কুরবানীর মারাত্মক ভুলত্রুটি সমুহ। Take care of these things before qurbani
৪টি বড় ভুলের কারনে কুরবানি হারাম হয়ে যায়
সম্মানিত দশক মন্ডলী কয়েকদিন পরই কুরবানী সারা বিশ্বের অসংখ্য মুসলমানরা কুরবানী উপলক্ষে আল্লাহকে রাজি করার জন্য পশু জবে করবেন কিন্তু অজ্ঞতার কারনে আমরা কুরবানীতে এমন কিছু ভুল করে ফেলি যে সব ভুলে কারনে অনেক সময় আমাদের কুরবানীর যে ছাওয়াব তা থেকে বঞ্চিত হই, কিছু ভুল আছে যার কারনে কুরবানীর গোস্ত আমাদের জন্য হারাম হয়ে যায়, আবার কিছু ভুলের কারনে কুরবানী মকরুহ হয়ে যায়, তাই এই ছোট ভিডিওটি থেকে আশা করি আপনারা সেসব ভুল সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং ভুল সংশোধন করতে পারবেন, তাই শেষ পযন্ত অবশ্যই আলোচনাটি শুনবেন।
# ইন্নামাল আমালু বিননিয়্যাত- নিশ্চয়ই আমল নিয়তের উপর নির্ভরশীল। আল্লাহ তায়ালা কুরবানীর মাধ্যমে মানুষ আল্লাহর সন্তুষ্টি চান নাকি অন্য কিছু যেমন যশ, খ্যাতি, সুনাম, বাহবা চান নাকি গোস্ত খেতে চান তা দেখেন। তাই আল্লাহ তায়ালা সুরা হজ্বের ৩৭ নং আয়াতে বলেন- (গোশত ও রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছে না বরং পৌঁছে মনের তাকওয়া)
তাই কুরবানীর নিয়ত সহিহ করতে হবে তাই কুরবানী ব্যপারে এমন কথা বলা যাবেনা যা তাকওয়া ও এখলাছের খেলাফ যেমন
(ক) প্রতিবছর কুরবানি করে আসছি এ বছর না করলে কেমন দেখায়?
(খ) কুরবানী না করলে লোকে কি বলবে?
(গ) আমি কুরবানি না করলে সন্তানরা মন খারাপ করবে।
# কুরবানী যিনি নিসাবের মালিক তার পক্ষ থেকে করা ওয়াজিব, কিন্তু আমাদের সমাজে দেখা যায় ছেলে নিসাবের মালিক কুরবানি ছেলের পক্ষ থেকে না করে মা বাবার পক্ষ থেকে করছে, এর ফলে নিসাবের মালিক ছেলের ওয়াজিব আদায় হচ্ছে না। প্রথমে যার উপর ওয়াজিব তার পক্ষ থেকেই কুরবানী দিবে এরপর অতিরিক্ত কোন হিসসা যদি থাকে তাতে মা বাবা সহ অন্যান্যদের জন্য কুরবানী করতে পারবে।
# অধিকাংশ মহিলার মালিকানায় স্বর্ণ থাকে ১/২/৩/৪/ ভরি সাথে অল্প টাকা থাকে তখন সে মহিলার পক্ষ থেকে কুরবানী ওয়াজিব, কিন্তু এই ওয়াজিব সম্পর্কে আমাদের সমাজে মহিলারা কোন খবরই রাখে না। অথচ কুরবানীর নিসাব যদি দেখা যায় সাড়ে বাহান্ন তোলা রুপার সমান সম্পদ থাকলে তার উপর কুরবানী ওয়াজিব, এখন একজন মহিলার কাছে যদি ১ ভরি স্বণ থাকে এবং ১০ হাজার টাকা নগদ থাকে তাহলে তার মূল্যমান হয় প্রায় ৭০ হাজার কারন বতমানে ১ ভরি স্বণের দাম হয় প্রায় ৬০ হাজার আর রুপা সাড়ে বাহান্ন তোলার দাম হয় ৫০ হাজার।
# আরেকটি ভুল হয় ৩ ভাই মিলে যদি ৭০ হাজার দিয়ে গরু কিনে তাহলে ১ ভাই ৩ হিস্সা নিলে সে ৩০ হাজার দিবে, এক ভাই ২ হিসসা নিলে সে ২০ হাজার দিবে এক ভাই ২ হিসসা নিলে সেও ২০ হাজর দিবে, ৭০ হাজারের গরুতে ১ হিসসার দাম ১০ হাজার সুতরায় কোন ভাই যদি ২ হিসসা নিয়ে ১৫ হাজার টাকা দেয়া তাহলে কুরবানী হবে না। উনার উচিত ১৫ হাজার দিয়ে ২ হিসসা না নিয়ে ১০ হাজার দিয়ে ১ হিসসা নেয়া। তবেই কুরবানি শুদ্ধ হবে।
#পশু জবেহ করার সময় যে ভুলটি মারাত্মক তা হল- কুরবানীর পশু জবেহ করার সময় বিসমিল্লাহ বলতে হবে, ২ জন মিলে জবেহ করলে ২ জনকেই বিসমিল্লাহ বলতে হবে, নতুবা কুরবানীর পশু হালাল হবে না।
# কুরবানী পশু জবেহ করার সময় ৪টি রগ কাটার দিকে খেয়াল রাখতে হবে, অনেক কসাই জবেহ করার পর কন্ঠনালীতে একটি চোরা কোপ বসাই যাতে জানোয়ার জলদি ঠান্ডা হয়ে যায় এমন করা শক্ত মকরুহ। তাই স্বাভাবিক ভাবে জবেহ করে ৪ টি রগ কেটে জনোয়ারক যতক্ষন ঠান্ডা না হয় ততক্ষন অপেক্ষা করার পর ঠান্ডা হলে চামড়া কাটা উচিত।
# অংশীদার হয়ে যদি একটি গরু কোরবানি করে, তবে গোশত নিজেদের ধারণা অনুযায়ী ভাগ করা যাবে না। দাঁড়িপাল্লা দিয়ে মেপে সমান সমান ভাগ করা উচিত। অন্যথায় যদি ভাগের মধ্যে তারতম্য হয়ে যায়, তবে সুদ হয়ে যাবে এবং গোনাহগার হবে।
কোন মন্তব্য নেই