বিয়ের আগে হবু বর থেকে অবশ্যই ৬টি পরীক্ষা নিবেন
বিয়ের আগে হবু বর থেকে
অবশ্যই ৬টি পরীক্ষা নিবেন
বিয়ের আগে কুফু দেখতে হয়, কুফু না মিললে সেখানে বিয়ে দেয়া উচিত নয়, যদিও কোন অপারগতার কারনে কুফু না মিললেও বিয়ে দেয়া জায়েজ, তবে কুফুর মিল ছাড়া বিয়ে সম্পাদন উচিত নয়।
কুফু বলা হয় বর ও কনের মধ্যে ৬টি বিষয়ে যেন বরাবর হয়। ৪জন ফোহাকার একই মত যে পিতার জন্য এটা উচিত নয় যে সে তাঁর কন্যাকে কুফু না দেখে ৬টি বিষয় যাচাই না করে গাইরে কুফুতে বিয়ে দিয়ে দেয়।
মনে রাখবেন নারী পুরুষের অধীনে হয়, স্বামী স্ত্রীর জন্য মাথার তাজ হয়, এখন কোন কারনে যদি স্বামী স্ত্রী থেকে কোন দিক দিয়ে নিচু স্তরের হয় তাহলে সেখানে সমস্যা হবেই। যদি স্বামী স্ত্রী থেকে জ্ঞানে গুনে উঁচ স্তরের হয় তখন সে সংসার সুন্দর হয়। ধরুন আপনি একজন ব্রিগেডিয়ার আর আপনার মেয়ে উচ্চশিক্ষীতা, ধার্মিক, ভাল খান্দানের, এখন আপনি যদি আপনার মেয়েকে একজন লো লেবেল ছেলের সাথে বিয়ে দিয়ে দেন তাহলে সেখানে সমস্যা সৃষ্টি হবেই। ফোকাহায়ে কেরাম সে জন্য ৬টি বিষয় বয়ান করে দিয়েছেন, এ ৬টি বিষয় মেয়ে বিয়ে দেয়ার আগে অভিভাবক হিসেবে আপনাকে দেখতে হবে। যাচাই করতে হবে। মেয়ের জন্য এ ৬টি বিষয়ে ছেলে বরাবর কিংবা তার চেয়ে উঁচু স্তরের হওয়া চাই, তবে ছেলে তার চেয়ে নিচু স্তরের করাতে সমস্যা নাই।
যদি বর কনে থেকে উঁচু দরজার হয় তাহলে সে বিয়ে কামিয়াব চলবে।
যে ৬টি বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে তা হল ছেলে খান্দান কেমন বরাবর অথবা উঁচু স্তরের কিনা, বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে খান্দান খারাপ হলে ছেলের মধ্যে খান্দানি খারাপ অভ্যাস প্রভাব বিস্তার করে, তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এটাও দেখা যায় খান্দান খারাপ হলেও ছেলে শিক্ষা দীক্ষায় স্বভাব চরিত্রে উত্তম হয় তখন এ বিষয়ে ছাড় দেয়া চলে।
(২) তারপর ছেলের পেশা দেখতে হবে, (৩) তারপর ছেলে বুদ্ধি ও জ্ঞানবান কিনা দেখতে হবে, আপনার মেয়ে খুবই জ্ঞানবান, ব্রিলিয়েন্ট কিন্ত মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন একদম বেওকুফ ধরনের ছেলের সাথে তখন সমস্যা আসবেই। (৪) তারপর ধন-সম্পদের কুফু দেখতে হবে, আর ধন দৌলতের ব্যপারে ব্যাংক বেলেন্স দেখতে হবে না বরং দৌলতের ব্যপারে এ বিষয়টি দেখতে হবে যে সে ছেলে মেয়ের অন্যান্য আত্মিয় স্বজন বা খান্দানের মেয়েদের মত মহর আদায় করতে সক্ষম কিনা। (৫) তারপর ছেলের ধর্ম দেখতে হবে ছেলে মুসলমান কিনা অবশ্যই দেখতে হবে, আজকাল যে সব বিশেষ করে এক ধরনের নামধারী মুসলমানরা হিন্দুকে বিয়ে এসব বিয়ে বাতিল কোন মুসলমানের সাথে কোন মুর্তিপুঁজারীর বিয়ে শুদ্ধ হবে না এটা হবে জেনা। এবং সর্বশেষ যে বিষয়টি লক্ষ্য রাখতে হবে তা হল (৬) ছেলের দ্বীনদারী দেখতে হবে, মেয়ে দ্বীনদার কিন্তু ছেলে কোন প্রকাশ্য কবিরা গুনাহে লিপ্ত তাহলে সে ছেলে ঐ মেয়ের উপযুক্ত নয়। যেমন আপনার মেয়েকে জেনে শুনে কোন শরাবীর সাথে বিয়ে দিতে পারেন না এতে আপনার মেয়ের জবিন বরবাদ হয়ে যাবে।
এবং আরেকটি বিষয় হল আপনার মেয়ে যদি কোন মাদরাসা থেকে আলেমা হয়ে বের হয়, কুরান হাদীসের গভীর জ্ঞানের অধিকারীনি হয়, তখন তার মধ্যে একটা ইসলামী জ্ঞানের কারনে মানসিক ভাবে বড়ত্ব আসবে তখন সে মেয়েকে যদি কোন গাইরে আলেম বা জেনারেল শিক্ষিতের সাথে বিয়ে দেন সেখানেও সমস্যা হবে কারন তখন মেয়ে তার স্বামীকে নিজের চেয়ে দ্বীনি জ্ঞানে অজ্ঞ ও মুর্খ মনে করবে এবং সেক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি হবে। তাই কোন আলেমা মেয়েকে একজন ভাল আলেমের সাথেই বিয়ে দেয়াটা কুফু হবে।
যারা এখনো বিয়ে করেননি তারা আমার এ বিষয়টি আমল করার চেষ্টা করবেন তাহলে আপনার সংসার সুন্দর হবে, সুখের হবে। অভিবাবকরা মেয়েকে বিয়ে দিতে সময় এ ৬টি বিষয়ে পাল্লা করে নিবেন। আর যারা বিয়ে করে ফেলেছেন এখন আর এ বিষয়ে মাথা না ঘামিয়ে যেমন আছেন তাতেই বরদাশত করে যান আর নিজের স্বামীকে নিজের চাইতে উত্তম মনে করেন ইনশা আল্লাহ মানসিক শান্তি বজায় থাকবে।
আর সকলের সংসারে শান্তি দান করুন আমিন।
surah al qadr bangla translation | আল-কদর | noor
উত্তরমুছুন