কুরবানি ঈদের নামাজ এর নিয়ম। ছোট বড় ১০ টি ভুল। Prayer of Eid ul adha| Jaa...
ঈদের নামাজ ছোট বড় ১০টি ভুল
ঈদুল আযহা আর ২দিন বাকী, ঈদের দিন মুসলমানদের জন্য সবচেয়ে যে বিষয়টি খুশির তা হল ঈদের নামাজ, কিন্তু এই খুশির মুহুর্তটি যদি আমরা প্রকৃত সুন্নাত মোতাবেক আদায় করতে না পারি তাহলে এর যে ফজিলত ও ছাওয়াব তা থেকে আমরা বঞ্চিত হব, তাই আজ আমি ঈদের নামাজ সংক্রান্ত ---টি ভুল ত্রুটি আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেস্টা করব যাতে আপনারা ভুলগুলি থেকে বেঁচে থেকে ঈদের নামাজের ফজিলত হাছিল করতে পারেন।
প্রথমত- ঈদের দিন সকালে ফজরের নামাজ জামাতের সাথে মসজিদে আদায় করবেন, ফজরের নামাজ হল ফরয ঈদের নামাজ ওয়াজিব, আর আপনি যদি ফজরের ফরজ না পরে ঈদের নামাজে যান তাহলে সেটা মোটেও আপনার জন্য সুখকর হবেনা।
দ্বিতীয়ত- ঈদে এমন একটি সুযোগ আসে, যাতে আত্মীয়তা-সম্পর্ক জোড়া লাগানো যায় এবং যাদের মধ্যে ঝগড়া হচ্ছে তাদেরকে মিলিয়ে দেয়ার সর্বোত্তম সময়। বিশেষ করে মা বাবার মনে কষ্ট দিলে তাঁদের কাছ থেকে আন্তরিক ভাবে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে।
তৃতীয়ত- ঈদুল আযহার দিন সকালে গোসল করবেন, তারপর নতুন কিংবা পরিস্কার কাপড়চোপড় পরিধান করে আতর লাগিয়ে মসজিদে বা ঈদগাহে আগেভাগে রওয়ানা দিবেন,
চতুর্থত- ঈদুল আযহার দিন কিছু না খেয়ে নামাজে যাবেন।
পঞ্চমত- ঈদের নামাজে যাওয়ার সময় উচ্চস্বরে তাকবীর পাঠ করবেন (আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়ালিল্লাহিল হামদ)
ষষ্ঠত- ঈদগাহে গিয়ে কোন ধরনের নফল নামাজ পড়বেন না, বরং বেশী পরিমানে তাকবীর পাঠ করবেন।
সপ্তমত- নামাজে পায়ে হেটে এক রাস্তদিয়ে যাবেন অন্য রাস্তা দিয়ে ফিরে আসবেন, এর কারন হল যাতে বেশী লোকের সাথে সাক্ষাত হয়।
অষ্টমত- ঈদের নামাজে অতিরিক্ত ৬ তাকবীর সমুহ আদায় করতে হবে
১। প্রথমত, স্বাভাবিক নামাজের মতোই তাকবিরে তাহরিমা বলে হাত বাঁধবেন। তারপর ছানা পাঠ করবেন।
২। তারপর অতিরিক্ত তিনটি তাকবির বলবেন। প্রথম দুই তাকবিরে হাত তুলে ছেড়ে দেবেন এবং তৃতীয় তাকবিরে হাত বেঁধে ফেলবেন।
৩। তারপর আউজুবিল্লাহ ও বিসমিল্লাহ পড়ার পর ইমাম সুরা ফাতিহা পড়ে এর সঙ্গে অন্য একটি সুরা মেলাবেন।
৪। তারপর স্বাভাবিক নামাজের মতোই রুকু-সিজদা করে প্রথম রাকাত শেষ করবেন।
৫। দ্বিতীয় রাকাতে ইমাম কিরাত পড়া শেষে রুকুতে যাওয়ার আগে অতিরিক্ত তিন তাকবির দেবেন। প্রতি তাকবিরের সঙ্গে হাত উঠাবেন এবং ছেড়ে দেবেন। তারপর চতুর্থ তাকবির বলে রুকুতে চলে যাবেন।
৬। তারপর স্বাভাবিক নামাজের মতোই নামাজ শেষ করবেন।
৭। নামাজ শেষে ইমাম মিম্বারে উঠবেন। দুটি খুতবা দেবেন। এ সময় ইমামের খুতবা মনোযোগসহকারে শুনতে হবে। কোনো ধরনের কথা বলা বা অন্য কাজে ব্যস্ত হওয়া যাবে না।
৮। খুতবা শেষে সবাই ঈদগাহ ত্যাগ করবেন।
নবমত- ঈদের সময় মুসলমানদের মাঝে পরস্পর শুভেচ্ছা বিনিময় মুস্তাহাব। ঈদে আনন্দিত হওয়া এবং আনন্দ প্রকাশ করা মুস্তাহাব। আত্মীয়-স্বজন, মুসলিম ভাই বেরাদরকে শুভেচ্ছা বিনিময়ও মুস্তাহাব। এই দিনেও হিংসা বিদ্বেষ মনে পোষন করে রাখা কোনভাবেই সমিচিন নয়।
ইরশাদ হয়েছে:
( قُلۡ بِفَضۡلِ ٱللَّهِ وَبِرَحۡمَتِهِۦ فَبِذَٰلِكَ فَلۡيَفۡرَحُواْ هُوَ خَيۡرٞ مِّمَّا يَجۡمَعُونَ ٥٨ )
{বল, «আল্লাহর অনুগ্রহ ও রহমতে। সুতরাং এ নিয়েই যেন তারা খুশি হয়»। এটি যা তারা জমা করে তা থেকে উত্তম।} [সূরা ইউনুস:৫৮]
দশমত- ঘরে গিয়ে প্রথম কাজ হল কুরবানি করা, কুরবানীর পশুর গোশত দিয়ে প্রথম আহার করা সুন্নাত। আর যারা কুরবানী করছে না তারা শরীরের লোম নখ এসব কাটলে কুরবানির সাওয়াব পাবেন।
কোন মন্তব্য নেই