আকাশ থেকে জাহাজের পাঠাতনে পানির সাথে গরু । শিক্ষনীয় ঘটনা। Ja al haq/ Niz...

যখন গরু আকাশ থেকে পড়ল

আর পানির জাহাজ ধ্বংস হল

In This Video, we'll Learn About When Cow Falls From Sky
The Mysterious Incident

জা আল হকের সম্মানিত বন্ধুরা, আসসালামু আলাইকুম।

দশক মন্ডলী এ ঘটনাটি হল ১৯৫৬ ইংরেজীর ঘটনা, শেষ পযন্ত
ঘটনাটি শুনলে কিছু শিখতে পারবেন

সেদিন আমেরিকায় েএকটি ছোঠ সামুদ্রিক জাহাজ তেল নিয়ে যাচ্ছে, আর জাহাজটি হঠাৎ করে সম্পর্কছিন্ন হয়ে গেল, নিজের রুট হারিয়ে ফেলল এবং সমুদ্রের এক আভ্যন্তরিন টিলার সাথে ধাক্কা লেগে
সমুদ্রে ডুবে গেল, আর এ দুঘটনা থেকে জাহাজের কাপ্তান লাইফ বোডের
সাহায্যে নিজের জীবন বাঁচিয়ে ফিরে আসল। েএ ঘটনার পর কাপ্তানকে গ্রেফতার করা হল কারন তেল সহ জাহাজ ধ্বংস
লহয়ে গেছে, তাই এর জিম্মাদার জাহাজের কাপ্তান। গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হল,  কাপ্তান বলল আমি সুন্দর
ভাবেই জাহাজ চালনা করছিলাম, আকাশ ও পরিস্কার কিন্তু হঠাৎ করে
আকাশ থেকে জিাহাজের উপর পানি পড়ল আর পানির সাথে সাথে বিশাল এক গাই গরুও জাহাজের পাঠাতনে
আছড়ে পড়ল, আর গরুটি পড়ার সাথে সাথে জাহাজ তার বেলেন্স হারিয়ে
রুট থেকে ছিটকে গিয়ে এক পানির নিচে বিশাল এক পাথরের সাথে ধাক্কা খেল আর জাহাজের তলা
ফেটে জাহাজে পানি প্রবেশ করে জাহাজ সমুদ্রে ডুবে গেল

বন্ধুরা এটি এক আজব ধরনের গল্প, কাপ্তানের
কথা কেহই মেনে নিতে পারছিল না, এ কথা তখন যেমন কেহ বিশ্বাসস করে
নি তেমনি আজ যদি কেহ আপনার আমার সামনে এ ধরনের কথা বলে যে পরিস্কার আকাশ থেকে সামান্য
পানির সাথে সাথে বিশাল এক গাই আ্রছড়ে পড়েছে এটা যে বলবে তাকে সকলে পাগল বলবে,
তখনও কাপ্তানের সে কথা গুলি শুনে পুলিশ তাকে কাপ্তানকে অপরাধী এবং ডাক্তারেরা
তাকে পাগল ডিকলার করে দিল, এবং অবশেষে কাপ্তানকে পাগল খানায় পাঠিয়ে
দেয়া হল, আর কাপ্তান সাহেব পাগলা গারদে পাগলদের সাথে থাকতে থাকতে
সেও পাগল হয়ে গেল।

প্রিয় দশক মন্ডলী এটি হল এ গল্পের একটি অংশ এখন আমি যদি আপনাদের কাছে প্রশ্ন করি
এ কাপ্তান যা বলছে তা কি সে ঠিক বলছিল? আপনাদের
অধিকাংশ লোকই বলবেন এটা কিছুতেই সম্ভব নয় যে আকাশ থেকে গরু পড়বে আর তাতে জাহাজ ডুবে
যাবে। এবং আপনিও সে কাপ্তানকে মিথ্যুক ও পাগল
বলবেন,

কিন্তু বন্ধুরা আসুন আমি আপনাদের বলি এ গল্পের ২য় অংশ- যা শুনার পর আপনার দৃষ্টিতে এ কাপ্তান দুনিয়া সবচেয়ে অত্যাচারীত
ব্যক্তি মজলুম ব্যক্তি হিসেবে পরিগনিত হবে।

দর্শক মন্ডলী এই ঘটনার ২৫ বছর পর আমেরিকা এয়ারফোর্সের এক রিটায়াড অফিসার তার জীবনের
স্মরণীয় ঘটনাসমুহ নিয়ে এক বই লিখল,  সে তাতে একটি ঘটনা লিখক কিছুটা এমন
যে ১৯৫৬ সালে এক পাহাড়ি জঙ্গলে আগুন লেগে যায় আর তাকে সে পাহাড়ী আগুন নিভানোর দায়িত্ব
দেয়া হয়, সে তার উড়োজাহাজের সাথে পানির বড় একটি ট্যাংক বাঁধে
সে ঐ ট্যাংককে সমুদ্র থেকে ভরে নেয় আর জঙ্গলের উপর গিয়ে সে পানি আগুনের উপর ঢেলে দেয়,
এভাবে কয়েকবার করার পর সে যখন ট্যাংকে পানি নিল তাতে সে নড়াচড়া অনুভব
করল,  এবং সে বুঝতে পারল
পানির সাথে ট্যাংকে কোন জন্তু উঠে এসেছে, এখন সে যদি সাথে সাথে
ট্যাংকটি খালি করে না দেয় তাহলে সে জানোয়ারের ওজনে তার উড়োজাহাজ ধ্বংস হওয়ার সম্ভাবনা
আছে। তাই সে সাথে সাথেই পানির ট্যাংকের বাটন
দাবিয়ে সে পানি নিচে ফেলে দিল, 
আর সে আরো লিখল সে যখনই এই পানি ফেলে দিল তার সাথে সাথে এক মোটা
তাজা গাইও সে পানির সাথে নিচে পড়তে দেখল আর তা গিয়ে নিচে চলন্ত অবস্থায় এক ছোট সামুদ্রিক
জাহাজের ডেকের উপর আছরে পড়ল,

দর্শক মন্ডলী এবার আপনারা এই ঘটনার ১ম অংশের সাথে ২য় অংশ মিলিয়ে দেখুন তাহলে আপনার
কাছে সবকিছু ক্লিয়ার হয়ে যাবে, এ গ’ল্প বলার উদ্দেশ্য শুধু এটাই যতক্ষন আপনি ২য় পক্ষের কোন কথা যাচাই বাছাই না
করবেন ততক্ষন আপনি তা সত্য/ মিথ্যার রায় দিতে পারেন না,
বিশেষ করে যারা বিচারক তাদের জন্য এটা খুব বেশী জরুরী যে কোন ফয়সালা
দেয়ার আগে ভাল করে ঘটনা আন্দোপান্ত যাচাই বাছাই করা নতুবা নিরপরাধ লোক শাস্তি ভোগ করবে
আর আসল রহস্য আমাদের অজানাই থেকে যাবে।

বর্তমানে সবচেয়ে বেশী ফেইসবুকে মানুষ যাচাই না করেই একটা স্টাটাস দিয়ে দিল আর তার
ফলে একজন নিরপরাধ লোক দোষী হিসেবে মানুষের কাছে গন্য হয়ে গেল, না জেনে না বুঝে করলে তা যদিও সংশোধন যোগ্য কিন্তু যারা জেনে বুঝে
এসব মিডিয়ার মাধ্যমে মিথ্যা প্রচার করে তা আরো বেশী মারাত্মক, এ ধরনের কাজ একমাত্র তারাই করতে পারে যাদের অন্তরে আল্লাহর ভয় নাই,
আখেরাতে জবাবদিহিতার ভয় নাই, তাই আসুন ভাই বন্ধুরা
আমরা মিথ্যা থেকে বাঁচি, মিথ্যা প্রচারনা থেকে বাঁচি,
সত্য চিরন্তন সুন্দর, সত্য মানুষকে মুক্তি দেয়,
মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে। আল্লাহ সকলকে সঠিক বুঝ দান করুন। আমিন।