জিলহজ্জের প্রথম ১০ দিনের আমল কোন আমল সবচেয়ে বেশী করবেন?
জিলহজ্জের প্রথম ১০ দিনের আমল
কোন আমল সবচেয়ে বেশী করবেন?
জিলহজ্জের
প্রথম দশকে কোন আমলটি বেশী বেশী করবেন? সে বিষয়ে আজ বলব, কয়েকদিন পরেই এমন একটি সময়
আসবে, আর এই দিনগুলির ব্যপারে হুজুর পাক (দ) বলেছেন (আফদালু
আইয়্যামিদ্দুনিয়া আইয়্যামুল আশার) বছরের সকল দিন সমুহের মধ্যে সবচেয়ে উত্তম
দিন হল জিলহজ্জের প্রথম ১০ দিন। যখন এই দিন শুরু হয়ে যায়, চাঁদ দেখার সাথে সাথে এই
দোয়া পড়ে নিন। (আল্লাহুম্মা আহিল্লাহু আলাইনা বিল আমনি ওয়াল
ইমান ওয়াস সালামাতি ওয়াল ইসলাম, রাব্বি ওয়া রাব্বুকাল্লাহ) আর চাঁদ দেখার আগে আপনার চুল নখসমুহ কেটে নিবেন।
২য়
আমল- রাসুলুল্লাহ (দ) এরশাদ করেন যখন জিলহজ্জের চাঁদ দেখা যায় তখন তাকবীর পড়বে, আল্লাহু
আকবার আল্লাহু আকবার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়ালিল্লাহিল
হামদ।
৩য়
আমল- রাসুলুল্লাহ (দ) উম্মতের জন্য রেখে গেছেন, (কানা এয়াসুমু
তিসয়া জিলহিজ্জা ওয়া এয়াউমা আশুরা) আল্লাহ রাসুলের সম্মানিত স্ত্রী বয়ান করেন
- আল্লাহর নবীর অভ্যাস ছিল তিনি জিলহজ্জের প্রথম ৯ দিন রোজা রাখতেন, এছাড়াও তিনি আশুরার
রোজা, আইয়্যামে বিজের রোজা রাখতেন। সুতরাং জিলহজ্জ মাসের প্রথম ৯ দিন নফল রোজা রাখবেন।
প্রতিটি রোজার জন্য ১ বছরের রোজার সাওয়াব পাবেন ৯ টি রোজা রাখলে ৯ বছরের রোজার সাওয়াব
পাবেন।
৪থ
আমল- রাসুলুল্লাহ (দ) কে আরাফার রোজার ব্যপারে
প্রশ্ন করা হল তখন নবী করিম (দ) ফরমান যে আরাফার
দিন অর্থ্যাৎ ৯ জিলহজ্জ রোজা রাখে তার আগের ও পরের ১ বছর করে মোট ২ বছরের গুনাহ মাফ
করে দেয়া হয়।
৫ম
আমল- জিলহজ্জের প্রথম ১০ রাতে নফল এবাদত করা আল্লাহর নবী এরশাদ করেন জিলহজের ১ থেকে ৯ তারিখ প্রতিদিনের রোজা ১ বছরের
রোজার সওয়াব এবং প্রতিরাতের ইবাদত ১ বছরের ইবাদতের সমান সওয়াব। (তিরমিযী, খণ্ড:১, পৃষ্ঠা:
১৫৮)।
৬ষ্ঠ আমল - এই দিনসমুহে বেশী বেশী তাকবির তাসবিহ তাহলিল
পাঠ করবেন। (ফা আকছিরু ফি হিন্না মিনাত্তাহলিল, ওয়াত্তাকবির ওয়াত্তাহমিদ) খুব বেশী বেশী বলবেন
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবার।
হাদীসে আরো আছে (মা মিন মুহিল্লিন ইল্লা বুশশির মা মিন মুকাব্বিরিন ইল্লা
বুশশির,) এমন কেহ নাই যে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলে তাকে সুসংবাদ দেয়া হয়না,
কেহ এমন নাই যে আল্লাহু আকবার বলে তাকে সুসংবাদ দেয়া হয়না। প্রশ্ন করা হল হে আল্লাহর
রাসুল কিসের সুসংবাদ? হুজুর ফরমালেন জান্নাতের সুসংবাদ। যে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলে
আল্লাহু আকবার বলে তাকে জান্নাতের সুসংবাদ দেয়া হয়।
সারা বছরের আমল আল্লাহর কাছে আমলসমুহ এত প্রিয় হয়না
যতটা প্রিয় হয় এই দিনসমুহের আমল। সে জন্য এই দিন সমুহে তাসবিহ, তাহলিল তাকবির বেশী
বেশী পড়বেন, বেশী কসে সদকা করবেন, কুরআন তেলাওয়াত করবেন, নফল সমুহ বেশী করে পড়বেন,
বেশী বেশী দোয়া করবেন, নফল রোজা রাখবেন।
বেশী বেশী অসহায় মানুষকে সাহায্য করবেন। আল্লাহ আমাদেরকে
তৌফিক দান করুন আমিন।
কোন মন্তব্য নেই