ইন্নালিল্লাহ দোয়াটি ঘর পড়লে কি হয় দেখেন All Bangla/ Nizam Uddin
ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন
ঘরে পড়লে কি হয় দেখুন
পবিত্র কুরআনে একটি আয়াত সুরা বাকারার ১৫৬ নং আয়াত
]
الَّذِينَ إِذَا
أَصَابَتْهُم مُّصِيبَةٌ قَالُواْ إِنَّا لِلّهِ وَإِنَّـا إِلَيْهِ رَاجِعونَ
أَصَابَتْهُم مُّصِيبَةٌ قَالُواْ إِنَّا لِلّهِ وَإِنَّـا إِلَيْهِ رَاجِعونَ
যখন তারা বিপদে পতিত হয়, তখন
বলে, নিশ্চয় আমরা সবাই আল্লাহর জন্য এবং আমরা সবাই তাঁরই
সান্নিধ্যে ফিরে যাবো। [ সুরা
বাকারা ২:১৫৬ ]
বলে, নিশ্চয় আমরা সবাই আল্লাহর জন্য এবং আমরা সবাই তাঁরই
সান্নিধ্যে ফিরে যাবো। [ সুরা
বাকারা ২:১৫৬ ]
এ আয়াতটি শুধু কোন মৃত্যুর সংবাদ শুনলেই পড়তে হয় এটা আমরা
জানি কিন্তু এ দোয়াটি আপনি প্রতিদিন কিংবা যে কোন ছোটবড় বিপদে, দুঃসংবাদে, সামান্য
হুছট খেলেও যখন পড়বেন তার কি বিষ্ময়কর আছর তা জানলে অবাক হবেন, বিস্তারিত জানতে হলে ধৈর্য্য ধরে শেষ পর্যন্ত শুনতে হবে তাহলে
ইনশাআল্লাহ আপনার জানা এই সহজ দোয়াটি দ্বারা আপনি অনেক উপকৃত হবেন।
জানি কিন্তু এ দোয়াটি আপনি প্রতিদিন কিংবা যে কোন ছোটবড় বিপদে, দুঃসংবাদে, সামান্য
হুছট খেলেও যখন পড়বেন তার কি বিষ্ময়কর আছর তা জানলে অবাক হবেন, বিস্তারিত জানতে হলে ধৈর্য্য ধরে শেষ পর্যন্ত শুনতে হবে তাহলে
ইনশাআল্লাহ আপনার জানা এই সহজ দোয়াটি দ্বারা আপনি অনেক উপকৃত হবেন।
এ আয়াতে আল্লাহ তায়ালার হেকমতের খোলা নিশানি মওজুদ আছে, এবং এ আয়াত দুঃখ দুর্দশায় লিপ্ত, বিপদ মসিবতে
গ্রেফতার লোকদের মানসিক শান্তির জন্য যথেষ্ট। এ আয়াত বান্দা ও আল্লাহর মাঝে এক বন্ধনকে
প্রকাশ করে। রাসুলে কারিম (দঃ) এ আয়াতের মাধ্যমে
আল্লাহর রহম ও সাহায্য তলব করতেন।
গ্রেফতার লোকদের মানসিক শান্তির জন্য যথেষ্ট। এ আয়াত বান্দা ও আল্লাহর মাঝে এক বন্ধনকে
প্রকাশ করে। রাসুলে কারিম (দঃ) এ আয়াতের মাধ্যমে
আল্লাহর রহম ও সাহায্য তলব করতেন।
হযরত সাফওয়ান (রাঃ) যখন দেখলেন আম্মাজান
আয়শা মরুভুমিতে কাফেলা থেকে পিছনে রয়ে গেছেন, উনাকে ফেলে কাফেলা
চলে গেছেন, তখন তিনি একা রাতের আধাঁরে চাদর মুরি দিয়ে বসে আছেন
তখন তিনি এ অবস্থায় (ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন)
পড়লেন, সুতরাং এ কথাটা সত্য যে হারিয়ে যাওয়া,
গুম হয়ে যাওয়া, পথ হারানো, কিংবা যে কোন মসিবতের সময় এ কোরানি দোয়াটি পড়া যায়।তখন আল্লাহ তায়ালা বান্দাকে এ দোয়ার বরকতে
সাহায্য করেন। রাস্তা হারা লোক রাস্তা খুঁজে পায়, এ আয়াতখানি
গোমরাহি থেকে সঠিক ও সরল পথ ফিরে পেতেও পড়া যায়।
আয়শা মরুভুমিতে কাফেলা থেকে পিছনে রয়ে গেছেন, উনাকে ফেলে কাফেলা
চলে গেছেন, তখন তিনি একা রাতের আধাঁরে চাদর মুরি দিয়ে বসে আছেন
তখন তিনি এ অবস্থায় (ইন্নালিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন)
পড়লেন, সুতরাং এ কথাটা সত্য যে হারিয়ে যাওয়া,
গুম হয়ে যাওয়া, পথ হারানো, কিংবা যে কোন মসিবতের সময় এ কোরানি দোয়াটি পড়া যায়।তখন আল্লাহ তায়ালা বান্দাকে এ দোয়ার বরকতে
সাহায্য করেন। রাস্তা হারা লোক রাস্তা খুঁজে পায়, এ আয়াতখানি
গোমরাহি থেকে সঠিক ও সরল পথ ফিরে পেতেও পড়া যায়।
মাশায়েখে এজামের ওয়াজিফা ছিল তারা নফসকে কন্ট্রোল করার জন্যও এ দোয়াটি বেশী বেশী
পড়তেন।
পড়তেন।
তেমনি ভাবে কোন কিছু হারিয়ে গেলে হারানো বস্তু খুঁজে পেতেও এ দোয়াটি খুবই কার্যকরী।
প্রিয় বন্ধুরা ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন এর অনেক ফজিলত হাদীস শরীফে
পাওয়া যায়, বিশেষ করে কারো মৃত্যু সংবাদ শুনে ইন্না লিল্লাহি
ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন পড়তে হবে। এর দ্বারা মুলত আল্লাহর ফয়সালার উপর সন্তুষ্ট থাকার আলামত। এবং সাথে সাথে চিরন্তন সত্য কথাকে মেনে নেয়া যে সে মৃত লোকের মত আমাদেরকেও একদিন
সে খালেক ও মালেকের কাছে চলে যেতে হবে। এ দোয়াটি বান্দা আল্লাহর ফয়সালার উপর ছবর দেখানোর বড় মাধ্যম।
পাওয়া যায়, বিশেষ করে কারো মৃত্যু সংবাদ শুনে ইন্না লিল্লাহি
ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন পড়তে হবে। এর দ্বারা মুলত আল্লাহর ফয়সালার উপর সন্তুষ্ট থাকার আলামত। এবং সাথে সাথে চিরন্তন সত্য কথাকে মেনে নেয়া যে সে মৃত লোকের মত আমাদেরকেও একদিন
সে খালেক ও মালেকের কাছে চলে যেতে হবে। এ দোয়াটি বান্দা আল্লাহর ফয়সালার উপর ছবর দেখানোর বড় মাধ্যম।
তিরমিযি শরীফের এক হাদীস যার মফহুম কিছুটা এমন হযরত আবু মুসা আশাআরী (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ (দঃ) এরশাদ করেন যখন কারো সন্তান মৃত্যু বরণ করেন তখন
আল্লাহ তায়ালা ফেরেশতাদেরকে বলেন তোমরাকি আমার বান্দার সন্তানের রুহ কবজ করে নিয়েছ?
ফেরেশতা বলে হ্যাঁ, তখন আল্লাহ তায়ালা ফেরেশতাকে
আবার প্রশ্ন করেন এর উপর আমার বান্দা কি বলেছে? তখন ফেরেশতা জবাব
দেয়, আপনার বান্দা আপনার হামদ বয়ান করেছেন এবং ইন্নালিল্লাহি
ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন পড়েছে। তখন আল্লাহ তায়ালা অর্ডার দেন আমার সে বান্দার জন্য জান্নাতে
একটি ঘর তৈরী কর। আর সে ঘরের নাম রাখ বায়তুল হামদ।
আল্লাহ তায়ালা ফেরেশতাদেরকে বলেন তোমরাকি আমার বান্দার সন্তানের রুহ কবজ করে নিয়েছ?
ফেরেশতা বলে হ্যাঁ, তখন আল্লাহ তায়ালা ফেরেশতাকে
আবার প্রশ্ন করেন এর উপর আমার বান্দা কি বলেছে? তখন ফেরেশতা জবাব
দেয়, আপনার বান্দা আপনার হামদ বয়ান করেছেন এবং ইন্নালিল্লাহি
ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন পড়েছে। তখন আল্লাহ তায়ালা অর্ডার দেন আমার সে বান্দার জন্য জান্নাতে
একটি ঘর তৈরী কর। আর সে ঘরের নাম রাখ বায়তুল হামদ।
তাছাড়া বান্দা যখন যে কোন মসিবতে এ দোয়াটি পড়ে তখন আল্লাহ তায়ালা সে বান্দাকে তার
চেয়েও উত্তম জিনিষ দান করেন এক রেওয়ায়েতে আছে –
চেয়েও উত্তম জিনিষ দান করেন এক রেওয়ায়েতে আছে –
হযরত উম্মে
সালামা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি-
সালামা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি-
مَا مِنْ مُسْلِمٍ تُصِيبُهُ مُصِيبَةٌ، فَيَقُولُ مَا أَمَرَهُ
اللهُ: إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ، اللهُمَّ أْجُرْنِي فِي
مُصِيبَتِي، وَأَخْلِفْ لِي خَيْرًا مِنْهَا، إِلَّا أَخْلَفَ اللهُ لَهُ خَيْرًا
مِنْهَا.
اللهُ: إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ، اللهُمَّ أْجُرْنِي فِي
مُصِيبَتِي، وَأَخْلِفْ لِي خَيْرًا مِنْهَا، إِلَّا أَخْلَفَ اللهُ لَهُ خَيْرًا
مِنْهَا.
কোনো
মুসলিমের উপর যখন বিপদ আসে আর সে ঐ কথাটি বলে যা বলতে আল্লাহ আদেশ করেছেন (ইন্না
লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আরো বলে-
মুসলিমের উপর যখন বিপদ আসে আর সে ঐ কথাটি বলে যা বলতে আল্লাহ আদেশ করেছেন (ইন্না
লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। আরো বলে-
اللهُمَّ أْجُرْنِي فِي مُصِيبَتِي، وَأَخْلِفْ لِي خَيْرًا مِنْهَا.
‘ইয়া আল্লাহ! আমার বিপদে আমাকে প্রতিদান দিন
এবং হারানো বস্তুর চেয়ে উত্তম বস্তু আমাকে দান করুন’ তাহলে আল্লাহ তাকে উত্তম বস্তু দান করেন। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ৯১৮
এবং হারানো বস্তুর চেয়ে উত্তম বস্তু আমাকে দান করুন’ তাহলে আল্লাহ তাকে উত্তম বস্তু দান করেন। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ৯১৮
উম্মে সালমা বলেন আমার স্বামীর মৃত্যুর পর আমি এ দোয়াটি পড়েছি (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন আল্লাহুম্মা আজিরনি ফি
মুসিবাতি ওয়া আখলাফলি খাইরাম মিনহা) অথ্যাৎ নিশ্চয়ই আমি আল্লাহর জন্য এবং আমার
আল্লাহর দিকেই প্রত্যাবর্তন করতে হবে, হে আল্লাহ আমার এ মসিবতে
আমাকে প্রতিদান দাও, এবং পরিবর্তে আমাকে উত্তম প্রতিদান দান কর।
মুসিবাতি ওয়া আখলাফলি খাইরাম মিনহা) অথ্যাৎ নিশ্চয়ই আমি আল্লাহর জন্য এবং আমার
আল্লাহর দিকেই প্রত্যাবর্তন করতে হবে, হে আল্লাহ আমার এ মসিবতে
আমাকে প্রতিদান দাও, এবং পরিবর্তে আমাকে উত্তম প্রতিদান দান কর।
আমার এ দোয়ার বরকতে আল্লাহ তায়ালা আমার স্বামী আবু সালমার মৃত্যুর পর রাসুলুল্লাহ (দঃ) এর মত শখছিয়তকে আমাকে নসিব করেছেন।
প্রিয় বন্ধুরা এই হল এই ছোট কোরাআনের আয়াতের ফজিলত, যা দ্বারা আমরা আমাদের ছোট বড় সকল মসিবতে আল্লাহর ফয়সালার উপর
সন্তুষ্টি প্রকাশ করতে পারি এবং আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে এর বরকেত সে মসিবতে ধৈর্য্য
ধারনের শক্তি দান করেন এবং সে বিপদ থেকে উদ্ধার করেন, এবং যে
ক্ষতি সাধিত হয় সে ক্ষতির পরিবর্তে আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে নেকি দান করেন এবং এর পরিবর্তে
আমাদের আরো উত্তম প্রতিদান দান করেন। যার কল্পনাও আমারা করতে পারি না। সুতরাং আমাদের উচিত সবসময় এ দোয়াটি পড়া (ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন)
সন্তুষ্টি প্রকাশ করতে পারি এবং আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে এর বরকেত সে মসিবতে ধৈর্য্য
ধারনের শক্তি দান করেন এবং সে বিপদ থেকে উদ্ধার করেন, এবং যে
ক্ষতি সাধিত হয় সে ক্ষতির পরিবর্তে আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে নেকি দান করেন এবং এর পরিবর্তে
আমাদের আরো উত্তম প্রতিদান দান করেন। যার কল্পনাও আমারা করতে পারি না। সুতরাং আমাদের উচিত সবসময় এ দোয়াটি পড়া (ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন)
কোন মন্তব্য নেই