বড় বড় সমস্যা সমাধানের খুব দামী আমল ও অজিফা। ইনশাল্লাহ ৩ রাতের ভিতর মনের ...







মনের সব আশা পুরণের জন্য মূল্যবান অজিফা
শাহ অলি উল্লাহ মুহাদ্দিস দেহলভী বলেন 
সন্দেহ করলে কাফের হয়ে যাবে এবং 
৩ রাতের মধ্যে সমাধান হবে

আজ আমি মনের সব আশা পুরণের জন্য
অত্যন্ত মূল্যবান ১টি নামাজের অজিফা বলব, নামাজের নিয়ম বলব, যাতে আপনার সকল হাজত পুরণ
হবে, সব অভাব দুর হবে সব সমস্যা যদি পাহাড়ের সমানও হয় সমাধান হবে ইনশা আল্লাহ।

আল্লামা শাহ অলিউল্লাহ মুহাদ্দিস
দেহলভী (রহঃ) লিখেন কোন ব্যক্তি যদি এই নামাজ পড়ে এবং সন্দেহ পোষন করে যে আমি এই আমল
করার পরও আমার সমস্যা সমাধান হবে না তাহলে সে মুসলমানও থাকবে না।


সে নামাজের নিয়ম হল ৪ রাকাত নামাজ
হাজতের নিয়তে পড়বে, নিয়ত করবে আমি হাজত পুরনের জন্য ৪ রাকাত নফল নামাজ পড়ছি।

১ম রাকাতে সুরা ফাতেহার পর ১০০ বার
পড়তে হবে (রাব্বি আন্নি মাসসানিয়াদ দুররু ওয়া আনতা আরহামুর রাহিমিনি)

২য় রাকাতে সুরা ফাতেহার পর ১০০ বার
পড়বে (ওয়া উফাব্বিদু আমরি ইলাল্লাহ ইন্নাল্লাহা বাসিরুম বিল ইবাদ)

৩য় রাকাতে সুরা ফাতেহার পর ১০০ বার
পড়তে হবে (রাব্বি আন্নি মাসসানিয়াদ দুররু ওয়া আনতা আরহামুর রাহিমিনি)

৪থ রাকাতে সুরা ফাতেহার পর ১০০ বার
পড়তে হবে (হাসবুনাল্লাহু ওয়ানিমাল ওয়াকিল নেমাল মাওলা ওয়া নেমান নাসির)

এভাবে ৪ রাকাত নামাজ শেষ করে সালাম
ফিরানোর পর পুনরায় সিজদায় গিয়ে ৩ বার দরুদ শরীফ পড়ার পর ১০০ বার পড়তে হবে (রাব্বি আন্নি
মাগলুবুন ফানতাসির) তারপর ৩ বার আবার দরুদ শরীফ পড়ে যে উদ্দেশ্যে  যে প্রয়োজনে কিংবা যে সমস্যার সমাধানের জন্য এই নামাজ
পড়েছেন সে বিষয়ে আল্লাহর কাছে নিজের ভাষায় দোয়া করবেন।

ইনশাল্লাহ আপনার সে সমস্যা যত বড়ই
হউক পাহাড়ের সমান সমস্যা হলেও ৩ রাতের ভিতর তা সমাধান হয়ে যাবে।

শাহ অলিউল্লাহ (রহঃ) তিনি কোন ছোট
খাটো মুহাদ্দিস নয় তিনি এমন একজন বড় মাপের মুহাদ্দিস যার মাধ্যমে এই উপমহাদেশে এলমে
হাদিসের নেয়ামত মানুষ লাভ করেছেন।

তিনি এই নামাজের এত উপকারের কারন
হিসেবে বননা করেন যখন হযরত আইয়্যুব (আঃ) দোয়া করেছিলেন   (রাব্বি
আন্নি মাসসানিয়াদ দুররু ওয়া আনতা আরহামুর রাহিমিনি) তখন আল্লাহ তায়ালা জবাব দেন হযরত
আইয্যূব (আঃ) এর দোয়া শুনে নিয়েছি। তেমনি ভাবে উহুদ যুদ্ধে সাহাবাগন পড়েছেন (হাসবুনাল্লাহু
ওয়ানিমাল ওয়াকিল) আল্লাহ তায়ালা তাদের দোয়াও কবুল করেছেন। আবার যখন হযরত নুহ (আঃ) দোয়া
করেছিলেন (রাব্বি আন্নি মাগলুবুন ফানতাসির) তখনও আল্লাহ সে দোয়া কবুল করেন।
সুতরাং এই কুরআনি দোয়া এমন যার পর
দোয়া কবুল হওয়ার কথা পবিত্র কুরআনেই বিদ্যমান আছে, সে জন্য এই আমল করলে যত বড় মসিবত
হউকনা কেন যত বড় বিপদ হউক না কেন যত বড় সমস্যাই হউক সবকিছুই আল্লাহর রহমতে সমাধান হয়ে
যায়।
এই নামাজ তাহাজ্জুদের সময় পড়া উত্তম
অথবা এশারের পর যে কোন সময় পড়া যায়।

1 টি মন্তব্য:

  1. 'শাহ অলিউল্লাহ দেহলভী' ইনার ওজিফায়(হাজত এর নামাজ)
    এই নামাজে সুরা ফাতিহার পর অন্য সুরা মিলানোর কথা উল্লোখ নেই যে।সাধারণত আমরা তো নামাজে সুরা ফাতিহার সাথে অন্য সুরা মিলিয়ে নামাজ আদায় করি।সালাতুত তাসবীহ তে সুরা মিলানোর পর দোয়াটা পড়ি।এই নামাজের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম কেন জানতে চাই।সঠিক তথ্য পেলে উপকৃত হতাম।

    উত্তরমুছুন

borchee থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.