নরেন্দ্র মোদীর কোন দোষ নাই, Narendra Modi is not at fault; all our faul...







ইন্ডিয়ার নরেন্দ্র মোদীর কোন দোষ নাই
সব দোষ আমাদের

আমরা আমর
বিল মারুফ সৎ কাজের আদেশ সহজে করি, কিন্তু নেহি
আনিল মুনকার তথা মানুষকে অন্যায় কাজে বাঁধা প্রদান করি না আর যখন আমরা মানুষকে নেহি আনিল মুনকার তথা অন্যায় কাজে বাঁধা প্রদান করব না তখন বুঝে নিন আপনার আমার ঈমান দুর্বল হয়ে গেছে
হুযুর (দঃ) এরশাদ করেন যখন কোন অন্যায় দেখবে তখন মুমিনের জন্য শক্তিশালী ঈমানদারীর পরিচয় হল সে যেন তা শক্ত হাতে বাঁধা প্রদান করে,
আর যদি
শক্ত হাতে প্রতিরোধ করার সে ক্ষমতা না থাকে তাহলে ২য় পর্যায়ের পদক্ষেপ হল মুখে নিষেধ করা, এটা হল
১ম স্তর থেকে কম ঈমানের পরিচয়
আর যদি
মুখেও নিষেধ করার সে শক্তি বা ক্ষমতা না থাকে তাহলে ৩য় স্তর হল মনে মনে সে অন্যায়কে ঘৃণা করা, আর কেহ
কোন অন্যায় দেখে শক্ত হাতে বাঁধা দিতে পারল না, মুখেও প্রতিবাদ
করার সাহস পেল না, বরং ৩য়
স্তরের কাজ মনে মনে ঘৃণা করল এটা ঈমান দুর্বল হওয়ার আলামত
হে মুসলমান
ভায়েরা আজ আপনি কোন অন্যায়ের প্রতিবাদ করেন না, শুধু মনে
মনে ঘৃণা করেন, এটা আমার নবী যে বলেছেন দুর্বল ঈমানের আলামত, নবীজি আপনার আমার ঈমানের ফযিলত বয়ান করেন নি বরং আমার নবী সে কথাটাই বলে গেছেন, আজ আমরা অন্যায় দেখে শুধু মনে মনে ঘৃণা করি, শক্ত হাতে
কিংবা মুখে প্রতিবাদ করিনা সেটা আমাদের ঈমান যে দুর্বল হয়ে গেছে সেটারই আলামত
আর যারা
অন্যায়কে অন্যায় মনে করে না মাআজাল্লাহ তাঁর ঈমানের বারোটা বেজে গেছে
আজ আমরা
অন্যায়ে বাঁধা প্রদান করি না, তাইতো দিন
দিন আমাদের সমাজে অন্যায় অত্যাচার বাড়তেই চলেছে আপনার পাশের ঘরের ছেলেটি এয়াবা ব্যবসায় জড়িত, আপনি চিন্তা করছেন আমার ছেলেতো ভাল আছে আমি কেন তার বিরুধীতা করতে যাব? ধরনের
চিন্তাই আজ সমাজকে ধ্বংস করে দিচ্ছে, আমাদের যুব সমাজ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, এই সমাজ আমার, এই রাষ্ট্র আমার, আমরা সকল মুসলমান ভাই ভাই, এলাকার একজনও  বিপথে
চলে গেলে সে জন্য সকলকেই একসাথে তাঁরে ফিরিয়ে আনতে ঝাপিয়ে পড়তে হবে তবেই মুক্তি, না হয় যে অপরাধ আজ শুরু হয়েছে তা কাল আর আপনার আমার কন্ট্রোলে থাকবে না
অন্যায় দেখে যদি বাঁধা না দেয় তখন কি কি আযাব হবে?
যখন মানুষ
অন্যায় দেখলে বাঁধা প্রদান করবেন না তখন কি হবে সে ব্যপারে হুযুর (দঃ) এরশাদ করেন- যার মফহুম কিছুটা এমন-
#যখন আমার উম্মত অন্যায় কাজে বাঁধা প্রদান করবে না তখন তাদের উপর নুযুলে কুরআনের বরকত উঠিয়ে নেয়া হবে,
# যখন তারা অন্যায় দেখে বাঁধা দিবে না তখন তাদের উপর জালেম লোকদের কর্তৃত্ব প্রদান করা হবে, জালেম শাসক চাপিয়ে দেয়া হবে। আজ ইন্ডিয়ার মুসলমানদের
দেখে, মায়ানমারের মুসলমান, চীনের মুসলমান, ফিলিস্তিনের মুসলমানদের দেখে আমাদের শিক্ষা
নেয়া উচিত।
৩য় আযাব হল- হুযুর (দঃ)বলেন
# যখন তারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলবে না তখন তাদের কোন দোয়া কবুল করা হবে না
আজ অন্যায়ের
বিরুদ্ধে কথা বলবে এমন খাঁটি বান্দা খুঁজে পাওয়া খুবই মুশকিল আজ আমরা অন্যায়কে অন্যায়ই মনে করি না তা আমাদের জন্য খুবই আফসুসের বিষয়
তাইতো আজ
আমাদের উপর মসিবতের উপর মসিবত, আমাদের পরিবারে অশান্তি, সারা বিশ্বের মুসলমান আজ নির্যাতনের জুলুমের
শিকার,
শত দোয়া করি তবুও কবুল হয় না, কারন আমরা
আজ অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে ভুলে গেছি
প্রতিটি মুসলমান ভাই ভাই এক শরীর এক আত্মার মত হওয়া উচিত, কিন্তু আজ আমাদের
চিন্তা হল আমি ভালতো জগত ভাল, আমি নিরাপদে আছিতো সব ঠিক, আমার ভায়ের উপর হাজারো নির্যাতনের
স্ট্রিম রুলার চললেও তাতে আমার কিছুই যায় আসে না, কিন্তু আমি চিন্তা করি না আজ যে
জুলুম অত্যাচারের স্ট্রিম রুলার আমার ভায়ের উপর চলছে কাল সেটি আমার উপরও আসবে, তখন
কে আমার পাশে দাঁড়াবে? কারন আমিতো প্রতিবাদ না করে আমার আল্লাহর কাছে দোয়া কবুলের
রাস্তাও বন্ধ করে ফেলেছি, তাই আসুন এই সমাজ এই দেশ এই রাষ্ট্র তথা পৃথিবীর যেখানেই
যুলুম, অন্যায় দেখা যাবে সেখানেই নিজের সাধ্যমত প্রতিবাদ করি অন্যায়ের বিরুদ্ধে
আওয়াজ বুলন্দ করি তাহলে আল্লাহর রহমত মুসলমানদের উপর নাযিল হতে থাকবে
যখনই কোন মসিবত আসে তখন অমুক তমুককে দোষারোপ করতে থাকি কিন্তু চিন্তা করিনা
আল্লাহ তায়ালা কেন এ পরীক্ষায় আমরা মুসলমানদেরকে সম্মুখিন করেছেন, এ বিপদে কেন
আল্লাহ আমাদের গ্রেফতার করেছেন? আল্লাহ সুরা শুরার ৩০ নং আয়াতে বলেন-।
وَمَا أَصَابَكُم مِّن
مُّصِيبَةٍ فَبِمَا كَسَبَتْ أَيْدِيكُمْ وَيَعْفُو عَن كَثِيرٍ
তোমাদের উপর যেসব বিপদ-আপদ পতিত হয়, তা
তোমাদের কর্মেরই ফল এবং তিনি তোমাদের অনেক গোনাহ ক্ষমা করে দেন। [
 সুরা শূরা ৪২:৩০ ]
আল্লাহ আমাদেরকে ঈমানকে হেফাজত করার, অন্যায়ের প্রতিবাদ করার, সারা বিশ্বের সকল মুসলমানকে ভাই ভাই হিসেবে ঐক্যবদ্ধ
হওয়ার, এক মুসলমানকে অপর মুসলমানের পাশে দাঁড়াবার তৌফিক দান করুন এবং পৃথিবীর যে
যে দেশেই মুসলমানরা নির্যাতিত নিপীড়িত প্রত্যেকের জান মালকে হেফাজত করুন আমিন।


1 টি মন্তব্য:

  1. দাঙ্গাবাজদের --গণহত্যাকারীদের অবশ্যই দোষ আছে ---
    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী * মানুষ মারার কারিগর
    মোদীর নীতি --- মুখে প্রেম মনে বিষ
    মোদী সেই ব্যক্তি --'ঠাকুর ঘরে কে রে? আমি কলা খাইনি '
    যাঁর দুই হাত সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় রক্তাক্ত। *
    এই লোকটি ভদ্রবেশী শয়তান। ধোকাবাজ-দাঙ্গাবাজ। মানুষকে ধোকা দিয়ে থাকে। দাঙ্গা বাঁধাতে দক্ষ পটু--- মুসলিমদের নিয়ে রাজনীতি করে-স্বাধীনতা দিবসে বিতর্কমূলক মন্তব্য তাঁর প্রমান। এই লোকটি বর্তমান দেশের বিচার ব্যবস্থাকে ধ্বংস করবে-সন্দেহ নেই
    মোদীর নীতি * মুখে প্রেম মনে বিষ-
    আপনি জানেন কে এই নরেন্দ্র মোদী-? অনেকেরই জানা অনেকের জানা নয়- অনেকে জেনেও না জানার ভান করে-----
    মনে রাখতে হবে--- নরেন্দ্র মোদী কে? নরেন্দ্র মোদী গুজরাট গণহত্যার নায়ক---
    ভারতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করলো কে? করছে কে? বাবরি মসজিদ ধংস করলো কে? গোধরা কান্ড ঘটালো কে? গুজরাট দাঙ্গা সৃষ্টি করলো কে? ভারতের বিভিন্ন্য জায়গায় বোমা বিস্ফোরণ- সন্ত্রাসী কাজ কর্ম ঘটানোর পিছনে আছে কে? করছে কে? হাজার-হাজার মানুষকে হত্যা করলো কে? করছে কে? হাজার হাজার মানুষের সর্বস্ব লুঠ করলো কে? করছে কে?রাজনৈতিক অসহিষ্ণুতা সৃষ্টি করছে কে? কাশ্মীরিদের হত্যা করছে কে ? মুসলিমদের হত্যা করছে কে ? ভোটে জেতার জন্য পুলওমার ঘটনা ঘটালো কে ? ভোটে জেতার জন্য বিভিন্ন কুকর্ম ঘটাচ্ছে কে ? হিন্দু-মুসলিম রাজনীতি করছে কে ?
    উত্তর একটিই সেটি হলো--- নরখাদক নরেন্দ্র মোদীর বিজেপি সরকার। নরখাদক নরেন্দ্র মোদীর আর এস এস - দ্বারা প্রচলিত উগ্র হিন্দুবত্বাদী সংগঠনগুলির সরকার। বাবরি মসজিদ ধংস কারী, গোধরা কান্ড- গুজরাট দাঙ্গা সৃষ্টিকারী , মুসলিম হত্যাকারী সন্ত্রাসবাদীদের সরকার.।
    -- আপনিকি গরু মাংস খাওয়া বা রাখার গুজবে মানুষ হত্যা করবেন ? আপনি কি আবার গোধরা কাণ্ডের মতো ঘটনা ঘটিয়ে গুজরাটের মতো দাঙ্গা সৃষ্টি করতে চান ? আপনি কি আবার বাবরি মসজিদের মতো আবার কোনো বিখ্যাত মসজিদ শহীদ করবেন? আপনি কি দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করতে চান? আপনি শুভবুদ্ধি সম্পন্নও মানুষ হলে বলবেন না চাই না---
    আর তাই সাবধান স্বাধীনতার পর ভারতের সর্ব প্রথম কুখ্যাত গণহত্যাকারী প্রধানমন্ত্রী হলেন-নরেন্দ্র মোদী। * যাঁর দুই হাত সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় রক্তাক্ত। * যিনি হিন্দু সন্ত্রাসী সংগঠনের সাবেক সদস্য * যিনি বিদেশ ভ্রমণে সর্বাধিক খরচ করেছেন। * যাঁর আমলে গরুর মাংস খাওয়ার অজুহাতে মুসলিম হত্যা হয়।* যিনি সর্বাধিক সেনাবাহিনী মৃত্যুর জন্য দায়ী।* যাঁর আমলে টাকার অভাবে চিকিৎযার জন্য-খাদ্যের জন্য সর্বাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তাছাড়া এই বর্তমান নরেন্দ্রমোদির সরকার দাঙ্গাবাজ সরকার। এই সরকারের লোকসভার ৯০% সদস্যগণ সরাসরি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সঙ্গে জড়িত, বাবরি মসজিদ ধংসের সঙ্গে জড়িত , মুসলিম হত্যার সঙ্গে জড়িত। এই সরকার অসহিষ্ণু সরকার। **বিচারব্যবস্থা নরেন্দ্রমোদির হাতের পুতুল --ভারতের বিচার ব্যবস্থা সম্পূর্ণভাবে প্রভাবিত---* মূর্খ ভারতবাসী আজ হিন্দুত্বের ক্যান্সারে আক্রান্ত ** মিথ্যা দেশ ভক্তির ক্যান্সারে আক্রান্ত। ৯০% মিডিয়াগুলিও হিন্দুত্বের ক্যান্সারে আক্রান্ত। * মিথ্যা দেশ ভক্তির ক্যান্সারে আক্রান্ত।---
    আর তাই দাঙ্গাবাজ নরেন্দ্রমোদির রমরমা বাজার ----** মূর্খ ভারতবাসী শিক্ষিত হলেই দাঙ্গাবাজ নরেন্দ্রমোদী শাসনের অবসান হবে--
    এই সরকার নিপাত যাক-

    উত্তরমুছুন

borchee থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.