারা আল্লাহ
দুনিয়া ও আখেরাতের
সকল দয়া এখানে
প্রকাশ হয়ে গেছে।
#মালিকি এয়াউমিদ্দীন)
এর দ্বারা কুরানে
কেয়ামতের যত কিছু
বর্ণিত আছে সব
কিছু এই মালিকি
এয়াউমিদ্দিন এর মাঝে
প্রকাশিত হয়েছে।
#(ইয়্যাকা নাবুদু)
এর দ্বারা কুরানে
যত ধরনের এবাদত
আছে সব এর
মধ্যে এসে গেছে
#(ওয়াইয়্যাকা নাসতাইন)
সকল সাহায্য দান
রিযিক সংক্রান্ত সব
বিষয় এর মধ্যে
এসে গেছে
#একদেনাস সিরাতাল
মুসতাকিম) কুরানে হেদায়েতের
যত বিষয় আছে
তা এতে এসে
গেছে।
#সিরাতাল্লাজিনা আনআমতা
আলাইহিম) আল্লাহ বলেননি
(সিরাতাল্লাজিনা কুরান ওয়া
হাদীস) কুরান হাদীস
হল সিদা রাস্তা
বরং আল্লাহ এখানে
বলেছেন সঠিক পথ
হল তাদের রাস্তা
যাদের প্রতি আল্লাহর
নেয়ামত নাযিল হয়েছে,
সহজ কথায় নেককার
পরহেজগার লোকদের অনুসরন
করাকে সোজা রাস্তা
বলা হয়েছে। এটাই
হল ইসলামের শিক্ষা
এটাই হল মুসলমান
ও ঈমানদারের জন্য
সঠিক পথ, সে
জন্য যুগে যুগে
যারা আল্লাহর নেক
বান্দাদের পথ অনুসরন
করে এসেছেন তারাই
ভাগ্যবান। আজ আমাদেরকে
ইসলামের এ মুল
শিক্ষা থেকে হঠিয়ে
ভিন্ন দিকে ডায়ভার্ট
করতে চাচ্ছে তা
কি?
বলে কিসের আকাবির?
কিসের ইমাম? কিসের
মাজহাব? কিসের বুযুগূ?
মানতে হবে কুরান
ও হাদীস,
অথচ
আমরা জানি একজন
আলেম একজন ইমাম,
একজন বুযুর্গ যা
বলছে তা কুরান
ও হাদীস থেকেই
বলছে, আমরা কুরান
হাদীস বুঝার মত
সে রকম বুৎপত্তি
অর্জন করতে পারিনি,
যারা বুৎপত্তি অর্জন
করেছেন তাদের অনুসরেই
আমাদের জন্য রয়েছে
সহজ পন্থা। আমরা
এখন যদি নিজে
নিজে বাংলা বই
পড়ে পড়ে ফতোয়া
দিতে আরম্ভ করি
তা হবে আমাদের
জন্য বিপদজনক।
সুরা
ফাতেহায় বলা হচ্ছে
আল্লাহ আমাদেরকে তোমার
নেককার বান্দাদের পথে
চালাও এখন প্রশ্ন
হল সে নেককার
বান্দা কারা?
তার
উত্তর কুরানের অপর
আয়াতে আছে (মিনান
নাবিয়্যিন ওয়া ছিদ্দিকিন
ওয়াশ শুহাদা ওয়াস
ছোয়ালিহিন) নবী, ছিদ্দিক,
শোহাদা ও আউলিয়া
কেরাম এর অনুসরনের
মধ্যমেই আমরা সোজা
রাস্তার সন্ধান পাব।
#গাইরিল মাগদুবি
আলাইহিম ওয়ালদ্দোয়াল্লিন- আগে
আমরা জেনেছি ৪
প্রকার লোককে মানতে
হবে তাহলে সোজা
রাস্তা পাব, আর
৪ প্রকার লোক
যাদেরকে মানা যাবে
না তারা হলেন
(এয়াহুদ, নাসারা, মুশরিকিন এবং মুলহিদিন)
আল্লাহ
সুরা ফাতেহায় সম্পূর্ণ
কুরআনের সকল বিষয়বস্তু
একত্রিত করে দিয়েছেন
তাই আপনি যখন
সুরা ফাতেহা পাঠ
করবেন তখন তাতে
চিন্তা করবেন তাহলে
আপনার মন এদিক
সেদিক দৌড়াবে না।
নামাজ কবুল হয়েছে কিনা বুঝার উপায়
(ফামিন
আলায়েমে কবুলিল্লাহে লিস
সালাহ ) নামাজ কবুল
হওয়ার আলামত হল
(আন এয়াশ আরাল
মুসাল্লি ফিহা বিলাজ্জাতিল
একবালে আলাল্লাহ) নামাজ
পড়ার সময় নামাজি
যদি সত্যি সত্যি
এটা অনুভব করে
যে আমি আল্লাহর
সামনে দাঁড়িয়ে আছি,
তখন নামাজি বুঝে
নিবেন আপনার নামাজ
আল্লাহর কাছে কবুল
হচ্ছে।
আরেকটি আলামত হল
যে আমল আল্লাহর
দরবারে কবুল হয়
আল্লাহ সে আমলটি
ধরে রাখার মত
তৌফিক সে বান্দাকে
দিয়ে দেন। সে বান্দা
কখনো সে আমল
থেকে আর বিমুখ
হননা।
অথ্যাৎ এক ওয়াক্ত
নামাজ পড়ার পর
২য় ওয়াক্ত নামাজ
এর জন্য মন
উতালা হয়ে থাকাই
হল ১ম নামাজ
কবুল হওযার লক্ষন।
আরেকটি আলামত হল নামাজ পড়ার পর নামাজি ব্যক্তির গুনাহের
পরিমান কমে যাবে নামাজির গুনাহের পরিমান যতটুকু কমে যাবে তার নামাজ ততটুকু কবুল হবে, নামাজি লোক যে গুনাহ আগে নির্দ্বিধায় করত নামাজ পড়ার পর সে
গুনাহ করতে গেলে তার বিবেক বাধা দেয় তখন বুঝতে হবে তার নামাজ প্রভুর দরবারে কবুল
হচ্ছে। যেমন আ?ল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন নামাজ গুনাহ
থেকে বিরত রাখে (ইন্নাস সালাতা তানহা আনিল ফাহশাই
ওয়াল মুনকার)
আল্লাহ নামাজকে কেন এত ভালবাসেন?
নবী
(আঃ)
এরশাদ করেন মুমিন
ও কাফেরের মধ্যে
পার্থক্য করার মাধ্যম
হল নামাজ। যে
বান্দা নামাজ পড়বে
আল্রাহ তায়ালা তার
সকল কাজের জিম্মাদার
হয়ে যান, এবং
তার সকল কাজে
আল্লাহর সাহায্য নেমে
আসে। আল্লাহ নামাজ
এত বেশী পছন্দ
করার কারন হিসেবে
ওলামায়ে কেরাম বলেন
আমাদের নবীর নাম
মোবারক হল আহমদ
আর নামাজে বান্দা
এর শারীরীক গঠন
হয় আহমদ যেমন
দাড়ানো অবস্থায় হল
আলিফ, রুকু অবস্থায়
হল হা, সিজদা
অবস্থায় হল মিম,
বৈঠকে হয় দাল,
আল্লাহ তায়ালার নামাজ
পড়তে গিয়ে বান্দা
যখন তার শারীরীক
গঠনকে আল্লাহ প্রিয়
বান্দা আল্লাহর মাহবুব
মুহাম্মদ/আহমদ এর
হালত গ্রহণ করে
তখন আল্লাহ অত্যন্ত
খুশি হয়ে যান।
দুনিয়ার সিজদা ও আখেরাতের সিজদা
যারা দুনিয়ায় নিয়মিত
সিজদা করে আখেরাতে
সে সব বান্দারাই
সিজদা করতে পারবে,
কুরানে মজিদে আছে
আল্লাহ তায়ালা কিয়মাতের
ময়দানে সকল বান্দাকে
দাঁড় করাবেন এবং
ফরমাবেন
يَوْمَ يُكْشَفُ عَن سَاقٍ
وَيُدْعَوْنَ إِلَى السُّجُودِ فَلَا يَسْتَطِيعُونَ
গোছা পর্যন্ত পা খোলার দিনের কথা স্মরণ কর, সেদিন
তাদেরকে সেজদা করতে আহবান জানানো হবে, অতঃপর
তারা সক্ষম হবে না। [ সুরা
কালাম ৬৮:৪২ ]
যখন আল্লাহ
কেয়ামতের মাঠে তজল্লি
ফরমাবেন তখন যারা
নামাজি সকলে সিজদায়
অবনত হবে, আর
যারা বে নামাজি
তাদের কোমর বাকা
করতে পারবে না
তারা সিজদায় যেতে
পারবে না,
ফেরেশতারা জাহান্নামীদের প্রশ্ন করবে
ফেরেশতারা
জাহান্নামীদের প্রশ্ন করবে
তোমরা কেন জাহান্নামে
এসেছ? তখন জাহান্নামীরা
উত্তর দিবে(লাম
নাকুম মিনাল মুছাল্লিন)আমরা
নামাজি ছিলাম না
তাই আজ আমাদের
এ অবস্থা। সে
জন্য আমাদের উচিত
অত্যন্ত গুরুত্ব ও
আন্তরিকতার সাথে নামাজ
আদায় করা।
নামাজ আগে না কাজ আগে?
যখনই
নামাজ ও কাজ
এক সাথে আসে
তখন আগে নামাজকে
অগ্রাধিকার দিতে হবে
তারপর কাজ করতে
হবে তাহলে আল্লাহ
তায়ালা সে কাজে
বরকত দান করবেন।
এ
এক কামার এর ঘটনা: সে
মৃত্যু বরণকরার অনেক
বছর পর কোন
কারনে তার কবর
খুলে গেল তখন
দেখা গেল তার
কবরে তার লাশ
একেবারে তরতাজা, কাফনেও
ময়লা লাগেনি, লোকজন
তার কবর আবার
ঢেকে দিল এবং
তারা আরো আশ্চর্য্য
হল যে তার
কবর থেকে খুশবু
বের হচ্ছে, তখন
তারা সে লোকের
স্ত্রীর কাছে গিয়ে
প্রশ্ন করল তার
কি আমল ছিল,
তার স্ত্রী বলল
আমার স্বামী তেমন
কোন আমল করতেন
না তবে তিনি
কামারের কাজ করতেন
তিনি যখনই কামারের
কাজ করতেন যখন
আযানের শব্দ শুনতেন
তখন তিনি যে
হাতুরি তুলেছেন সেটা
আর মারতেন না,
মাটিতে রেখে দিতেন
আর মসজিদে চলে
যেতেন, আর তার
এ আমলের কারনে
হয়ত আল্লাহ তায়ালা
তাকে এ সম্মান
দান করেছেন।
নামাজের বরকতে উট ফেরত
এক
কৃষক লোক তার
জমিনে পানি দেয়ার
সময় হল জোহরের
সময় একদিন পানি
দেয়ার সময়ে জোহরের
আজান হয়ে গেল,
সে জমিনে পানি
না দিয়ে ঘরে
চলে আসল, ঘরে
এসে দেখে তার
উটটি তাঁর স্ত্রী
খুজছে, সেটি কোথায়
যেন পালিয়ে গেছে,
স্ত্রী বলল আপনি
উটটা একটু খুজে
দেখনে, সে বলল
আগে নামাজ পড়ব
তারপর উট খুজব,
সে নামাজের জন্য
মসজিদে চলে গেল
যে নামাজ পড়ে
যখন ঘরে আসল
দেখল তার দরজায়
উট বাঁধা লোকটি
তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা
করল উট কোথা
থেলে এল? তখন
মহিলা তার স্বামী
কে বলল আমি
রুটি বানাচ্ছিলাম হঠাৎ
কুকুরের ঘেউ ঘেউ
আওয়াজ শুনলাম দেখলাম
কয়েকটি কুকুর আমার
উটকে তাঁড়িয়ে নিয়ে
আসছে, আমি তাকে
ধরে বেঁধে রাখলাম,
এবার লোকটি রুটি
খেয়ে জমিনে গিয়ে
দেখে তার জমিনে
পানি সেচ হয়ে
গেছে, সে আশ্চর্য্য
হয়ে গেল, আর
তার পাশের জমিনে
যে কৃষক তাকে
জিজ্ঞাসা করলাম আমার
জমিন কিভাবে পানি
আসল?
সে বলল আমি
আমার জমিনে পানি
দিচ্ছি আর আমার
জমিনের অপর বাঁধ
খোলা ছিল আর
সে খোলা জায়গা
দি?য়ে
তোমার জমিনে পানি
চলে গেল, আমি
খেয়ালও করিনি যে
সব পানি তোমার
জমিনে চলে গেল। সুবহানাল্লাহ এভাবেই
আল্লাহ তায়ালা নামাজের
বরকতে বান্দাকে তার
সকল কাজে সাহায্য
করেন।
সৌদি আরবে আজান ও দোকান বন্ধ না করা
১৪
শত বছর যাবত
সৌদি আরবে আযানের
এ মর্যাদা দিয়ে
আসছে, সারা দুনিয়ায়
অন্য কোথাও নামাজের
সময় দোকান বন্ধ
করে দেয়ার রেওয়াজ
ছিল না শুধু
সৌদি আরবেই বাকী
ছিল কিন্তু দুঃখজনক
হলেও সত্যি সে
রেওয়াজ গত কয়েকদিন
আগে শিথিল করে
দেয়া হয়েছে, এখন
আর আপনি আযান
দিলে নামাজের জন্য
ব্যবসা বন্ধ করতে
হবে না।
আরশের ছায়ায় নুরে সাতার কাটা
নবী করিম (দঃ) মেরাজের রাতে অসংখ্য লোককে বিভিন্ন আযাবে মুবতালা দেখতে পেলেন সেখানে ১ ব্যক্তিকে আল্লাহর আরশের নুরে সাতার কাটতে দেখলেন তার চারপাশে নুর আর নুর সে নুরে সে ব্যক্তি ডুবে ছিল। হুযুর (দঃ) প্রশ্নকরলেন এ লোকটি কে যে আল্লাহর নুরের সাগরে এভাবে ডুবে আছে? সে কি কোন ফেরেশতা জবাব এল না, আবার জিজ্ঞাসা করলেন একি কোন আম্বিয়া নাকি? জবাব এল না, তখন হুযুর প্রশ্ন করলে তাহলে সে কে? তখন জবাব এল হে আল্লাহর হাবীব এ হল আপনার উম্মতের এমন এক লোক যার মাঝে ৩টি গুণ আছে (১) এ লোকের জবান আল্লাহর জিকির দ্বারা সদা তাজা থাকত (২) ওয়া কালবুহুম মুআল্লাকুন বিল মাসাজিদ - এর অন্তর সদা মসজিদের সাথে আটকে থাকত। আপনারা লক্ষ্য করলে দেখবেন কিছু লোক আছে যারা মসজিদে কোন প্রোগ্রাম হলে সবার আগে,
মসজিদের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার কাজে সবার আগে, মসজিদের যে কোন কাজে সে সকলের আগে থাকে, পেরাক যেমন কাঠে লাগালে আর ছুটেনা এ সব লোকও মসজিদের সব ধরনের খেদমতে নিজেকে সদা সর্বদা নিয়োজিত রাখে, এসব লোক যখন কোন কারনে অসুস্থ হয়ে যায় তখন আল্লাহ তায়ালা একদল ফেরেশতা পাঠান এ বান্দার সেবা করার জন্য। সুবহানাল্লাহ। মনে রাখবেন মসজিদের খেদমত করতে পারে এটা যারা সৌভাগ্যবান খোশ নসিব তারাই করতে পারে। যারা দুর্ভাগা তারা এ সৌভাগ্য অর্জন করতে পারে না। অপর এক হাদীসে আছে যে মসজিদ তৈরীর কাজে অতি সামান্যতমও অংশ নেয় আল্লাহ তায়ালা তার জন্য জান্নাতে মহল তৈরী করে দেন। সুবহানাল্লাহ। (৩) এ লোকটির ৩য় গুন হল সে জীবনে এমন কোন কাজ করেনি যার জন্য মানুষ তার মা বাবাকে মন্দ বলতে পারে, অথ্যাৎ তাঁর আচরনের কারনে তাঁর মা বাবাকে কেহ কোনদিন মন্দ বলার সুযোগ পায়নি। এ ৩টি গুণ থাকার ফলে আজ সে আল্লাহর আরশের নুরে ডুবে আছে।সাতার কাটছে। সুবহানাল্লাহ।
গায়েবী আওয়াজ
লোকটির সারা রাতের নামাজ কবুল হয় না
এক
লোক সারা রাত
এবাদত করত যখন
সে জায়নামাজ থেকে
উঠত গায়েবী আওয়াজ
আসত বান্দা তোমার
নামাজ কবুল হয়নি,
সে লোক পরের
দিন আবার মুসাল্লায়
দাঁড়িয়ে যায়, সারা
রাত সিজদায় লুটিয়ে
পড়ে,
কাঁদতে থাকে, এবাদত
করে কিন্তু এ
রাতেও একই আওয়াজ
তোমার নামাজ আমার
কাছে গ্রহণযোগ্য নয়,
এভাবে অনেক দিন
যাবৎ সে রাত
জেগে নামাজ পড়তে
থাকে, একদিন সে
এ কথা মসজিদের
ইমামকে জানাল, মসজিদের
ইমাম তাকে বলল
যদি এমনই হয়
তাহলে তুমি এমন
নামাজ পড়ে রাত
জেগে থেকে লাভ
কি?
তখন লোকটি ইমাম
সাহেবের কথা শুনে
অঝোরে কাদতে লাগল
আর বলতে লাগল
আমার রব আমাকে
ভালবাসেনা কিন্তু আমিতো
আমার প্রভুকে ভালবাসি,
তাহলে আমি কিভাবে
সে প্রভুকে সিজদা
করা থেকে বিরত
থাকব? এ কথা
বলে সে চলে
গেল সে রাতে
সে যখন নামাজে
দাড়াল তখন গায়েবী
আওয়াজ আসতে লাগল
বান্দা আমি তোমাকে
ভালবাসি, তুমি প্রতিদিন
যখন এবাদত কর
তা আমার খুবই
পছন্দ আরো পছন্দ
যখন তোমাকে বলা
হত তোমার এবাদত
কবুল হয়নি কিন্তু
তারপরও যখন তুমি
পুনরায় আমার সামনে
এসে হাজির হয়ে
যেতে তখন তোমার
এ কাজটি আমার
খুব বেশী পছন্দ
হত। সুতরাং কবুল
করার মালিক আল্লাহ,
আমাদের ডিউটি হল
নামাজ পড়ে যাওয়া।
নামাজ ত্যাগকারীর মাথায় পাথর দিয়ে আঘাত করা
فَخَلَفَ مِن بَعْدِهِمْ خَلْفٌ
أَضَاعُوا الصَّلَاةَ وَاتَّبَعُوا الشَّهَوَاتِ فَسَوْفَ يَلْقَوْنَ غَيًّا
অতঃপর তাদের পরে এল
অপদার্থ পরবর্তীরা। তারা নামায নষ্ট করল এবং কুপ্রবৃত্তির অনুবর্তী হল। সুতরাং
তারা অচিরেই পথভ্রষ্টতা প্রত্যক্ষ করবে। [ সুরা মারঈয়াম ১৯:৫৯ ]
মুসনাদে আহমদ শরীফ’ উনার মধ্যে বর্ণিত রয়েছে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম ইরশাদ করেন- যে ব্যক্তি নামাযের হিফাযত করলো না অর্থাৎ আদায় করলো না, ক্বিয়ামতের দিন সে নাজাত পাবে না ও নাজাতের সনদও সে পাবে না
এবং সে কোনো প্রকার নূর বা আলোও পাবে না, আর সে ফিরআউন, হামান ও উবাই ইবনে খলফ্ প্রভৃতি কাফির ও মুনাফিকদের সাথে
জাহান্নামে যাবে। নাউযুবিল্লাহ!
হযরত মুয়ায ইবনে জাবাল রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বর্ণনা করেন, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি আমাকে ১০টি ওছীয়ত করেন তন্মধ্যে প্রথমটি হলো, মহান আল্লাহ পাক উনার সাথে কাউকে শরীক করবেন না; যদিও আপনার দেহকে খন্ড বিখন্ড করা এবং আগুনে পোড়ানো হয়। আর দ্বিতীয়টি হলো, কোনো অবস্থাতেই ফরয নামায ত্যাগ করবেন না। কারণ যে ইচ্ছাকৃত ফরয নামায ত্যাগ করে বা ছেড়ে দেয়, মহান আল্লাহ পাক তিনি তার কোনোই দায়িত্ব গ্রহণ করেন না। নাউযুবিল্লাহ!
নামায না পড়ার শাস্তি অত্যন্ত ভয়ানক। যেমন “বুখারী শরীফ” এর মধ্যে বর্ণিত হয়েছে, “একবার নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ফজর নামাযের পর ইরশাদ করেন, আজ রাতে দু’জন ফেরেশতা আলাইহিমাস সালাম এসে আমাকে উনাদের সাথে নিয়ে চললেন। পথিমধ্যে দেখতে পেলাম এক ব্যক্তি মাটিতে পড়ে আছে এবং আর এক ব্যক্তি তার শিয়রে দাঁড়িয়ে খুব জোরে তার মাথায় পাথর মারতেছে। পাথরের আঘাতে তার মাথা চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যাচ্ছে এবং নিক্ষিপ্ত পাথর খন্ডও ছিটকে দূরে গিয়ে পড়তেছে। আর আঘাতকারী পাথর তুলে আনার ফাঁকে ঐ চূর্ণ মাথা পুনরায় ঠিক হয়ে যাচ্ছে এবং ঐ ব্যক্তি পুনরায় পাথর দিয়ে শায়িত ব্যক্তির মাথায় আঘাত করতেছে এবং সাথে সাথে মাথা ভেঙ্গে টুকরা টুকরা হয়ে যাচ্ছে এবং দূরে ছিটকে পড়া পাথর আনার ফাঁকে আবার তার মাথা জোড়া লেগে যাচ্ছে। এরূপ সে বারবার পাথর দিয়ে আঘাত করতেছে এবং মাথাও বারবার জোড়া লাগতেছে। আমি তখন হযরত ফেরেশতা আলাইহিমাস সালাম উনাদেরকে জিজ্ঞাসা করলাম, এই ব্যক্তি কে এবং তার অপরাধই বা কি? হযরত ফেরেশতা আলাইহিমাস সালাম উনারা উভয়ে বললেন, এই ব্যক্তি ফরয নামায তরক করে শুয়ে পড়তো অর্থাৎ সে ফরয নামায আদায় করতো না।” নাউযুবিল্লাহ!
বে নামাজির জন্য দুনিয়ায় ৬টি মসিবত আছে
১।
বেনামাজীর জন্য দুনিয়ায়
প্রথম আযাব হল
তার হায়াত কমে
যায়,
আপনারা খেয়াল করলে
দেখবেন আগের
যুগে মানুষ দীর্ঘ
হায়াত পেত, ৭০/৮০/৯০
বছরের আগে মানুষ
খুব কম মারা
যেত। কারন তারা
নামাজি ছিল, কিন্তু
আজকাল দেখবেন সকালে
আপনার সাথে বসে
বসে দোকানে চা
খেয়ৈছে দুপুরে শুনছেন
সে মারা গেছে
বয়স কত? ৩৫,
৪০। এ ধরনের
কম বয়সে অধিকাংশ
লোক মারা যায়
তাদের মধ্যে বেশীরভাগ
লোকই বেনামাজি। আমাদের
প্রিয় নবী (দঃ)
এরশাদ করেন নামাজের
বরকতে মানুষের হায়াতে
আল্লাহ তায়ালা বরকত
দান করেন।
২।
২য় মসিবত হল-বেনামাজীর
চেহেরা থেকৈ নুরানিয়ত
দুর হয়ে যাবে,
আজকাল যে পরিমান
ফেইস ওয়াশ, ফেইস
ক্রিম বিক্রী হচ্ছে
বিগত দিনে এত
কিছু ছিল না
তবুও মানুষের চেহেরায়
ছিল সৌন্দর্য্য মাধুর্য্য,
আজকাল ফেইস ওয়াশ,
ফেইস ক্রিম ব্যবহার
করার পরও মানুষের
চেহেরার সৌন্দর্য্য নষ্ট
হয়ে যাচ্ছে এর
কারন হল ওয়াক্ত
মত নামাজ না
পড়ার কারনে।
৩। ৩য় ৩য় মসিবত
হল-
বেনামাজীর নামাজ না
পড়ে অন্যান্য ভাল
ভাল কাজ করলেও
সে সব ভাল
কাজের বরকত সে
অর্জন করতে পারে
না। নামাজ পড়ে
না কিন্তু রাতদিন
মসজিদের খেদমত করছে,
নামাজ পড়ে না
রাত দিন মা
বাবার খেদমত করছে,
নামাজ পড়ে না
রাত দিন কুরান
তেলাওয়াত করছে, এসব
কাজের যে উপকারিতা
যে ফজিলত বেনামাজি
এর উপকারিতা থেকে
বঞ্চিত হবে। আমাদের
এটা কু অভ্যাস
আমরা ফরয নামাজ
পড়ি না কিন্তু
কারো জানাযা হবে
শুনলে তাতে ঝাপিয়ে
পড়ি,
রোগীর সেবা করতে
ছুটে যায়, মনে
রাখবেন এসব কাজ
অবশ্যই খুবই কল্যাণকর
কাজ কিন্তু এসব
কল্যানকর কাজের বরকত
আপনি তখনই অর্জন
করতে পারবেন যখন
আপনি ফরয নামাজ
নিয়মিত পড়বেন।
৪।
বেনামাজির জন্য ৪র্থ
মসিবত হল সে
যে দোয়াই করুক
না কেন তার
সে দোয়া জমিন
ও আসমানের মাঝখানে
লটকে থাকে। তার
দোয়া কবুল হয়না।
আপনার দুনিয়ার সব
কাজের জন্য সময়
আছে শুধু ৫
ওয়াক্ত নামাজের জন্য
টাইম নাই, আর
সকলকে শেকায়েত করে
ফিরেন আমার কোন
দোয়া কবুল হয়না,
কিভাবে কবুল হবে?
কবুল হওয়ার জন্য
যে রাস্তা তা
আপনি ছেড়ে দিয়েছেন।
আপনার ক্রিকেট দেখার
টাইম আছে, বাজারে
ঘুরাফেরার করার টাইম
আছে,
ফেইসবুক চালাতে সময়
আছে শুধু সময়
নাই নামাজের। আপনার
দোয়া কিভাবে কবুল
হেব?
৫।বেনামাজির ৫ম মসিবত
হল-
সে নিজে দোয়া
করলে তাতো কবুল
হয়ইনা, এমনকি কোন
নেককার বান্দা যখন
তার জন্য দোয়া
করে সে নেককারের
দোয়াও তার জন্য
কবুল হয় না।
আমার জানা এক
মাওলানা সাহেব কাউকে
তাবিজ দিলে তাঁকে
বলে দিতেন বেটা
আমার এ তাবিজ
তখন কাজ করবে
যদি তুমি নামাজ
পড়,
যদি নামাজ না
পড় তাহলে আমার এ
তাবিজ কোন কাজ
দিবে না। আজকাল
তাবিজ যিনি দেন
সেও পড়েনা আর
যে তাবিজ বাধেন
সেও পড়ে না।
৬।
বেনামাজির ৬ষ্ঠ মসিবত
হল-
তার রুজি রোজগার
থেকে বরকত উঠে
যায়। যারা আযানের
পর মসজিদে আসে
তাদেরকে আল্লাহ তায়ালা
রুজি রোজগারও দেন
বরকতও দান করেন।
আর যারা মসজিদে
আসে না নামাজ
পড়ে না তাদেরকে
আল্লাহ রুজি রোজগার
দেন কিন্তু বরকত
ছিনিয়ে নেন। তাই
আজ সবাই শুধু
বলে অভাব অভাব
অভাব। কারন একটাই
এহতেমামের সাথে ধীরে
সুস্থে একনিষ্টভাবে নামাজ
পড়ে না।
কোন মন্তব্য নেই