আল্লাহ বান্দাকে বিপদে কেন ফেলেন??Ja al haq/ Nizam uddin
আল্লাহ বান্দাকে বিপদে কেন ফেলেন?
নবী করিম (দঃ) এরশাদ করেন এটি বুখারী শরীফের হাদীস তিনি এরশাদ করেন- (মায় ইউরিদিল্লাহা বিহি খাইরান ইউচিব মিনহু) যে ব্যক্তির
জন্য আল্লাহ ভাল চান, তাকে আল্লাহ বিপদে ফেলে দেন, এ কথাটা যদি বুঝে আসে তাহলে প্রত্যেক বিপদগ্রস্থ ব্যক্তির জন্য ধৈর্য্যধারণ
করা সহজ হবে। আল্লাহ যাকে পছন্দ করেন তাকে মুসিবতে ফেলেন। কিন্তু মানুষের মনে একটি প্রশ্ন সব সময় আসে তা হল “আল্লাহ বিপদে মুসিবতে কেন ফেলেন”? এ প্রশ্ন
প্রায় সকলের মনেই উদিত হয়।
জন্য আল্লাহ ভাল চান, তাকে আল্লাহ বিপদে ফেলে দেন, এ কথাটা যদি বুঝে আসে তাহলে প্রত্যেক বিপদগ্রস্থ ব্যক্তির জন্য ধৈর্য্যধারণ
করা সহজ হবে। আল্লাহ যাকে পছন্দ করেন তাকে মুসিবতে ফেলেন। কিন্তু মানুষের মনে একটি প্রশ্ন সব সময় আসে তা হল “আল্লাহ বিপদে মুসিবতে কেন ফেলেন”? এ প্রশ্ন
প্রায় সকলের মনেই উদিত হয়।
এ প্রশ্নের জবাবে যদি একটি উদাহারন দিই তাহলে আপনাদের কাছে সহজে বুঝে আসবে, ধরুন আপনি এলাকার মসজিদের ইমাম সকলেই আপনাকে সম্মান করে,
এখন একদিন নামাজের পর আপনি আপনার মুসল্লীদের উদ্দেশ্যে বললেন যে আমি
একটু সমস্যায় পড়েছি আমার কাছে একটা স্বর্ণের হার আছে আপনাদের মধ্যে কেহ যদি চান আমি
তা ১০ হাজার টাকায় বিক্রী করব, তখন মুসল্লীদের মধ্যে একজন অগ্রসর
হল কিনতে কিন্তু তিনি টাকা দেয়ার আগে বলল আমি একটু স্বর্ণটা যাচাই করে দেখব,
তখন ইমাম সাহেব সে লোকটিকে বলল আপনি কি আমাকে বিশ্বাস করেন না,
তখন লোকটি বলল বিশ্বাসতো আছে তবে একটু পরীক্ষা করে নিলে বিষয়টা পাক্কা
হয়ে যাবে।
এখন একদিন নামাজের পর আপনি আপনার মুসল্লীদের উদ্দেশ্যে বললেন যে আমি
একটু সমস্যায় পড়েছি আমার কাছে একটা স্বর্ণের হার আছে আপনাদের মধ্যে কেহ যদি চান আমি
তা ১০ হাজার টাকায় বিক্রী করব, তখন মুসল্লীদের মধ্যে একজন অগ্রসর
হল কিনতে কিন্তু তিনি টাকা দেয়ার আগে বলল আমি একটু স্বর্ণটা যাচাই করে দেখব,
তখন ইমাম সাহেব সে লোকটিকে বলল আপনি কি আমাকে বিশ্বাস করেন না,
তখন লোকটি বলল বিশ্বাসতো আছে তবে একটু পরীক্ষা করে নিলে বিষয়টা পাক্কা
হয়ে যাবে।
এখন আমরা আল্লাহকে বলি আল্লাহ আমি ঈমান এনেছি, এবার
আল্লাহ বলেন যদি ঈমান এনে থাক তাহলে প্রস্তুত হও আমি পরীক্ষা নিব তুমি কি সত্যিকারভাবে
ঈমান এনেছ কিনা? তাই আপনারা দেখবেন যে যত বড় ঈমানদার তার জন্য
তত বেশী দুনিয়ায় মুসিবত ও পেরেশানী।
আল্লাহ বলেন যদি ঈমান এনে থাক তাহলে প্রস্তুত হও আমি পরীক্ষা নিব তুমি কি সত্যিকারভাবে
ঈমান এনেছ কিনা? তাই আপনারা দেখবেন যে যত বড় ঈমানদার তার জন্য
তত বেশী দুনিয়ায় মুসিবত ও পেরেশানী।
এখন কেহ যদি ঈমানদারীর সাথে দুনিয়ায় থাকে তাতে যদি সে কোন পেরেশানীতে গ্রেফতার
হয় তখন তাকে বুঝতে হবে আল্লাহ তার ঈমানদারীর, পরীক্ষা
নিচ্ছেন। আর সে পরীক্ষায় যদি সে ধৈয্য অবলম্বন করতে পারে তাহলে সে আল্লাহর
কাছে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে যাচ্ছে। আপনারা যদি নবী দের ইতিহাস দেখেন তাহলে তাদের মধ্যে যিনি যত বড় নবী তিনি তত বড়
বড় মসিবতে মুবতলা হয়েছেন, আমাদের প্রিয় করিম (দঃ)
সবচেয়ে বেশী বিপদের সম্মুখিন হন, তেমনি ভাবে যারা
যত উঁচু পর্যায়ের ঈমানদার তারা তত বেশী বিপদের সম্মুখিন হয়েছৈন।
হয় তখন তাকে বুঝতে হবে আল্লাহ তার ঈমানদারীর, পরীক্ষা
নিচ্ছেন। আর সে পরীক্ষায় যদি সে ধৈয্য অবলম্বন করতে পারে তাহলে সে আল্লাহর
কাছে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে যাচ্ছে। আপনারা যদি নবী দের ইতিহাস দেখেন তাহলে তাদের মধ্যে যিনি যত বড় নবী তিনি তত বড়
বড় মসিবতে মুবতলা হয়েছেন, আমাদের প্রিয় করিম (দঃ)
সবচেয়ে বেশী বিপদের সম্মুখিন হন, তেমনি ভাবে যারা
যত উঁচু পর্যায়ের ঈমানদার তারা তত বেশী বিপদের সম্মুখিন হয়েছৈন।
তাই বুঝতে হবে আল্লাহ যখন কারো ভালো চান তাকে কোন বিপদে মসিবতে ফেলে পরীক্ষা করেন। আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরানে বার বার বলেছেন বিশেষ করে সুরা
আনকাবুতে আল্লাহর ফরমান যার মাফহুমহল “মানুষ কি এ জন্যই ঈমান আনে এবং মনে
করে যে তাঁকে এমনিতেই ছেড়ে দেয়া হবে?”
আনকাবুতে আল্লাহর ফরমান যার মাফহুমহল “মানুষ কি এ জন্যই ঈমান আনে এবং মনে
করে যে তাঁকে এমনিতেই ছেড়ে দেয়া হবে?”
তিরমিযি শরীফের হাদীস নবী করিম (দঃ)
এরশাদ করেন যত বড় মুসিবত তত বড় প্রতিদান।
এরশাদ করেন যত বড় মুসিবত তত বড় প্রতিদান।
সুতরাং যিনি পিবদে ফেলছেন তিনিই আপনাকে আমাকে প্রতিদানও দিবেন, সুতরাং এ কথা ভাবার দরকার নাই এ মসিবত সদা থাকবে, বরং যত বেশী বিপদ তত বেশী প্রতিদান আল্লাহ দান করবেন। তাই মসিবতে পেরেশান হলে চলবে না।
হাদীসের বানী- আল্লাহ যাকে মহব্বত করেন তাকে পরীক্ষা করেন,
আর তাতে যে খুশী থাকে আল্লাহ তার উপর খুশী থাকেন, আর যে এ বিপদে অসন্তুষ্ট হয় আল্লাহ তার উপর অসন্তুষ্ট হয়ে যান।
আর তাতে যে খুশী থাকে আল্লাহ তার উপর খুশী থাকেন, আর যে এ বিপদে অসন্তুষ্ট হয় আল্লাহ তার উপর অসন্তুষ্ট হয়ে যান।
তেমনি ভাবে তিরমিযি শরীফের অপর হাদীস নবী করিম (দঃ)
এরশাদ করেন মুমিনের নফসকে সন্তান ও ধন দৌলতের ব্যপারে পরীক্ষা করা হয়
এমনকি সে যখন আল্লাহর সাথে মিলিত হয় তখন তার জিম্মায় কোন গুনাহ বাকী থাকে না।
এরশাদ করেন মুমিনের নফসকে সন্তান ও ধন দৌলতের ব্যপারে পরীক্ষা করা হয়
এমনকি সে যখন আল্লাহর সাথে মিলিত হয় তখন তার জিম্মায় কোন গুনাহ বাকী থাকে না।
সুতরাং মানুষ যতই বিপদে পতিত হয় সব বিপদের বিনিময়ে তার গুনাহ সমুহ মাফ হতে থাকে
এমনকি মাফ হতে হতে সে সম্পূর্ণ বেগুনাহ অবস্থায় আল্লাহর সামনে গিয়ে উপস্থিত হয়।
এমনকি মাফ হতে হতে সে সম্পূর্ণ বেগুনাহ অবস্থায় আল্লাহর সামনে গিয়ে উপস্থিত হয়।
অপর এক হাদীসে আছে যদি একজন মুমিনের সামান্য কাটাও বিধে তার বিনিময়ে আল্লাহ তাকে
উত্তম প্রতিদান দান করেন।
উত্তম প্রতিদান দান করেন।
তেমনি ভাবে রাসুলুল্লাহ (দঃ) বলেন মুমিন যখন জ্বরে আক্রান্ত হয় তার এই জ্বরের ফলে তার শরীর থেকে এমন ভাবে
গুনাহ সমুহ ঝরে যায় যেমন গাছে নাড়া দিলে শুকনা পাতা ঝরে।
গুনাহ সমুহ ঝরে যায় যেমন গাছে নাড়া দিলে শুকনা পাতা ঝরে।
সুতরাং সব ধরনের মসিবতই
মুমিনকে উত্তম প্রতিদান দেয়, তবে মুমিনকে
সে মুসিবতে সবর করতে হবে।
মুমিনকে উত্তম প্রতিদান দেয়, তবে মুমিনকে
সে মুসিবতে সবর করতে হবে।
কোন মন্তব্য নেই