১৩ টি কথা মেয়েকে ১৩ বছরের আগে বুঝিয়ে দিন।Teach to your daughter 13 thing...
১৩ টি কথা মেয়েকে ১৩ বছরের আগে বুঝিয়ে দিন।Teach to your daughter 13 thing...
১। আপনার মেয়ে যখন ক্লাস সিক্স এর ছাত্রী তখন তাকে পবিত্র কুরআনের ২৪ তম সুরা সুরা নুর অনুবাদ ও তফসীর সহ শিক্ষা দিবেন, মধ্যপ্রাচ্যের স্কুল সমুহে এই সুরাটি ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রীদের সিলেবাসভুক্ত।
এই সুরার ৩১ নং আয়াতটি শুনলেই আপনি বুঝতে পারবেন এই সুরাতে কন্যা সন্তানের জন্য কি স্বর্গীয় শিক্ষা আছে, ১টি আয়াতেই ৬টি উপদেশ আছে- যেমন আল্লাহ তায়ালা বলেন
এই সুরার ৩১ নং আয়াতটি শুনলেই আপনি বুঝতে পারবেন এই সুরাতে কন্যা সন্তানের জন্য কি স্বর্গীয় শিক্ষা আছে, ১টি আয়াতেই ৬টি উপদেশ আছে- যেমন আল্লাহ তায়ালা বলেন
]
وَقُل لِّلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ
مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ
إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَلْيَضْرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَى جُيُوبِهِنَّ وَلَا
يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا لِبُعُولَتِهِنَّ أَوْ آبَائِهِنَّ أَوْ آبَاء
بُعُولَتِهِنَّ أَوْ أَبْنَائِهِنَّ أَوْ أَبْنَاء بُعُولَتِهِنَّ أَوْ إِخْوَانِهِنَّ
أَوْ بَنِي إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي أَخَوَاتِهِنَّ أَوْ نِسَائِهِنَّ أَوْ مَا
مَلَكَتْ أَيْمَانُهُنَّ أَوِ التَّابِعِينَ غَيْرِ أُوْلِي الْإِرْبَةِ مِنَ
الرِّجَالِ أَوِ الطِّفْلِ الَّذِينَ لَمْ يَظْهَرُوا عَلَى عَوْرَاتِ النِّسَاء
وَلَا يَضْرِبْنَ بِأَرْجُلِهِنَّ لِيُعْلَمَ مَا يُخْفِينَ مِن زِينَتِهِنَّ
وَتُوبُوا إِلَى اللَّهِ جَمِيعًا أَيُّهَا الْمُؤْمِنُونَ لَعَلَّكُمْ
تُفْلِحُونَ
مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ
إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا وَلْيَضْرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَى جُيُوبِهِنَّ وَلَا
يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا لِبُعُولَتِهِنَّ أَوْ آبَائِهِنَّ أَوْ آبَاء
بُعُولَتِهِنَّ أَوْ أَبْنَائِهِنَّ أَوْ أَبْنَاء بُعُولَتِهِنَّ أَوْ إِخْوَانِهِنَّ
أَوْ بَنِي إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي أَخَوَاتِهِنَّ أَوْ نِسَائِهِنَّ أَوْ مَا
مَلَكَتْ أَيْمَانُهُنَّ أَوِ التَّابِعِينَ غَيْرِ أُوْلِي الْإِرْبَةِ مِنَ
الرِّجَالِ أَوِ الطِّفْلِ الَّذِينَ لَمْ يَظْهَرُوا عَلَى عَوْرَاتِ النِّسَاء
وَلَا يَضْرِبْنَ بِأَرْجُلِهِنَّ لِيُعْلَمَ مَا يُخْفِينَ مِن زِينَتِهِنَّ
وَتُوبُوا إِلَى اللَّهِ جَمِيعًا أَيُّهَا الْمُؤْمِنُونَ لَعَلَّكُمْ
تُفْلِحُونَ
ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, (১) তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং (২) তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। (৩) তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং (৪) তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং (৫) তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত
পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, (৬) তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও। [ সুরা নুর ২৪:৩১ ]
পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, (৬) তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও। [ সুরা নুর ২৪:৩১ ]
২।আজকাল যে ইভটিজিং হচ্ছে সে রোগের চিকিৎসা আছে সুরা আহযাবের ৫৯ নং আয়াতে যেমন আল্লাহ তায়ালা এরশাদ করেন
يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ قُل
لِّأَزْوَاجِكَ وَبَنَاتِكَ وَنِسَاء الْمُؤْمِنِينَ يُدْنِينَ عَلَيْهِنَّ مِن
جَلَابِيبِهِنَّ ذَلِكَ أَدْنَى أَن يُعْرَفْنَ فَلَا يُؤْذَيْنَ وَكَانَ اللَّهُ
غَفُورًا رَّحِيمًا
لِّأَزْوَاجِكَ وَبَنَاتِكَ وَنِسَاء الْمُؤْمِنِينَ يُدْنِينَ عَلَيْهِنَّ مِن
جَلَابِيبِهِنَّ ذَلِكَ أَدْنَى أَن يُعْرَفْنَ فَلَا يُؤْذَيْنَ وَكَانَ اللَّهُ
غَفُورًا رَّحِيمًا
হে নবী! আপনি আপনার পত্নীগণকে ও কন্যাগণকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়। এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে। ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু। [ সুরা আহযাব ৩৩:৫৯ ]
আপনার কন্যাকে যদি শালিন পোষাক ইসলামীক পোষাক পরিধানের শিক্ষা দেন তাহলে আপনার কন্যা ইভটিজার থেকে বেঁচে যাবেন।
৩। পবিত্র কুরআনের সুরা আহযাবের ৩৫ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা নারীদের ১০টি গুনাগুণ বয়ান করেছেন, আপনার কন্যাটি যেন সেসব গুণে গুনান্বিত যেমন আল্লাহ তায়ালা বলেন-
]
إِنَّ الْمُسْلِمِينَ
وَالْمُسْلِمَاتِ وَالْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ وَالْقَانِتِينَ
وَالْقَانِتَاتِ وَالصَّادِقِينَ وَالصَّادِقَاتِ وَالصَّابِرِينَ وَالصَّابِرَاتِ
وَالْخَاشِعِينَ وَالْخَاشِعَاتِ وَالْمُتَصَدِّقِينَ وَالْمُتَصَدِّقَاتِ
وَالصَّائِمِينَ وَالصَّائِمَاتِ وَالْحَافِظِينَ فُرُوجَهُمْ وَالْحَافِظَاتِ
وَالذَّاكِرِينَ اللَّهَ كَثِيراً وَالذَّاكِرَاتِ أَعَدَّ اللَّهُ لَهُم
مَّغْفِرَةً وَأَجْرًا عَظِيمًا
وَالْمُسْلِمَاتِ وَالْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ وَالْقَانِتِينَ
وَالْقَانِتَاتِ وَالصَّادِقِينَ وَالصَّادِقَاتِ وَالصَّابِرِينَ وَالصَّابِرَاتِ
وَالْخَاشِعِينَ وَالْخَاشِعَاتِ وَالْمُتَصَدِّقِينَ وَالْمُتَصَدِّقَاتِ
وَالصَّائِمِينَ وَالصَّائِمَاتِ وَالْحَافِظِينَ فُرُوجَهُمْ وَالْحَافِظَاتِ
وَالذَّاكِرِينَ اللَّهَ كَثِيراً وَالذَّاكِرَاتِ أَعَدَّ اللَّهُ لَهُم
مَّغْفِرَةً وَأَجْرًا عَظِيمًا
নিশ্চয় মুসলমান পুরুষ, মুসলমান নারী, ঈমানদার পুরুষ, ঈমানদার নারী, অনুগত পুরুষ, অনুগত নারী, সত্যবাদী পুরুষ, সত্যবাদী নারী, ধৈর্য্যশীল পুরুষ, ধৈর্য্যশীল নারী, বিনীত পুরুষ, বিনীত নারী, দানশীল পুরুষ, দানশীল নারী, রোযা পালণকারী পুরুষ, রোযা পালনকারী নারী, যৌনাঙ্গ হেফাযতকারী পুরুষ, , যৌনাঙ্গ হেফাযতকারী নারী, আল্লাহর অধিক যিকরকারী পুরুষ ও যিকরকারী নারী-তাদের জন্য আল্লাহ প্রস্তুত রেখেছেন ক্ষমা ও মহাপুরষ্কার। [ সুরা আহযাব ৩৩:৩৫ ]
৪। কন্যা সন্তানকে ধর্মী বিষয়সমুহ শিক্ষা দিবেন, এবং তাঁদেরকে ধর্মীয় যে কোন বিষয়ে জানতে প্রশ্ন করতে উৎসাহ দিবেন, এই কাজটিকে আম্মাজান আয়শা (রা) এপ্রিশিয়েট করেছেন, যেমন আনসার মহিলারা মহানবী (দঃ) এর কাছে যে কোন বিষয়ে প্রশ্ন করতে লজ্জা বোধ করতেন না, আর তাঁদের প্রশ্নের মাধ্যমে অন্যান্য মহিলারা মহানবীর কাছ থেকে মেয়েলি বিষয়গুলির সমাধান খুঁজে পেত তাই মা আয়শা (রাঃ) এরশাদ করেন
عَنْ صَفِيَّةَ بِنْتِ شَيْبَةَ،
عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا ذَكَرَتْ نِسَاءَ الأَنْصَارِ فَأَثْنَتْ عَلَيْهِنَّ
وَقَالَتْ لَهُنَّ مَعْرُوفًا
عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا ذَكَرَتْ نِسَاءَ الأَنْصَارِ فَأَثْنَتْ عَلَيْهِنَّ
وَقَالَتْ لَهُنَّ مَعْرُوفًا
‘আনসার নারীরা উত্তম। লজ্জাশীলতা তাদেরকে ধর্মের ব্যাপারে জ্ঞান অর্জনে বাধা দেয় না।’ (আবু দাউদ ৩১৫)
প্রত্যেক অভিভাবক তথা মায়েরা অবশ্যই কন্যা সন্তানকে পাক পবিত্রতার বিষয় যেমন অজু গোসল, ফরয গোসল, হায়েজ কালিন নামাজ রোজার বিধান, হায়েজ কি, এস্তেহাজা কি, এসব বিষয় সমুহ ১৩ বছরের আগেই অত্যন্ত গুরুত্বের সাথেই অবশ্যই অবশ্যই শিখিয়ে দিবেন।
৫। আপনার আদরের কন্যা সন্তানকে দান সদকা করা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা শিখাবেন, এবং অভিশাপ বা বদদোয়া দেয়া থেকে কঠোর ভাবে নিষেধ করবেন কারন এই ২টি কারনেই অধিকাংশ নারীরা জাহান্নামী বলে মহানবী (দঃ) ঘোষনা করেছেন
গ্রন্থ: সহীহ বুখারী (তাওহীদ) | অধ্যায়ঃ ৬/ হায়েজ [ঋতুস্রাব] (كتاب الحيض) | হাদিস নাম্বার: 304
عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ
خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي أَضْحًى ـ أَوْ فِطْرٍ ـ إِلَى
الْمُصَلَّى، فَمَرَّ عَلَى النِّسَاءِ فَقَالَ " يَا مَعْشَرَ النِّسَاءِ
تَصَدَّقْنَ، فَإِنِّي أُرِيتُكُنَّ أَكْثَرَ أَهْلِ النَّارِ ".
فَقُلْنَ وَبِمَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " تُكْثِرْنَ اللَّعْنَ،
وَتَكْفُرْنَ الْعَشِيرَ،
خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي أَضْحًى ـ أَوْ فِطْرٍ ـ إِلَى
الْمُصَلَّى، فَمَرَّ عَلَى النِّسَاءِ فَقَالَ " يَا مَعْشَرَ النِّسَاءِ
تَصَدَّقْنَ، فَإِنِّي أُرِيتُكُنَّ أَكْثَرَ أَهْلِ النَّارِ ".
فَقُلْنَ وَبِمَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " تُكْثِرْنَ اللَّعْنَ،
وَتَكْفُرْنَ الْعَشِيرَ،
আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ একবার ঈদুল আযহা অথবা ঈদুল ফিতরের সালাত আদায়ের জন্য আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঈদগাহের দিকে যাচ্ছিলেন। তিনি মহিলাদের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় বললেনঃ হে মহিলা সমাজ! তোমার সদাক্বাহ করতে থাক। কারণ আমি দেখেছি জাহান্নামের অধিবাসীদের মধ্যে তোমরাই অধিক। তাঁরা জিজ্ঞেস করলেনঃ কী কারণে, হে আল্লাহ্র রাসূল? তিনি বললেনঃ তোমরা অধিক পরিমানে অভিশাপ দিয়ে থাক আর স্বামীর অকৃতজ্ঞ হও।
সুপ্রিয় দর্শক আমার এই সংক্ষিপ্ত আলোচনা আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে, এবং যাদের কন্যা সন্তান আছে তাঁদের জন্য কিছুটা গাইডলাইন হবে। যে সব ভাই বোনদের কন্যা সন্তান আছে তাঁদেরকে এই আলোচনার মাধ্যমে উপকার অর্জন করার তৌফিক দান করুন। আমিন
কোন মন্তব্য নেই