সাবধান! আসুন সত্য জানি। সফর মাসে কত বড় বড় বিপদ নাযিল হয়। All Bangla/ Niz...







সফর মাসে কত বড় বড়
বিপদ মসিবত নাজিল হয় দেখুন

আউজুবিল্লাহি মিনাশ শায়ত্বানির রাজিম বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম, সম্মানিত দর্শক মন্ডলী ইসলামী ক্যালেন্ডার মতে প্রথম মাস হল মুহররম
মাস আর বর্তমানে যে মাসটি চলছে তা হল সফর মাস যা ইসলামী ক্যালেন্ডারের ২য় মাস
,
এ মাসটি সম্পর্কে আমাদের সমাজে কিছু মারাত্মক ধরনের ভুল তথ্য প্রচলিত
আছে
, আর এসব ভুল তথ্য শুনে আমরা সারা জীবন ভর কত যে মারাত্মক
ভুল করে আসছি শেষ পযন্ত একটু ধৈর্য্য ধারন করে না শুনলে এ ভুল আপনার ভাঙ্গবে না
আমরা জেনে আসছি সফর মাস মানে হল নানা ধরনের বালা, মসিবত, রোগ, ব্যধী,
বিপদ, আপদ নাযিলের মাস, আমাদের
যে সব মুসলমান ভাই বোন নিজেকে মুসলমান বলে দাবী করে ঠিকই কিন্তু তাঁরা ইসলাম সম্পর্কে
কিছুই জানেন না
, তাদের সাথে কুরান ও হাদীস এর কোন সম্পর্ক নাই,
তখন আমাদের এসব মুসলমান ভাই বোনদের গাইডলাইন হয় নফস শয়তান, আর এ ধরনের ভাই বোনেরা ঈমানদার ঠিকই কিন্তু ইসলামী জ্ঞান না থাকায় কারো মুখ
থেকে যাই শুনে তাই মানতে থাকে
, যেমন যুগ যুগ ধরে লোক মুখে প্রচলিত
আছে এ মাসে তথা সফর মাসে আসমান থেকে বালা মসিবত নাযিল হয়
, তাই
এ মাসে বিয়ে শাদী করা বিয়ে শাদীর অনুষ্ঠান করা কোনভাবেই কল্যানকর হবে না
আর এ কথাকে আমাদের সমাজে এত বেশী গুরুত্ব দিয়ে বিশ্বাস করি যে
এ সফর মাস আসলে আমাদের বিয়ে অনুষ্ঠান একেবারে শূন্যের কোঠায় নেমে আসে
অথচ এ বিষয়ে ইসলামী শরীয়তের ফয়সালা হল এ মাসটিও অন্যান্য মাসের মতই একটি মাস এ
মাসের প্রকৃত নাম হল সফরুল মুজাফফর
, আর মুজাফফর
তাকে বলে যাকে কামিয়াবি দিয়ে দেয়া হয়েছে
এই মাসকে যেহেতু মুজাফফর বলা হয়েছে সেহেতু এ মাস কখনো অমঙ্গলজনক
মাস হতে পারে না
এই যে সফর মাস সম্পর্কে কুধারনা আমাদের সমাজে প্রচলিত এ কু ধারনা মুলত আইয়্যামে
জাহিলিয়্যাতের যুগে কাফেরদের মধ্যে প্রচলিত ছিল
, তখন
নবী করিম
(দঃ) বলে দিলেন (ওয়ালা সফর) অথ্যাৎ সফর এর ব্যপারে যে ধারনা তা ঠিক নয়
একজন কামিল ঈমানদারের জন্য এটা কিছুতেই উচিত নয় এ ধরনের ধ্যান ধারনা ও কুসংস্কারের
পিছে সময় নষ্ট করবে
আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর রাসুল আমাদেরকে এমন কিছু বিষয়ে সতর্ক করেছেন যা করলে আমাদের
দুনিয়া ও আখেরাত বরবাদ হয়ে যাবে
, আমরা সে সব বিষয়ে গুরুত্ব
দেই না
, এক লোক চায়ের দোকানে বসে বসে একটি কথা বলে দিল সে কথাই
আমাদের মধ্যে আছর বেশী করে
, কুরান ও হাদীসের বিভিন্নভাবে বলা
হয়েছে নামাজ না পড়লে হায়াতে রিজিকে বরকত চলে যায়
, আমরা সেদিকে
কান দিই না
, গীবত করা মৃত ভায়ের গোস্ত খাওয়ার সাথে তুলনা করা
হয়েছে সে দিকে আমাদের মনযোগ নাই
, সুদ খাওয়া হারাম সে সব বিষয়ে
আমাদের মনযোগ নাই
, আমাদের মনযোগ সেদিকেই বেশী সৃষ্টি হয় যে কথার
কোন দলিল নাই কোন ভিত্তি নাই

সুতরাং সফর মাসে বিপদ বলা মসিবত নাযিল হয় এ ধারনা মুলত আইয়্যামে জাহেলিয়াত যুগের
কাফেরদের কাছ থেকে আমদানি হয়েছে অতএব যারা মুসলমান তারা কখনো এ কথার উপর এতেকাদ রাখতে
পারে না
এ মাসে বিয়ে শাদী করা অন্য ১১ মাসের মতই জায়েজ
বিশেষ করে মহিলারা এ ধরনের কুসংস্কারে বেশী বিশ্বাস করে, এবং এ মাসে বিয়ে শাদী হলে তাতে বরকত হয়না বলে মনে করে,
ক্নিতু তাঁদের কাছে অতি আদবের সাথে প্রশ্ন করি আপনার আশে পাশে যে সব
বিবাহ অন্যান্য মাসে হয়েছে সে সব বিয়েতে কেন এত সমস্যা
? সফরে
বিয়ে হয়নি তারপরও কেন ঝগড়া
, লড়াই? কেন তাদের
বিবাহিত জীবনে এত অশান্তি
? কেন সফর মাসে বিবাহ হয়নি তবুও তালাক
হয়ে গেল
?

অতএব প্রত্যেক মুসলমানের উচিত এ ধরনের কুসংস্কার থেকে বেঁচে থাকা এবং সফর মাসকেও অন্যান্য মাসের মত বরকতময় মাস হিসেবে মনে করা এ মাসে বিয়ে শাদীর এন্তেজাম করা, যারা এ মাসকে মন্দ বলে তাদেরকে এর প্রকৃত হাকিকত বুঝিয়ে দেয়া আল্লাহ আমাদের সকলকে বুঝার তৌপিক দান করুন আমিন 


কোন মন্তব্য নেই

borchee থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.