রাতে শোবার আগে আমল। ফেরেশতারা কখন ঠোঁট রাখে???





রাতে শুবার সময় এ আমল করুন
ফেরেশতা আপনার ঠোটের উপর ঠোট রেখে দিবে
রাসুলুল্লাহ (দঃ) এরশাদ করেন যে রাতে
শুবার জন্য বিছানার দিকে যায়
, নিয়ত করে, অতঃপর শুয়ে যায় রাতে নিদ্রায় বিভোর হয়ে থাকে তাই জাগ্রত হতে পারেনা সকালে জাগ্রত
হয়
, (কুতিবা লাহু মা নাওয়া 
তখন আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জত ফেরেশতাদের বলেন হে আমার ফেরেশতারা সে নিয়ত করেছে কিন্তু
পড়তে পারেনি
, যেহেতু নিয়ত করেছে তাই তার আমল নামায় তাহাজ্জুদ
লিখে দাও
, আর লোকজন সদকা করতে থাকে আর সে ঘুমে ছিল যেহেতু সে
নিয়ত করেছে তাই তার এ ঘুমটাকে সদকা হিসেবে তার আমলনামায় লিখে দাও
,
সুতরাং নিয়ত করে অজু সহকারে শুয়ে যান, রাসুলুল্লাহ
(দঃ) এর ফরমান- (মা মিন আবদিন
এয়াবিতু আলা জিকরিন তাহেরা
) যে লোক অজু সহকারে শুয়ে যায়,
জিকির করে ঘুমায় আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জতের পক্ষ থেকে এক ফেরেশতা সে বান্দার
বিছানায় রাত কাটায়
, সারা রাত সে ফেরেশতা তার জন্য দোয়া করতে থাকে
(আল্লাহুম্মাগফিরলি আবদিকা) 
হে আল্লাহ তুমি তোমার এ বান্দাকে ক্ষমা করে দাও, সারা রাত ফেরেশতা এ ঘুমন্ত লোকটির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকে,
তাই জিকির করে ঘুমান, (আল্লাহুম্মা বিইসমিকা আমুতু
ওয়া আহিয়া
) সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ,
আল্লাহু আকবার পড়ুন, সুরা মুলক পড়তে ভুলবেন না,
এ কবর আযাব থেকে বাঁচাবে
কেয়ামতে সুপারিশ করবে, আল্লাহর
সাথে জিদ করবে যতক্ষন সুরা মুলুক পাঠকারীকে জান্নাতে প্রবেশ করা না হবে
, মিসওয়াক করে শুবেন, রাসুলুল্লাহ (দঃ) মিসওয়াক করে শুতেন
বালিশের পাশে আয়শা (রাঃ)
মিসওযাক রেখে দিতেন,
হুযুর (দঃ) যখন জাগ্রত হতেন হাত
দিয়ে নিজের চেহেরা মাসেহ করতেন
,
জাগ্রত হয়ে সর্বপ্রথম রাসুলুল্লাহ (দঃ)
মিসওয়াক করতেন আর তিনি হকুম দেন তোমরা তোমাদের মুখ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন
রাখ
, এটা কুরানের রাস্তা
ফেরেশতারা কোন কিছু খায় না পান করে না আল্লাহ তাদের খাওয়া দাওযা
থেকে বিরত রেখেছেন
, পাক রেখেছেন, কিন্তু হাদীসের বানী যখন কুরান
তেলাওয়াত কারী কুরান পড়ে তখন ফেরেশতা এসে নিজের ঠোটগুলি কুরান পাঠকারীর ঠোটের উপর রেখে
দেন আর কুরান পাঠকারীর কুরানের তেলাওয়াত ফেরেশতার খোরাক হয়ে যায়
সুতরাং আপনি যখনই কুরআন পাঠ করবেন আগে মুখ পরিস্কার করে নিবেন, পিয়াজ রসুন
ছোলা পিয়াজু এসব তৈলাক্ত দুর্গন্ধ ছড়ায় এমন খাদ্য খেয়ে ভাল করে কুলি করে নিবেন,
নামাজে আপনি সুরা পাঠ করবেন সেখানেও ফেরেশতা আসে তার খোরাক নেয়, কিন্তু আপনার মুখ
থেকে যদি দৃর্গন্ধ ছড়ায় সিগারেট এর গন্ধ বের হয়, মিসওয়াক না করেন ভাল করে পরিস্কার
না করেন তখন ফেরেশতারা কষ্ট পায়
সে জন্য আমার প্রিয় নবী কাঁচা পেয়াজ খেতে নিষেধ করেছেন, আর হুযুর নিজেও খেতেন
না তবে রান্না করা হলে তা আমাদের জন্য জায়েজ তবে নবী করিম (দঃ ) রান্না করা পিয়াজও
খেতেন না, কারন হিসেবে তিনি বলেন আমি যাদের সাথে কথা বলি তারা অথ্যাৎ ফেরেশতারা
এটা পছন্দ করেন না, তাই তিনি কাঁচা বলুন রান্না বলুন উভয়টা থেকেই বিরত থাকতেন তবে
আমাদের জন্য রান্না করা জায়েজ কাঁচা পেয়াজ খাওয়া নিষেধ।

কোন মন্তব্য নেই

borchee থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.