মাসিক ঋতুবর্তী অবস্থায় স্ত্রীর সাথে কি করা হালাল আর কি করা হারাম।
মাসিক ঋতু বা পিরিয়ড কালীন স্ত্রীর সাথে কি করা হালাল কি করা
হারাম
হারাম
https://youtu.be/w037KUDPhD8
অনেকে বলেন এসব কথা আলোচনা করার দরকার কি? অথচ
এমন বিধান শুধু লজ্জাবোধের দোহায় দিয়ে আলোচনা হয় না এবং অনেকেই না জেনে হারামে লিপ্ত
হয়ে যায, তাছাড়া আল্লাহর দেয়া বিধান আলোচনা করতে লজ্জা করাও ঠিক
না-
এমন বিধান শুধু লজ্জাবোধের দোহায় দিয়ে আলোচনা হয় না এবং অনেকেই না জেনে হারামে লিপ্ত
হয়ে যায, তাছাড়া আল্লাহর দেয়া বিধান আলোচনা করতে লজ্জা করাও ঠিক
না-
এ ব্যপারে
সুরা বাকারার ২২২ নম্বর আয়াতে সুস্পষ্ট বিধান বর্ণিত রয়েছে-
সুরা বাকারার ২২২ নম্বর আয়াতে সুস্পষ্ট বিধান বর্ণিত রয়েছে-
وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ الْمَحِيضِ
قُلْ هُوَ أَذًى فَاعْتَزِلُواْ النِّسَاء فِي الْمَحِيضِ وَلاَ تَقْرَبُوهُنَّ
حَتَّىَ يَطْهُرْنَ فَإِذَا تَطَهَّرْنَ فَأْتُوهُنَّ مِنْ حَيْثُ أَمَرَكُمُ
اللّهُ إِنَّ اللّهَ يُحِبُّ التَّوَّابِينَ وَيُحِبُّ الْمُتَطَهِّرِينَ
قُلْ هُوَ أَذًى فَاعْتَزِلُواْ النِّسَاء فِي الْمَحِيضِ وَلاَ تَقْرَبُوهُنَّ
حَتَّىَ يَطْهُرْنَ فَإِذَا تَطَهَّرْنَ فَأْتُوهُنَّ مِنْ حَيْثُ أَمَرَكُمُ
اللّهُ إِنَّ اللّهَ يُحِبُّ التَّوَّابِينَ وَيُحِبُّ الْمُتَطَهِّرِينَ
আর তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে হায়েয (ঋতু) সম্পর্কে। বলে দাও, এটা
অশুচি। কাজেই তোমরা হায়েয অবস্থায় স্ত্রীগমন থেকে বিরত থাক। তখন পর্যন্ত তাদের
নিকটবর্তী হবে না, যতক্ষণ না তারা পবিত্র হয়ে যায়। যখন উত্তম রূপে পরিশুদ্ধ
হয়ে যাবে, তখন গমন কর তাদের কাছে, যেভাবে
আল্লাহ তোমাদেরকে হুকুম দিয়েছেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারী এবং অপবিত্রতা থেকে
যারা বেঁচে থাকে তাদেরকে পছন্দ করেন। [ সুরা বাকারা ২:২২২ ]
অশুচি। কাজেই তোমরা হায়েয অবস্থায় স্ত্রীগমন থেকে বিরত থাক। তখন পর্যন্ত তাদের
নিকটবর্তী হবে না, যতক্ষণ না তারা পবিত্র হয়ে যায়। যখন উত্তম রূপে পরিশুদ্ধ
হয়ে যাবে, তখন গমন কর তাদের কাছে, যেভাবে
আল্লাহ তোমাদেরকে হুকুম দিয়েছেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারী এবং অপবিত্রতা থেকে
যারা বেঁচে থাকে তাদেরকে পছন্দ করেন। [ সুরা বাকারা ২:২২২ ]
মহিলারা যখন প্রাপ্ত বয়স্ক হয় তখন থেকে একটা নিদৃষ্ট বয়স পর্যন্ত
অধিকাংশ ক্ষেত্রে ৯-১২ বছর থেকে পিরিয়ড শুরু হয় প্রায় ৫০/৫৫ বছর পর্যন্ত প্রতি মাসে এটি চলতে থাকে, এটি প্রতিমাসে
কমপক্ষে ৩ দিন সর্বোচ্চ ১০ দিন থাকে এখন এ সময়টুকুতে স্বামী স্ত্রীর সাথে শারিরিক মিলন
করা হারাম।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে ৯-১২ বছর থেকে পিরিয়ড শুরু হয় প্রায় ৫০/৫৫ বছর পর্যন্ত প্রতি মাসে এটি চলতে থাকে, এটি প্রতিমাসে
কমপক্ষে ৩ দিন সর্বোচ্চ ১০ দিন থাকে এখন এ সময়টুকুতে স্বামী স্ত্রীর সাথে শারিরিক মিলন
করা হারাম।
কেহ যদি ঋতুবর্তী স্ত্রীর সাথে ভুলে মিলিত হয়ে যায় তাহলে তার
ব্যপারে ইসলামীক বিধান হল - কাফফারা দিতে হবে আর তা হল ২ গ্রাম স্বর্ণ
সদকা দিতে হবে। নাসাঈ শরীফের হাদীসের মাধ্যমে কাফফারা ৪ গ্রাম স্বর্ণ সদকার কথা পাওয়া যায়,
ব্যপারে ইসলামীক বিধান হল - কাফফারা দিতে হবে আর তা হল ২ গ্রাম স্বর্ণ
সদকা দিতে হবে। নাসাঈ শরীফের হাদীসের মাধ্যমে কাফফারা ৪ গ্রাম স্বর্ণ সদকার কথা পাওয়া যায়,
সুতরাং ঋতুবর্তী স্ত্রীর সাথে মিলন হারাম, অনেকে
এ সময় স্ত্রীর ধারে কাছেও ঘেষে না, অথচ
এ সময় স্ত্রীর ধারে কাছেও ঘেষে না, অথচ
মুসলিম শরীফের হাদীস- নবী করিম (দঃ)
এরশাদ করেন ঋতুবর্তী স্ত্রীর সাথে জিমা/মিলন ব্যতীত
বাকী সবকিছুই কর
এরশাদ করেন ঋতুবর্তী স্ত্রীর সাথে জিমা/মিলন ব্যতীত
বাকী সবকিছুই কর
ঋতুবর্তী মহিলারা ঋতুকালীন কিছু কাজ করা নিষেধ যেমন (১)
নামাজ পড়াও ঋতুবর্তী মহিলার জন্য মাফ আর এ সময়কার নামাজ কাজাও করতে হবে
না (২)ঋতুবর্তী মহিলার জন্য রোজা রাখাও
নিষেধ , তবে ফরয রোজা পরবর্তীতে কাজােআদায় করে দিতেহবে।
নামাজ পড়াও ঋতুবর্তী মহিলার জন্য মাফ আর এ সময়কার নামাজ কাজাও করতে হবে
না (২)ঋতুবর্তী মহিলার জন্য রোজা রাখাও
নিষেধ , তবে ফরয রোজা পরবর্তীতে কাজােআদায় করে দিতেহবে।
(৩) কোন কিছুর আড়াল ছাড়া জুজদান ছাড়া কুরান
ধরতে পারবে না। (৪) শরীরের কাপড় দিয়েও ধরতে পারবে না,
যেমন হাতে যদি হাত মৌজা থাকে তা দ্বারা ধরা যাবে না, মহিলার শরীরে যে ওড়না আছে সে ওড়না দিয়ে ধরা যাবে না কারন পরিধানে যে কাপড় আছে
তা শরীরেরই হিস্সা হিসেবে গন্য হয়,
তবে অন্য কোন পবিত্র কাপড় দিয়ে কুরান ধরা যাবে (৫) পবিত্র কুরআন কে কুরানের নিয়তে মুখে তেলাওয়াত করতে
পারবে না, তবে আল্লাহর
জিকির করতে পারবে, দরুদ শরীফ পড়তে পারবে, আযানের জবাব দিতে পারবে, কলমা পাঠ করতে পারবে,
কুরানের আয়াত নয় এমন ওয়াজিফা ও জিকির সমুহ করতে পারবে, কুরানের দোয়াসমুহ দোয়ার নিয়তে পড়তে পারবে, কোন ধর্মীয়
বই পুস্তক পড়তে পারবে, ধর্মীয় আলোচনা ওয়াজ শুনতে পারবে,
কুরআন তেলাওয়াত অন্য কেহ করলে তা শুনতে পারবে।
ধরতে পারবে না। (৪) শরীরের কাপড় দিয়েও ধরতে পারবে না,
যেমন হাতে যদি হাত মৌজা থাকে তা দ্বারা ধরা যাবে না, মহিলার শরীরে যে ওড়না আছে সে ওড়না দিয়ে ধরা যাবে না কারন পরিধানে যে কাপড় আছে
তা শরীরেরই হিস্সা হিসেবে গন্য হয়,
তবে অন্য কোন পবিত্র কাপড় দিয়ে কুরান ধরা যাবে (৫) পবিত্র কুরআন কে কুরানের নিয়তে মুখে তেলাওয়াত করতে
পারবে না, তবে আল্লাহর
জিকির করতে পারবে, দরুদ শরীফ পড়তে পারবে, আযানের জবাব দিতে পারবে, কলমা পাঠ করতে পারবে,
কুরানের আয়াত নয় এমন ওয়াজিফা ও জিকির সমুহ করতে পারবে, কুরানের দোয়াসমুহ দোয়ার নিয়তে পড়তে পারবে, কোন ধর্মীয়
বই পুস্তক পড়তে পারবে, ধর্মীয় আলোচনা ওয়াজ শুনতে পারবে,
কুরআন তেলাওয়াত অন্য কেহ করলে তা শুনতে পারবে।
কোন মন্তব্য নেই