আল্লাহ এত সম্পদের খনি দিবেন আপনি সামলাতে পারবেন না তবে শর্ত হল..

৩২

আল্লাহ এত সম্পদের খনি দিবেন
আপনি সামলাতে পারবেন না তবে শর্ত হল..

ইসলামে যদি কোনো জিনিস হারাম করা হয়, তাহলে তার পরিবর্তে কোনো উত্কৃষ্টতর জিনিসকে হালাল করে দেওয়া হয়েছে
ইসলাম পাশা খেলার মাধ্যমে ভাগ্য জানা হারাম করে দিয়েছে। তার পরিবর্তে ইস্তিখারার দোয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। ইস্তিখারার মাধ্যমে কোনো কাজের ভালো-মন্দ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
ইসলাম সুদ খাওয়া হারাম করে দিয়েছে। তার পরিবর্তে মুনাফাপূর্ণ ব্যবসা বৈধ করে দিয়েছে।
ইসলাম জুয়া খেলা হারাম করেছে, তার পরিবর্তে ঘোড়া, টের প্রতিযোগিতালব্ধ ধন-সম্পদ গ্রহণ বৈধ করেছে। শর্ত হলো, যতক্ষণ পর্যন্ত তা শরিয়তের পরিপন্থী না হয়।
ইসলাম পুরুষদের রেশম ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। তার পরিবর্তে সুতা, পশম, কাতানের বিভিন্ন সৌন্দর্যময় পোশাক বৈধ করেছে। ইসলাম জিনা-ব্যভিচার হারাম করেছে। তার পরিবর্তে বিবাহিত স্ত্রীর সঙ্গে বৈধ উপায়ে যৌন সঙ্গম বৈধ করেছে। ইসলাম মাদকদ্রব্য হারাম করেছে। তার পরিবর্তে দেহ ও মনের উপকারী সুস্বাদু পানীয় হালাল করে দিয়েছে। ইসলাম খারাপ ও নিকৃষ্ট ধরনের খাদ্য হারাম করেছে। তার পরিবর্তে উত্তম, উত্কৃষ্ট ও ভালো খাদ্য হালাল করে দিয়েছে।
এভাবে ইসলামের বিভিন্ন বিধিবিধান পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, আল্লাহ তাআলা একদিকে মানুষের জন্য কোনো কোনো জিনিস হারাম করেছেন, অন্যদিকে বহু জিনিস হালাল করে জীবনে বিপুল প্রশস্ততা এনে দিয়েছেন। একদিকের দুয়ার বন্ধ করে তিনি অন্যদিকের দ্বার উন্মুক্ত করে দিয়েছেন। আসলে ইসলামের বিধিবিধান স্রষ্টার আনুগত্য প্রদর্শনের জন্য, মানুষের জীবন সংকীর্ণ করার জন্য নয়। পবিত্র কোরআনে সুরা নিসার ২৭-২৮ নং আয়াতে এসেছে,
]
وَاللّهُ يُرِيدُ أَن يَتُوبَ عَلَيْكُمْ وَيُرِيدُ الَّذِينَ يَتَّبِعُونَ الشَّهَوَاتِ أَن تَمِيلُواْ مَيْلاً عَظِيمًا
আল্লাহ তোমাদের প্রতি ক্ষমাশীল হতে চান, এবং যারা কামনা-বাসনা র অনুসারী, তারা চায় যে, তোমরা পথ থেকে অনেক দূরে বিচ্যুত হয়ে পড়। [ সুরা নিসা ৪:২৭ ]
يُرِيدُ اللّهُ أَن يُخَفِّفَ عَنكُمْ وَخُلِقَ الإِنسَانُ ضَعِيفًا
আল্লাহ তোমাদের বোঝা হালকা করতে চান। মানুষ দুর্বল সৃজিত হয়েছে। [ সুরা নিসা ৪:২৮ ]


প্রভুর ব্যপারে আপনার আকিদাকে শুদ্ধ করুন, তার পয়গাম্বরগনের ব্যপারে আকিদাকে শুদ্ধ করুন, আসমানি কিতামসমুহের ব্যপারে আকিদা, এবং সাহাবায়ে কেরামগনের ব্যপারে আকিদা আমাদের আকিদা হল আল্লাহ তায়ালা কুল কায়েনাতের সৃষ্টিকর্তা, আমাদের এ আকিদা হওয়া উচিত, তিনিই মালিক, তিনিই গোটা কায়েনাতের প্রতিপালক, তিনিই কাদের, সকল শক্তি ও কুদরতের মালিক শুধু তিনিইতিনি সকলের ফরিদায় শ্রবণকারী আল্লাহর কসম এখানে ৩জন লোক যদি এক সাথে আলাপ করে সেখানে কেহ তাদের প্রত্যেকের কথাকে আলাদা আলাদা করে লিখতে সক্ষম নয়, পৃথিবীর সকল প্রযুক্তি যদি একত্রিত হয় তবুও কয়েকজন লোক একসাথে কথা বললে তাদের কথসমুহকে আলাদা করে উপস্থাপন করা সম্ভব নয়,  কিন্তু সারা দুনিয়ায় কোটি কোটি লোক ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় ভিন্ন ভিন্ন জায়গা থেকে যখন ফরিয়াদ করেন তিনি সকলের ফরিয়াদ শুনেন,  আর সকলকে তিনি প্রতিদান দেন এই শক্তি কোন মাখলুকের মধ্যে হতেই পারে না তিনি একমাত্র খালেক যাকে ইচ্ছা পুত্র দেন যাকে ইচ্ছা কন্যা দেন যাকে ইচ্ছা পুত্র কন্যা উভয়ই দেন আবার যাকে চান সন্তান থেকে বঞ্চিত করেন তিনিই সে রব যখন চেয়েছেন হযরত জাকারিয়াকে চুলসমুহ সাদা হয়ে যাওয়ার পর সন্তান দিয়েছেন, তিনি যখন চেয়েছেন ইবরাহিম (আঃ) এর স্ত্রীকে ভাঞ্জা হওয়া সত্বেও বৃদ্ধাবস্থায় সন্তান দিয়েছেন, তিনি যখন চেয়েছেন হযরত মরিয়ম (আঃ) কে পিতা ছাড়া হযরত ইসা দিয়েছেন সে রবের কাছে কোন কিছুই অসম্ভব নয়, আমাদের জন্য অসম্ভব তিনিই পুরা কায়েনাতের মালিক, তিনি সকল ধন সম্পদের খনির মালিক সে রবের কাছে চাইলে এত বেশী পরিমান সম্পদ আপনাকে দান করতে পারেন যে আপনি সামলাতে অপারগ হয়ে যাবেন, তবে চাওয়ার জন্য শর্ত আছে চাইতে গিয়ে যখন হাত উঠাবেন তখন আপনার হাত যেন পাক পবিত্র হয়, আপনার জবান যেন পাক পবিত্র হয়, আপনার শরীরে যেন হারাম না থাকে গোপনে নাফরমানি করা থেকে পাক থাকতে হবে, তার নিকট দুনিয়ার কোন কিছুই গোপন নাই, (লা এয়াখফা আলাইহি খাফিয়া)
আমাদেরকে এই আকিদা নিয়ে চাইতে হবে, তাঁর কাছে বান্দা দোয়া করলে খুশী হন, দুনিয়ার কারো কাছে চাইলে ১ বার ২ বার রেসপন্স করে কিন্তু বার বার চাইলে নারাজ হয়, কিন্তু আমরা এমন রবের কাছে চাইব যিনি না চাইলে নারাজ হন, বার বার চাইলে খুশী হন, বার বার চাইলে সে বান্দাকে নিজের অলি করে নেন নিজের বন্ধু বানিয়ে নেন
আর যিনি আল্লাহর অলি তার জন্য কোন ভয় নাই কোন শংকা নাই, তার জন্য রয়েছে চিন্তাহীন জীবন যেমন আল্লাহ ঘোষণা করেন (আলা ইন্না আউলিয়াল্লাহে লা খাউফুন আলাইহিম ওয়ালাহুম এয়াখজানুন)

1 টি মন্তব্য:

borchee থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.