I Love u ফেরেশতাদের স্যালুট। ভালবাসার অভুতপূর্ব ফজিলত। Ja al haq/ Nizam ...
মানুষের
এমন মকাম ফেরেশতা
এসে স্যালুট করবে
এমন মকাম ফেরেশতা
এসে স্যালুট করবে
দুনিয়ার মানুষ স্যালুট
করল এটা ইজ্জত
নয়,
ইজ্জত হল যাকে
ফেরেশতারা এসে স্যালুট
করে।
করল এটা ইজ্জত
নয়,
ইজ্জত হল যাকে
ফেরেশতারা এসে স্যালুট
করে।
ইমরান বিন হুসাইন
এর কাহিনি আপনারা
হয়ত শুনেছেন- ৩০
বছর যাবত পাইলস
এর রোগে অসুস্থ
ছিলেন। এ রোগে
এতই কাহিল ছিল
ভাল করে দাঁড়াতে
পারতেন না। আমাদের
প্রিয় নবীর শিক্ষা
হল যদি নামাজে
দাঁড়াতে না পার
তাহলে বসে আদায়
কর,
যদি বসে না
পার তাহলে শুয়ে
শুয়ে পড় কিন্তু
শুয়েও না পারলে
ইশারায় পড়ে নাও
আল্লাহ তায়ালা পূর্ণ
ছাওয়াব দিবেন।
এর কাহিনি আপনারা
হয়ত শুনেছেন- ৩০
বছর যাবত পাইলস
এর রোগে অসুস্থ
ছিলেন। এ রোগে
এতই কাহিল ছিল
ভাল করে দাঁড়াতে
পারতেন না। আমাদের
প্রিয় নবীর শিক্ষা
হল যদি নামাজে
দাঁড়াতে না পার
তাহলে বসে আদায়
কর,
যদি বসে না
পার তাহলে শুয়ে
শুয়ে পড় কিন্তু
শুয়েও না পারলে
ইশারায় পড়ে নাও
আল্লাহ তায়ালা পূর্ণ
ছাওয়াব দিবেন।
৩০ বছর যাবৎ
তিনি কষ্ট পেয়েছেন।
এক কষ্ট পাওয়া
সত্বেও তিনি কারো
কাছে শেকায়েত করেননি,
কারো সামনে কান্না
করেননি, আর সে
জন্য আল্লাহ তায়ালা
তাঁকে এতই মর্যদা
দান করেছেন তিনি
তাহাজ্জুদের সময় তাহাজ্জুদ
পড়তেন আর আল্লাহর
ফেরেশতা উনার সাথে
মুসাফাহা করতেন।এটাই
হল প্রকৃত সম্মান।
এটাই হল প্রকৃত
ইজ্জত। এ ইজ্জত
এ সম্মান কিভাবে
হাছিল করবেন? তার
জন্য উছুল বা
নীতিমালা বুঝতে
হবে।
তিনি কষ্ট পেয়েছেন।
এক কষ্ট পাওয়া
সত্বেও তিনি কারো
কাছে শেকায়েত করেননি,
কারো সামনে কান্না
করেননি, আর সে
জন্য আল্লাহ তায়ালা
তাঁকে এতই মর্যদা
দান করেছেন তিনি
তাহাজ্জুদের সময় তাহাজ্জুদ
পড়তেন আর আল্লাহর
ফেরেশতা উনার সাথে
মুসাফাহা করতেন।এটাই
হল প্রকৃত সম্মান।
এটাই হল প্রকৃত
ইজ্জত। এ ইজ্জত
এ সম্মান কিভাবে
হাছিল করবেন? তার
জন্য উছুল বা
নীতিমালা বুঝতে
হবে।
রাসুলুল্লাহ (দঃ)
এরশাদ করেন (ইন্না
আহাব্বাল আ’মালি
ইলাল ল্লাহ, আল
হুব্বু ফিলল্লাহ ওয়াল
বুগদু ফিলল্লাহ) আল্লাহর
কাছে প্রিয় আমল
সবচেয়ে বেশী প্রিয়
আমল হল ভালবাসার
উপলক্ষ ঠিক করতে
হবে,
মুহাব্বতের মকছদ হতে
হবে প্রভুকে খুশি
করা। আর যে
আল্লাহর খুশীর জন্য
কোন কিছুকে পছন্দ
করে সে তাই
পছন্দ করে যা
আল্লাহ পছন্দ করেন
আর সে তাই
অপছন্দ করে যা
আল্লাহ অপছন্দ করেন।
এরশাদ করেন (ইন্না
আহাব্বাল আ’মালি
ইলাল ল্লাহ, আল
হুব্বু ফিলল্লাহ ওয়াল
বুগদু ফিলল্লাহ) আল্লাহর
কাছে প্রিয় আমল
সবচেয়ে বেশী প্রিয়
আমল হল ভালবাসার
উপলক্ষ ঠিক করতে
হবে,
মুহাব্বতের মকছদ হতে
হবে প্রভুকে খুশি
করা। আর যে
আল্লাহর খুশীর জন্য
কোন কিছুকে পছন্দ
করে সে তাই
পছন্দ করে যা
আল্লাহ পছন্দ করেন
আর সে তাই
অপছন্দ করে যা
আল্লাহ অপছন্দ করেন।
আল্লাহ তা‘আলা
বলেন,
বলেন,
﴿مُّحَمَّدٞ رَّسُولُ ٱللَّهِۚ وَٱلَّذِينَ مَعَهُۥٓ أَشِدَّآءُ
عَلَى ٱلۡكُفَّارِ رُحَمَآءُ بَيۡنَهُمۡۖ تَرَىٰهُمۡ رُكَّعٗا سُجَّدٗا
يَبۡتَغُونَ فَضۡلٗا مِّنَ ٱللَّهِ وَرِضۡوَٰنٗاۖ سِيمَاهُمۡ فِي وُجُوهِهِم مِّنۡ
أَثَرِ ٱلسُّجُودِۚ ذَٰلِكَ مَثَلُهُمۡ فِي ٱلتَّوۡرَىٰةِۚ وَمَثَلُهُمۡ فِي
ٱلۡإِنجِيلِ كَزَرۡعٍ أَخۡرَجَ شَطَۡٔهُۥ فََٔازَرَهُۥ فَٱسۡتَغۡلَظَ
فَٱسۡتَوَىٰ عَلَىٰ سُوقِهِۦ يُعۡجِبُ ٱلزُّرَّاعَ لِيَغِيظَ بِهِمُ ٱلۡكُفَّارَۗ
وَعَدَ ٱللَّهُ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَعَمِلُواْ ٱلصَّٰلِحَٰتِ مِنۡهُم
مَّغۡفِرَةٗ وَأَجۡرًا عَظِيمَۢا ٢٩ ﴾ [الفتح: ٢٩] إِلَى آخر السورة
عَلَى ٱلۡكُفَّارِ رُحَمَآءُ بَيۡنَهُمۡۖ تَرَىٰهُمۡ رُكَّعٗا سُجَّدٗا
يَبۡتَغُونَ فَضۡلٗا مِّنَ ٱللَّهِ وَرِضۡوَٰنٗاۖ سِيمَاهُمۡ فِي وُجُوهِهِم مِّنۡ
أَثَرِ ٱلسُّجُودِۚ ذَٰلِكَ مَثَلُهُمۡ فِي ٱلتَّوۡرَىٰةِۚ وَمَثَلُهُمۡ فِي
ٱلۡإِنجِيلِ كَزَرۡعٍ أَخۡرَجَ شَطَۡٔهُۥ فََٔازَرَهُۥ فَٱسۡتَغۡلَظَ
فَٱسۡتَوَىٰ عَلَىٰ سُوقِهِۦ يُعۡجِبُ ٱلزُّرَّاعَ لِيَغِيظَ بِهِمُ ٱلۡكُفَّارَۗ
وَعَدَ ٱللَّهُ ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ وَعَمِلُواْ ٱلصَّٰلِحَٰتِ مِنۡهُم
مَّغۡفِرَةٗ وَأَجۡرًا عَظِيمَۢا ٢٩ ﴾ [الفتح: ٢٩] إِلَى آخر السورة
অর্থাৎ “মুহাম্মাদ
আল্লাহর রাসূল; আর তার সহচরগণ কাফেরদের প্রতি কঠোর এবং নিজেদের মধ্যে
পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল; তুমি তাদেরকে রুকু ও সিজদায় অবনত
অবস্থায় আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি কামনা করতে দেখবে। তাদের মুখমণ্ডলে সিজদার
চিহ্ন থাকবে, তাওরাতে তাদের বর্ণনা এরূপই। আর ইঞ্জীলে তাদের দৃষ্টান্ত
একটি চারা গাছ, যা হতে নির্গত হয় কিশলয়, অতঃপর
এটা শক্ত ও পুষ্ট হয় এবং দৃঢ়ভাবে কাণ্ডের উপর দাঁড়িয়ে যায়, যা
চাষীদেরকে মুগ্ধ করে। এভাবে (আল্লাহ বিশ্বাসীদের সমৃদ্ধি দ্বারা) অবিশ্বাসীদের
অন্তর্জ্বালা সৃষ্টি করেন। ওদের মধ্যে যারা বিশ্বাস করে ও সৎকর্ম করে, আল্লাহ
তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ক্ষমা ও মহা পুরস্কারের।” (সূরা
ফাত্হ ২৯ আয়াত)
আল্লাহর রাসূল; আর তার সহচরগণ কাফেরদের প্রতি কঠোর এবং নিজেদের মধ্যে
পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল; তুমি তাদেরকে রুকু ও সিজদায় অবনত
অবস্থায় আল্লাহর অনুগ্রহ ও সন্তুষ্টি কামনা করতে দেখবে। তাদের মুখমণ্ডলে সিজদার
চিহ্ন থাকবে, তাওরাতে তাদের বর্ণনা এরূপই। আর ইঞ্জীলে তাদের দৃষ্টান্ত
একটি চারা গাছ, যা হতে নির্গত হয় কিশলয়, অতঃপর
এটা শক্ত ও পুষ্ট হয় এবং দৃঢ়ভাবে কাণ্ডের উপর দাঁড়িয়ে যায়, যা
চাষীদেরকে মুগ্ধ করে। এভাবে (আল্লাহ বিশ্বাসীদের সমৃদ্ধি দ্বারা) অবিশ্বাসীদের
অন্তর্জ্বালা সৃষ্টি করেন। ওদের মধ্যে যারা বিশ্বাস করে ও সৎকর্ম করে, আল্লাহ
তাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ক্ষমা ও মহা পুরস্কারের।” (সূরা
ফাত্হ ২৯ আয়াত)
আবূ হুরাইরা
রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘আল্লাহ তা‘আলা কিয়ামতের দিন বলবেন, ‘আমার মহিমা ও শ্রেষ্ঠত্বের জন্য পরস্পরকে যারা ভালবেসেছিল
তারা কোথায়? আজকের দিন আমি
তাদেরকে আমার ছায়ায় আশ্রয় দেব, যেদিন আমার (আরশের) ছায়া ছাড়া অন্য কোনো ছায়া নেই।’’ (মুসলিম) [1]
রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘আল্লাহ তা‘আলা কিয়ামতের দিন বলবেন, ‘আমার মহিমা ও শ্রেষ্ঠত্বের জন্য পরস্পরকে যারা ভালবেসেছিল
তারা কোথায়? আজকের দিন আমি
তাদেরকে আমার ছায়ায় আশ্রয় দেব, যেদিন আমার (আরশের) ছায়া ছাড়া অন্য কোনো ছায়া নেই।’’ (মুসলিম) [1]
মুসলিম ২৫৬৬, আহমাদ ৭১৯০, ৮২৫০, ৮৬১৪, ১০৪০১, ১০৫২৭, মুওয়াত্তা মালিক ১৭৭৬, দারেমী ২৭৫৭
আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু
কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘আল্লাহ
তা‘আলা সাত ব্যক্তিকে সেই দিনে তাঁর (আরশের) ছায়া দান করবেন
যেদিন তাঁর ছায়া ব্যতীত আর কোনো ছায়া থাকবে না; (তারা
হল,) ন্যায়পরায়ণ বাদশাহ (রাষ্ট্রনেতা), সেই
যুবক যার যৌবন আল্লাহ আয্যা অজাল্লার ইবাদতে অতিবাহিত হয়, সেই
ব্যক্তি যার অন্তর মসজিদসমূহের সাথে লটকে থাকে (মসজিদের প্রতি তার মন সদা আকৃষ্ট থাকে।)
কর্তৃক বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘আল্লাহ
তা‘আলা সাত ব্যক্তিকে সেই দিনে তাঁর (আরশের) ছায়া দান করবেন
যেদিন তাঁর ছায়া ব্যতীত আর কোনো ছায়া থাকবে না; (তারা
হল,) ন্যায়পরায়ণ বাদশাহ (রাষ্ট্রনেতা), সেই
যুবক যার যৌবন আল্লাহ আয্যা অজাল্লার ইবাদতে অতিবাহিত হয়, সেই
ব্যক্তি যার অন্তর মসজিদসমূহের সাথে লটকে থাকে (মসজিদের প্রতি তার মন সদা আকৃষ্ট থাকে।)
সেই দুই ব্যক্তি যারা আল্লাহর
সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে বন্ধুত্ব ও ভালবাসা স্থাপন করে; যারা
এই ভালবাসার উপর মিলিত হয় এবং এই ভালবাসার উপরেই চিরবিচ্ছিন্ন (তাদের মৃত্যু) হয়।
সেই ব্যক্তি যাকে কোন কুলকামিনী সুন্দরী (অবৈধ যৌন-মিলনের উদ্দেশ্যে) আহ্বান করে, কিন্তু
সে বলে, ‘আমি আল্লাহকে ভয় করি।’ সেই
ব্যক্তি যে দান করে গোপন করে; এমনকি তার ডান হাত যা প্রদান করে, তা
তার বাম হাত পর্যন্তও জানতে পারে না। আর সেই ব্যক্তি যে নির্জনে আল্লাহকে স্মরণ
করে; ফলে তার উভয় চোখে অশ্রু বয়ে যায়।’’ (বুখারী-মুসলিম) [1]
সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে বন্ধুত্ব ও ভালবাসা স্থাপন করে; যারা
এই ভালবাসার উপর মিলিত হয় এবং এই ভালবাসার উপরেই চিরবিচ্ছিন্ন (তাদের মৃত্যু) হয়।
সেই ব্যক্তি যাকে কোন কুলকামিনী সুন্দরী (অবৈধ যৌন-মিলনের উদ্দেশ্যে) আহ্বান করে, কিন্তু
সে বলে, ‘আমি আল্লাহকে ভয় করি।’ সেই
ব্যক্তি যে দান করে গোপন করে; এমনকি তার ডান হাত যা প্রদান করে, তা
তার বাম হাত পর্যন্তও জানতে পারে না। আর সেই ব্যক্তি যে নির্জনে আল্লাহকে স্মরণ
করে; ফলে তার উভয় চোখে অশ্রু বয়ে যায়।’’ (বুখারী-মুসলিম) [1]
সহীহুল
বুখারী ৬৬০, ১৪২৩, ৬৪৭৯, ৬৮০৬, মুসলিম ১০৩১, তিরমিযী ২৩৯১, নাসায়ী ৫৩৮০, আহমাদ ৯৩৭৩, মুওয়াত্তা মালিক ১৭৭৭
আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু কর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘যার মধ্যে তিনটি গুণ থাকে, সে ঈমানের মিষ্টতা লাভ করে থাকে। আল্লাহ ও
তাঁর রাসূল তার কাছে অন্য সব কিছু থেকে অধিক প্রিয় হবে; কাউকে ভালোবাসলে কেবল আল্লাহ’র জন্যই ভালবাসবে। আর কুফরী থেকে তাকে
আল্লাহর বাঁচানোর পর পুনরায় তাতে ফিরে যাওয়াকে এমন অপছন্দ করবে, যেমন সে নিজেকে আগুনে নিক্ষিপ্ত করাকে
অপছন্দ করে।’’
তাঁর রাসূল তার কাছে অন্য সব কিছু থেকে অধিক প্রিয় হবে; কাউকে ভালোবাসলে কেবল আল্লাহ’র জন্যই ভালবাসবে। আর কুফরী থেকে তাকে
আল্লাহর বাঁচানোর পর পুনরায় তাতে ফিরে যাওয়াকে এমন অপছন্দ করবে, যেমন সে নিজেকে আগুনে নিক্ষিপ্ত করাকে
অপছন্দ করে।’’
সহীহুল বুখারী ১৬, ২১, ৬০৪১, ৬৯৪১, মুসলিম ৪৩, তিরমিযী ২৬২৪, নাসায়ী ৪৯৮৭, ৪৯৮৮, ৪৯৮৯, ইবনু মাজাহ ৪০৩৩, আহমাদ ১১৫৯১, ১১৭১২, ১২৩৫৪, ১২৩৭২, ১২৩৯০
মু‘আয রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে
শুনেছি, আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘‘আমার মর্যাদার ওয়াস্তে যারা আপোসে ভালবাসা স্থাপন করবে, তাদের (বসার) জন্য হবে নূরের মিম্বর; যা দেখে নবী ও শহীদগণ ঈর্ষা করবেন।
শুনেছি, আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘‘আমার মর্যাদার ওয়াস্তে যারা আপোসে ভালবাসা স্থাপন করবে, তাদের (বসার) জন্য হবে নূরের মিম্বর; যা দেখে নবী ও শহীদগণ ঈর্ষা করবেন।
তিরমিযী
২৩৯০, আহমাদ ২১৫২৫, ২১৫৫৯, ২১৫৭৫, ২২২৭৬
আবূ ইদ্রীস খাওলানী রাহিমাহুল্লাহ
বলেন, আমি দিমাশকের মসজিদে প্রবেশ করে এক যুবককে দেখতে পেলাম, তাঁর
সামনের দাঁতগুলি খুবই চকচকে এবং তাঁর সঙ্গে কিছু লোকও (বসে) রয়েছে। যখন তারা কোনো
বিষয়ে মতভেদ করছে, তখন (সিদ্ধান্তের জন্য) তাঁর দিকে রুজু করছে এবং তাঁর মত
গ্রহণ করছে। সুতরাং আমি তাঁর সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম (যে, ইনি
কে)? (আমাকে) বলা হল যে, ‘ইনি
মু‘আয ইবনু জাবাল।’ অতঃপর
আগামী কাল আমি আগেভাগেই মসজিদে গেলাম। কিন্তু দেখলাম সেই (যুবকটি) আমার আগেই পৌঁছে
গেছেন এবং তাঁকে নামাযরত অবস্থায় পেলাম। সুতরাং তাঁর নামায শেষ হওয়া পর্যন্ত আমি
অপেক্ষা করলাম।
বলেন, আমি দিমাশকের মসজিদে প্রবেশ করে এক যুবককে দেখতে পেলাম, তাঁর
সামনের দাঁতগুলি খুবই চকচকে এবং তাঁর সঙ্গে কিছু লোকও (বসে) রয়েছে। যখন তারা কোনো
বিষয়ে মতভেদ করছে, তখন (সিদ্ধান্তের জন্য) তাঁর দিকে রুজু করছে এবং তাঁর মত
গ্রহণ করছে। সুতরাং আমি তাঁর সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম (যে, ইনি
কে)? (আমাকে) বলা হল যে, ‘ইনি
মু‘আয ইবনু জাবাল।’ অতঃপর
আগামী কাল আমি আগেভাগেই মসজিদে গেলাম। কিন্তু দেখলাম সেই (যুবকটি) আমার আগেই পৌঁছে
গেছেন এবং তাঁকে নামাযরত অবস্থায় পেলাম। সুতরাং তাঁর নামায শেষ হওয়া পর্যন্ত আমি
অপেক্ষা করলাম।
অতঃপর আমি তাঁর সামনে এসে তাঁকে
সালাম দিলাম। তারপর বললাম, ‘আল্লাহর কসম! আমি আপনাকে আল্লাহর ওয়াস্তে
ভালবাসি।’ তিনি বললেন, ‘আল্লাহর
কসম?’ আমি বললাম, ‘আল্লাহর
কসম।’ পুনরায় তিনি বললেন, ‘আল্লাহর
কসম?’ আমি বললাম, ‘আল্লাহর
কসম।’ অতঃপর তিনি আমার চাদরের আঁচল ধরে আমাকে তাঁর দিকে টানলেন, তারপর
বললেন, ‘সুসংবাদ নাও।’
সালাম দিলাম। তারপর বললাম, ‘আল্লাহর কসম! আমি আপনাকে আল্লাহর ওয়াস্তে
ভালবাসি।’ তিনি বললেন, ‘আল্লাহর
কসম?’ আমি বললাম, ‘আল্লাহর
কসম।’ পুনরায় তিনি বললেন, ‘আল্লাহর
কসম?’ আমি বললাম, ‘আল্লাহর
কসম।’ অতঃপর তিনি আমার চাদরের আঁচল ধরে আমাকে তাঁর দিকে টানলেন, তারপর
বললেন, ‘সুসংবাদ নাও।’
কারণ, আমি
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, ‘আল্লাহ
তা‘আলা বলেছেন, ‘‘আমার
সন্তুষ্টি লাভের জন্য যারা পরস্পরের মধ্যে মহব্বত রাখে, একে
অপরের সঙ্গে বসে, একে অপরের সাথে সাক্ষাৎ এবং একে অপরের জন্য খরচ করে, তাদের
জন্য আমার মহব্বত ও ভালবাসা ওয়াজেব হয়ে যায়।’’
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, ‘আল্লাহ
তা‘আলা বলেছেন, ‘‘আমার
সন্তুষ্টি লাভের জন্য যারা পরস্পরের মধ্যে মহব্বত রাখে, একে
অপরের সঙ্গে বসে, একে অপরের সাথে সাক্ষাৎ এবং একে অপরের জন্য খরচ করে, তাদের
জন্য আমার মহব্বত ও ভালবাসা ওয়াজেব হয়ে যায়।’’
আহমাদ
২১৫২৫, ২১৬২৬, মুওয়াত্তা মালিক ১৭৭৯
আবূ কারীমা মিকদাদ
ইবনু মা‘দীকারিব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘যখন কোন মানুষ তার
ভাইকে ভালবাসে, তখন সে যেন তাকে জানিয়ে দেয় যে, সে তাকে ভালবাসে।
ইবনু মা‘দীকারিব রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘যখন কোন মানুষ তার
ভাইকে ভালবাসে, তখন সে যেন তাকে জানিয়ে দেয় যে, সে তাকে ভালবাসে।
আবূ
দাউদ ৫১২৪, আহমাদ ১৬৭১৯
’
আনাস রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট
(বসে) ছিল। অতঃপর এক ব্যক্তি তাঁর পাশ দিয়ে অতিক্রম করল। (যে বসেছিল) সে বলল, ‘হে আল্লাহর রাসূল! নিঃসন্দেহে আমি একে
ভালবাসি।’ (এ কথা শুনে) নবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, ‘‘তুমি কি (এ কথা) তাকে জানিয়েছ?’’ সে বলল, ‘না।’ তিনি বললেন, ‘‘তাকে জানিয়ে দাও।’’ সুতরাং সে (দ্রুত) তার পিছনে গিয়ে (তাকে)
বলল, ‘আমি আল্লাহর
ওয়াস্তে তোমাকে ভালবাসি।’ সে বলল, ‘যাঁর ওয়াস্তে তুমি আমাকে ভালবাস, তিনি তোমাকে ভালবাসুন।
(বসে) ছিল। অতঃপর এক ব্যক্তি তাঁর পাশ দিয়ে অতিক্রম করল। (যে বসেছিল) সে বলল, ‘হে আল্লাহর রাসূল! নিঃসন্দেহে আমি একে
ভালবাসি।’ (এ কথা শুনে) নবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, ‘‘তুমি কি (এ কথা) তাকে জানিয়েছ?’’ সে বলল, ‘না।’ তিনি বললেন, ‘‘তাকে জানিয়ে দাও।’’ সুতরাং সে (দ্রুত) তার পিছনে গিয়ে (তাকে)
বলল, ‘আমি আল্লাহর
ওয়াস্তে তোমাকে ভালবাসি।’ সে বলল, ‘যাঁর ওয়াস্তে তুমি আমাকে ভালবাস, তিনি তোমাকে ভালবাসুন।
আবূ
দাউদ ৫১২৫, আহমাদ ১২০২২, ১২১০৫, ১৩১২৩
মু‘আয রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার হাত ধরে
বললেন, ‘‘হে মু‘আয! আল্লাহর শপথ! নিঃসন্দেহে আমি তোমাকে
ভালবাসি। অতঃপর আমি তোমাকে অসিয়ত করছি, হে মু‘আয! তুমি প্রত্যেক নামাযের পশ্চাতে এ শব্দগুলো বলা ছাড়বে না, ‘আল্লা-হুম্মা আ‘ইন্নী আলা যিকরিকা ওয়াশুকরিকা অহুসনি
ইবা-দাতিক।’’ (অর্থাৎ হে আল্লাহ!
তোমার যিকর করার, তোমার কৃতজ্ঞতা
প্রকাশ করার এবং উত্তমরূপে তোমার ইবাদত করার ব্যাপারে আমাকে সাহায্য কর।)
বললেন, ‘‘হে মু‘আয! আল্লাহর শপথ! নিঃসন্দেহে আমি তোমাকে
ভালবাসি। অতঃপর আমি তোমাকে অসিয়ত করছি, হে মু‘আয! তুমি প্রত্যেক নামাযের পশ্চাতে এ শব্দগুলো বলা ছাড়বে না, ‘আল্লা-হুম্মা আ‘ইন্নী আলা যিকরিকা ওয়াশুকরিকা অহুসনি
ইবা-দাতিক।’’ (অর্থাৎ হে আল্লাহ!
তোমার যিকর করার, তোমার কৃতজ্ঞতা
প্রকাশ করার এবং উত্তমরূপে তোমার ইবাদত করার ব্যাপারে আমাকে সাহায্য কর।)
নাসায়ী
১৩০৩, আবূ দাউদ ১৫২২, আহমাদ ২১৬২১
وَعَن أَبي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، عَنِ
النَّبيِّ صلى الله عليه وسلم: «أنَّ رَجُلاً زَارَ أَخَاً لَهُ في قَريَة
أُخْرَى، فَأرْصَدَ الله تَعَالَى عَلَى مَدْرَجَتِهِ مَلَكاً، فَلَمَّا أتَى
عَلَيهِ، قَالَ : أيْنَ تُريدُ ؟ قَالَ : أُريدُ أخاً لي في هذِهِ القَريَةِ .
قَالَ : هَلْ لَكَ عَلَيهِ مِنْ نِعْمَة تَرُبُّهَا عَلَيهِ ؟ قَالَ : لا، غَيْرَ
أنِّي أحْبَبْتُهُ في الله تَعَالَى، قَالَ : فإنِّي رَسُولُ الله إلَيْكَ بَأنَّ
اللهَ قَدْ أَحَبَّكَ كَمَا أحْبَبْتَهُ فِيهِ». رواه مسلم
النَّبيِّ صلى الله عليه وسلم: «أنَّ رَجُلاً زَارَ أَخَاً لَهُ في قَريَة
أُخْرَى، فَأرْصَدَ الله تَعَالَى عَلَى مَدْرَجَتِهِ مَلَكاً، فَلَمَّا أتَى
عَلَيهِ، قَالَ : أيْنَ تُريدُ ؟ قَالَ : أُريدُ أخاً لي في هذِهِ القَريَةِ .
قَالَ : هَلْ لَكَ عَلَيهِ مِنْ نِعْمَة تَرُبُّهَا عَلَيهِ ؟ قَالَ : لا، غَيْرَ
أنِّي أحْبَبْتُهُ في الله تَعَالَى، قَالَ : فإنِّي رَسُولُ الله إلَيْكَ بَأنَّ
اللهَ قَدْ أَحَبَّكَ كَمَا أحْبَبْتَهُ فِيهِ». رواه مسلم
আবূ
হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
নবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘এক ব্যক্তি অন্য কোন গ্রামে তার ভাইয়ের সাথে সাক্ষাৎ করার জন্য বের হল। আল্লাহ
তা‘আলা তার রাস্তায় এক ফেরেশতাকে বসিয়ে দিলেন, তিনি তার
অপেক্ষা করতে থাকলেন। যখন সে তাঁর কাছে পৌঁছল, তখন তিনি
তাকে বললেন, ‘তুমি কোথায় যাচ্ছ?’ সে বলল, ‘এ লোকালয়ে আমার এক ভাই আছে, আমি তার কাছে যাচ্ছি।’
ফিরিশতা জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার প্রতি কি তার কোন অনুগ্রহ রয়েছে, যার বিনিময়
দেওয়ার জন্য তুমি যাচ্ছ?’ সে বলল, ‘না, আমি তার নিকট কেবলমাত্র এই জন্য যাচ্ছি যে, আমি তাকে
আল্লাহর ওয়াস্তে ভালবাসি।’ ফেরেশতা বললেন, ‘(তাহলে শোনো) আমি তোমার নিকট আল্লাহর দূত হিসাবে (এ কথা জানাবার জন্য) এসেছি যে, আল্লাহ তা‘আলা তোমাকে
ভালবাসেন; যেমন তুমি তাকে আল্লাহর জন্য ভালবাস।’’ (মুসলিম)
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘এক ব্যক্তি অন্য কোন গ্রামে তার ভাইয়ের সাথে সাক্ষাৎ করার জন্য বের হল। আল্লাহ
তা‘আলা তার রাস্তায় এক ফেরেশতাকে বসিয়ে দিলেন, তিনি তার
অপেক্ষা করতে থাকলেন। যখন সে তাঁর কাছে পৌঁছল, তখন তিনি
তাকে বললেন, ‘তুমি কোথায় যাচ্ছ?’ সে বলল, ‘এ লোকালয়ে আমার এক ভাই আছে, আমি তার কাছে যাচ্ছি।’
ফিরিশতা জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার প্রতি কি তার কোন অনুগ্রহ রয়েছে, যার বিনিময়
দেওয়ার জন্য তুমি যাচ্ছ?’ সে বলল, ‘না, আমি তার নিকট কেবলমাত্র এই জন্য যাচ্ছি যে, আমি তাকে
আল্লাহর ওয়াস্তে ভালবাসি।’ ফেরেশতা বললেন, ‘(তাহলে শোনো) আমি তোমার নিকট আল্লাহর দূত হিসাবে (এ কথা জানাবার জন্য) এসেছি যে, আল্লাহ তা‘আলা তোমাকে
ভালবাসেন; যেমন তুমি তাকে আল্লাহর জন্য ভালবাস।’’ (মুসলিম)
মুসলিম ২৫৬৭, আহমাদ ৯০৩৬, ৯৬৪২, ৯৮৮৭, ১০২২২
surah tin bangla translation | সূরা তীন | noor
উত্তরমুছুন