মহররম এর ফজিলত ও আমল


মহররম ১৪৪১ হিজরী মাসের ১ম খুতবা
 মহররম এর ফজিলত ও আমল হায়াতে রিযিকে সকল কাজে বরকত ও আল্লাহর রহমত এবং আগামী একবছর সুন্দর ভাবে কাটানোর আমল ও দোয়া

মহররম এর ৭ ফজিলত
মহররম একটি মোবারক মাস এ মোবারক মাসের ফজিলতের ব্যাপারে রসুলুল্লাহ (দঃ) এর কিছু বাণী আছে এ মাসটি ইসলামী মাসের প্রথম মাস হিসেবে স্বীকৃত রসুলুল্লাহ (দঃ) এর হিজরতের সময়কে এ হিজরী সনের ভিত্তি হিসেবে প্রচলন করেছেন
১৭ হিজরীতে হযরত আবু মুসা আশআরী (রাঃ) এর পরামর্শক্রমে সৈয়্যদুনা ওমর ফারুক (রাঃ) সকল সাহাবাগনের পরামর্শক্রমে এ সন গননা শুরু করেন সুতরাং এ হিজরী সনের সাথে আমাদের প্রিয় নবীর হিজরতের ঘটনা ওতপ্রোতভাবে জড়িত
এ মাসের ২য় ফজিলতহল এ মাসটি হারাম মাস রাসুলুল্লাহ (দঃ) এর ফরমানে মুয়াজ্জাম হল (আচ্ছানা ইছনা আশারা শাহারান ) বছরে ১২টি মাস (মিনহা আরবাআতুন হুরুম) তাতে ৪টি মাস হারাম মাস (ছালাছাতুন মুতাওয়ালিয়াত) ৩টি মাস পরপর আসে (জুলকুদা, জুলহিজ্জা, মহররম)  (ওয়ারাজাবু মুদার আল্লাজি বায়না জুমাদা ওয়া শাবান) আর ৪র্থ মাসটি হল রজব মাস যা জুমাদাল আখের ও শাবানের মাঝে রয়েছে
এ মাসের ৩য় ফজিলত হলরাসুলুল্লাহ (দঃ) এর কাছে এ মাসটি খুবই পছন্দনিয় ছিল কেন পছন্দ করতেন জানেন? হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) এরশাদ করেন ( মা রাআইতুন নাবিয়্যা ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াছাল্লাম এয়াতাহাররা  ছিয়ামা এয়াউমিন ফাদ্দালাহু আলা গাইরিন ইল্লা হাজাল এয়াউম এয়াউমা আশুরা ওয়া হাজাশ শাহার এয়ানি রামাদান) আমি রমজানের রোজা, মহররম এর রোজা বিশেষ করে মহররমের ১০ তারিখের আশুরার রোজার যে গুরুত্ব দিতে দেখেছি অন্য কোন রোজা এমন গুরুত্ব দিতে দেখিনি
এ হাদীসে বুঝা যায় আমাদের নবীজি ১০ মহররমের রোজা রাখতেন খুবই গুরুত্ব সহকারে তবে ইহুদীরাও ১০ মহররম রোজা রাখত তাই তাদের সাথে সামাঞ্জস্য না রাখার জন্য ৯,১০,১১ মহররম ৩ দিন কিংবা ৯,১০ দুই দিন অথবা ১০,১১ মহররম ২ দিন রোজা রাখা উচিত
চতুর্থ ফজিলত হল- রাসুলুল্লাহ (দঃ) রমজানের পর রোজা রাখার ব্যপারে সবচেয়ে আফজল মাস হিসেবে ঘোষনা দিয়েছেন এ মুহররম মাসকে
সহিহ মুসলিমে ১৯৮২ নং হাদীস হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াছাল্লামের ফরমান (আফদালুস ছিয়াম বাদা রামাদান শাহরুল্লাহ আল্লাজি তাদউনাহু আল মুহাররাম)রমজানের পর সবচেয়ে আফজল রোজা সে মাসের যাকে তোমরা মহররম বলে ডাক
পঞ্চম ফজিলত- এ মোবারক মাস গুনাহ মাফের মাস হিসেবে ঘোষনা করেছেন সহিহ মুসলিমের ১১৬২ নং হাদীস হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ (দঃ) এরশাদ করেন যে মহররম এর রোজা রাখে ১টি রোজার কারনে তার ১ বছরের গুনাহ মাফ করে দেন
মুসলিম শরীফের ১১৬৩ নং হাদীস হযরত আবু কাতাদা হতে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ (দঃ) এর কাছে প্রশ্ন করা হল (ওয়া ছুঈলা আন ছাউমি এয়াউমি আশুরা) ১০ মহররমে রোজা রাখার ব্যপারে প্রশ্ন করা হল (ফাকালা ইউকাফফিরুস সানাতাল মাদিয়া) এর ১টি রোজার কারনে তার বিগত জীবনের ১ বছরের গুনাহকে আল্লাহ তায়ালা মাফ করে দেন
ষষ্ঠ ফজিলত- এ মাসকে আল্লাহর মাস বলা হয়েছে- আল্লাহর কাছে এটি সম্মানিত মাস- সৈয়্যদুনা আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণনা করেন- সহিহ মুসলিম এর ১৯৮২ নং হাদীস রসুলুল্লাহ (দঃ) এরশাদ করেন (আফদালুস সিয়াম বাদা রামাদান শাহরুল্লাহ) রমজানের পর আফজল রোজা হল আল্লাহর মাসের রোজা এখানে আল্লাহর মাস বলতে মহররমকে বুঝানো হয়েছে১২ মাসের মধ্যে কোন মাসের সাথে আল্লাহর নবী শাহরুল্লাহ শব্দটি ব্যবহার করেননি এ সম্মান শুধু এ মহররম মাসের জন্য খাছ
সপ্তম ফজিলত-এ মাসে রাসুলে কারীম (দঃ) নিজের কন্যার বিয়ের ব্যবস্থা করেছেন সে হিসেবেও এ মাসটি গুরুত্বপূর্ণ৩য় হিজরীর মহররম মাসে সৈয়্যদুনা উম্ম কুলসুমের বিবাহ হযরত ওসমান (রাঃ) সাথে অনুষ্ঠিত হয়
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে এ মাসের খায়র ও বরকত হাছিল করার তৌফিক দান করুন আমিন
মহররম মাসের আশুরার দিন সংগঠিত কিছু ঐতিহাসিক ঘটনা
এ দিনটি একটি পবিত্র দিন কেননা এ দিনেই আসমান ও যমিন সৃষ্টি করা হয়েছিল । এই দিনে পৃথিবীর প্রথম মানুষ হযরত আদম (আঃ) কে সৃষ্টি করা হয়েছে । ১০ই মহররম আল্লাহ নবীদেরকে স্ব স্ব শত্রুর হাত থেকে আশ্রয় প্রদান করেছেন । এই দিনে নবী মুসা (আঃ) এর শত্রু ফেরাউনকে নীল নদে ডুবিয়ে দেয়া হয় । হযরত নুহ (আঃ) এর কিস্তি ঝড়ের কবল হতে রক্ষা পেয়েছিল এবং তিনি জুদি পর্বতশৃঙ্গে নোঙ্গর ফেলেছিলেন এই দিনেই । এই দিনে হযরত দাউদ (আঃ) এর দোয়া কবুল হয়েছিল, নমরুদের কবল থেকে হযরত ঈব্রাহীম (আঃ) উদ্ধার পেয়েছিলেন, হযরত আইয়ুব (আঃ) দূরারোগ্য ব্যাধি থেকে মুক্ত ও সুস্থতা লাভ করেছিলেন । এদিনে হযরত ঈসা (আঃ) কে আল্লাহ তায়ালা উর্ধ্বাকাশে উঠিয়ে নিয়েছিলেন । হাদিস শরীফে বর্ণিত আছে যে ১০ই মহররম কেয়ামত সংগঠিত হবে’ (আল হাদীস)
এবার আসুন নতুন বছরকে আমরা নবরুপে সাজাতে কিছু ফজিলতময় আমল সম্পর্কে জানি যা আমাদের আগামী বছর তথা আগামী জীবনকে সুন্দর করবে
মনে রাখবেন- ২টি আমলের রেজাল্ট খুবই দ্রুত পাওয়া যায়
হাদীসে পাকে আসছে ২টি কাজের বদলা খুব তাড়াতাড়ি পাওয়া যায়, মনযোগ দিয়ে শুনুন আর নওজোয়ান ভাই বোনেরা কথা ২টিকে আয়ত্ব করে নিন-
২টি জিনিষের বদলা মানুষ খুবই দ্রুত ফিরে পায়
যদি ভাই বোন, ভাই ভাই একে অপরের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখে অটুট রাখে তাহলে এর বরকত তার জীবনে খুব তাড়াতাড়ি প্রকাশিত হয়
যদি কেহ অহংকার পূর্ণ কথা বলে সে অহংকারী কথার আযাব মানুষের জীবনে খুবেই তাড়াতাড়ি প্রকাশিত হয় সে নিজের চোখেই তা দেখতে পাবে
সুতরাং ভাই বোনের বন্ধন, ভাই ভাই একে অপরের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখার, অটুট রাখার ছাওয়াব পুরস্কার দ্রুত পাওয়া যায় আর অহংকার জুলুমের আযাবও খুব দ্রুত হাতে হাতে নগদ পাওয়া যায়
সুতরাং আমাদের উচিত ভাই বোন, ভাই ভাই, বোন বোন একে অপরের সাথে সম্পর্ককে সুন্দর মহব্বতপূর্ণ ভাবে টিকিয়ে রাখি আরো মনে রাখবেন সম্পর্ক বজায় রাখাতে যেমন হাতে হাতে বরকত পাবেন, নিজের চোখে বরকত দেখতে পাবেন ঠিক তেমনি সম্পর্ককে ভেঙ্গে দিলে তেমনি দ্রুত গতিত আপনার জীবনের বরকত রিযিকে বরকত উঠে যেতে নিজ চোখে দেখতে পাবেন
১টি হাদীসে মোবারকে নবী (আঃ) এরশাদ করেন সিলা রেহমীর তথা ভাই বোনের মধুর সম্পর্কের ফলে আল্লাহ তায়ালা বান্দাকে ৩টি নেয়ামত ৩টি পুরস্কার দান করেন প্রথম পুরস্কার আল্লাহ তায়ালা বান্দার হায়াত বৃদ্ধি করে দেন, আল্লাহ তায়ালা বান্দার রিযিক কোষাদা করে দেন, খোলা রিযিক দান করেন, সিলা রেহমী কারীদের কখনো রিযিক সংকোচিত করে দেন না তাদেরকে খোলা রিযিক দুনিয়ায় আল্লাহ তায়ালা দান করেনতৃতীয় পুরস্কার সিলা রেহমীকারীকে আল্লাহ তায়ালা খারাপ মৃত্যু থেকে হেফাজত করেন
তাহলে আপনার ধন দৌলতেও বরকত হয়ে গেল, হায়াতেও বরকত হয়ে গেল মৃত্যুতেও কলমা নসিব হয়ে গেল, এবার বলুন একজন বান্দা ছাড়া জীবনে আর কি চায়?
আমাদের অধিকাংশ পেরেশানী হয়ত স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট, কিংবা রুজি রোজগার সংক্রান্ত, কিংবা ধর্মীয় আমল সংক্রান্ত, দেখুন বড় বড় সমস্যা ৩টি সমাধান একটি মাত্র আমলে তা হল সিলা রেহেমীর ভিতর

যে সব কাজ করলে আপনার সবকাজে বরকত হবে
আল্লাহকে ভয় করলে
وَلَوْ أَنَّ أَهْلَ الْقُرَى آمَنُواْ وَاتَّقَواْ لَفَتَحْنَا عَلَيْهِم بَرَكَاتٍ مِّنَ السَّمَاء وَالأَرْضِ وَلَـكِن كَذَّبُواْ فَأَخَذْنَاهُم بِمَا كَانُواْ يَكْسِبُونَ
আর যদি সে জনপদের অধিবাসীরা ঈমান আনত এবং পরহেযগারী অবলম্বন করত, তবে আমি তাদের প্রতি আসমানী পার্থিব নেয়ামত সমূহ উম্মুক্ত করে দিতাম। কিন্তু তারা মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে। সুতরাং আমি তাদেরকে পাকড়াও করেছি তাদের কৃতকর্মের বদলাতে।সুরা আরাফ :৯৬ ]
দুই: আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করা নবীজি সা. বলেছেন: = যদি তোমরা আল্লাহর ওপর সত্যিকার তাওয়াক্কুল করো, আল্লাহ তোমাদেরকে পাখির মতোই রিযিক দান করবেন পাখি খালি পেটে সকালে বের হয়, ভরপেট হয়ে সন্ধ্যায় ফেরে (তিরমিযী)
সম্পদে, সময়ে, স্ত্রীতে, সন্তানে, সমস্ত বিষয়ে বরকতের দু করা নিজের জন্যে করা, অন্যের জন্যেও দু করা:
বিয়ে করা সুরা নুরা ৩২ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন তোমাদের মধ্যে যারা বিধবা, তাদেরকে বিয়ে করিয়ে দাও তোমাদের নেককার দাসী-বাঁদীদেরকেও বিয়ে করিয়ে দাও! যদি তারা ফকীর হয়, আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে ধনী করে দিবেন
পাঁচ: মোহরানা ধরার সময় বাড়াবাড়ি না করা নবীজি সা. বলেছেন: = যে নারীর মোহরানা যত কম হবে, তার মধ্যে বরকত তত বেশি হবে (মুসনাদে আহমাদ)
ছয়: হালাল উপায়ে সম্পদ অর্জন করা নবীজি সা. বলেছেন: = যে ব্যক্তি হকপন্থায় সম্পদ অর্জন করবে, তার মধ্যে বরকত দেয়া হবে (মুত্তাফাকুন)
সাত: লোভহীন মনে সম্পদ অর্জন করা হাকীম বিন হিযাম রা. বলেন: -আমি নবীজি সা.-এর কাছেসুওয়ালকরলাম, তিনি আমাকে দিলেন আবার চাইলাম, তিনি দিলেন আবার চাইলাম, তিনি দিলেন আবার চাইলাম, তিনি দিলেন আবার চাইলাম, তিনি দিলেন তারপর বললেন: -হাকীম! এই সম্পদ হলো সুমিষ্ট সজীব বস্তু! যে এটাকে (নির্লোভ ) উদারচিত্তে গ্রহণ করবে, তাতে বরকত দেয়া হবে আর যদি কেউ সম্পদকে লোভী হয়ে, পীড়াপীড়ি করে অর্জন করে: তার অবস্থা হবে, এমন ব্যক্তির মতো যে, খেয়েই চলছে,কিন্তু তৃপ্তি আসছে না (মুত্তাফাক)
আট: বেচাকেনায়, ব্যবসা-বাণিজ্যে, লেনদেনে সততা বজায় রাখা: = ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ে কেনাবেচার ক্ষেত্রে স্বাধীন যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা স্থান ত্যাগ করে যদি তারা সততা অবলম্বন করে, তাদের কেনাবেচায় বরকত দেয়া হবে আর যদি মিথ্যা বলে, কোনও কিছু গোপন করে, লেনদেনে বরকত উঠিয়ে নেয়া হবে (বুখারী)
নয়: ভোরে ভোরে কাজ শুরু করা ব্যবসা-বাণিজ্য, সফর-ভ্রমণ, ইলমতলব ইত্যাদি প্রিয় নবীজি সা. বলেছেন: -ইয়া আল্লাহ! আপনি আমার উম্মতের সকালের মাঝে বরকত দান করুন! (মুসনাদে আহমাদ)
দশ: ঘরে প্রবেশের সময় সালাম দেয়া: = বৎস (আনাস)! তুমি যখন ঘরে প্রবেশ করবে, সালাম দিবে এটা তোমার তোমার পরিবারের জন্যে বরকত নিয়ে আসবে (তিরমিযী)
এগার: খাবারের সময় সুন্নাতের অনুসরণ করা: : একত্রে খাওয়া বিসমিল্লাহ পড়া কিছু সাহাবী অভিযোগ করলেন: -আমরা খাই কিন্তু তৃপ্ত হই না! -তোমরা সম্ভবত পৃথক পৃথক খাও! -জ্বি! -একত্রে খাবে, বিসমিল্লাহ পড়বে তাহলে তোমাদের খাবারে বরকত দান করা হবে! (আবু দাউদ)
বার: আল্লাহর দেয়া রিযিকে সন্তুষ্ট থাকা নবীজি সা. বলেছেন: = আল্লাহ বান্দাকে যা দিয়েছেন, তা দিয়ে পরীক্ষা করেন যদি বান্দা যা তাকে দেয়া হয়েছে, তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকে, আল্লাহ বরকত বাড়িয়ে দেন প্রাচুর্য দান করেন অন্যথায় বরকত লাভে বঞ্চিত হয় (মুসনাদে আহমাদ)
১৩: আদল ন্যায়বিচার শেষ যমানায় ঈসা . নেমে আসবেন যমীনে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে বরকত বেড়ে যাবে যমীনকে সম্বোধন করে বলা হবে: তোমার শস্য উৎপন্ন করো, বরকত ফিরিয়ে দাও! একেকটা গমের দানা হবে খেজুর আঁটির মতো (মুসনাদে আহমাদ)
১৪: আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষা পিতামাতার প্রতি সদাচার হাদীসে আছে: -যে চায় তার রিযিকে প্রাচুর্য আসুক, সে যেন আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষা করে (মুত্তাফাক) বাবা-মায়ের প্রতি সদাচার সৌভাগ্যের কারণ তাদের দু আল্লাহ কবুল করেন তাদের সন্তুষ্টি আল্লাহর সন্তুষ্টি
১৫: দান-সাদাকা =
قُلْ إِنَّ رَبِّي يَبْسُطُ الرِّزْقَ لِمَن يَشَاء مِنْ عِبَادِهِ وَيَقْدِرُ لَهُ وَمَا أَنفَقْتُم مِّن شَيْءٍ فَهُوَ يُخْلِفُهُ وَهُوَ خَيْرُ الرَّازِقِينَ
বলুন, আমার পালনকর্তা তাঁর বান্দাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা রিযিক বাড়িয়ে দেন এবং সীমিত পরিমাণে দেন। তোমরা যা কিছু ব্যয় কর, তিনি তার বিনিময় দেন। তিনি উত্তম রিযিক দাতা। [ সুরা সাবা ৩৪:৩৯ ]

১৬: কুরআন তিলাওয়াত করা: = এটা বরকতময় কিতাব, বিশেষ করে সূরা বাকারা পড়া যে সূরা বাকারাকে আঁকড়ে ধরবে, বরকত লাভ করবে যে ছেড়ে দিবে, আফসোস করবে সুরা বাকারা পাঠকারীকে কোনও শয়তান ছুঁতে পারবে না (মুসলিম)

১৭: সর্বদা ইস্তেগফার পড়া = যে ব্যক্ত নিয়মিত ইস্তেফগার পড়বে, সব ধরনের সমস্যা-সংকট থেকে আল্লাহ তাকে মুক্তি দেবেন (আবু দাউদ)
১৮: বেশি বেশি দুরুদ শরীফ পড়া সাহাবী বলল ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি দুআতে শুধু দুরুদ শরীফই পাঠ করি  নবী ফরমালেন তাহলে তোমার দুশ্চিন্তা দূর হবে গুনাহ মাফ হবে (তিরমিযী)
১৯: যমযমের পানি পান করা: =নবী বলেন নিশ্চয় যমযমের পানি বরকতময় সেটা উত্তর খাবার রোগের নিদান (মুসলিম)
২০ কদরের রাত্রির অন্বেষণ: = আমি কুরআনকে এক বরকতময় রাতে নাযিল করেছি (দুখান:) সব মুসলমারেই উচিত, এই রাতের অন্বেষণ করা আল্লাহর কাছে রাতের বরকত লাভের দু করা .
২১: বেশি বেশি আল্লাহ শুকরিয়া প্রশংসা করা = তোমরা যদি শুকরিয়া আদায় করো, তাহলে আমি তোমাদেরকে আরও বাড়িয়ে দেবো (ইবরাহীম: )
২২: নামায কায়েম করা, পরিবারকে নামায কায়েমের প্রতি উদ্বুদ্ধ করা: =
وَأْمُرْ أَهْلَكَ بِالصَّلَاةِ وَاصْطَبِرْ عَلَيْهَا لَا نَسْأَلُكَ رِزْقًا نَّحْنُ نَرْزُقُكَ وَالْعَاقِبَةُ لِلتَّقْوَى
আপনি আপনার পরিবারের লোকদেরকে নামাযের আদেশ দিন এবং নিজেও এর ওপর অবিচল থাকুন। আমি আপনার কাছে কোন রিযিক চাই না। আমি আপনাকে রিযিক দেই এবং আল্লাহ ভীরুতার পরিণাম শুভ। [ সুরা ত্বা-হা ২০:১৩২ ]
২৩: আলিমদের সঙ্গ নেককারদের সঙ্গ দুর্বল ভালো লোকের সঙ্গ আলিমগন সমাজে কল্যাণের প্রসার ঘটান মানুষের অবস্থার সংশোধন করেন এই কাজে আল্লাহ সন্তুষ্ট হন ফলে বিপদাপদ দূর হয় আর দুর্বল ভালো লোকদের সম্পর্কে নবীজি বলেছেন: = তোামদেরকে তোমাদের দুর্বলদের কারণে সাহায্য করা হবে (বুখারী) কারণ দুর্বলরা অন্যদের তুলনায় বেশি মনোযোগ দিয়ে দু করে খুশু-খুযুর সাথে ইবাদত করে তাদের হৃদয়ে দুনিয়ার প্রভাব কম থাকে
হাসান বসরীর ৪টি রহস্য
জীবনে কোন পেরেশানী আসবে না
হযরত হাসান বসরীকে একব্যক্তি প্রশ্ন করল আপনি সদা সর্বদা হাসিমুখে থাকেন কখনো আপনাকে কোন ধরনের পেরেশানীতে লিপ্ত দেখিনি, এর রহস্য কি?
হযরত হাসান বসরী (রহঃ) বললেন আমার পেরেশান না হওয়ার ৪টি রহস্য আছে
() আলিমতু বি আন্না রিযকি লান এয়াখুজাহু গাইরি ফাত মাআন্না ক্বালবি
আমার বিশ্বাস যে যা আমার রিযিক তা আমিই খাব  দুনিয়ার কোন শক্তি আমার রিযিক ছিনিয়ে নিতে পারবে না সে বিশ্বাস আমার অন্তরকে শান্ত রাখে
() ওয়া আলিমতু বি আন্না আমালি লান এয়াকুমা বিহি গাইরি ফাশতাগালতু বিহ
আমার বিশ্বাস হয়ে গেছে যে আমার কাজ আমার নামাজ আমার আমল আমাকেই করতে হবে, আমার এবাদত অন্য কেউ করে দিবে না তাই আমি এবাদতে মশগুল থাকি তাই আমার জীবনে কোন ধরনের পেরেশানী আসে না
() ওয়া আলিমতু বিআন্না ল্লাহা মুত্তালিউন আলাই ফাসতাহিয়াইতু আন উকাবিলাহু ওয়া আলা মাসিয়া
আমার বিশ্বাস যে আমার প্রতিটি মুহুর্তকে আল্লাহ তায়ালা দেখছেন সে জন্য আমি লজ্জা করি যদি আমি গুনাহ করি তাহলে সে প্রভুর সামনে কেমনে দাঁড়াব?
() ওয়া আলিমতু বি আন্না মাউতি
আমার বিশ্বাস আছে আমার মৃত্যু যে কোন মুহুর্তে আসতে পারে (ফা আদাদতু জাদা লিলিকাঈল্লাহ) সে জন্য আমি সে মৃত্যুর প্রস্তুতিতে লেগে থাকি
হযরত হাসান বসরী ৪টি রহস্যের কথা বলেছেন যার ফলে উনার জীবনে কোন দিন কোন পেরেশানী আসেনি, এবং উনার চেহেরায় সদা মুচকি হাসি লেগে থাকত আর সারা জীবন আল্লাহকে রাজি করতে করতে ইসলামের খেদমত করতে করতে দুনিয়া থেকে চলে গেছেন
আমরা রিযিকেহায়াতে বরকত লাভের বিভিন্ন পদ্ধতি ও আমল শিখলাম এবার আসুন প্রতিদিন কোটি কোটি ফেরেশতার দোয়া নেয়ার ১টি সহজ পদ্ধতি আয়ত্ম করি
কোটি কোটি ফেরেশতারা আপনার জন্য ৩টি দোয়া করবে যা আপনাকে মনজিলে মকসদে পৌঁছে দেবে-

নামাজের সালাম ফিরানের পর সে স্থানে বসে যে সব মসনুন জিকির আছে তা চালিয়ে যাবেন, আয়াতুল কুরসি পড়বেন, তসবীহে ফাতিমি, সুবহানাল্লাহ ৩৩ বার, আলহামদুলিল্লাহ ৩৩ বার, আল্লাহুআকবার ৩৪ বার, ৩ বার আসতাগফিরুল্লাহ, এ ধরনের যত মসনুন দোয়া ও জিকির আছে তা চালিয়ে যাবেন, বেশী বেশী দরুদ শরীফ পড়বেন এতে কি ফায়দা হবে জানেন?
সহিহ বুখারীর রেওয়ায়েত, (ওয়ালমালাইকাতু ইউছাল্লুনা আলা আহাদিকুম মা দামা ফি মাজলিসিহিল ল্লাজি ছাল্লা ফি) যে বান্দা নিজের নামাজের জায়গায় বসে জিকির করে আল্লাহর নুরানী ফেরেশতা তার জন্য দোয়া করে
ফেরেশতা কি দোয়া করেন এবং ফেরেশতা কতজন তা খুবই আশ্চর্য্যজনক
সহিহ বুখারীর ২য় রেওয়ায়েত যদি এখানে মিলান তাহলে বুঝা যাবে, আল্লাহর ফেরেশতারা জিকিরের মজলিশ তালাশ করার জন্য আসমান থেকে নাযিল হন, যাদের সংখ্যা হল (হাত্তা এয়াবলাগু মা বাইনাস সামাঈ ওয়াল আরদ)জমিন ও আসমানের যতটুকু খালি জায়গা সে জায়গাটুকু ফেরেশতার দ্বারা পরিপূর্ণ হয়ে যায় এবার আন্দাজ করুন ফেরেশতার সংখ্যা কত?
তারা ৩টি দোয়া করেন
(আল্লাহুম্মাগফিরলাহ) হে আল্লাহ একে ক্ষমা করে দাও
(আল্লাহুম্মারহাম) হে আল্লাহ একে রহমত দান কর
(আল্লাহুম্মাতুবা আলাইহ) হে আল্লাহ এর তওবাকে কবুল কর
আমরা মানুষকে বলে বেড়ায় অনুরোধ করি আমার জন্য দোয়া করুন, অথচ আপনি যদি নামাজ শেষে নামাজের জায়গায় বসে কয়েকমিনিট জিকির করেন তাহলে আপনার জন্য লক্ষ কোটি ফেরেশতা দোয়া করেন
সকলের প্রতি অনুরোধ এটিকে জীবনের অংশ বানিয়ে ফেলুন নামাজের পর খুবই ধৈর্য্য সহকারে ২-৪ মিনিট মসনুন দোয়া ও জিকির সমুহ করে নামাজের জায়গা ত্যাগ করুন তবে যদি কোন মজবুরি থাকে তা আলাদা বিষয়
আল্লাহ আমাদের সকলকে তৌফিক দান করুন
এবা
এবার আসুন এমন একটি আমল সম্পর্কে জানি যা দ্বারা আমাদের অসংখ্য উপকার হবে সাথে সাথে নানা ধরনের দুরারোগ্য ব্যধী থেকেও আমরা বেঁচে যাব এমনকি কেন্সার পর্যন্ত সুস্থ হয়ে যাবে
নামাজের উপকারিতা কি শুধুই আখেরাতেই? নয় নয়, আল্লাহ তায়ালা এর উপকারিতা দুনিয়াতেও রেখেছেন আজ যে সব এক্সেসাইজ হয় তা একটু করে চেক করে দেখবেন যা সায়েন্স এবং ফিজিশিয়ানরা নতুন নতুন আবিস্কার করছেন যার প্রতিটি নামাজের ভিতর পাওয়া যায়
বিশ্বনবীর (দঃ) ফরমান কতইনা মধুর (আলাইকুম বিকিয়ামিল লাইল, ফাইন্নাহু দাবুস ছোয়ালিহিনা কাবলাকুম, ওয়াহিয়া কুরবাতুন ইলা রাব্বিকুম, ওয়া মুকাফফিরু লিস সায়্যিআত, ওয়ামানহা তুল লিল আছান, ওয়া মাতরাদাতুন লিদ্দাঈ আনিল জাসাদ)
রাতের তাহাজ্জুদ পড়া শুরু করুন, এটি আগেকার নেক লোকদের আমল, এটি গুনাহসমুহকে ধুয়ে মুছে সাফ করে দেয় বরং মানুষের মাঝে এমন শক্তি আসে যার ফলে গুনাহ থেকে মানুষ বেঁচে যায় 
এর পরের বানী কি? (ওয়া মাতরাদাতুন লিদ্দাঈ আনিল জাসাদ) এর দ্বারা মানুষের শরীরের রোগ ব্যধীসমুহ আল্লাহ দুর করে দেনএখানে কোন রোগ তা নির্ধারন করা হয়নি সুতরাং তা ছোট বড় যে কোন রোগ হতে পারে, তাই হাদীস দ্বারা নববী প্রেসক্রিপশন দ্বারা অনেকে বড় বড় রোগের চিকিৎসা করে ফল পেয়েছেন, বর্তমান যে সব দুরারোগ্য ব্যধী যার কোন চিকিৎসা নাই এমন রোগের জন্যও অবশ্যই তাহাজ্জুদের আমল অত্যন্ত ফলপ্রসু হবে

রিয়াদে একজন ডাক্তার আছেন নাম তার খালেদ আল জুবের, তিনি খুব আল্লাহ ওয়ালাও ছিলেন তিনি বর্ণনা করেন যে আমার কাছে একজন নারী রোগী আসল আর বলতে লাগল, যখন থেকে আমি বুদ্ধি সম্পন্ন হই তখন থেকে আমি আমার জীবনে কোনদিন প্রাণভরে ঘুমাতে পারি না, এবং মানসিক ভাবে আমার কোন প্রশান্তিও নাই ডাক্তার সাহেব বলেন আমি সে মহিলাকে মেডিসিন না দিয়ে নববী চিকিৎসা দিলাম তাঁকে বললাম তুমি দিন ধারাবাহিক ভাবে প্রতিদিন রাতে তাহাজ্জুদ পড়বে আর সুরাতুল বাকারা তেলাওয়াত করবে কারন আমি জানি হুযুর পাক (দঃ) এরশাদ করেন (একরাউ সুরাতুল বাকারা ফাইন্না আখাজাহা বারাকা ওয়া তারাকাহা হাছারা) অথ্যাৎ সুরা বাকারা পাঠ কর তাতে বরকতই বরকত আর তা ছেড়ে দেয়া হল ক্ষতির কারন
মহিলা বলল সুরা বাকারা অনেক বড় সুরা খুবই কষ্টসাধ্য ব্যপারে, আমি বললাম আপনার সারা জীবনের পেরেশানী নির্ঘূম রাত কাটানো এটাতো আরো বড় কষ্টের অবশেষে মহিলা নববী প্রেসক্রিপশন নিয়ে চলে গেল ঠিক দিন পর সে মহিলা ডাক্তারের কাছে কল দিল বলল ডাক্তার সাহেব (ওয়াল্লাহে মা ফারিহতু কাবলা জালিক) আমি নববী প্রেসক্রিমশন ফলো করেছি তাহাজ্জুদ পড়েছি রাতে সুরা বাকারা তেলাওয়াত করেছি, আল্লাহর কসম আমি জীবনে এত শান্তি কখনো অনুভব করিনি
আমরা অনেক সময় এটা বুঝে নিই যে মনে হয় পেরাসিট্যামল, নাপা, পেনাডল টেবলেটে বেশী শক্তি, এন্টিবায়োটিকে খুব বেশী পাওয়ার, মনে রাখবেন এসব ঔষধে যে পাওয়ার তাতেও রয়েছে আল্লাহর ক্ষমতা, অনেক সময় শক্তি শালী পাওয়ারফুল এন্টিবায়েটিকেও রোগী সুস্থ হননা এটাই তার প্রমান
চিকিৎসা অবশ্যই করতে হবে, চিকিৎসা করা হারাম নয়, বরং প্রয়োজনে চিকিৎসা করা সুন্নত তবে হারাম বস্তু দ্বারা চিকিৎসা করা নিষেধ কেননা আল্লাহ তায়ালা হারাম বস্তুতে শেফা রাখেননি
সাপ যদি কাউকে কাটে তার চিকিৎসাও সুরা ফাতেহা দিয়ে হয়ে যায়, সহিহ বুখারী একটি ঘটনা- এক কবিলার সরদারকে সাপে কেটেছে তারা সাহাবাদের কাছে এসে প্রশ্ন করল (হাল ইনদাকুম রাক্বিন) তোমাদের মধ্যে কেউ কি ফুক দান কারী দম দান কারী আছ? তখন একজন বলল দম করব তবে শর্ত আছে, আমরা তোমাদের কাছে গিয়েছিলাম কিন্তু তোমরা আমাদের সাথে মেহমানদারী করনি এখন আমরাও এতগুলি ছাগলের বিনিময়ে দম করব সাহাবা গেলেন শুধু সুরাতুল ফাতেহা পড়লেন (ওয়াকা আন্নানা নুশিতা মিন এক্বাল) সাথে সাথে বিষ চলে গেল যেমন কোন গিড়া লাগানো ছিল তা খুলে গেল এখানে চিন্তার বিষয় সাপে কাটার বিষয় যদি সুরা ফাতেহা দ্বারা দুর হয়ে যায় তাহলে মাথা ব্যথা দুর হতে পারে না?
আজ আমাদের টপ প্রায়োরিটি পেরাসিট্যামল, নাফা, পেনাডলে কেন? আমি বলছি না এসব নিষেধ কিন্তু বিশ্বাস বলে একটা কথা আছে তা আমাদের কিছু দ্বীন এবাদত আল্লাহর দিকে হওয়া উচিত

রাসুলুল্লাহ (দঃ) এরশাদ করেন তাহাজ্জুদ দ্বারা শরীরের রোগ দুর হয়ে যায়
আরেক ডাক্তার বলেন- এক পাকিস্তানি মহিলা চিকিৎসার জন্য আসল, সে যখন এসেছিল রিপোর্ট দেখে বুঝলাম এটা তার শেষ সময়, একদম লাষ্ট ষ্টেইজে কেন্সার রোগ পৌঁছে গেছে মহিলা আর দেরী করেননি সেখান থেকে সোজা মক্কায় পৌঁছে প্রায় ১০ দিন পর সে মহিলা আবার আমার কাছে আসল, আমি নতুন করে পরীক্ষা করালাম দেখলাম তার শরীরের মধ্যে কেন্সারের বংশও নাই সুবহানাল্লাহ আমি মহিলাকে জিজ্ঞাসা করলাম কি ব্যপারে আপনি কি করেছেন? মহিলা বলল আমি যখন আপনার মুখে আমার আখেরী ষ্টেইজের কথা শুনলাম আর দেরী না করে মক্কায় চলে গেলাম ওমরাহ করলাম আর বেশী বেশী কাবা ঘরের তাওয়াফ করতে লাগলাম আর জমজমের পানি পান করতে থাকলাম, আর প্রতিদিন রাতে আমি কাবা ঘরের সামনে দাঁড়িয়ে তাহাজ্জুদ পড়েছি আমি খালেছ নিয়তে জমজম পান করেছি আর তাহাজ্জুদ পড়েছি আল্লাহ তাতেই আমার জন্য শেফা রেখে দিয়েছেন
আমরা শুধু ভাবি নামাজ আখেরাতে কাজ দিবে, সেটা ভুল ভাবনা, বরং দুনিয়ার সকল কাজে বরকত, ব্যবসায় তরক্কী, দুনিয়ার সম্মান, শারীরীক সুস্থতা এসব কিছুতেই আপনাকে ৫ ওয়াক্ত নামাজ এবং তাহাজ্জুদ নামাজ ফায়দা দিবে যা আপনি নিজ চোখে দেখতে পারবেন কোরানে পাকে ব্যপারে আল্লাহ বয়ান করে দিয়েছে
إِنَّ نَاشِئَةَ اللَّيْلِ هِيَ أَشَدُّ وَطْءًا وَأَقْوَمُ قِيلًا
নিশ্চয় এবাদতের জন্যে রাত্রিতে উঠা প্রবৃত্তি দলনে সহায়ক এবং স্পষ্ট উচ্চারণের অনুকূল।
অতএব (রাতের আধারে আল্লাহ সামনে দাঁড়িয়ে যান এর দ্বারা আপনার দিল মজবুত হবে, তাহাজ্জুদ দ্বারাই যতসব মজবুত দিল ওয়ালা মানুষ তৈরী হয় ১৪শত বছরের ইতিহাস দেখুন দুষমনের সামনে পাহাড়ের মত যারাই দাঁড়িয়ে গেছেন তারা সবাই তাহাজ্জুদ গুজার ছিলেন
ওয়া আকওয়ামু এটি সুপারলেটিব ডিগ্রী যাকে কেউ ফেলতে পারে না এসবই হল দুনিয়ার জন্য উপকার, আখেরাতেতো উপকার আছেই
আল্লাহ তায়ালা আমাদের দুনিয়া ও আখেরাত উভয় জাহানের কল্যাণ দান করুন আমিন
আল্ল





কোন মন্তব্য নেই

borchee থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.