বাথরুমে অযুর ৫টি ছোট বড় ভুল।







বাথরুম ওয়াসরুমে অযু করলে কি হয়?
বাথরুম বা ওয়াসরুমে অজু করার ব্যপারে কিছু সতর্কতা
অবলম্বন করতে হবে। তবে মনে রাখবেন অজু করার আদব হল বসে বসে অজু করা, কিবলামুখি হয়ে
অজু করা, বিসমিল্লাহ পড়ে অজু করা, কিন্তু ওয়াসরুমে এসবের সুযোগ থাকেনা, তাই ওয়াস রুমে
দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কিংবা ওয়াসরুমের বেসিনে অজু করা আদবের খেলাফ, তবুও কেহ যদি অনুন্যপায়
হয়ে ওয়াসরুমে অজু করে তাহলে কিছু সতর্কতার সাথে অজু করতে হবে।
প্রথমত- ওয়াসরুমে
যাওয়ার সময় ওয়াসরুমের বাহিরে দাঁড়িয়ে বিসিমিল্লাহির রাহমানির রাহিম পড়ে যাবেন, কারন
বাথরুমে গিয়ে আল্লাহর জিকির করা যায়েজ নাই।
দ্বিতীয়ত- অজুর
সময় যে পানির ছিটা পরে তাকে আবে মুসতামাল বলা হয়, আর এই অজুতে ব্যবহৃত পানি আপনার কাপড়ে
লাগাটা উত্তম নয়, তাই ফোকাহায়ে কেরাম বলেন দাঁড়িয়ে অজু করার সময় খেয়াল রাখা উচিত যেন
অজুর সময় পানি অজুকারীর শরীর থেকে টপকে টপকে যেন তার কাপড়ে না পরে। কেননা এই ব্যবহৃত
পানি কাপড়ে লাগানো মকরুহে তানজিহি। আর মাকরুহে তানজিহি ঐ আমলকে বলে যা শরীয়ত অপছন্দ
করে তবে এরপরও যদি এমন কাজ হয়ে যায় তাতে বান্দা গুনাহগার হয়না।
সে জন্য কেহ যদি
বাথরুমে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে অজু করতেহয় সে সাথে একটি তোয়ালে নিবে, প্রথমে চেহেরা ধুয়ে
চেহেরা থেকে টপকে যে পানি পড়ে তা হালকা করে মুছে নিবে, সম্পূণ শুকিয়ে যায় িএমনভাবে
মুছবে না বরং হালকা করে মুছবে যেন যে পানি টপকে পড়ছে তা বন্ধ হয়ে যায়। সম্পূণ শুস্ক
করে ফেলা উচিত নয় কারন কেয়ামতের দিন অজুর যে ভিজা বা আদ্রতা তাকে মিজানে মাপা হবে,
এরপর যখন হাত ধৌত
করা শেষ হবে তখন হালকা করে তোয়ালে দিয়ে মুছে নিবেন যেন হাত থেকে পানি টপকানো বন্ধ হয়ে
যায়। আর যদি আপনি এভাবে না করে তাহলে আপনি চেহেরা ধৌত করার পর যখন দাঁড়িয়ে পা ধৌত করবেন
আপনার চেহেরা থেকে সব পানি টপকে টপকে আপনার সম্পূণ জামাকে ভিজিয়ে দিবে যা মাকরুহে তানজিহি।
আর মাকরুহে তানজিহি যদিও গুনাহ হয়না কিন্তু শরীয়ত এমন মাকরুহকে পছন্দ করে না।

কোন মন্তব্য নেই

borchee থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.