এক সাহাবী যিনি নবুয়তের ঘোষনার আগেই ইসলাম কবুল করেন
এক সাহাবী যিনি
নবুয়তের ঘোষনার আগেই
ইসলাম কবুল করেন
সাহাবী সাম দেশে বানিজ্যের উদ্দেশ্যে গিয়েছিলেন, সেখান থেকে যখন তিনি ফিরে আসলেন শুনলেন মুহাম্মদ (দঃ) নিজেকে নবী দাবী করেছেন, তিনি
ছুটে গেলেন আর বললেন এয়া রাসুলাল্লাহ আমাকে কলমা পড়িয়ে দিন, তিনি
কলমা পড়ে নিলেন, হযরত আবু বকর (রাঃ)
তাঁকে প্রশ্ন করলেন সকলে এসে হুজুরকে নবুয়তের ব্যপারে নানান প্রশ্নকরে,
হুযুর যে নবী সে ব্যপারে যাচাই বাছাই করেন, পরীক্ষা
করেন, প্রশ্ন করেন, চিন্তা ভাবনা করে তারপর
ঈমান গ্রহণ করেন কিন্তু তুমি হুযুরের কাছে নবুয়তের ব্যপারে কোন প্রশ্নই করলে না সরাসরি
কলমা পড়ে ইসলাম কবুল করে নিলে এর কারন কি? তখন সে সাহাবী বলেন
হুযুর নবুয়তের ঘোষনা দিতে দেরী করেছেন আমিতো হুযুরকে অনেক আগ থেকেই চিনি।
নবুয়তের ঘোষনা দেয়ার অনেক
আগে একদিন আমি হুযুরের সাথে কোন একটি বিষয়ে লেনদেন করলাম, আমি তাঁকে
বললাম আপনি এ কুয়ার পাশে একটু বসুন আমি এখনই ঘর থেকে ফিরে আসছি, কিন্তু আমি ঘরে গিয়ে অন্য কাজে এতই ব্যস্ত হয়ে গেলাম যে হুযুরকে যে কুয়ার পাশে
বসিয়ে এসেছি তা ভুলে গেলাম এভাবে ৩ দিন পার হয়ে গেল, আমি ৩ দিন
পর যখন সে কথা মনে হল আমি হুযুরের ঘরে গিয়ে ডাক দিলাম, খদিজাতুল
কুবরা বলল তিনিতো গত ৩ দিন যাবৎ কোন কাজে বাহিরে গেছেন ঘরে ফিরেননি, আমি তখন মাথায় হাত মারলাম, দৌড় দিলাম দৌড়ে গিয়ে দেখি
৩ দিন আগে আমি যে উনাকে একটি কুয়ার কাছে বসিয়ে রেখেছি সে কুয়ার পাশে হুযুর
(দঃ) বসে আছেন, আমি যখন হুযুরের
সামনে গেলাম হুযুর একদম স্বাভাবিক ভাবে প্রশ্ন করল তোমার ঘরে কি কোন সমস্যা হয়েছে?
এত দেরী করেছ কেন? তোমার কি কোন সমস্যা হয়েছে?
তোমার সাথে ওয়াদা করেছি বলে আজ ৩ দিন এ জায়গায় বসে আছি, আর নিজেই চিন্তিত হয়ে গেলাম তোমার কোন বিপদ হল কিনা সেটা ভেবে। সুবহানাল্লাহ দেখুন। সেদিন হুযুরের এ আচরন এমন ওয়াদা পুরনের ঘটনা দেখেই তার
উপর আমি ফেদা হয়ে গিয়েছি, আজ আমিসাম দেশ থেকে ফিরে এসে শুনলাম হুযুর নিজেকে নবী দাবী করেছেন
তা শুনে আমি আর দেরী করিনি কলমা পাঠ করে হুযুরের হাতে বায়েত হয়ে গেলাম। হুযুর নবুয়ত দাবী করতে দেরী করেছেন আমিতো অনেক আগেই হুযুরের
আচরনে নিজের মন দিয়ে দিয়েছি। আল্লাহ পাক আমাদেরকেও ওয়াদা পালনে যন্তবান হওয়ার তৌফিক দান করুন। আমিন।
কোন মন্তব্য নেই