রাতে শোবার আগে শুধু ১টি আমল দুনিয়াতেই জান্নাতের সু সংবাদ। All Bangla for...
রাতে শোবার আগে ১টি আমল দুনিয়াতে থাকতেই
জান্নাতের সুসংবাদ
জান্নাতের সুসংবাদ
অনেক সময় কেহ যদি কোন ভাবে আমাদেরকে কষ্ট দেয়, ক্ষতি করে তখন তাঁর সাথে
সাক্ষাৎ করতে দেখা করতে, যোগাযোগ রক্ষা করতে আমাদের মন চাই না এটাকে এনকেবাত বলে,
এটা জায়েজ। এটা মানুষের একটা স্বভাবজাত অভ্যাস। যার কারনে কষ্ট পেল তার সাথে
সাক্ষাৎ করতে মন চাইনা। যদি এতটুকুতে সীমাবদ্ধ থাকে, যে শুধু তার সাথে দেখা
সাক্ষাৎ বন্ধ করে দেয় ততটুকু জায়েজ। কিন্তু এর থেকে যদি মামলা দুষমনি পর্যন্ত
পৌঁছে যায় তাহলে তা আর জায়েজ নাই। আর সে যখন তার ক্ষতি হউক তা কামনা করে তাহলে
সেটাকে কিনে/বিদ্বেষ বলা হয়। যখন তার কোন বিপদ আসে তখন যদি আপনার খুশী লাগে এটাই
হল কিনে। যার জন্য আপনার মনে কিনে থাকবে তার কোন ক্ষতি হলে আপনার দিল খুশী হয়ে
যাবে। দিল চাইবে তার কাছে যে নেয়ামত আছে সেটা যেন ধ্বংস হয়ে যায়। সে যদি আপনার
কাছে এসে পুনরায় সন্ধী করে নিতে চায় তবুও আপনি তার সাথে সন্ধি করতে রাজি হন না।
এসবই হল কিনের আলামত।
সাক্ষাৎ করতে দেখা করতে, যোগাযোগ রক্ষা করতে আমাদের মন চাই না এটাকে এনকেবাত বলে,
এটা জায়েজ। এটা মানুষের একটা স্বভাবজাত অভ্যাস। যার কারনে কষ্ট পেল তার সাথে
সাক্ষাৎ করতে মন চাইনা। যদি এতটুকুতে সীমাবদ্ধ থাকে, যে শুধু তার সাথে দেখা
সাক্ষাৎ বন্ধ করে দেয় ততটুকু জায়েজ। কিন্তু এর থেকে যদি মামলা দুষমনি পর্যন্ত
পৌঁছে যায় তাহলে তা আর জায়েজ নাই। আর সে যখন তার ক্ষতি হউক তা কামনা করে তাহলে
সেটাকে কিনে/বিদ্বেষ বলা হয়। যখন তার কোন বিপদ আসে তখন যদি আপনার খুশী লাগে এটাই
হল কিনে। যার জন্য আপনার মনে কিনে থাকবে তার কোন ক্ষতি হলে আপনার দিল খুশী হয়ে
যাবে। দিল চাইবে তার কাছে যে নেয়ামত আছে সেটা যেন ধ্বংস হয়ে যায়। সে যদি আপনার
কাছে এসে পুনরায় সন্ধী করে নিতে চায় তবুও আপনি তার সাথে সন্ধি করতে রাজি হন না।
এসবই হল কিনের আলামত।
কিনে থেকে বেঁচে থাকতে পারা কতযে নেয়ামত তা ১টি হাদীস শুনলে বুঝতে পারবেন।
একদিন হুযুর (দঃ) মসজিদে বসে ছিলেন এমন সময় এক সাহাবী প্রবেশ করলেন হুযুর (দঃ)
অন্যান্য সাহাবীদের উদ্দেশ্য করে বললেন দেখ জান্নাতি আসছে জান্নাতি আসছে। সে
সাহাবীর নাম হল সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রাঃ) । সাহাবায়ে কেরাম সাদ ইবনে আবি
ওয়াক্কাসের ব্যপারে হুযুরের এমন সু সংবাদ দেয়ায় খুবই আশ্চর্য্য হল। সাহাবাদের
অভ্যাস ছিল কারো ব্যপারে হুযুর যদি কোন সুসংবাদ দিত তাহলে সে সাহাবী কোন আমল করার
কারনে এ সুসংবাদের অধিকারী হয়েছেন তা জানতে চেষ্টা করেন যাতে তারাও সে আমলটি করে
সৌভাগ্যবান হতে পারেন।
অন্যান্য সাহাবীদের উদ্দেশ্য করে বললেন দেখ জান্নাতি আসছে জান্নাতি আসছে। সে
সাহাবীর নাম হল সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রাঃ) । সাহাবায়ে কেরাম সাদ ইবনে আবি
ওয়াক্কাসের ব্যপারে হুযুরের এমন সু সংবাদ দেয়ায় খুবই আশ্চর্য্য হল। সাহাবাদের
অভ্যাস ছিল কারো ব্যপারে হুযুর যদি কোন সুসংবাদ দিত তাহলে সে সাহাবী কোন আমল করার
কারনে এ সুসংবাদের অধিকারী হয়েছেন তা জানতে চেষ্টা করেন যাতে তারাও সে আমলটি করে
সৌভাগ্যবান হতে পারেন।
২য় দিনও একই ঘটনা ঘটল হুযুর (দঃ) বসা ছিলেন সাদ বিন আবি ওয়াক্কাস যখন প্রবেশ
করলেন হুযুর বলতে লাগলেন দেখ জান্নাতি আসছে।
করলেন হুযুর বলতে লাগলেন দেখ জান্নাতি আসছে।
এক সাহাবী ছিল আবদুল্লাহ ইবনে আমর বিন আস
(রাঃ) তিনি সাদ বিন আবি ওয়াক্কাসের কাছে গেলেন আর উনাকে বললেন আমার ঘরে কিছু সমস্যা
আছে আমি চাচ্ছি কয়েকটা দিন আপনার ঘরে আপনার সাথে থাকতে, সাদ বিন আবি ওয়াক্কাস রাজি
হলেন, হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর সাদ বিন আবি ওয়াক্কাসের সাথে তার ঘরে চলে গেলেন, তার
সাথে তার ঘরে ৩ দিন থাকলেন আর এই ৩দিন তার সকল আমল খুবই মনযোগের সাথে অবলোকন করতে লাগলেন,
যে কোন সে আমল যার কারনে হুযুর (দঃ) দুনিয়াতেই সাদ বিন আবি ওয়াক্কাসের ব্যপারে জান্নাতের
সুসংবাদ দিলেন। কিন্তু সাদ বিন আবি ওয়াক্কাসারে তেমন কোন স্পেশাল আমল দেখতে পেলেন না,
তখন তিনি সাদ কে প্রশ্ন করলেন ভাই আমি মুলত আপনার আমল সমুহ দেখার জন্য আপনার সাথে ৩
দিন অতিবাহিত করেছি, কারন আপনার ব্যপারে আল্লাহর হাবিব জান্নাতে সুসংবাদ দিয়েছেন, আমি
চেষ্টা করেছি আপনার স্পেশাল কোন আমল আছে কিনা তা খুঁজে বের করার, কিন্তু আমি আপনার
কাছে তেমন কোন স্পেশাল আমল দেখতে পেলাম না, আপনি দয়া করে বলেন আপনি এমন কি আমল করেন
যার কারনে আল্লাহর রাসুল আপনার ব্যপারে জান্নাতের সুসংবাদ দিয়ে দিয়েছেন? তখন হযরত সাদ
বিন আবি ওয়াক্কাস বলেন আমি স্বাভাবিক আমল সমুহই করি তবে একটা আমল আমার আছে যেমন আমার
সাথে যদি দিনে কারো সাথে কোন সমস্যা হয়, কেহ যদি আমাকে কোন কষ্ট দেয়, কারো কোন কাজে
যদি আমি দুঃখ পাই, যখন আমি রাতে শুতে যাই তখন আমি সকলকে অন্তর থেকে ক্ষমা করে দেই,
আর আমি একেবারে সাদা অন্তরে শুয়ে পড়ি। আমার অন্তরে পৃথিবীর কোন মানুষের প্রতি কোন ধরনের
কিনে/হিংসা/বিদ্বেষ বাকী থাকে না।
(রাঃ) তিনি সাদ বিন আবি ওয়াক্কাসের কাছে গেলেন আর উনাকে বললেন আমার ঘরে কিছু সমস্যা
আছে আমি চাচ্ছি কয়েকটা দিন আপনার ঘরে আপনার সাথে থাকতে, সাদ বিন আবি ওয়াক্কাস রাজি
হলেন, হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর সাদ বিন আবি ওয়াক্কাসের সাথে তার ঘরে চলে গেলেন, তার
সাথে তার ঘরে ৩ দিন থাকলেন আর এই ৩দিন তার সকল আমল খুবই মনযোগের সাথে অবলোকন করতে লাগলেন,
যে কোন সে আমল যার কারনে হুযুর (দঃ) দুনিয়াতেই সাদ বিন আবি ওয়াক্কাসের ব্যপারে জান্নাতের
সুসংবাদ দিলেন। কিন্তু সাদ বিন আবি ওয়াক্কাসারে তেমন কোন স্পেশাল আমল দেখতে পেলেন না,
তখন তিনি সাদ কে প্রশ্ন করলেন ভাই আমি মুলত আপনার আমল সমুহ দেখার জন্য আপনার সাথে ৩
দিন অতিবাহিত করেছি, কারন আপনার ব্যপারে আল্লাহর হাবিব জান্নাতে সুসংবাদ দিয়েছেন, আমি
চেষ্টা করেছি আপনার স্পেশাল কোন আমল আছে কিনা তা খুঁজে বের করার, কিন্তু আমি আপনার
কাছে তেমন কোন স্পেশাল আমল দেখতে পেলাম না, আপনি দয়া করে বলেন আপনি এমন কি আমল করেন
যার কারনে আল্লাহর রাসুল আপনার ব্যপারে জান্নাতের সুসংবাদ দিয়ে দিয়েছেন? তখন হযরত সাদ
বিন আবি ওয়াক্কাস বলেন আমি স্বাভাবিক আমল সমুহই করি তবে একটা আমল আমার আছে যেমন আমার
সাথে যদি দিনে কারো সাথে কোন সমস্যা হয়, কেহ যদি আমাকে কোন কষ্ট দেয়, কারো কোন কাজে
যদি আমি দুঃখ পাই, যখন আমি রাতে শুতে যাই তখন আমি সকলকে অন্তর থেকে ক্ষমা করে দেই,
আর আমি একেবারে সাদা অন্তরে শুয়ে পড়ি। আমার অন্তরে পৃথিবীর কোন মানুষের প্রতি কোন ধরনের
কিনে/হিংসা/বিদ্বেষ বাকী থাকে না।
সুতরাং আমরাও যদি মনটাকে একেবারে সাদা রাখি,
সারাদিন যতই দুঃখ পেরেশানী কষ্ট ক্ষতি আসুন রাতে শোবার সময় আল্লাহর ওয়াস্তে সকলকে ক্ষমা
করে দিই তাহলে আল্লাহ তায়ালা আামাদেরকেও জান্নাত দান করবেন।
সারাদিন যতই দুঃখ পেরেশানী কষ্ট ক্ষতি আসুন রাতে শোবার সময় আল্লাহর ওয়াস্তে সকলকে ক্ষমা
করে দিই তাহলে আল্লাহ তায়ালা আামাদেরকেও জান্নাত দান করবেন।
আল্লাহ তায়ালা নিজেও ক্ষমা করতে পছন্দ করেন
আর কেহ যখন অন্য কোন বান্দাকে ক্ষমা করেন সে ক্ষমাকারীকেও আল্লাহ ভালবাসেন।
আর কেহ যখন অন্য কোন বান্দাকে ক্ষমা করেন সে ক্ষমাকারীকেও আল্লাহ ভালবাসেন।
অপর এক হাদীসে আছে হুযুর (দঃ) এরশাদ করেন কেহ
রাতে শোবার সময় মনে কারো প্রতি কোন বিদ্বেষ
বাকী না রাখে সে জান্নাতে আমার সাথে থাকবে। সুতরাং কেহ যদি আপনার প্রতি সীমালংঘনও করে
আল্লাহর জন্য আখেরাতকে সুন্দর করার জন্য হলেও তাকে মাফ করে দিবেন।
রাতে শোবার সময় মনে কারো প্রতি কোন বিদ্বেষ
বাকী না রাখে সে জান্নাতে আমার সাথে থাকবে। সুতরাং কেহ যদি আপনার প্রতি সীমালংঘনও করে
আল্লাহর জন্য আখেরাতকে সুন্দর করার জন্য হলেও তাকে মাফ করে দিবেন।
এ কাজ আমাদের সাধ্যের মাঝে নাই সে জন্য আল্লাহর
সাহায্য দরকার তাই আল্লাহর কাছে দোয়া করবেন হে আল্লাহ আমাদের মনকে হিংসা বিদ্বেষ থেকে
পাক সাফ করে দিন।
সাহায্য দরকার তাই আল্লাহর কাছে দোয়া করবেন হে আল্লাহ আমাদের মনকে হিংসা বিদ্বেষ থেকে
পাক সাফ করে দিন।
কোন মন্তব্য নেই