১০টি ইসলামীক প্রশ্নোত্তর । মাসায়ালা মাসায়েল। সাওয়াল জাওয়াব। Question & Answer|

 ১০টি ইসলামীক প্রশ্নোত্তর । মাসায়ালা মাসায়েল। সাওয়াল জাওয়াব। Question & Answer|



প্রঃ কখন পেশাবের ফোটা বের হলে; রক্ত বের হলেও অজু ভঙ্গ হয়না?

প্রঃ কোন আযানের জবাব দেয়া গুনাহ?
প্রঃ কখন বসে আযান দিলে জায়েজ?
প্রঃ কোন নামাজে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম উচ্চ আওয়াজে পড়া সুন্নত
প্রঃ শয়তান কোন ৪টি সময় কেঁদেছে?
প্রঃ কোন গরীব লোককে জাকাত দেয়া জায়েজ নাই, যদিও সে সৈয়দ না হয়
প্রঃ আল্লাহর ৯৯ নাম গুনে গুনে এখলাসের সাথে পড়লে কি হয়?
প্রঃ মুসলমানকে পানি পান করানোর ফজিলত কি?
প্রঃ কোন দানে ১৮ গুন প্রতিদান হয়?
প্রঃ যার কাছে সদকা করার মত কিছু নাই তার জাকাত কি?

ভিডিও লিংক:


এসব অজানা চমৎকার প্রশ্নের উত্তর গুলি জানার জন্য অবশ্যই আমাদের সাথে শেষ পযন্ত থাকবেন,

১ প্রঃ কখন বসে আযান দিলে জায়েজ?
উঃ মুলত বসে আযান দিলে তা মকরুহ হয় এবং সে আযান পুনরায় দিতে হয় কিন্তু এমন একজন ব্যক্তির জন্য বসে বসে আযান দেয়া জায়েজ এবং সে আজান দিলে পুনরায় দেয়ারও প্রয়োজন নাই সে হল মুসাফির যখন সওয়ারির উপর বসা থাকে আর বসে বসে যদি আযান দেয়া তা জায়েজ।

২ প্রঃ কোন আযানের জবাব দেয়া গুনাহ?
উঃ সাধারণত আযানের জবাব নামাজের মাধ্যমে দেয়া ওয়াজিব এবং মুখে আযানের শব্দগুলি বলার মাধ্যমে জবাব দেয়া মুস্তাহাব, তবে জুমার দিন খুতবার আগে যে আযান দেয়া হয় সে আজানের জবাব মুসল্লীদের জন্য মুখে আওয়াজ করে দেয়া মাকরুহে তাহরিমি, তবে মনে মনে দিতে পারবে, আর যিনি খতিব সাহেব তার জন্য জুমার খুতবার আগে যে আযান সে আজানের জবাব দেয়া জায়েজ।

৩ প্রঃ কোন নামাজে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম উচ্চ আওয়াজে পড়া সুন্নত
উঃ যখন তারাবীতে কুরআন খতম করা হয় তখন সে খতমে ইমামের জন্য ১ বার বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম উচ্চ আওয়াজে পড়া সুন্নত

৪ প্রঃ শয়তান কোন ৪টি সময় কেঁদেছে?
উঃ শয়তান ৪টি সময় বিলাপ করে কেঁদেছিল (১) যখন তার উপর লানত করা হল, (২) যখন তাকে জান্নাত থেকে বের করে পৃথিবীতে নামিয়ে দেয়া হল, (৩) যখন নবী করিম (দ) এর শুভাগমন হল, (৪) যখন সুরা ফাতেহা নাজিল হল। এ ৪টি সময় শয়তান বিলাপ করে করে কেঁদেছিল।

৫ প্রঃ কোন গরীব লোককে জাকাত দেয়া জায়েজ নাই, যদিও সে সৈয়দ না হয়
উঃ এমনিতে সৈয়দ যদি গরীব হয় তাকে জাকাত দেয়া যাবেনা, তবে কিছু আত্মিয় আছে যারা গরীব হলেও তাদেরকে জাকাতের টাকা দেয়া যাবেনা যেমন মা বাবা, দাদা, দাদি, নানা, নানি, নিজের ছেলে মেয়ে, নাতি নাতনিকে জাকাতের টাকা দেয়া যাবেনা যদিও তারা গরীব হয়। তবে তাদেরকে অন্যভাবে সাহায্য সহযোগিতা করতে হবে।

৬ প্রঃ মুসলমানকে পানি পান করানোর ফজিলত কি?
উঃ নবী করিম (দ) এরশাদ করেন যে কোন মুসলমানকে এমন জায়গায় পানি পান করালো যেখানে পানি মওজুদ আছে সে গোলাম আযাদ করার ফজিলত পাবে, আর যে এমন জায়গায় পানি পান করালো যেখানে পানি মওজুদ নাই মুলত সে তাকে যেন জীবিত করে দিল, অর্থ্যাৎ ১টি প্রাণ বাঁচালো।

৭ প্রঃ কোন দানে ১৮ গুন প্রতিদান হয়?
উঃ নবী করিম (দ) এরশাদ করেন আমি মেরাজের রাতে জান্নাতের দরজায় লিখা দেখলাম নিশ্চয়ই ঋণ দেয়ার প্রতিদান ১৮ গুন আর সদকার প্রতিদান হল ১০ গুন।

৮ প্রঃ যার কাছে সদকা করার মত কিছু নাই তার জাকাত কি?
উঃ যার কাছে সদকা করার জন্য কিছু নাই সে এভাবে দোয়া করবে (আল্লাহুম্মা ছাল্লে আলা আবদিকা ওয়া রাসুলিকা ওয়া আলাল মুমিনিনা ওয়াল মুমিনাত ওয়াল মুসলিমিনা ওয়াল মুসলিমাত) এই দোয়া তার জাকাত হবে।

৯ প্রঃ আল্লাহর ৯৯ নাম গুনে গুনে এখলাসের সাথে পড়লে কি হয়?
উঃ যে আল্লাহর ৯৯ নাম গুনে গুনে এখলাসের সাথে পড়ে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে

১০ প্রঃ কোন ব্যক্তির মধ্যে অজু ভঙ্গের কারন পাওয়া গেলেও তার অজু ভঙ্গ হয়না, কিন্তু এমন কারনে তার অজু ভেঙ্গে যায় সাধারণত যা দ্বারা অজু ভঙ্গ হযনা
প্রঃ কখন পেশাবের ফোটা বের হলে রক্ত বের হলেও অজু ভঙ্গ হয়না?
উঃ যে ব্যক্তি মাজুর যার জখম থেকে ধারাবাহিক রক্ত বের হচ্ছে, বা পেশাবের রাস্তা দিয়ে অনবরত যার পেশাবের ফোটা বের হয়, এখন সে যদি নামাজের জন্য অজু করে যদিও তার রক্ত বের হচ্ছে বা পেশাব বের হচ্ছে তবুও তার অজু ভঙ্গ হবেনা, কিন্তু যখন নামাজের ওয়াক্ত শেষ হবে সাথে সাথে তার অজু ভঙ্গ হয়ে যাবে। অথচ নামাজের ওয়াক্ত শেষ হলে সাধারণত অজু ভঙ্গ হয়না। কিন্ত মাজুরের অজু ভঙ্গ হয়। এ ধরনের মাজুর ব্যক্তি প্রতি ওয়াক্তের জন্য নতুন করে অজু করতে হবে। এক ওয়াক্তের ওজু দিয়ে কয়েক ওয়াক্ত নামাজ পড়তে পারবেনা। যেমন আসরের সময় অজু করল সে অজু মাগরিবেও ওয়াক্ত হওয়ার সাথে সাথে ভঙ্গ হয়ে যাবে, তাকে নতুন করে অজু করতে হবে।

কোন মন্তব্য নেই

borchee থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.