ডাঃ জাহাঙ্গীর কবির মানুষকে এসব কি শিখাচ্ছেন। Dr Jahangir Kabir || Jaalhaq





ডাঃ জাহাঙ্গীর কবির, একজন জনপ্রিয় ডাক্তার
যিনি মিডিয়ার মাধ্যমে ব্লাড প্রেসার রোগী, ডায়াবেটিস রোগী, অতিরিক্ত মোটা মানুষের
জন্য এমন কিছু নেচারাল পদ্ধতি বা প্রেসক্রিপশন দিচ্ছেন দেশ বিদেশে অসংখ্য মানুষ
এতে উপকৃত হচ্ছে,
আমার আশে পাশে এবং আত্মিয় স্বজনের মধ্যে
অনেকেই উনার ফলোয়ার, অনেককে দেখলাম ১ মাসের মধ্যেই মুটু থেকে পাতলুতে পরিনত হয়েছে,
আমি শুনলাম উনি এমন কিছু নেচারাল নিয়ম
পালনে মানুষকে উদ্ভুদ্ধ করেন যা পালন করে মানুষ চমৎকার ফলাফল পাচ্ছেন, ব্লাড
প্রেসার রোগীর আর ঔষধের প্রয়োজন হচ্ছে না, ডায়বেটিস রোগী সুস্থ হয়ে যাচ্ছে। এসব
শুনে আমিও উনার কিছু ভিডিও ও আলোচনা শুনলাম তখন আশ্চর্য্য হলাম।
উনি যে পদ্ধতি মানুষকে দিচ্ছেন তার মধ্যে
কিছু বিষয় আমার কাছে খুবই আশ্চর্য্য লেগেছে কারন আমি ধর্মিয় মাইন্ডের মানুষ সে
সুবাদে উনার পরামর্শগুলিতে ধর্মীয়  কোন
উপদেশ বা পরামর্শ আছে কিনা তাই শুধু আমার ধ্যানে প্রাধান্য পাচ্ছিল।
আমি দেখলাম উনি বলছেন রাতে খাবার খেতে হবে
সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে তার ২/৩ ঘন্টা পর ঘুমাতে যাবে, অর্থ্যাৎ আর্লি নাইট ঘুমাতে
যেতে হবে, খাওয়ার সাথে সাথে ঘুমানো যাবে না।
উনার এ পরামর্শটা সম্পূর্ণ সুন্নত
মোতাবেক।
২য় পরামর্শ সকালে ভোরে উঠতে হবে উঠে নামাজ
পড়ে ৪০ মিনিট বেয়াম করতে হবে। এই যে সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠা এটাও কিন্তু ইসলামীক
নিয়ম যা আমরা পালন করিনা বলে আমাদের এত সব অসুখ বিসুখ হয়।
তাছাড়া তিনি তাঁর ফলোয়ারদের বেশী বেশী
রোজা রাখার পরামর্শ দেন, এটাও সম্পূর্ণ ইসলামীক নিয়ম।
তারপর মেডিটেশন বা ধ্যান বেয়াম করার সময়
আল্লাহর জিকির সুবহানাল্লাহ আলহামদুল্লিাহ লা ইলা ইল্লাল্লাহ এমন জিকির করতে বলা
এটাও অত্যন্ত কার্যকর ও ধর্মীয় একটি চমৎকার বিষয়।
তাছাড়া আমরা জানি ইসলাম মানুষকে পেটের ৩
ভাগের ১ ভাগ খাদ্য ১ ভাগ পানি ১ ভাগ বাতাসের জন্য খালি রাখতে বলে, ডাক্তার সাহেব
এক্ষেত্রে দেখা যায় তিনি যে খাদ্য তালিকা দিয়েছেন সে খাদ্য তালিকা যদি মানুষ ফলো
করে তাহলে ইসলামের এই পদ্ধতি অটোমেটিক ফলো হয়ে যাবে, কারন তিনি এমন কিছু খাদ্য
তালিকা দিয়েছেন যা পেটের ৩ কোনা ভর্তি করে খাওয়া যায় না, কোনমতে ১ কোনা ভর্তি করে
খাওয়া যায়।  
সবশেষে বলল ডাঃ জাহাঙ্গীর কবির সাহেব যে খেদমত করছেন
আল্লাহ উনার সে খেদমতে আরো বরকত দান করুন। এবং উনাকে এর উত্তম প্রতিদান দান করুন,
আর যারা উনার পরামশ মোতাবেক রোজা রাখেন তাদের বলব রোজা রাখবেন আল্লাহর জন্য,
আল্লাহকে খুশী করার জন্য. সুস্ত জীবনের জন্য কষ্ট করবেন, নিয়ত করবেন আমি সুস্ত
থাকলে বেশী বেশী আল্লাহর এবাদত করতে পারব, এমন নিয়ত যদি আপনি করেন তাহলে আপনার
স্বাস্থ্য সুরক্ষাও হবে সাথে সাথে আপনার নেকির পাল্লাও ভারি হবে। 

কোন মন্তব্য নেই

borchee থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.