মক্কার এক পাথর নবী মুহাম্মদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াছাল্লামকে সালাম করত।







মক্কার
এক পাথর যে মুহাম্মদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াছাল্লামকে সালাম দিত
মসনদে
আহমদ এর ১৪৩৭৭ নং হাদীস এবং মুসান্নেফ ইবনে আবি শায়বার ৩১৭১৯ নং হাদীস- হুযুর (দঃ)
কে পশু পাখি সালাম দিত, সিজদা দিত, তেমনি একদিন এক উট সিজদা দিল- তখন সাহাবাগন
প্রশ্ন করল এয়া রাসুলাল্লাহ এভাবে পশু পাখি যে আপনাকে সালাম দেয় সিজদা করে তারা কি
আপনাকে চিনে? তারা কি আপনার শান ও মান সম্পর্কে জানে? তাদের জানা আছে আপনার সম্মান
কতটুকু? তখন হুযুর (দঃ) জবাব দিলেন (কালা ছুম্মা আলতাফাতা ইলান্নাছ) হুযুরকে যখন
১টি উট সিজদা করল তখন আঁকা (আঃ) সাহাবীদের দিকে তাকালেন, (ফাকালা ইন্নাহু লাইছা শাইয়্যুন
বাইনাস সামাঈ ওয়াল আরদ ইল্লা এয়ালামু আন্নি রাসুলুল্লাহ ইল্লা আছিয়ান জিন্নি ওয়াল
ইনছি) হুযুর বললেন জ্বীন আর মানুষের মধ্যে যারা দুর্ভাগা, পোড়াকপাল, গুনাহগার,
নাফরমান তারা ছাড়া আসমান ও জমিনের সকল কায়েনাতের কোন ১টি জিনিষও এমন নাই যে আমাকে
চিনে না, আমার সম্মান জানে না, আমার মর্তবা জানে না। কায়েনাতের সকল কিছুই জানে যে
আমি আল্লাহর রসুল। আমার মকাম ও মর্যাদা জানে না শুধু জ্বীন ও ইনসানের মধ্য থেকে
কিছু বদবখত, বেইমান আমার শানকে বুঝতে পারে না।

হুযুরকে
যে পাহাড় পর্বত, গাছ পালা, তরু লতা, পাথরে পর্যন্ত চিনেন সে বিষয়ে হাদীস গ্রন্থের
মধ্যে অধ্যায় রয়েছে। বিশেষ করে মুসলিম শরীফের মধ্যেও রয়েছে, তিরমিযি শরীফের ৩৬২৬
নং হাদীস, দারেমি শরীফের ২১ নং হুযুর (দঃ) ফরমান খোদার কসম কোন পাথর কোন গাছ এমন
নাই যাদের পাশ দিয়ে আমি অতিক্রম করি আর তারা আমাকে সালাম করে না। যে গাছের পাশ
দিয়েই হুযুর অতিক্রম করত সে গাছ হুযুরের দিকে ঝুকে যেত আর বলে উঠত আসসালামু আলাইকা
এয়া রাসুলাল্লাহ। যে পাথরের পাশ দিয়ে যেতেন সে পাথর বলে উঠত আসসালামু আলাইকা এয়া
রাসুলাল্লাহ।

মুসলিম
শরীফের ২২৭৭ নং হাদীস, মসনদে আহমদের ২১০৪৩ নং হাদীস- হুযুর (দঃ) এরশাদ করেন আমি
আজো সে পাথরকে চিনি যে পাথরটি মক্কার গলিতে আছে যখন আমি নবুয়তের ঘোষনাও করিনি আমি
নবুয়ত প্রাপ্ত হওয়ার আগে থেকেই মক্কার সে পাথরটি আমাকে চিনত। যখনই আমি মক্কার সে
গলিদিয়ে চলাচল করতাম উচ্চ আওয়াজে সে পাথর আমাকে বলত (আসসালাতু আসসালামু আলাইকা এয়া
রাসুলাল্লাহ) সে পাথর ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত মক্কায় মওজুদ ছিল, শেষে সে পাথরটিকে কেটে
কাবা ঘরের সংস্কারে লাগিয়ে দেয়া হয়েছে।

তাবরানী
মুজামুল কবিরে ১২০০৩ নং হাদীস, ইমাম হায়ছমী তাঁর মাজমাউয যাওয়ায়েদ ৯ম খন্ডের ৪থ
পৃষ্টায় নকল করেন- হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত তিনি বলেন এক
আনসারির ২টি উট ছিল আর ২টি উটই অসুস্থ  হয়ে
গেল, অসুস্থতার কারনে খাদ্যের অভাবে ২টি উট মানুষকে কামড়াত, একদিন ঐ ২টি উটের কাছ
দিয়ে হুযুর যাওয়ার সময় ১টি উট হুযুরকে দেখল আর সে উটটি দৌড়ে আসল আর হুযুরকে সিজদা
করল, হুযুর (দঃ) একটু আগে গেলে ২য় উটটি আসল সেটিও হুযুরকে সিজদা করল। তখন সাহাবারা
বলল এয়া রাসুলাল্লাহ এই উটগুলি আপনাকে সিজদা করছে (আফালা নাসজুদু লাক) আমরা কি
আপনাকে সিজদা করতে পারব না?
মুলতঃ
সাহাবায়ে কেরাম এর আকাংখা ছিল হুযুর থেকে এজাজত পেলে তারাও হুযুরকে সেজদা করবে,
কিন্তু হুযুরের পক্ষ থেকে কোন এজাজত ছিল না, শরীয়তে মুহাম্মদীতে হারাম।

সাহাবাদের আকাংখা দেখুন তারা আকাংখা করত হুযুরকে সিজদা করতে, কিন্তু হুযুর এজাজত
দেননি, হুযুরকে পশু পাখি, গাছ পালা পাথর পযন্ত চিনত, কিন্তু আফসোস আজকে কিছু মানুষ


হুযুরের শান ও মান আলোচনা করলে বলে হুযুরের শান বাড়িয়ে বলছে, নাউজুবিল্লাহ, অথচ হুযুরের
জিকিরকে মর্যাদা মর্তবাকে শান ও শওকতকে কারো পক্ষে সম্ভব নয় বাড়ানো কমানো, কারন হুযুরের
শান ও মান জিকিরকে স্বয়ং রব তায়ালাই বৃদ্ধি করেই চলেছেন যেমন এরশাদে বারি তায়ালা (ওয়ালাল
আখিরাতু খাইরুল লাকা মিনাল উলা) অপর জায়গায় এরশাদ হচ্ছে (ওয়ারাফানা লাকা জিকরাক)

কোন মন্তব্য নেই

borchee থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.