শবে কদরের নামাজ। শবে কদরে ৭ ধরনের নামাজ শিক্ষা

 শবে কদরের নামাজ। শবে কদরে ৭ ধরনের নামাজ শিক্ষা



রমজানের শেষ দশক চলছে যাতে শবে কদর আছে আর এই শবে কদর রাতে ৭ ধরনের নামাজ পড়া যায়, যে নামাজের মাধ্যমে আপনার সকল প্রয়োজন পুরণ হবে, সকল আশা পুরণ হবে, সকল বিপদ কেটে যাবে, সকল অভাব দুর হবে, সকল গুনাহ মাফ হবে ইনশা আল্লাহ। সবগুলি নামাজের নিয়ম, নিয়ত, কত রাকাত পড়বেন, কোন কোন সুরা দিয়ে পড়বেন, কোন সময় পড়বেন, কিভাবে দোয়া করবেন বিস্তারিত আজ এই ১টি ভিডিওতেই আলোচনা করব ইনশা আল্লাহ। যারা শবে কদরের নামাজ পড়তে চান শিখতে চান তাদের জন্য আজকের এই ভিডিওটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শেষ পর্যন্ত দেখার অনুরোধ রইল।

এশারের নামাজ ও তারাবী নামাজ প্রায় সকলেই জানে তাই এখানে এর নিয়ম বলছিনা, এশা ও তারাবীর পড়ার পর বাকী ৬ প্রকার নামাজ পড়বেন যার নিয়ম বিস্তারিত দেয়া হল-

১ম নামাজ হল সালাতুত তাওবা

শবে কদরে কিছু পাওয়ার জন্য প্রথম শর্ত হল গুনাহ থেকে তওবা করা আর তওবার নামাজ আগে পড়তে হবে তারপর অন্যান্য প্রয়োজনের নামাজ পড়তে হবে।

সালাতুত তাওবার ফজিলত: রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যখন কোনো বান্দা কোনোরূপ গুনাহ করার পর উত্তমরূপে অজু করে দাঁড়িয়ে দুই রাকাত নামাজ পড়ে এবং আল্লাহর কাছে গুনাহের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে; নিশ্চয়ই আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন।

যারা তওবা করেন তাদের ব্যপারে আল্লাহ সুরা আল ইমরানের ১৩৬ নং আয়াতে বলেন

اُولٰٓئِکَ جَزَآؤُهُمۡ مَّغۡفِرَۃٌ مِّنۡ رَّبِّهِمۡ وَ جَنّٰتٌ تَجۡرِیۡ مِنۡ تَحۡتِهَا الۡاَنۡهٰرُ خٰلِدِیۡنَ فِیۡهَا ؕ وَ نِعۡمَ اَجۡرُ الۡعٰمِلِیۡنَ

সেসব লোকের প্রতিদান তাদের প্রতিপালকের কাছে ক্ষমা এবং জান্নাত; যার নিচে নদীসমূহ প্রবাহিত। সেখানে তারা চিরকাল থাকবে এবং (সৎ) কর্মশীলদের পুরস্কার কতই না উত্তম

 

রাকাত ও নিয়ত:

সালাতুত তাওবা শুধু ২ রাকাত পড়তে হবে - মনে মনে নিয়ত করবেন আমি গুনাহ মাফের জন্য ২ রাকাত নামাজ পড়ছি

কোন সুরা পড়বেন?

সুরা ফাতেহার সাথে যে কোন সুরা দিয়ে এই নামাজ পড়া যায়।

 

২য় নামাজ হল সালাতুল হাজত

যে কোন বিপদ আপদ, সমস্যা সমাধানে, প্রয়োজন পুরণে সালাতুল হাজত হল খুবই কার্যকরী নামাজ

সালাতুল হাজতের ফজিলত

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে কোনো প্রয়োজন পূরণে নিজেই এ নামাজ পড়তেন এবং সাহাবায়ে কেরামকে এ নামাজ পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। হাদিসে পাকে এ নামাজ পড়ার গুরুত্ব ওঠে এসেছে-

হজরত হুজাইফা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সামনে যখন গুরুত্বপূর্ণ কোনো প্রয়োজন বা বিষয় (বিপদ-আপদ) চলে আসতো; তখন তিনি সঙ্গে সঙ্গে নামাজে দাঁড়িয়ে যেতেন। (আবু দাউদ)

সালাতুল হাজত কত রাকাত? সালাতুল হাজত মাত্র ২ রাকাত পড়তে হবে।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তির আল্লাহর কাছে বা মানুষের কাছে কোনো প্রয়োজন দেখা দেয়, সে যেন উত্তমরূপে অজু করে দুই রাকাআত নফল নামাজ আদায় করে আল্লাহ তাআলার প্রশংসা করে এবং ও রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওপর দরুদ পাঠ করে। (তিরমিজি)

 

সালাতুল হাজত এর নিয়ত: মনে মনে আপনার যে সমস্যা সে সমস্যা সমাধানের আশায় নিয়ত করবেন আমি ২ রাকাত হাজতের নামাজ পড়ছি

 

কোন সুরা দিয়ে পড়বেন? সালাতুল হাজত যে কোন সুরা দিয়ে পড়া যায়, তবে প্রথম রাকাতে সুরা কাফেরুন এবং ২য় রাকাতে সুরা এখলাস দিয়েও পড়তে পারেন।

নামাজ শেষে কিভাবে দোয়া করবেন?

হাজতের ২ রাকাত পড়ে সালাম ফিরিয়ে প্রথমে আল্লাহর প্রসংশা করবেন, প্রসংশার নিয়তে ১ বার সুরা ফাতেহাও পড়তে পারেন তারপর কয়েকবার দরুদ শরীফ পড়বেন

(আল্লাহুম্মা ছাল্লে আলা মুহাম্মাদ, ওয়ালা আলি সৈয়্যেদিনা মুহাম্মাদ ওয়াবারিক ওয়াছাল্লিম)

তারপর নিজের ভাষায় নিজের সমস্যা সমাধানের জন্য দোয়া করবেন,এরপর এই দোয়াটি পড়বেন

সালাতুল হাজত এর দোয়া:

 

ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﺍﻟْﺤَﻠِﻴﻢُ ﺍﻟْﻜَﺮِﻳﻢُ ﺳُﺒْﺤَﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺭَﺏِّ ﺍﻟْﻌَﺮْﺵِ ﺍﻟْﻌَﻈِﻴﻢِ ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻟِﻠَّﻪِ ﺭَﺏِّ ﺍﻟْﻌَﺎﻟَﻤِﻴﻦَ ﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﻣُﻮﺟِﺒَﺎﺕِ ﺭَﺣْﻤَﺘِﻚَ ﻭَﻋَﺰَﺍﺋِﻢَ ﻣَﻐْﻔِﺮَﺗِﻚَ ﻭَﺍﻟْﻐَﻨِﻴﻤَﺔَ ﻣِﻦْ ﻛُﻞِّ ﺑِﺮٍّ ﻭَﺍﻟﺴَّﻼَﻣَﺔَ ﻣِﻦْ ﻛُﻞِّ ﺇِﺛْﻢٍ ﻻَ ﺗَﺪَﻉْ ﻟِﻲ ﺫَﻧْﺒًﺎ ﺇِﻻَّ ﻏَﻔَﺮْﺗَﻪُ ﻭَﻻَ ﻫَﻤًّﺎ ﺇِﻻَّ ﻓَﺮَّﺟْﺘَﻪُ ﻭَﻻَ ﺣَﺎﺟَﺔً ﻫِﻲَ ﻟَﻚَ ﺭِﺿًﺎ ﺇِﻻَّ ﻗَﻀَﻴْﺘَﻬَﺎ ﻳَﺎ ﺃَﺭْﺣَﻢَ ﺍﻟﺮَّﺍﺣِﻤِﻴﻦَ

উচ্চারণ : লা ইলাহা ইল্লাল্লাহুল হালিমুল কারিম। সুবহানাল্লাহি রাব্বিল আরশিল আজিম। আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন। আসআলুকা মুঝিবাতি রাহমাতিকা ও আযায়িমা মাগফিরাতিকা ওল গানিমাতা মিন কুল্লি বিররি ওয়াস-সালামাতা মিন কুল্লি ইছমিন লা তাদা লি জাম্বান ইল্লা গাফারাতহু ওয়া লা হাম্মান ইল্লা ফাররাঝতাহু ওয়া লা হাঝাতান হিয়া লাকা রিদান ইল্লা ক্বাদাইতাহা ইয়া আরহামার রাহিমিন।

 

৩য় হল সালাতুল শোকর

 আল্লাহ তায়ালা মানব জাতির জন্য বেশুমার নেয়ামত দান করেছেন। আবার সেই নেয়ামতের শুকরিয়া আদায় করার প্রতি তাগিদও দিয়েছেন। বান্দা যত বেশি শুকরিয়া আদায় করবে তত বেশি রিজিক প্রাপ্ত হবে। আর যদি শুকরিয়া আদায় না করে তখন আল্লাহ তায়ালা বান্দার ওপর কঠিন আজাব নাজিল করেন। তাই আমাদের উচিত রিজিক বৃদ্ধির জন্য এবং জাহান্নামের ভয়ংকর শাস্তি থেকে নিজেকে বাঁচানোর জন্য বেশি পরিমাণে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা বলেন,

وَإِذْ تَأَذَّنَ رَبُّكُمْ لَئِن شَكَرْتُمْ لأَزِيدَنَّكُمْ وَلَئِن كَفَرْتُمْ إِنَّ عَذَابِي لَشَدِيدٌ

যখন তোমাদের পালনকর্তা ঘোষণা করলেন যে, যদি কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর, তবে তোমাদেরকে আরও দেব এবং যদি অকৃতজ্ঞ হও তবে নিশ্চয়ই আমার শাস্তি হবে কঠোর। [সুরা ইবরাহীম - ১৪:৭]

রাকাত ও নিয়ত:

সালাতুল শোকর ২ রাকাত পড়বেন -মনে মনে আল্লাহর সকল নিয়ামতের শোকর এর নিয়ত করে বলবেন- আমি শোকর আদায় করার জন্য ২ রাকাত নামাজ পড়ছি

কোন সুরা পড়বেন? যে কোন সুরা দিয়ে এই নামাজ পড়া যায়।

যে কোন খুশির সংবাদ শুনলে যে কোন নেয়ামত প্রাপ্ত হলে কিংবা আল্লাহ যে আপনাকে সুস্থ রেখেছেন এত নেয়ামত দিয়েছেন তার জন্য যে কোন সময় এই নামাজ পড়া যায়, আর বিশেষ করে বান্দা যখন শোকর করে আল্লাহ বান্দার উপর খুশি হন এবং নেয়ামত বাড়িয়ে দেন।

 

৪র্থ নামাজ হল সালাতুত তাসবিহ

সালাতুল তাসবিহ নামাজের ফজিলত:  হাদীস শরীফে সালাতুত তাসবীহ নামাযের অনেক ফযীলত বর্ণিত আছে। এই নামায পড়লে পূর্বের গুনাহ বা পাপ মোচন হয় এবং অসীম সওয়ার পাওয়া যাবে। রাসূলুল্লাহ সালল্লাহু তাআলা আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বীয় চাচা হযরত আব্বাস রাদিআল্লাহু আনহুকে এই নামায শিক্ষা দিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন যে, এই নামায পড়লে আল্লাহ আয-যাওযাল আপনার সকল গুনাহ মাফ করে দিবেন।

তিনি বলেন, চাচা জান ! আপনি যদি পারেন, তবে দৈনিক একবার করে এই নামায পড়বেন। যদি দৈনিক না পারেন, তবে সপ্তাহে একবার পড়বেন। যদি সপ্তাহে না পারেন, তবে মাসে একবার পড়বেন। যদি মাসে না পারেন, তবে বছরে একবার পড়বেন। যদি এটাও না পারেন, তবে সারা জীবনে একবার হলেও এই নামায পড়বেন ।

 

নিয়ত ও রাকাত: সালাতুত তাসবিহ ৪ রাকাত, নিয়ত করবেন আমি ৪ রাকাত সালাতুত তাসবিহর নামাজ পড়ছি আল্লাহু আকবর।

 

সালাতুল তাসবিহ নামাজের নিয়মঃ  প্রতি রকাতে সূরা ফাতিহার পর, যে কোন সূরা পড়তে পারেন। তবে এই নামাযে বিশেষত্ব এই যে, প্রতি রকাতে ৭৫ বার করে, চার রকাতে মোট ৩০০ বার তাসবীহ পড়তে হবে।

তাসবীহঃ سُبْحاَنَ الله وَالْحَمدُ للهِ وَلآَ اِلَهَ اِلاَّاللهُ وَاللهُ اَكْبرُ

উচ্চারণঃ সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদু লিল্লাহি ওয়া লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার।

@ ১ম রাকাত এ সানা পড়ার পরে তাসবীহ টি ১৫ বার পড়তে হবে

@ তারপর স্বাভাবিক নিয়মে সুরা ফাতিহা ও অন্য আরেকটি সুরা অথবা অন্তত তিন আয়াত পড়ার পরে তাসবীহ টি ১০ বার পড়তে হবে ।

@ এরপর রুকুতে গিয়ে রুকুর তাসবীহ পরার পরে তাসবীহ টি ১০ বার পড়তে হবে

@ এরপর রুকু হতে দাড়িয়ে গিয়ে রাব্বানা লাকাল হামদ পড়ার পরে তাসবীহ টি ১০ বার পড়তে হবে ।

@ এরপর সিজদায় গিয়ে সিজদার তাসবীহ পরে তাসবীহ টি ১০ বার পড়তে হবে ।

@ প্রথম সিজদা থেকে বসে তাসবীহ টি ১০ বার পড়তে হবে ।

@ এরপর আবার সিজদায় গিয়ে সিজদার তাসবীহ পরে তাসবীহ টি ১০ বার পড়তে হবে ।

@ তারপর একই ভাবে ২য় রাকাত পড়তে হবে, ( সুরা ফাতিহা পড়ার আগে তাসবীহ টি ১৫ বার পড়তে হবে ।)

@ অতপর ২য়রাকাত এর ২য় সিজদার পর আত্তহিয়্যাতু…”, দরুদ আর দোয়া পড়ার পরে সালাম না ফিরিয়ে , ২য় রাকাত এর মতো ৩য় এবং ৪থ রাকাত একই প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে

 

৫ম- শবে কদরের নামাজ

শবে কদরের নামাজের আরবী নিয়ত: নাওয়াইতু আন উছাল্লিয়া লিল্লাহি তায়ালা রাকাতাই ছালাতিল কদর মতুয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবার

বাংলা নিয়ত: মনে মনে নিয়ত করবেন আমি শবে কদরের নামাজ পড়ছি।

কত রাকাত পড়বেন? শবে কদরের নামাজের কোন নিদৃষ্ট সীমা নাই, তাই আপনি ২ রাকাত করে করে যত রাকাত পড়তে পারেন পড়বেন।

কিভাবে পড়বেন? তবে নামাজগুলি খুবই শান্ত ভাবে ধীর স্থীর ভাবে পড়বেন, তাড়াহুড়া করবেন না, রুকু ও সিজদার তাসবিহ গুলি পড়ার সময় ১ নিঃশ্বাসে ১বার তাসবিহ পড়বেন। রুকু সিজদার তাসবিহ সমুহ বেজোড় সংখ্যায় বেশী বেশী পড়বেন। ৭/ ১১/ ১৩/ ১৫/ ২১ বার এভাবে যতবেশী সম্ভব পড়বেন।

কোন সুরা দিয়ে পড়বেন? শবে কদরের নামাজ বড় বড় সুরা মুখস্ত থাকলে বড় বড় সুরা দিয়ে পড়বেন, যদি বড় সুরা মুখস্ত না থাকে তাহলে প্রথম রাকাতে সুরা ফাতেহার সাথে সুরা কদর আর ২য় রাকাতে সুরা এখলাস কুলহুয়াল্লা শরীফ ৩ বার পড়তে পারেন।

আর যদি সুরা কদর মুখস্ত না থাকে তাহলে যে সুরা মুখস্থ আছে সে সুরা দিয়েও পড়তে পারবেন।

অথবা উভয় রাকাতে শুধু সুরা ফাতেহার সাথে সুরা এখলাস দিয়েও পড়তে পারবেন, সুরা এখলাছ প্রতি রাকাতে ৩ বার/ ১০ বার/২৫ বার/৫০ বার/১০০ বার করেও পড়তে পারেন।

মনে রাখবেন এই নামাজ গুলি অবশ্যই পড়তে হবে ঈমানের সাথে এবং সাওয়াবের আশায়, বোঝা মনে করে পড়লে হবেনা।

সালাম ফিরিয়ে কি করবেন? প্রতি ২ রাকাত অন্তর সালাম ফিরিয়ে কয়েকবার দরুদ শরীফ পড়বেন- দরুদ এটা পড়তে পারেন (আল্লাহুম্মা ছাল্লে আলা মুহাম্মাদ, ওয়ালা আলি সায়্যিদিনা মুহাম্মাদ ওয়াবারিক ওয়াছাল্লিম)

তারপর কয়েকবার এসতেগফার পড়বেন (আসতাগফিরুল্লাহা ওয়া আতুবু ইলাইহ)

তারপর মুনাজাত করবেন- নিজ ভাষায় মুনাজাত করবেন, আর মুনাজাতে ১টি দোয়া অবশ্যই করবেন (আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুব্বুন তুহিব্বুল আপওয়া ফাফু আন্নি)

৬ষ্ঠ নামাজ হল তাহাজ্জুদ নামাজ

তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত:

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসুলুল্লাহ সা্ল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ফরজ নামাজের পর সব নফল নামাজের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হলো তাহাজ্জুদ নামাজ তথা রাতের নামাজ। (মুসলিম, তিরমিজি, নাসাঈ)

যারা বিনা হিসাবে জান্নাতে যেতে পারবেন, তাদের মধ্যে একশ্রেণির মানুষ হলেন তারা, যারা যত্নের সঙ্গে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করেন।

তাহাজ্জুদ নামাজের সময়, রাকাআত

ইশার নামাজ আদায়ের পর থেকে সুবহে সাদেকের আগ পর্যন্ত তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া যায়। তবে অর্ধ রাতের পর থেকে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া ভালো। শেষ রাতে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করা সর্বোত্তম।

তাহাজ্জুদ নামাজের জন্য ১টি শত হল এশার নামাজের পর অল্প কিছুক্ষণ ঘুমাতে হবে, চায় ৫ মিনিটের জন্য হলেও ঘুমাবেন।

 

তাহাজ্জুদ নামাজ ২ থেকে ১২ রাকাআত পর্যন্ত পড়া বর্ণনা পাওযা যায়। সর্ব নিম্ন ২ রাকাআত আর সর্বোচ্চ ১২ রাকাআত।

তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত

অর্থ : দুই রাকাআত তাহাজ্জুদের নিয়ত করছি.. অতঃপর আল্লাহু আকবার বলে নিয়ত বেঁধে নামাজ পড়া।

 

তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ম

প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুই দুই রাকাআত করে এ নামাজ আদায় করতেন। যে কোনো সুরা দিয়েই এ নামাজ পড়া যায়। তবে তিনি লম্বা কেরাতে নামাজ আদায় করতেন। তাই লম্বা কেরাতে তাহাজ্জুদ আদায় করা উত্তম।

 

লম্বা সুরা না জানলে প্রতি রাকাতে ১বার সুরা ফাতেহা ও ৩ বার সুরা এখলাস দিয়েও পড়তে পারবেন।

 

আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে শবে কদর নসিব করুন আমিন। শবে কদরে এসব গুরুত্বপূর্ণ নফল এবাদত সমুহ যথাযথভাবে আদায় করার তৌফিক দান করুন। আমিন।

 

 #শবেকদরেরনামাজেরনিয়ম #লাইলাতুলকদর #ক্বদর #শবেকদরেরআমল #লাইলাতুলকদর #লাইলাতুলক্বদর #sobeqadar #lailatulqadar #shobeqadar 

কোন মন্তব্য নেই

borchee থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.