মহিলাদের ওমরার সহজ পূর্ণাঙ্গ ও সচিত্র নিয়ম। Umrah Tutorial, Hajj Guide f...







আউজুবিল্লাহি মিনাশ শায়তানির রাজিম
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
মহিলাদের ওমরার পূর্ণাঙ্গ সহজ সচিত্র নিয়ম

সম্মানিত
দর্শক শ্রোতা
হজ্ব ওমরাতে
যাওয়ার নিয়তকারী মুহতারামবৃন্দ
আসসালামু আলাইকুম, আমরা
হজ্ব ওমরার
অসংখ্য টিউটরিয়াল পায়
যা শুধু মাত্র
পুরুষদেরকে উপলক্ষ করে
বানানো হয়েছে, আজ
আমি শুধুমাত্র মহিলাদেরকে
উপলক্ষ করে এই
টিউটোরিয়াল তৈরী করব
ইনশাআল্লাহ ভিডিও
দেখলে ওমরাহকারী মহিলারা
তাঁদের সকল প্রশ্নের
জবাব পেয়ে যাবেন

মহিলাদের জন্য কিছু সাবধানতা
# মহিলাদের সাথে
নিজ স্বামী কিংবা
প্রাপ্ত বয়স্ক মুহরিম
(
অথ্যাৎ যাদের সাথে
বিবাহ সব সময়
হারাম) যেমন ভাই,
বাবা, ছেলে
ধরনের ব্যক্তি থাকতে
হবে
#হজ্ব বা
ওমরাতে যাওয়ার আগে
বাড়ীতে প্রতিদিন এক
দেড় ঘন্টা করে
হাটার অভ্যাস করুন
কারন সেখানে প্রচুর
হাটতে হয়, হঠাৎ
গিয়ে যখন হাটা
লাগবে তখন খুবই
কষ্টদায়ক মনে হবে
#কম খাওয়ার
অভ্যাস করুন, বেশী
খেলে পেশাব পায়খানার
হাজতও বেশী হবে
যা সফরে বিব্রতকর
অবস্থায় ফেলবে
# হজ্ব বা
ওমরাতে যাওয়ার আগে
আপনজনদের কাছে ক্ষমা
চেয়ে নিবেন, কারো
আমানত থাকলে তা
বুঝিয়ে দিবেন, পাওনা
থাকলে তা মিটিয়ে
দিবেন,
# যাওয়ার সময়
এই দোয়া পড়লে
ফিরে আসা পর্যন্ত
আপনার পরিবার পরিজন
নিরাপদে থাকবে দোয়াটি
হল
2.JPG



(আল্লাহুম্মা ইন্না নাউজুবিকা মিন ওয়াছাঈস সাফারে ওয়া কাআবাতিল মুনক্বালাবে ওয়া ছুঈল মানজারে, ফিল মালে ওয়াল আহলে ওয়াল ওয়ালাদে)
#ঘর থেকে
বের হওয়ার সময়
আয়াতুল কুরসি, সুরা
কাফেরুন, সুরা নসর,
এখলাছ, সুরা ফালাক
সুরা নাস, প্রত্যেক
সুরা বিসমিল্লাহ সহ
পড়ে বের হবেন
তাহলে সফরে সম্পূর্ণ
পথে আরাম অর্জিত
হবে
#হাতের চুরি যেন কাঁচের না হয়,
তাওয়াফে ভিরের মধ্যে
তা ভেঙ্গে গেলে
নিজে অন্য
হাজীরা আহত হওয়ার
সম্ভাবনা আছে
#ফ্লাট জুতা
নিবেন, উঁচু হিল
বিশিষ্ট জুতা নিয়ে
যাবেন না
#সেখানে আবাসিক
হোটেল সমুহে ইংলিশ
কমোড হয়ে থাকে,
দেশে ইংলিশ কমোড
ব্যবহার শিখে নিবেন
#আপনার মালামালের
ব্যাগে নাম ঠিকানা
লিখে নিন, ব্যাগে
তালা লাগিয়ে নিন,
১টি চাবী হাত
ব্যাগে রাখুন
#পরিচিত জন,
মুয়াল্লিম, হোটেল এর
নাম মোবাইল নাম্বার,
ঠিকানা এবং নিজের
নাম ঠিকানা লিখে
হাত ব্যাগে রাখুন

প্রয়োজনীয় জিনিষপত্রঃ যে
সব জিনিষপত্র সাথে
নিতে হবে
# হজ্ব
ওমরার মাসায়ালা সংক্রান্ত
বই # মোবাইল থাকলে
আমার ভিডিওটি
ডাউনলোড করে নিতে
পারেন, #কলম প্যাড
#
পাসপোর্ট, টিকেট, হেলথ
সার্টিফিকেট গলায় ঝুলিয়ে
রাখার জন্য ছোট
ব্যাগ, # জায়নামাজ #তাসবীহ
#
পাক পবিত্র পরিধানের
কয়েকজোড়া কাপড় #চাদর,
#
আয়না, তৈল, চিরুনি,
সুরমা, সুঁই-সুতা,
কাঁচি, নেইল কাটার
#
মোটা মারকার কলম
#
তোয়ালে, রুমাল # ব্যবহারের
চশমা # সাবান, মাজন,
রেজার, পানির বোতল,
#
প্রয়োজনীয় ঔষধ, মাথা
ব্যথা, সর্দিকাঁশির ঔষধ
ইত্যাদি প্রয়োজনীয় জিনিষপত্র
সাথে নিবেন #মসজিদে প্রবেশের
সময় জুতা নেয়ার জন্য ছোট থলে নিবেন, কারন সেখানে বাহিরে জুতা রাখলে তা আর খুঁজে
পাওয়া মুশকিল।

এহরামের আগের প্রস্তুতি
নখ
কেটে নিবেন, শরীরের
অবাঞ্চিত চুল সমুহ
পরিস্কার করে নিবেন,
মিসওয়াক করবেন, অজু
করবেন, খুব ভালভাবে
গোসল করবেন,
ইসলামী
বোনেরা সেলাই যুক্ত
কাপড় পরিধান করতে
পারবেন, হাতা পর্দা,
মৌজা, বোরখা সব
কিছুই স্বাভাবিকভাবে পরিধান
করতে পারবে, কাপড়
বোরখা ঢিলে ঢালা
নিবেন যেন কোথাও
অজু করতে হলে
কুনুই এর উপর
তোলা যায়, আজকাল
মহিলারা এত টাইট
কাপড় সেলাই করে
অজু করার সময়
জামার হাতা কুনুইর
উপর তুলতে পারে
না,
তখন বিপত্তি ঘটে
তবে মহিলারা এহরাম
অবস্থায় চেহেরা খোলা
রাখতে হবে, এহরাম
অবস্থায় মহিলাদের জন্য
এমন কোন ধরনের
বস্তু দ্বারা চেহারা
ঢাকা হারাম যা
চেহেরার সাথে একেবারে
লেগে যায়


তবে
পর পুরুষ থেকে
চেহারাকে আড়াল করার
জন্য হাত পাখা
কিংবা কোন বই
বা ঢাল দিয়ে
আড়াল করতে পারবেন

ওমরার নিয়ত করার উত্তম সময়ঃ
বাংলাদেশ
ভারত পাকিস্তানের
মহিলারা যারা এসব
দেশ থেকে হজ্ব
ওমরা করতে
যাবেন তারা ঘর
থেকেই  প্রস্তুতি
নিয়ে নিবেন এবং
ঘরেই এহরাম এর
রাকাত নফল
নামাজ পড়বেন যদি
মকরুহ ওয়াক্ত না
হয়

এহরামের নামাজের নিয়মঃ দুই রাকাত
নফল নামাজ এহরামের
নিয়তে পড়বেন, ১ম
রাকাতে সুরা ফাতেহার
সাথে সুরা কাফিরুন,
২য় রাকাতে সুরা
এখলাছ পড়বেন
দুই সুরা না
জানলে অন্য যে
কোন সুরা দিয়েও
চলবে

নামাজের
পর নিয়ত করবেন
না,
নিয়ত করবেন বিমানে
বসে


 







বিমানে প্রথম কাজঃ বিমান ভুপাতিত হওয়া আগুনে পুড়ে যাওয়া
থেকে নিরাপদে থাকার
দোয়াটি পড়ে নিন
(মনে রাখবেন এসব দোয়া ওমরার জন্য জরুরী নয় তবে পড়ে নিলে ভাল)
দোয়াটি
হল-

উচ্চারন-আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল হাদমে, ওয়া আউজুবিকা মিনাত তারাদ্দি, ওয়া আউজুবিকা মিনাল গারাকে ওয়াল হারাকে ওয়াল হারামে, ওয়া আউজুবিকা আইয়্যাতা খাব্বাতানিয়াশ শায়ত্বানু ইনদাল মাউত, ওয়া আউজুবিকা আন আমুতা, ফি ছবিলিকা আন আমুতা লাদিগান
এরপর
জানবাহনের দোয়াটি পড়ুন

সুবহানাল্লাজি
ছাখখারা লানা হাজা
ওয়ামা কুন্না লাহু
মুকরিনিন ওয়া ইন্না
ইলা রাব্বিনা লা
মুনকালিবুন

এই
দোয়াগুলি মুখস্থ করতে
না পারলে লিখে
নিন দেখে দেখেও
পড়তে পারেন

এবার
আপনার কাজ হল
ওমরার নিয়ত করে
নেয়া
ওমরার
নিয়ত হল-
আল্লাহুম্মা ইন্নি উরিদুল
ওমরাতা ফায়াচি্ছরহা লি ওয়া তাকাব্বালহা মিন্নি ওয়া আঈন্নি আলাইহা ওয়াবারাকলি ফিহা নাওয়াইতুল
ওমরাতা ওয়া আহরাম বিহা লিল্লাহি তায়ালা


নিয়তের
পর অন্তত
বার বলবেন
5.JPG
(লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাইব্বাইক লাব্বাইকালা শারিকালাকা লাব্বাইক ইন্নাল হামদা ওয়াননেমাতা লাকাওয়াল মুলক লা শারিকালাম)
অর্থ-
আমি হাজির হয়েছি,
হে আল্লাহ আমি
হাজির হ্যাঁ আমি
হাজির হয়েছি , তোমার
কোন শরীক নাই,
আমি হাজির হয়েছি
নিশ্চয় সকল প্রসংশা
এবং নেয়ামতসমুহ তোমারই
আর তোমারই জন্য
সকল ক্ষমতা তোমার
কোন অংশীদার নেই

এখন
সব সময় শুধু
এই লাব্বাইক পড়বেন,
মহিলারা নিঁচু স্বরে
পড়বেন, এমন আওয়াজে
পড়বেন যে নিজের
কানে শুনতে পান

এহরাম অবস্থায় মহিলাদের জন্য যা হারাম
এবার
আপনি মুহরিমা হয়ে
গেলেন আপনার জন্য
কিছু কাজ এখন
হারাম হয়ে গেল
যেমন
#কাপড় বা
রুমান দ্বারা মুখ
ঢেকে রাখা # সুগন্ধি
ব্যবহার করা # চুলে
সুগন্ধি তেল ব্যবহার
করা
#
উত্তেজনা বশত স্বামীকে
আলিঙ্গন করা চুমু
দেয়া # অশ্লিল কথাবার্তা
বলা
#
কারো সাথে দুনিয়াবি
ঝগড়া করা # জঙ্গলের
পশু শিকার করা,
শিকারীকে সাহায্য করা,
#
নিজের নখ কাটা
অন্যের নখ কেটে
দেয়া # সমস্ত শরীর
থেকে কোন চুল
উঠানো # রং বা
মেহেদীর হিজাব লাগানো
#
জয়তুন তিলের
তেল চুলে বা
শরীরে লাগানো # উকুন
মারা, ফেলে দেয়া
কিংবা অন্য কাউকে
মারার জন্য ইশারা
করা

হারাম কাজ হয়ে গেলে জরিমানা
এহরাম
অবস্থায় যে সব
কাজ নিষিদ্ধ তা
যদি ইচ্ছায় কিংবা
অনচ্ছিায় বা ঘুমের
ভিতর হয়ে যায়
তাহলে গুনাহ হবে
না তবে এর
জন্য জরিমানা বা
দম দিতে হবে

এহরাম অবস্থায় যে কাজ করা মকরুহ
# শরীরের ময়লা
পরিস্কার করা # সাবান
ব্যবহার করা # চিরুনি
ব্যবহার করা # এমন
ভাবে চুলকানো যাতে
চুল কেশ ঝড়ে
পড়ে,
#
সুগন্ধির ঘ্রাণ নেয়া
#
সুগন্ধি টিস্যু, সুগন্ধিযুক্ত
ফল বা পাতা
যেমন লেবুর পাতার
ঘ্রাণ নেয়া #বালিশে
মুখ উপুড় করে
শয়ন করা  

এহরাম অবস্থায় যে কাজ করা জায়েজ
#মুখ খোলা
রাখা #নখ ভেঙ্গে
গেলে তা পৃথক
করা
#
মিসওয়াক করা/ব্রাশ
করা
#
সুরমা লাগানো # ময়লা
দুরিভুত করা ছাড়া
সাবান ব্যবহার ছাড়া
গোসল করা # কাপড়
ধৈৗত করা # আস্তে
আস্তে শরীর চুলকানো
যাতে কোন কেশ
ঝড়ে না পড়ে
#
সেলাই করা কাপড়,
হাত মৌজা পরিধান
করা

জেদ্দা এয়ারপোর্ট থেকে রওয়ানাঃ
আলহামদুলিল্লাহ আপনি প্রায়
ঘন্টার মধ্যে
জেদ্দা এয়ারপোর্টে পৌঁছে
যাবেন, সেখান থেকে
মক্কা প্রায়
ঘন্টার রাস্তা ট্রাফিক
থাকলে সময় আরো
বেশীও লাগতে পারে,
জেদ্দা থেকে যখন
মক্কা শহরে প্রবেশ
করবেন তখন বেশী
বেশী লাব্বাইক পড়তে
থাকবেন, মক্কা শরীফে
নিজের মালপত্র যথাযথ
স্থানে রাখবেন, যাদের
হোটেল ঠিক করা
আছে তারা হোটেলে
মালামাল গুলি রাখবেন,
তারপর অজু করার
প্রয়োজন হলে  অজু করে
নিয়ে লাব্বাইক বলতে
বলতে মক্কা শরীফের
বাবুস সালামে গিয়ে
পৌঁছবেন  ডান
পা দিয়ে এই
দোয়া পড়বেন-
(বিসমিল্লাহি ওয়াসসালামু
আলা রাসুলিল্লাহ আল্লাহুম্মাফতাহলি আবওয়াবা রাহমাতিকা)

এতেকাফের নিয়তঃ মসজিদে
হারামে এতেকাফের নিয়ত
করে নিলে যতক্ষন
ভিতরে থাকবেন এতেকাফের
সাওয়াব অর্জন করতে
পারবেন নিয়ত হল-
(
আমি সুন্নত ইতিকাফের
নিয়ত করছি) নাওয়াইতু সুন্নাতাল ইতিকাফ

কাবা শরীফের উপর প্রথম দৃষ্টিতে দোয়াঃ

যখনই
কাবা শরীফের উপর
আপনার প্রথম দৃষ্টি
পড়বে, তিনবার (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার) বলবেন
এবং দোয়া করবেন,
সময় যে
দোয়া করবেন তা
কবুল হবে


তাওয়াফের নিয়ম
আপনি
মসজিদে হারামে প্রবেশ
করে কাবা ঘরের
যে কোনায় হাজরে
আসওয়াদ আছে সেদিকে
যাবেন এবং তাওয়াফের
নিয়ত করবেন
নিয়ত
হল-

আল্লাহুম্মা ইন্নি উরিদু তাওয়াফা বাইতিকাল
হারাম ফাইয়াচ্ছিরহা লি ওয়া তাকাব্বালহু মিন্নি
নিয়ত
করার পর হাজরে
আসওয়াদকে রেখে দুই
হাত নামাজের তকবীর
বলার সময় যেভাবে
উঠান সেভাবে উঠাবেন
এই ছবিতে দেখুন>>>>>>

এবার
দোয়াটি পড়ুন

বাংলা উচ্চারণঃ বিসমিল্লাহি ওয়ালহামদুলিল্লাহি ওয়াল্লাহু আকবার ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলা রাসুলিল্লাহ
এখন
সম্ভব হলে হাজরে
আসওয়াতকে চুমু দিবেন
ভিরের কারনে সম্ভব
নাহলে হাতে ইশারা
করে হাতে চুমু
দিবেন এখন আপনি
আপনার বাম পাশে
কাবা ঘরকে রেখে
১ম চক্কর শুরু
করবেন মহিলারা তাওয়াফের
সময় ভীর এড়িয়ে
চলার চেষ্টা করবেন,
তাওয়াফ করার সময়
থামবেন না, তাওয়াফের
সময় কিছু দোয়া
আছে যদি তা
মুখস্থ না থাকে
তাহলে দরুদ শরীফ
পড়তে পড়তে তাওয়াফ
করবেন আর কেহ
যদি দোয়া গুলি
পড়তে চায় তাহলে
আমাদের তাওয়াফের
চক্করের ৭টি দোয়ার
১টি পূর্ণাঙ্গ ভিডিও
আছে যার লিংক
ডেসক্রিপশন বক্সে দেয়া
হবে সেটা থেকে
শিখে নিবেন বা
লিখে নিবেন
মনে
রাখবেন তাওয়াফের সময়
পুরুষের জন্য ১ম
চক্করে একটু
দ্রুত চলতে হয়
কিন্তু মহিলাদের জন্য
তার প্রয়োজন নাই
বরং মহিলারা স্বাভাবিকভাবেই চলবে

রুকনে ইয়েমেনিঃ আপনি
হাজরে আসওয়াদ থেকে
তাওয়াফ এর চক্কর
শুরু করেছেন সেখান
থেকে ১ম চক্করের
দোয়া বা দরুদ
শরীফ পড়তে পড়তে
রুকনে ইয়েমেনি পর্যন্ত
পেীঁছলে সেটিকে সম্ভব
হলে চুমু দিবেন
কিংবা হাতে ধরে
হাতে চুমু দিবেন,
রুকনে ইয়েমেনি

আর
রুকনে ইয়েমেনি থেকে
হাজরে আসওয়াদ যে
কোনে আছে সেখান
পর্যন্ত জায়গাটা হল
মুছতাজাব এখানে ৭০
হাজার ফেরেশতা বান্দার
দোয়ার সাথে আমিন
বলেন তাই রুকনে
ইয়েমেনি থেকে হাজরে
আসওয়াদ পর্যন্ত স্থানে
নিজ ভাষায় নিজের
জন্য সকলের জন্য
দোয়া করবেন এবং
সবশেষে দোয়াটিও
বলবেন
(রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাহ ওয়াফিল আখিরাতি হাসানাহ ওয়াকেনা আজাবান নার)
অর্থ্যাৎ-
হে আল্লাহ আমাদেরকে
ইহকালিন কল্যান দাও
পরকালেও কল্যাণ দাও,
এবং দোযখের শাস্তি
থেকে পরিত্রাণ দাও

২য়
চক্কর- এবার আপনি
হাজরে আসওয়াদের কাছে
পৌঁছলে আপনার ১ম
চক্কর শেষ হল
২য় চক্কর শুরু
করার জন্য ১ম
চক্করের মত উভয়
হাত কাঁধ পর্যন্ত
তুলে আগের মত
দোয়াটি পড়বেন
বাংলা উচ্চারণঃ বিসমিল্লাহি ওয়ালহামদুলিল্লাহি ওয়াল্লাহু আকবার ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলা রাসুলিল্লাহ
পাঠ
করে ইসতিলাম করবেন
হাজরে আসওয়াদকে চুমু
দিবেন সম্ভব না
হলে হাতে ইশারা
করে চুমু দিবেন,
এবার ২য় চক্কর
শুরু করবেন, ২য়
চক্করের দোয়া পড়বেন
বা দরুদ
সালাম পাঠ করতে
করতে আবার রুকনে
ইয়েমেনিতে গিয়ে দোয়া
শেষ করবেন এবং
রুকনে ইয়েমেনিতে ১ম
চক্করের মত আমল
করবেন এখান থেকে
নিজের জন্য সকলের
জন্য নিজ ভাষায়
দোয়া করবেন এবং
সবশেষে কুরানি দোয়া
(
রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া
হাসানাহ ওয়াফিল আখিরাতি
হাসানা হওয়াকিনা আজাবান
নার)
পড়তে পড়তে হাজরে
আসতওয়াদের সামনে এসে
যাবেন এবং আপনার
২য় চক্কর শেষ
হয়ে গেল

এভাবে
একই নিয়মে আপনি
চক্কর শেষ
করবেন এবার আপনার
চক্কর শেষ হল
কিন্তু আপনার ৮ম
বারের মত হাজরে
আসওয়াদকে সামনে নিয়ে
কাঁদ পর্যন্ত হাত
তুলে এই দোয়াটি
পড়বেন
বাংলা উচ্চারণঃ বিসমিল্লাহি ওয়ালহামদুলিল্লাহি ওয়াল্লাহু আকবার ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলা রাসুলিল্লাহ
এবং
এসতেলাম করবেন, ফলে
আপনার চক্কর ৭টি
হবে আর এসতেলাম
হবে ৮টি
তাওয়াফ শেষ

মকামে ইবরাহিমে নামাজঃ
আপনার চক্কর
তাওয়াফ শেষ হল
বার এসতেলাম
শেষ হল এবার
আপনার কাজ হল
মকামে ইবরাহিমের কাছে
রাকাত তাওয়াফের
নামাজ পড়া নিয়ত
হল হে আল্লাহ
আমি তাওয়াফের নামাজ
আদায় করছি,

তবে
সেটা যেন মাকরুহ
ওয়াক্ত না হয়
১ম রাকাতে সুরা
ফাতেহার সাথে সুরা
কাফেরুন ২য় রাকাতে
সুরা ফাতেহার সাথে
সুরা এখলাছ পড়বেন,
মকামে ইবরাহিমের কাছে
ভির হলে দুরে
পড়া উচিত যাতে
তাওয়াফকারীদের কষ্ট না
হয়
নামাজ
শেষে এই দোয়াটি
পড়তে পারেন


মকামে ইবরাহিমের দোয়াঃ আল্লাহুম্মা ইন্নাকা তালাম
সিররি ওয়া আলানিয়াতি, ফাকবাল মাআজিরাতি ওয়া তালাম হাজাতি ফা আতিনি ছুলি ওয়া তালামু
মা ফি নাফসি ফাগফিরলি জুনুবি, আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা ইমানান ইউবাশিরু কালবি ওয়া
এয়াকিনান ছাদিকান হাত্তা আলামু আন্নাহু লা ইউসিবুনি ইল্লা মা কাতাবতা লি ওয়া রিদান
বিমা কাসামতা লি এয়া আরহামার রাহিমিন।

ইবনে
আসাকির ৭ম খন্ডের
৪৩১ পৃস্ঠায় আছে
যে এই দোয়াটি
পড়বে তার গুনাহ,
পেরেশানী অভাব দুর
করা হবে, ব্যবসায়ীর
ব্যবসা বৃদ্ধি করে
দেয়া হবে, সে
না চাইলেও অক্ষম
দুনিয়া তার কাছে
ধরা দিবে

আপনার
তাওয়াফের নামাজ শেষ

তাওয়াফের নামাজ শেষে এবার মুলতাজামে আসুন- এটি
হল হাজরা আসওয়াদ
কাবা ঘরের
দরজার মধ্যবর্তী স্থান,
এই স্থানে যদি
সম্ভব হয় নিজেকে
জড়িয়ে নিন,


 দু
চোখের পানি ছেড়ে
দিয়ে এখানে নিজেকে
কাবা ঘরের সাথে
লেপটে ফেলুন আর
কাঁদতে কাঁদতে নিজের
ভাষায় দোয়া করুন,
এখানে দোয়া কবুল
হবে

মুলতাজামের
দোয়া শেষে জমজম
এর পানি পানের
পালাঃ
সেখানে
দেখবেন বিভিন্ন জায়গায়
জমজমের পানি রাখা
আছে জমজমের পানি
দাঁড়িয়ে কাবার দিকে
ফিরে ঢোকে
পান করবেন পেট
ভরে পান করবেন
জমজম
পানের সময় যে
নিয়তে পান করবেন
সে নিয়ত ইনশাআল্লাহ
পুরন হবেজমজম
মাথায় শরিরেও
মালিশ করবেন, বিশেষ
করে রোগ থেকে
শেফার নিয়তে
যে কোন নেক
উদ্দেশ্য পুরনের নিয়তে
পান করতে পারেন


সাফা
মারওয়া সাঈ
ওমরার
১ম কাজ তাওয়াফ
শেষে এবার ২য়
কাজ এর জন্য
প্রস্তুত হয়ে যান
আর ২য় কাজ
হল সাফা মারওয়া
সাঈ করা
সাঈর
জন্য ইসতিলাম- সাফা
মারওয়ার সাঈ করতে
যাওয়ার আগে তাওয়াফের
জন্য যেভাবে এসতেলাম
করেছেন সেভাবে হাজরে
আসওয়াদের সামনে গিয়ে
নামাজের মত দুই
হাতে ইশারা করে
দোয়াটি পড়বেন
বাংলা উচ্চারণঃ বিসমিল্লাহি ওয়ালহামদুলিল্লাহি ওয়াল্লাহু আকবার ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আলা রাসুলিল্লাহ
এরপর
দরুদ পড়তে পড়তে
সাফা পাহাড়ের দিকে
যাওয়ার যে দরজা
তার দিকে যাবেন
সাফা
পাহাড়ের দিকে উঠে
কাবার দিকে ফিরে
হাত তুলে দোয়া
করবেন, কেঁদে কেঁদে
দোয়া করবেন, নিজের
জন্য জাতির জন্য
পরিবারের জন্য দোয়া
করবেন, অন্তত ২৫
আয়াত পড়তে যতক্ষন
সময় লাগে ততক্ষন
দোয়া করুন এরপর
সাঈর নিয়ত করবেন

সাঈর নিয়তঃ আল্লাহুম্মা ইন্নি
উরিদুস সাঈ বাইনাস সাফা ওয়াল মারওয়া সাবয়াতা আশওয়াতিন লি ওয়াজহিকাল কারিম ফায়াচিছরহু
লি ওয়া তাকাব্বালহু মিন্নি।
এবার
সাফা থেকে নেমে
মারওয়ার দিকে চলতে
থাকুন, সেখানে সবুজ
লাইট দ্বারা চিহ্নিত
স্থানে পুরুষেরা দৌড়ানে
কিন্তু এখানে মহিলারা
দৌঁড়াবেন না, স্বাভাবিকভাবে
হেটে হেটে সে
সবুজ চিহ্নে এই
দোয়াটি পড়বেন

সাফা মারওয়ার সবুজ লাইট চিহ্নিত
স্থানে দোয়াঃ রাব্বিগফির ওয়ারহাম ওয়া তাজাওয়াজ আম্মা তালামু ইন্নাকা তালামু মালা নালামু
, ইন্নাকা আনতাল আআজ্জুল আকরাম, ওয়াহদিনি লিল্লাতি হিয়া আকওয়ামু আল্লাহুম্মা আজআলহু
হাজ্জাম মাবরুরা ওয়া ছায়াম মাশকুরা ওয়া জানবাম মাগফুরা।

হাটতে
হাঁটতে মারওয়া পাহাড়ে
পৌঁছলে কাবার দিকে
ফিরে কুরানের ২৫
আয়াত পড়তে যতক্ষন
সময় লাগে ততক্ষন
সেখানে দোয়া করুন,
তারপর আবার সাফার
দিকে রওয়ানা হয়ে
যান,
আবার সবুজ লাইট
আসলে সেখানে পূর্বে
উল্লেখিত দোয়া পাঠ
করুন,
15.JPG

১ম
সাঈ
      =
সাফা
-
মারওয়া
২য়
সাঈ       = মারওয়া- সাফা
৩য়
সাঈ       = সাফা - মারওয়া
৪র্থ
সাঈ    = মারওয়া- সাফা
৫ম
সাঈ       = সাফা- মারওয়া
৬ষ্ঠ
সাঈ      = মারওয়া - সাফা
৭ম
সাঈ       = সাফা - মারওয়া

এভাবে
আপনার সাফা মারওয়া
পাহাড়ের চক্কর
শেষ হবে এরপর
মসজিদে হারাম গিয়ে
রাকাত নফল
নামাজ পড়ে নিবেন
এটা মুস্তাহাব
সাফা
মারওয়া পাহাড়ে যখন
দৌঁড়াবেন তখন হযরত
সৈয়্যদা হাজেরা (রাঃ)
যে খালি পায়ে
প্রচন্ড রোদ্রে পাহাড়ি
নির্জন পরিবেশে দৌঁড়েছেন
সে দৃশ্য চিন্তা
করুন, এখনতো সবই
টাইলস আর এসি
দিয়ে আরাম দায়ক
পরিবেশ

মাথার চুল কাটা
এখন
আপনার কাজ হল
চুল কাটা, ইসলামী
বোনদের জন্য চুল
মুন্ডন করা হারাম,
মহিলারা আঙ্গুলের এক
গিড়া সমপরিমান কেটে
নিবেন

আল্লাহ
তায়ালা আপনার ওমরাহ
কবুল করুন, আমাদেরকেও
বার বার ওমরাহ
করার হজ্ব করার
তৌফিক দান করুন
আমিন



1 টি মন্তব্য:

borchee থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.