নারীরা অপর নারী থেকে কতটুকু পর্দা করবে। কিভাবে পর্দা করবে? Islam | Jaalhaq







নারীরা অন্য নারীর সামনে কতটুকু পর্দা করবে
নারীরা অপর নারীর সামনে পর্দা করার  দুটি মাসআলা একটি হচ্ছে উত্তমের মাসআলা, অন্যটি হচ্ছে বৈধতার মাসআলা
নারীদের সামনে নারীর স্বাভাবিক সতর হচ্ছে, তাঁরা নিজেদের লজ্জাস্থান, বুক এবং পিঠ সম্পূর্ণরূপে ঢেকে রাখবেন এগুলো ছাড়া অন্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ তাঁরা প্রকাশ করতে পারবেন, এতে কোনো গুনাহ হবে না এই মাসআলাটি হচ্ছে জায়েজের মাসআলা রক্তের সম্পর্ক হোক বা না হোক, নারীরা সবাই এই বিধানের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত 
সুতরাং একজন নারী অন্য একজন
নারীর সামনে হাফ আস্তিন ওয়ালা জামা পরিধান করতে পারবে, হাঁটুর নিচের অংশ খোলা রাখতে
পারবে, চুল দেখাতে পারবে, গলা ঘাড় দেখাতে পারবে, যদি সে নারী আমানতদার হয়, নেককার হয়।
তবে নারী যদি ফাসেক ধরনের হয়,
সে ফাসেকা নারীর কাছ থেকে
 নিজের সৌন্দর্যকে যথাসম্ভব ঢেকে রাখা জরুরী কারণ আপনি যখন এমন ফাসেকা নারীর সামনে আপনার সৌন্দর্য প্রকাশ করবেন, তখন হয়তো অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে ওই নারী আপনার সৌন্দর্যের বিষয়টি অন্য কারো কাছে, যেমন হয়তো তাঁর স্বামী বা অন্য কোনো নিকটাত্মীয়ের কাছে প্রকাশ করে দিতে পারেন
ফলে সে ব্যক্তির মনে আপনাকে দেখার আগ্রহ সৃষ্টি হবে, ছাড়া অন্য অনেক ক্ষতিও হতে পারে জন্য সেটি না করাটাই উত্তম
আপনারা শুনে অবাক হবেন, স্বামী
যদি স্ত্রীকে কোন ফাসেকা নারীর সাথে মিশতে নিষেধ করে তখন স্ত্রীর উপর ওয়াজিব সে নারীর
সাথে না মিশা। ফোকাহায়ৈ কেরাম এটাও বলেছেন কোন নারীর আপন বোন যদি ফাসেকা হয় এমন বোন
যে নিজের বোনের সৌন্দর্য্য তার স্বামীর কাছে গিয়ে প্রকাশ করবে বা অন্য কোন লোকের কাছে
প্রকাশ করবে বলে ধারনা থাকে, সে ধরনের অবস্তায় আপন বোন থেকেও সতর্কতার সাথে পর্দা করার
হকুম দিয়েছেন। যদি নিজের বোনের ব্যপারে এমন হকুম হয় তাহলে বাহিরের কোন নারীর ব্যপারে
আরো বেশী সতর্ক থাকতে হবে।
আজকাল ফাসেকা নারীর অভাব নাই
তাই এ ব্যপারে নেককার দ্বীনদার নারীদের সতর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরী।  

কোন মন্তব্য নেই

borchee থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.